অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার পদ্ধতি

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রিসেট করতে হলে ফ্যাক্টরি রিসেট একটি কার্যকর পদ্ধতি। ফ্যাক্টরি রিসেট মোবাইল ফাঁকা করা বা ফোন ফরম্যাট করার নির্দেশ দেয়, যা আপনার ফোন থেকে সমস্ত ডেটা সরিয়ে কারখানার অবস্থায় স্বাভাবিক করে তোলে। এটি Android 9 এবং তার পরের ভার্সনগুলিতে সবচেয়ে কার্যকর।

ফ্যাক্টরি রিসেট করার জন্য আপনাকে গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে হবে এবং ফোন কমপক্ষে ৭০% চার্জ থাকতে হবে। এছাড়াও, ফ্যাক্টরি রিসেট পূর্ণ হতে এক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকা প্রয়োজন। ফ্যাক্টরি রিসেটের পরে আপনার ডেটা রিস্টোর করার জন্য গুগল সার্ভার থেকে ব্যাকআপ নেওয়া যেতে পারে।

ফ্যাক্টরি রিসেট কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ফ্যাক্টরি রিসেটের মানে হলো আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সফটওয়্যারকে একেবারে নতুন অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। ফোনে ব্যবহারের সাথে সাথে বিভিন্ন অ্যাপ ডেটা জমা হয় এবং পারফরম্যান্স ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফ্যাক্টরি রিসেট করার মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসের সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন এবং পারফরম্যান্সকে পুনরায় উন্নত করতে পারেন।

অনেক সময় আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ফটো, মেসেজ, এবং অ্যাকাউন্ট ডেটা ভুলবশত হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে। ফোন রিসেটের প্রয়োজনীয়তা তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যক্তিগত ডেটা সম্পূর্ণ মুছে দেওয়ার এবং ফোন বিক্রির আগে বা অন্য কাউকে দেওয়ার আগে নিরাপত্তার জন্য প্রধান উপায়। অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী তাদের পুরোনো ফোন বিক্রি করেন নতুন ফোন কেনার আগে, তাই এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফ্যাক্টরি রিসেট আপনার ডিভাইসের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। যেমন:

  • প্রদর্শনীতে গ্লিচিং বা ফ্লিকারিং সমস্যা
  • অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ চালানো
  • আউটডেটেড সফটওয়্যার
  • অতিরিক্ত স্টোরেজ ব্যবহার
  • ক্যাশড ডেটা
  • অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ

ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে কিছু বিষয় মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি:

  1. গুগল অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্য না ভুলে রাখা
  2. গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ রাখা ক্লাউড স্টোরেজ বা গুগল অ্যাকাউন্টে
  3. ফ্যাক্টরি রিসেটের মানে বুঝে তা ঠিকমতো পরিচালনা করা
  4. ডিভাইসে অন্তত ৭০% চার্জ থাকা

ফ্যাক্টরি রিসেট করার পর ডিভাইস একেবারে নতুন অবস্থায় ফিরে যায়। এটি পারফরম্যান্স উন্নত করতে এবং ফার্মওয়্যার সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ।

ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে প্রস্তুতি

ফ্যাক্টরি রিসেট করার প্রক্রিয়াটি যে কোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার আগে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। প্রস্তুতি হিসেবে আপনাকে প্রথমে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ডেটা ব্যাকআপ করা এবং তা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

ব্যাকআপ করুন

রিসেট প্রক্রিয়ার আগে সমস্ত মূল্যবান ডেটা, যেমন ছবি, ভিডিও, দস্তাবেজ এবং অ্যাপ্লিকেশন ডেটা অবশ্যই ব্যাকআপ করুন। Google অ্যাকাউন্ট, স্থানীয় স্টোরেজ অথবা ক্লাউড ব্যবহার করে আপনি ডেটা ব্যাকআপ করা সম্ভব।

  • Google Drive-এর সাহায্যে ব্যাকআপ করুন
  • বাহ্যিক হার্ড ড্রাইভ অথবা পেনড্রাইভ ব্যবহার করুন
  • ক্লাউড স্টোরেজ পরিষেবা যেমন Dropbox, OneDrive ব্যবহার করতে পারেন

ব্যাকআপ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে, ফ্যাক্টরি রিসেটের পরেও প্রয়োজনীয় তথ্য সুরক্ষিত আছে।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ

ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ খুবই জরুরী। প্রায় পাঁচ লক্ষ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে সংবেদনশীল তথ্য বিপন্ন হতে পারে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তথ্য সুরক্ষা বজায় রাখতে রিসেট আগের প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে NFC চেক করার সহজ উপায়

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ফ্যাক্টরি রিসেটের মাধ্যমে ফাইল সমূহ ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় ফিরে আসা সম্ভব না হলেও, সংরক্ষিত ডেটা অনলাইনে বা বাহ্যিক ড্রাইভে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এভাবে আপনি আপনার ডিভাইসে মূল্যবান তথ্য সুরক্ষিত রেখে, ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারবেন যা আপনার ডিভাইস বিক্রয়ের আগে বা অচলাবস্থার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

আপনার ফোনের ডেটা রিস্টোরেশন

ফ্যাক্টরি রিসেটের পরে, আপনার ফোন-এর ডেটা পুনরুদ্ধারের জন্য ডেটা রিকভারি প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়াটি Google অ্যাকাউন্ট অথবা অন্যান্য ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে সহজেই করা যায়।

ফোন ডেটা পুনরুদ্ধার করতে হলে, প্রথমে আপনার Google অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে। এতে করে ব্যাকআপ করা সকল ছবি, ভিডিও, কন্টাক্ট এবং অন্যান্য তথ্য পুনরায় আপনার ফোনে লোড হবে।

প্রধান ধাপগুলি:

  1. Google অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন
  2. ব্যাকআপ করা তথ্য নির্বাচন করুন
  3. রিস্টোর বোতাম টিপুন

ফোনের ডেটা রিস্টোরেশন করার জন্য একটি ভালো নোটপ্যাড অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, “Notepad notes, memo, checklist” নামক অ্যাপটির ৪.৫ রেটিং রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় ও সুবিধাজনক।

ডেটা রিকভারি এবং ফোন ডেটা পুনরুদ্ধার করার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খেয়াল রাখুন যেমনঃ

  • ইন্টারনেট সংযোগ সচল থাকা
  • ক্লাউড সার্ভিসের লগ ইন তথ্য মনে রাখা
  • ব্যাকআপ গতানুগতিক করানো

অন্যথায়, ডেটা রিস্টোরেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না। ডেটা রিকভারি ব্যবস্থা ব্যবহারে নিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা সহজ ও নিরাপদ।

How to Factory Reset Android

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফ্যাক্টরি রিসেট করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এই প্রক্রিয়াটি ফোনের সমস্ত ডেটা মুছে ফেলতে সক্ষম এবং এটি সাধারণত ফোন বিক্রি বা এলাকাসমূহ ক্লিন করার সময় কাজে লাগে। এটি করার আগে কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়।

গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যাকআপ

ফ্যাক্টরি রিসেট গাইড অনুসরণ করার আগে আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ব্যাকআপ তৈরি করা উচিত। এটি আপনার কন্টাক্টস, ফটো, মেসেজ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করবে যা পুনরায় সহজে পুনঃস্থাপন করা যাবে।

ইন্টারনেট কানেকশন নিশ্চিত করা

ফ্যাক্টরি রিসেট করতে যাওয়ার আগে আপনার ফোনটি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। অ্যান্ড্রয়েড রিসেট পদ্ধতি সম্পূর্ণ হতে ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষত গুগল অ্যাকাউন্ট লগইন এবং ডেটা রিকভারি প্রক্রিয়ার সময়।

ফ্যাক্টরি রিসেট করার জন্য প্রথমে সেটিংস অ্যাপে যান, তারপর ‘General Management’ সিলেক্ট করুন এবং ‘Reset’ অপশনে যান। এরপরে ‘Factory Data Reset’ নির্বাচন করুন এবং আপনার পাসওয়ার্ড বা পিন দিয়ে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করুন।

ফ্যাক্টরি রিসেটের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের পারফরম্যান্স উন্নতি সাধনে ফ্যাক্টরি রিসেট একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ৪০% ক্ষেত্রে ফোন রিসেট করলে সমস্যা সমাধান হয়, বিশেষ করে ফোনের ধীরগতি ইস্যুর ক্ষেত্রে।

শুধু তা-ই নয়, অনেক ব্যবহারকারী নিয়মিত ডিভাইসের সফটওয়্যার আপডেট না করার কারণে ৩৫% ক্ষেত্রেই পারফরম্যান্স সমস্যায় ভোগেন। ফোন রিসেট করলে আপনি এই ধরনের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।

পারফরম্যান্স উন্নতিএর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ। প্রায় ৫০% পারফরম্যান্স সমস্যা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের কারণে হয়ে থাকে। ফোন রিসেট করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

  • ৩GB থেকে ৪GB র‍্যাম বিশিষ্ট ডিভাইসে রিস্টার্ট করলে পারফরম্যান্স গতি ফিরে আসে।
  • ২০% স্টোরেজ ফাঁকা রাখতে প্রায়োরিটি দিলে ফোনের গতি ধরে রাখা সহজ।
  • অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস আনইনস্টল করলে সিস্টেম স্মুদ হয়, ব্যাটারি লাইফ বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েড ফোন বন্ধ করার উপায় | মোবাইল গাইড

ফোন রিসেট করার মাধ্যমে আপনি ক্যাশ ক্লিয়ার করতে পারেন যা ফোনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। স্টোরেজ স্পেস ফ্রি হয়ে এটিকে দ্রুততর করবে, যা ৩০% ক্ষেত্রে ফোনের কর্মক্ষমতা উন্নতি করে। ক্যাশ ক্লিয়ারিং এমনকি ফোনের অভ্যন্তরীণ স্টোরেজকে সঠিকভাবে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।

অতএব, ফ্যাক্টরি রিসেটের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের পারফরম্যান্স উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হবেন। এটি ফোনের সাধারণ সমস্যাগুলি সমাধান করে এবং ফোনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

পিক্সেল ফোন রিসেট করার পদ্ধতি

Google পিক্সেল ফ্যাক্টরি রিসেট প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ এবং দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য, বিশেষ করে সফটওয়্যার সংক্রান্ত সমস্যার জন্য, পিক্সেল ফোন রিসেট করা দরকার হতে পারে। এখানে একটি বিস্তারিত পিক্সেল রিসেট গাইড তুলে ধরা হলো:

  • প্রথম ধাপ: সেটিংস অ্যাপটি খুলুন।
  • দ্বিতীয় ধাপ: সিস্টেম অপশনটি নির্বাচন করুন।
  • তৃতীয় ধাপ: অ্যাডভান্সড মেনুতে যান এবং রিসেট অপশন সিলেক্ট করুন।
  • চতুর্থ ধাপ: ইরেজ অল ডেটা (ফ্যাক্টরি রিসেট) সিলেক্ট করুন।
  • পঞ্চম ধাপ: প্রক্রিয়া শুরু করতে রিসেট ফোন বাটনে চাপুন।

পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, আপনার পিক্সেল ফোন পুনরায় চালু হবে এবং তা নতুনের মত অবস্থায় ফিরে আসবে। একটি Google পিক্সেল ফ্যাক্টরি রিসেট ফোনের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেমন ডিসপ্লে ফ্লিকারিং, সফটওয়্যার গ্লিচিং, এবং অন্যান্য। এটি ফোনের কার্যকারিতা এবং পারফরম্যান্স উন্নত করে। তবে, রিসেট করার আগে সবসময় নিজের ডেটা ব্যাকআপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ইএসআইএম প্রযুক্তি, যা স্বতন্ত্র সিম কার্ডের প্রয়োজনীয়তা দূর করে, পিক্সেল ফোনগুলিতে কারিয়ার সুইচিং আরও সহজ করে তুলেছে। নতুন অ্যাডাপ্টিভ ব্রাইটনেস ডিজঅ্যাবল করে এবং ডিসপ্লে ওভারলেইস ম্যানেজ করে আপনি সহজেই গ্লিচিং সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

এই পিক্সেল রিসেট গাইড অনুসরণ করে, আপনি ঘরে বসে নিজের ফোন নতুনের মতো করে নিতে পারেন, বহিরাগত কোনো সাহায্য দরকার হবে না।

স্যামসাং ফোন রিসেট করার পদ্ধতি

স্যামসাং ফোনগুলি অন্যতম জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস। স্যামসাং রিসেট নির্দেশিকায় বিশেষজ্ঞরা নির্দেশ দেন যে, যখন ফোনের কর্মক্ষমতায় সমস্যা দেখা দেয় বা সফ্টওয়্যার ত্রুটি হয়, তখন একটি স্যামসাং ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট কার্যকরী হতে পারে। জনসংখ্যার প্রায় ৪০% অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহারকারী স্যামসাং ফোনে হার্ড রিসেট করেন, যখন কর্মক্ষমতার সমস্যা না মেটে।

স্যামসাং ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  1. ‘সেটিংস’ অ্যাপটি খুলুন।
  2. ‘জেনারাল ম্যানেজমেন্ট’ অপশনে যান।
  3. ‘রিসেট’ মেনু চয়ন করুন।
  4. ‘ফ্যাক্টরি ডেটা রিসেট’ ট্যাপ করুন।

এগুলি সম্পন্ন হলে, আপনার ডিভাইসটি রিবুট হয়ে যাবে এবং পুনরায় চালু হবে। স্যামসাং ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারীকে একটি নতুন শুরু দেয় যা ডিভাইসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

গুরুত্বপূর্ণ: রিসেট করার আগে আপনার মূল্যবান তথ্য ব্যাকআপ করুন। শুধুমাত্র ২০% ব্যবহারকারী ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে বিরক্ত হয়েছেন, তাই আপনি Samsung Smart Switch অ্যাপ ব্যবহার করে সমস্ত ডেটা ব্যাকআপ রাখতে পারেন।

ফ্যাক্টরি রিসেট করার জন্য, আপনার ডিভাইসটির কমপক্ষে ৫০% ব্যাটারি চার্জ থাকা আবশ্যক। বিভিন্ন স্যামসাং মডেলের জন্য ধাপগুলি সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে, তাই নির্দেশাবলী মেনে চলুন বা পেশাদার সহায়তা গ্রহণ করুন।

ওয়ানপ্লাস ফোন রিসেট করার পদ্ধতি

ওয়ানপ্লাস ফোন ব্যবহারকারীরা যদি তাদের ডিভাইসের সমস্যার সমাধান করতে চান, তাহলে ওয়ান প্লাস রিসেট গাইড অনুসরণ করতে পারেন। প্রথমে, ফোনের ‘সেটিংস’ অ্যাপটি খুলুন।

এরপর, ‘অ্যাডিশনাল সেটিংস’ চয়ন করুন এবং তারপর ‘ব্যাকআপ অ্যান্ড রিসেট’ অপশনে যান। ‘ইরেজ অল ডেটা’ (ফ্যাক্টরি রিসেট) অপশনটি ট্যাপ করুন। এই পদক্ষেপটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে, আপনার ওয়ানপ্লাস ফোনে ওয়ানপ্লাস ফ্যাক্টরি রিসেট প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটের স্ক্রিন সেন্সিটিভিটি ঠিক করার উপায়

রিসেট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে, ফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিবুট হবে এবং পুনরায় চালু হবে। ওয়ানপ্লাস ডিভাইসে রিসেট অপশনটি অনুসরণ করা একটি নিরাপদ এবং সহজ উপায়, যা ফোনের সকল ডেটা মুছে ফেলতে এবং ডিভাইসটি নতুন অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই ওয়ান প্লাস রিসেট গাইড অনুসরণ করা আপনাকে আরও ভালো পারফরম্যান্স এবং দ্রুত কার্যক্ষমতা প্রদান করতে পারে।

অন্য অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রিসেট করার পদ্ধতি

বাংলাদেশে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীদের সংখ্যা আইফোন ব্যবহারকারীদের থেকে অনেক বেশি। বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড রিসেট নির্দেশিকা মেনে চললে এবং সাধারণ পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করলেও মাল্টি-ব্র্যান্ড ফ্যাক্টরি রিসেট প্রক্রিয়া আপনার ডিভাইসে সহজেই করা যায়। সাধারণত, ‘সেটিংস’ মেনু থেকে রিসেট অপশনগুলি পাওয়া যায়, যা আপনার ডিভাইসকে দ্রুত ফ্যাক্টরি অবস্থায় ফিরিয়ে আনে।

যদি আপনি একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রিসেট করতে চান, তবে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  • সেটিংস মেনুতে যান
  • সিস্টেম বা সুরক্ষা বিভাগ চয়ন করুন
  • ‘রিসেট’ অথবা ‘ফ্যাক্টরি ডেটা রিসেট’ অপশন খুঁজুন এবং নির্বাচন করুন

এছাড়াও, আপনি গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইস সেবা ব্যবহার করতে পারেন, যা ২০১৫ সাল থেকে রিলিজ করা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলিতে উপলব্ধ। এই সেবা দিয়ে আপনি আপনার ডিভাইস ট্র্যাক করতে, রিং করতে, ফ্যাক্টরি রিসেট করতে এবং লক/আনলক করতে পারবেন। তবে, এই সেবা শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ৮ ভার্সন এবং নীচের জন্য কার্যকরী। নতুন অ্যান্ড্রয়েড ওরিও বা তার পরবর্তী ভার্সনে এটি সমর্থিত নয়।

আপনার ডিভাইস যদি লক হয়ে যায় এবং আপনি প্যাটার্ন/পাসওয়ার্ড/পিন ভুলে যান, তবে ইন্টারনেট সংযোগ থাকা অপরিহার্য। আপনি ইন্টারনেট কানেকশন নিশ্চিত করে গুগল অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দিয়ে ডিভাইসটি আনলক করতে পারবেন।

রিকভারি মোডে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড রিসেট নির্দেশিকা পাওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি ফ্যাক্টরি রিসেট করে সব ডেটা মুছতে চান। কিছু ব্র্যান্ড যেমন শাওমি, রিকভারি সেটিংস ব্যবহারে বিশেষ অপেক্ষার সময় রাখতে পারে।

এসব পদ্ধতির মধ্যে মাল্টি-ব্র্যান্ড ফ্যাক্টরি রিসেট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা বহু ব্যবহারকারীর সমস্যার সমাধানে কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

রিকভারি মোডে ফ্যাক্টরি রিসেট করা

ফোনের রিকভারি মোডে ফ্যাক্টরি রিসেট করা একটি কার্যকর ও দ্রুতগতির সমাধান যা ডিভাইসে ইনস্টল থাকা সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন এবং তাদের সাথে সম্পর্কিত ডেটা মুছে ফেলবে। এটি বিশেষ করে তখন কার্যকরী হয় যখন ফোনটি সঠিকভাবে কাজ করছে না বা ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করতে চান। আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার ফোনে একটি বড় সমস্যা রয়েছে যা সাধারণ রিসেটে সমাধান হচ্ছে না, তবে রিকভারি মোড ব্যবহার করে ফ্যাক্টরি রিসেট করার একটি চমৎকার উপায় হতে পারে।

রিকভারি মোডে প্রবেশ

প্রথমে, আপনার ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ করুন। এরপর, পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম আপ বাটন একসাথে চাপুন এবং ধরে রাখুন যতক্ষণ না রিকভারি মোডের মেনু প্রদর্শিত হয়। কিছু ফোনে এই প্রক্রিয়াটি একটু ভিন্ন হতে পারে। রিকভারি মোডে প্রবেশ করলে আপনি বিভিন্ন পরিষ্কার এবং রিসেট অপশনগুলি দেখতে পাবেন।

ওয়াইপ ডেটা/ফ্যাক্টরি রিসেট অপশন

রিকভারি মোডে আসার পর, ‘ওয়াইপ ডেটা/ফ্যাক্টরি রিসেট’ অপশনটি নির্বাচন করুন। এটি নির্বাচনের জন্য ভলিউম বাটনগুলির ব্যবহার করতে হবে এবং পাওয়ার বাটন চেপে নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি ততকালীন এক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে এবং আপনার ফোনের অন্তত ৭০% শতাংশ চার্জ থাকা উচিত। একটি জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, ফ্যাক্টরি রিসেট করলে আপনার ফোন থেকে সব ডেটা মুছে যায়।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button