উইন্ডোজ ৭ এর Bios-এ প্রবেশের নির্দেশিকা

উইন্ডোজ ৭ এর Bios-এ প্রবেশের সঠিক উপায় জানলে আপনি খুব সহজেই BIOS access Windows 7 করতে পারবেন। এই নির্দেশিকায় আমরা আপনাকে Windows 7 BIOS setup-এর ধাপে ধাপে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবো। যখন কম্পিউটার চালু হবে, তখন কোন কী প্রেস করতে হবে এবং বুট অপশন সেটাপ ইত্যাদি সবই এখানে আলোচনা করা হবে। এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিভিন্ন মাদারবোর্ডের উপর নির্ভর করে BIOS এর প্রবেশ পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।

উইন্ডোজ সাতে বায়োস অ্যাক্সেস করার জন্য সঠিক কী সমূহের তালিকা পেয়ে যাবেন, যা আপনার কম্পিউটারের বিশেষ মাদারবোর্ডের উপর নির্ভর করবে। উদাহরণস্বরূপ, Dell, HP, এবং ASUS-এর মতো ব্রান্ডের মাদারবোর্ডগুলির জন্য নির্দিষ্ট কী সমূহ আলাদাভাবে উল্লেখ করা হবে।

আমাদের আর্টিকেলের বিস্তৃত বিষয়ে রয়েছে কিভাবে Windows 7 সেটআপ করবেন এবং কীভাবে একটি বুটেবল মিডিয়া প্রস্তুত করবেন। সব বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আপনাকে দেখাবো কিভাবে BIOS উত্তরাধিকার হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এই নির্দেশিকা অনুসরণ করে আপনি আপনার উইন্ডোজ ৭ সেটআপ সহজেই করতে পারবেন।

Bios কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ

BIOS বা Basic Input/Output System হল মাদারবোর্ডে এমবেডেড এক ধরনের ফার্মওয়্যার। BIOS ফাংশন হচ্ছে হার্ডওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে মৌলিক যোগাযোগ স্থাপন করা এবং কম্পিউটার চালু হওয়ার প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু বায়োস কি, এবং এর গুরুত্ব কি? এটি হলো ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাধারণত করা একটি প্রশ্ন। BIOS ছাড়া, কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে সঠিকভাবে চিনতে পারে না এবং সামঞ্জস্য করে কাজ করতে পারে না।

বিভিন্ন ধরণের BIOS যেমন Award BIOS, Ami BIOS, Phoenix BIOS, ও Microid BIOS সাধারণত পিসি কম্পিউটারগুলোতে দেখা যায়। BIOS প্রতিটি হার্ডওয়্যার উপাদানের তথ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের কার্যকরভাবে কাজ শুরু করার জন্য সক্রিয় করে, যা BIOS গুরুত্ব অনুধাবনে সহায়ক।

BIOS মেনুতে প্রায়ই বিভিন্ন সেটিংস ও অপশন যেমন Standard CMOS Features, Advanced BIOS Features, Integrated Peripherals, PC Health Status ইত্যাদি দেখা যায়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো, BIOS-এর মধ্যে যেকোনো পরিবর্তন সঞ্চয় করে (save) ঠিকমতো বের হওয়া (exit করতে) যাতে কম্পিউটার সঠিকভাবে চলতে পারে।

BIOS ফাংশনের মধ্যে সাধারণত CPU তাপমাত্রা, ফ্যানের গতি পর্যবেক্ষণ এবং বুট সিকোয়েন্সের জন্য পছন্দ নির্ধারণ করা অন্তর্ভুক্ত থাকে। BIOS গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য এই সকল কার্যাবলী জানা প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য অপরিহার্য।

Windows 7 সেটআপের পূর্বপ্রস্তুতি

Windows 7 ইনস্টলেশন শুরু করার পূর্বে কিছু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রথমেই নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার কম্পিউটার সিস্টেমের হার্ডওয়্যার Windows 7 এর জন্য উপযুক্ত। অন্তত 1 GHz প্রসেসরের সাপোর্ট থাকা, 512MB RAM এবং C ড্রাইভে অন্তত 20GB ফ্রি স্পেস থাকা বিশেষ জরুরি।

প্রাথমিকভাবে, আপনার সকল গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলি ব্যাকআপ করা আবশ্যক। অনেক ক্ষেত্রে Windows 7 ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন ডাটা লস হতে পারে, তাই পূর্বপ্রচেষ্টায় সকল গুরুত্বপূর্ণ ডাটার সুরক্ষাকরণের জন্যই ব্যাকআপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

নিচের চেকলিস্টটি অনুসরণ করুন:

  • 1 GHz বা তার বেশি প্রসেসর
  • 512MB RAM বা তার বেশি
  • C ড্রাইভে অন্তত 20GB ফ্রি স্পেস
  • Windows 7 ইনস্টলেশন ডিস্ক বা বুটেবল USB ড্রাইভ
  • ম্যউয়াল ব্যাকআপের জন্য পর্যাপ্ত স্টোরেজ ডিভাইস

প্রস্তুতি পর্বের পর আপনার কম্পিউটার সেটআপের জন্য বায়োস ইনস্ট্রাকশন্স ফলো করতে হবে। অধিকাংশ BIOS সেটআপে আপনি কম্পিউটার চালু করার পর দ্রুত F2 বা Delete কী প্রেস করে ঢুকতে পারবেন। সেখানে বুট অর্ডার নির্ধারণ করুন যাতে আপনার ইনস্টলেশন ডিস্ক বা বুটেবল USB ড্রাইভ প্রথমে বুট হয়।

আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ ১১ এ পার্টিশন তৈরি করার সহজ পদ্ধতি

এই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরেই আপনি সহজে এবং নিরাপদে Windows 7 ইনস্টলেশন শুরু করতে পারবেন। কম্পিউটার সেটআপের সময় সব পদক্ষেপ সঠিকভাবে অনুসরণ করুন যাতে আপনার ইনস্টলেশন সফল হয় এবং আপনার কম্পিউটারে নতুন অপারেটিং সিস্টেমটি নির্বিঘ্নে চালাতে পারেন।

কম্পিউটার চালু করার প্রক্রিয়া

কম্পিউটার পাওয়ার অন করার জন্য প্রথমে পাওয়ার বোতামে চাপুন। মোটামুটি ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সময়ের মধ্যে, স্টার্টআপ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। কম্পিউটার চালু হওয়ার পর, BIOS স্ক্রিন প্রদর্শিত হবে। এই সময়ে, BIOS মেনু প্রবেশ করার জন্য F2 অথবা Del কী চাপুন। BIOS মেনুতে প্রবেশ করার পর, আপনি বিভিন্ন সেটাপ করতে পারবেন।

BIOS মেনুতে ঢোকার পর, নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  • ড্রাইভ অপশনস (অ্যাডভান্সড) মেনুতে ছয়টি অপশন দেখতে পাবেন।
  • আপনি ইনস্টলেশন প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট এক ধাপে তিনটি অপশন থেকে যেকোনও একটি বেছে নিতে পারেন।
  • যখন সময় অঞ্চল বেছে নেওয়ার পর্ব আসবে, আপনি GMT +6:00 টাইম জোনটি বেছে নিতে পারেন।
  • কোন পার্টিশনে উইন্ডোজ ইনস্টল করবেন, নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত ডিস্ক ০ পার্টিশন ২ C: ড্রাইভে ইনস্টল করা হয়।

কম্পিউটার পাওয়ার অন করার সময় যদি সমস্যা ঘটে, সেক্ষেত্রে সমস্যাগুলির সমাধান করতে হতে পারে। যেমন, কম্পিউটার স্লো হলে, ভাইরাস আক্রমণ, অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম বা কম স্পেস থাকা, এসব কারণ হতে পারে। স্টার্টআপ প্রক্রিয়া চলাকালীন কম্পিউটর রি-স্টার্ট বা বন্ধ হলে, অপারেটিং সিস্টেমের সমস্যা, ভাইরাস বা অসাধারণ সফটওয়্যার ইনস্টলেশনের সমস্যা হতে পারে।

স্টার্টআপ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে, আপনি বায়োসের ভেতরে, বুট অর্ডার, তারিখ ও সময় এবং অন্যান্য সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন। এসব নির্দিষ্ট সেটিংস ঠিকমত ঠিক করা থাকলে, আপনার কম্পিউটার দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে চলবে।

বিভিন্ন ধরনের Bios এবং তাদের ইন্টারফেস

কম্পিউটার সিস্টেমে BIOS ইন্টারফেস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। BIOS এর বিভিন্ন ধরনের ইন্টারফেস বিদ্যমান, যার মধ্যে AMIBIOS এবং AwardBIOS দুইটি প্রধান ধরনের। তারা আলাদাভাবে মাদারবোর্ড তৈরি কোম্পানিগুলির প্রয়োজন অনুসারে কনফিগার করা হয়।

AMIBIOS

AMIBIOS ইন্টারফেসটি প্রচলিতভাবে ট্যাব-ভিত্তিক। এটি ব্যবহারকারীকে সকল সেটাপ এবং অপশন ট্যাব আকারে প্রদান করে, যা নেভিগেট করতে সহজ হয়। AMIBIOS সেটাপ ব্যবহারকারীদের সুবিধাজনকভাবে বুট অর্ডার, সিমোস সেটিংস, এবং বিভিন্ন হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।

AwardBIOS

AwardBIOS ইন্টারফেসটি লিস্ট-ভিত্তিক হওয়ার কারণে এটি একাধিক সবকিছু তালিকাভুক্ত করে যা ব্যবহারকারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট এবং সহজতর করে তোলে। AwardBIOS কনফিগারেশন মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের সিস্টেমের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সেটিংস দ্রুত সমন্বয় করতে পারে। যেমনভাবে, AwardBIOS কনফিগারেশন প্রক্রিয়াটি সহজে বুঝতে ও কার্যকর করতে সহায়তা করে।

বুট অর্ডার কিভাবে নির্ধারণ করবেন

কোনো কারণবশত Windows 7 ইনস্টল করার জন্য আপনার কম্পিউটারের বুট অর্ডার পরিবর্তন করতে হতে পারে। বুট অর্ডার সেটাপ করার প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ এবং সঠিকভাবে অনুসরণ করলে কার্যকরী বুট ডিভাইস নির্ধারণ করা সম্ভব। এ প্রক্রিয়াটি ভিন্ন BIOS ইন্টারফেসের জন্য বিভিন্নরকম হতে পারে। নিচে আমরা AMIBIOS বুট কনফিগারেশন এবং AwardBIOS বুট সেটিংস সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করবো।

AMIBIOS-এর বুট অর্ডার সেটআপ

AMIBIOS বুট কনফিগারেশন প্রক্রিয়াতে প্রথমে BIOS-এ প্রবেশ করতে হবে। সাধারনত এটি করতে হলে কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় Del বা F2 কী চেপে ধরে রাখতে হয়। BIOS ইন্টারফেসে প্রবেশ করার পর বুট মেনুতে গিয়ে ডিভাইসগুলির ক্রম নির্ধারণ করতে হবে।

  1. প্রথমে BIOS-এ প্রবেশ করুন।
  2. বুট মেনুতে যান।
  3. বুট প্রাথমিক অর্ডার সেটাপ সম্পন্ন করুন। প্রথমে আপনি যে ডিভাইস থেকে বুট করতে চান তা নির্ধারণ করুন, যেমন CD/DVD বা USB।
  4. পরিবর্তনগুলি সংরক্ষণ করে BIOS থেকে বের হয়ে আসুন।
আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ ১০ থেকে নেটওয়ার্ক রিমুভ করার পদ্ধতি

AwardBIOS-এর বুট অর্ডার সেটআপ

AwardBIOS বুট সেটিংস নির্ধারণ করতে হলে প্রথমে BIOS ইন্টারফেস চালু করতে হবে। চালু হলে, সাধারণত Del কী চাপতে হয়। তারপর BIOS সেটআপ প্রোগ্রাম থেকে বুট সিকোয়েন্স নির্বাচন করুন।

  1. BIOS ইন্টারফেস চালু করুন।
  2. বুট ট্যাবে যান এবং ডিভাইস প্রায়োরিটি নির্বাচন করুন।
  3. CD/DVD বা USB ডিভাইসকে প্রথমে বুট ডিভাইস হিসেবে নির্ধারণ করুন।
  4. পরিবর্তনগুলি সংরক্ষণ করে BIOS থেকে বের হয়ে আসুন।

ঠিকমতো বুট প্রাথমিক অর্ডার সেটাপ সম্পন্ন করলে Windows 7 ইনস্টলেশনের সময় কোনো ঝামেলা হবে না এবং সেটআপ প্রক্রিয়া সহজভাবে সম্পূর্ণ হবে।

How to Enter Bios Windows 7

Windows 7 BIOS access করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে বোতাম চাপা, যা বেশ সহজ এবং দ্রুত। আপনার পিসির প্রস্তুতকারকের উপর ভিত্তি করে BIOS অ্যাক্সেসের জন্য নির্দিষ্ট কী বা কী সংমিশ্রণ দরকার হয়। Acer, Asus, Dell, HP, Lenovo ইত্যাদি প্রস্তুতকারকরা সাধারণত F1, F2, F10, Delete, এবং Esc বোতাম ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, Lenovo ডেস্কটপস সাধারণত F1 বা F2 ব্যবহার করে এবং Lenovo IdeaPad ব্যবহার করে F9 বা Fn + F9।

একটি কার্যকরী বায়োসে প্রবেশের নির্দেশ ফলো করতে, পিসি চালু বা রিস্টার্ট করার সময় প্রস্তুতকারকের লোগো আসা মাত্র নির্দিষ্ট কীটি চাপুন। এছাড়াও Advanced Startup Options থেকে BIOS প্রবেশের আরেকটি উপায় রয়েছে। Command Prompt এ ‘shutdown /r /o /f /t 00’ কমান্ডটি প্রবেশ করিয়ে সহজেই Advanced Startup Options এ প্রবেশ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, শিফট + রিস্টার্ট বোতামের সংমিশ্রণ ব্যবহার করেও Windows 7 BIOS access করতে পারেন; এটি আপনাকে উন্নত অপশন্সে নিয়ে যাবে এবং সেখান থেকে UEFI Firmware Settings নির্বাচন করতে পারবেন। কিছু নতুন উইন্ডোজ পিসিতে, BIOS অ্যাক্সেস করার পূর্বে Recovery Mode এ প্রবেশ করতে হয়, যা সিস্টেম সেটিংস এবং রিকভারি অপশনের মাধ্যমে সহজে অ্যাক্সেস করা যায়।

আরও একটি উপায় হচ্ছে Fast Boot নিষ্ক্রিয় করা। Fast Boot সক্রিয় অবস্থায় থাকলে BIOS সেটিংসে প্রবেশ করতে সমস্যা হতে পারে। এটি নিষ্ক্রিয় করলে সম্পূর্ণ রিস্টার্ট করা সম্ভব হয় যেটি BIOS প্রবেশ ফ্যাসিলিটেট করতে পারে।

অন্য একটি কার্যকর উপায় হলো BIOS প্রস্তুতকারকের সাইট থেকে কী সংমিশ্রণ শিখে নেয়া।

Windows 7 সেটআপের ধাপ

উইন্ডোস ৭ ইনস্টল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা সঠিকভাবে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। চলুন, এবার দেখে নিই কীভাবে ধাপে ধাপে Windows 7 installation steps সম্পন্ন করবেন:

  1. বুটেবল মিডিয়া তৈরি করুন: প্রথমেই বুটেবল মিডিয়া যেমন একটি USB ড্রাইভ বা DVD তৈরি করতে হবে। Rufus বা Windows USB/DVD Download Tool ব্যবহার করে এটি করা যেতে পারে।
  2. BIOS Configuration: আপনার কম্পিউটারের BIOS-এ বুট অর্ডার পরিবর্তন করতে হবে, যাতে পিসি বুট করলে প্রথমেই বুটেবল মিডিয়া থেকে বুট হয়। BIOS-এর ইন্টারফেস সাধারণত DEL, F2 বা ESC কী চেপে প্রবেশ করা যায়।
  3. ডিভাইস ফরম্যাটিং: সেটআপ শুরু হলে, ডিস্ক ফরম্যাটিং এবং পার্টিশন তৈরি করার অপশন আসবে। আপনার ইচ্ছেমতো partitions তৈরি করুন এবং প্রয়োজনীয় drive গুলো ফরম্যাট করুন।
  4. অপারেটিং সিস্টেমের ফাইলগুলি ইনস্টল করুন: ফাইলগুলি কপি হওয়া শুরু হবে এবং সময় মতো বিভিন্ন সেটিংস সেটআপ করতে হবে যেমন ট ime zone, keyboard layout ইত্যাদি। এই পুরো প্রক্রিয়া প্রায় ২০-৩০ মিনিট সময় নিতে পারে।
  5. ইউজার অ্যাকাউন্ট সেটআপ: ইনস্টল প্রক্রিয়ার শেষে আপনাকে একটি ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে বলা হবে। এখানে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ লগইন কীভাবে বন্ধ করবেন - সহজ গাইড

এই ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার পিসিতে উইন্ডোস ৭ ইনস্টল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। ধারাবাহিকভাবে এই Windows 7 installation steps সম্পন্ন করুন এবং উপভোগ করুন নতুন উইন্ডোস ৭ ব্যবহারের সেরা অভিজ্ঞতা।

বুটেবল মিডিয়া প্রস্তুত করা

বুটেবল ড্রাইভ তৈরি করার প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ হলেও, সঠিক নির্দেশনা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উইন্ডোজ ইনস্টলেশন মিডিয়া তৈরি করতে প্রথমেই আপনাকে প্রয়োজন একটি নির্ভরযোগ্য টুল। এখানে আমরা Rufus নামক সফটওয়্যারটির ব্যবহার দেখাব, যা বুটেবল USB ড্রাইভ তৈরিতে অতি জনপ্রিয়।

  1. প্রথমে, Rufus-এর সর্বশেষ সংস্করণটি ডাউনলোড করুন। সর্বশেষ সংস্করণ 4.6 এর জন্য উপলব্ধ এক্সিকিউটেবল ফাইলগুলি নিম্নরূপ:
    • অদর্শ Windows x64: 1.5 মেগাবাইট, তারিখ: 2024.10.21
    • বহনযোগ্য Windows x64: 1.5 মেগাবাইট, তারিখ: 2024.10.21
    • অদর্শ Windows x86: 1.6 মেগাবাইট, তারিখ: 2024.10.21
    • অদর্শ Windows ARM64: 5.1 মেগাবাইট, তারিখ: 2024.10.21
  2. অবশ্যই নিশ্চিত হন যে আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ 8 বা তার পরবর্তী সংস্করণ ইন্সটল করা আছে। Rufus বিভিন্ন ভাষা সমর্থন করে, যেমন: Bahasa Indonesia, English, Español, Français, Deutsch, Italiano, Русский, 简体中文 ইত্যাদি।
  3. Rufus সফটওয়্যারটি চালু করে আপনার USB ড্রাইভ নির্বাচন করুন, যা উইন্ডোজ ইনস্টলেশন মিডিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হবে। USB ড্রাইভটির ন্যূনতম 8GB ক্ষমতার হওয়া উচিত।
  4. তারপর, বুটেবল ইমেজ তৈরি করতে আপনার কাছে থাকা windows.iso ফাইলটি নির্বাচন করুন।
  5. ‘Partition Scheme’ থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ‘MBR’ অথবা ‘GPT’ নির্বাচন করুন। যা আপনার বায়োস মুড (Legacy বা UEFI) এর উপর নির্ভর করবে।
  6. সবকিছু ঠিকভাবে সেটআপ করার পর, স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন। কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার বুটেবল সিডি তৈরি সম্পন্ন হবে।

উইন্ডোজ ইনস্টলেশন মিডিয়া প্রস্তুতের জন্য সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হল USB বুট। এর মাধ্যমে দ্রুত উইন্ডোজ ইন্সটল করা যায়।

সমস্যা সমাধান

কম্পিউটারের Bios সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। BIOS পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কিংবা BIOS আপডেট করার ক্ষেত্রে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে তা জানতে হলে আমাদের নিচের নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করুন।

BIOS পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করবেন

BIOS পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে প্রথমে আপনাকে কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে অবস্থিত CMOS ব্যাটারি অপসারণ করতে হবে। ব্যাটারি অপসারণের পর ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর এটি আবার সংযুক্ত করুন। এটি BIOS সেটিংস রিসেট করে দেবে এবং পাসওয়ার্ড মুছে ফেলবে। তবে কিছু উন্নত মাদারবোর্ডে এই পদ্ধতি কার্যকর নাও থাকতে পারে, সেই ক্ষেত্রে মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে বোঝার চেষ্টা করুন সেখানে কোনো “BIOS password recovery” জাম্পার বা পিন শর্তাবস্থা করার ব্যবস্থা আছে কীনা।

BIOS আপডেট

BIOS আপডেট করার প্রক্রিয়া অনেক সময় জটিল হতে পারে। প্রথমে জানতে হবে আপনার কম্পিউটারের বর্তমান BIOS সংস্করণ। এটি জানতে “Run” কমান্ডে “msinfo32” টাইপ করুন এবং Enter চাপুন। এটি আপনাকে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবে।

BIOS আপডেট করার সময় শুধুমাত্র ম্যানুফ্যাকচারারের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা ফাইল ব্যবহার করুন। এটি নিশ্চিত করুন যে ল্যাপটপটি চার্জারে সংযুক্ত আছে এবং পর্যাপ্ত ব্যাটারি চার্জ আছে। আপডেট করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডের সব কাজ বন্ধ রাখুন এবং আপডেট চলাকালে ল্যাপটপটি বন্ধ করবেন না, কারণ এটি “bricked” হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। যদি যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে পেশাদার প্রযুক্তিবিদের সাহায্য নেওয়া উত্তম।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button