হেমরয়েড দূর করার উপায় – সহজ টিপস

হেমরয়েড, যা পাইলস নামেও পরিচিত, মলদ্বারের শিরাগুলিতে প্রদাহ এবং ফোলা সৃষ্টি করে থাকে। এই অবস্থা অনেকের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। তবে কিছু সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করে আপনি হেমরয়েড থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং কিছু ক্ষেত্রে পুরোপুরি হেমরয়েড নিরাময় সম্ভব।

হেমরয়েড চিকিত্সার জন্য কিছু কার্যকরী পদ্ধতির বিষয়ে জানা জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে, কলোনোস্কপির মতো পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে যদি আপনার লক্ষণগুলি অন্য কোনও পরিপাকতন্ত্রের রোগ নির্দেশ করে। কিছু ক্ষেত্রে, রাবার ব্যান্ড লিগেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় যা প্রায় ২ থেকে ৪ দিন পরে রক্তপাত সৃষ্টি করতে পারে। যাদের হেমরয়েড এর অবস্থান খুবই গুরুতর, তাদের জন্য হেমরয়েডেক্টমি সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি, যদিও এতে সাময়িকভাবে মূত্রত্যাগে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

হেমরয়েডডের প্রাকৃতিক নিরাময়ের জন্য, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও, প্রাকৃতিক ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে হেমরয়েডের উপশম সম্ভব। জীবনধারার পরিবর্তন যেমন, টয়লেটে কম সময় ব্যয় এবং নিয়মিত ব্যায়াম হেমরয়েড নিরাময়ে সহায়ক হয়।

সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনধারার সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে হেমরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রাকৃতিক উপায়ে হেমরয়েড চিকিত্সার জন্য আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পানের গুরুত্ব অপরিসীম।

Contents show

হেমরয়েড বা পাইলস কি?

হেমরয়েড বা পাইলস এমন একটি অস্থায়ী অসুখ যা মানুষের মলদ্বারের শিরাগুলি ফোলানো এবং প্রসারিত হয়ে যায়। এই মলদ্বারের সমস্যা প্রায়শই রক্তপাত সৃষ্টি করে এবং অনেকে এটিকে “হেমরয়েড সমস্যা” ভেবে ভুল করে, যদিও এটি মূলত পাইলস কি তা জানার থেকে শুরু হয়।

জনসংখ্যার অর্ধেকই জীবনের কোনো পর্যায়ে এই হেমরয়েড সমস্যায় ভুগতে পারে। হেমরয়েডস মূলত দুই ধরনের হয়: অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। অভ্যন্তরীণ হেমরয়েডস মলত্যাগের সময় পেইনলেস রেকটাল ব্লিডিং সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে বাহ্যিক হেমরয়েডস মলদ্বারের চারপাশে অস্বস্তি, খুশকী এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।

আমাদের জীবনধারার ও খাদ্যাভাসের পরিবর্তন, যেমন: ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা, হেমরয়েড সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকা বা একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থাকাও হেমরয়েডের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই নিয়মিত হাঁটা এবং ব্যায়াম হেমরয়েড সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হেমরয়েড সমস্যা এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রসেসড খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস এবং মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। পাশাপাশি, মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া হেমরয়েড সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকর উপায়।

আরও পড়ুনঃ  বাড়িতে হার্ট ব্লকেজ চেক করার উপায়

হেমরয়েডের ধরন এবং লক্ষণ

হেমরয়েড সাধারণত দুই ধরনের হয়: বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ। প্রতিটি ধরন নিজস্ব লক্ষণ এবং সমস্যা নিয়ে আসে, যা বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন হতে পারে। Understanding these symptoms is crucial in managing the condition effectively.

বাহ্যিক হেমরয়েডস

বাহ্যিক হেমরয়েডস গুলি হল এনাল ক্যানালির বাহিরে অবস্থিত। প্রায়ই এগুলি ফোলা হয়ে যায়, যা চুলকানি, ব্যথা এবং রক্তপাতের কারণ হতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, যা আরও বেশি ব্যথা তৈরি করতে পারে। বাহ্যিক হেমরয়েডের সাথে সংশ্লিষ্ট হেমরয়েড লক্ষণগুলি সাধারণত দ্রুত এবং তীব্র হয়।

অভ্যন্তরীণ হেমরয়েডস

অভ্যন্তরীণ হেমরয়েডস গুলি এনাল ক্যানালের অভ্যন্তরে থাকে এবং সহজেই দেখা যায় না। এগুলি প্রায়ই ব্যথাহীন হয় কিন্তু রক্তপাত করতে পারে। অভ্যন্তরীণ হেমরয়েড লক্ষণগুলির মধ্যে থাকে অতিরিক্ত রক্তপাত, কখনও কখনও কোন সচেতন ব্যথা ছাড়াই। অনেকগুলি ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে, অভ্যন্তরীণ হেমরয়েডের রক্তপাত নিশীথ এবং পরিস্কার হয়।

হেমরয়েডের কারণ

হেমরয়েড বা পাইলস একটি সাধারণ সমস্যার মধ্যে অন্যতম, যা অনেক মানুষের কষ্টের কারণ হতে পারে। হেমরয়েড কারণ বা পাইলসের কারণগুলি সাধারণত নিম্নলিখিতভাবে বলে থাকে:

  • মল পাস করার সময় অতিরিক্ত স্ট্রেনিং: অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হেমরয়েড কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এটি মলের সময় রক্তনালীগুলিতে চাপ সৃষ্টি করে যা হেমরয়েডের কারণ হতে পারে।
  • কম ফাইবারযুক্ত ডায়েট: সময়মত মলত্যাগ না করা এবং কম ফাইবারযুক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি হয়, যা হেমরয়েড কারণ হিসেবে বাঁড়িয়ে দেয়।
  • স্থূলতা: মেদবাহুল্য থাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে শরীরে চাপে বৃদ্ধি হতে পারে যা রক্তনালীর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
  • গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় অধিক ওজন এবং হরমোন পরিবর্তনের কারণে হেমরয়েড বা পাইলসের কারণ হতে পারে।
  • দীর্ঘ সময় বসে থাকা: যারা দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করেন তারা প্রায়ই হেমরয়েড সমস্যার মুখোমুখি হন, কারণ এটি মলত্যাগে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • জিনগত কারণ: পরিবারে হেমরয়েডের ইতিহাস থাকলে এটি বংশানুক্রমে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এসব কারণ ছাড়াও বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে রক্তনালী ও তন্তুগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে, যা হেমরয়েড হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। প্রয়োজনীয় জীবনধারার পরিবর্তন এনে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

প্রাকৃতিক উপায়ে হেমরয়েড নিরাময়

হেমরয়েডের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়গুলো বেশ কার্যকর হতে পারে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রায়ই এই সমস্যার উপশম করে। আমাদের খাবারের বিভিন্ন উপাদান এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের গুরুত্ব

প্রাকৃতিক উপায়ে হেমরয়েড নিরাময়ের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অপরিহার্য। শাক-সবজি এবং ফলমূল এর মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ফলমূল যেমন আপেল, নাসপাতি, এবং ফলের মূলে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সচল রাখে। এর ফলে হেমরয়েডের কারণে হওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হয়। শাক-সবজি যেমন, স্পিনাচ, ব্রকলি এবং ক্যাপসিকাম খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে তা হেমরয়েডের জন্য উপকারী হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  মেয়েদের বুকে তিল থাকলে কি হয়?

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান

পানির গুরুত্বও এখানে নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা হয়ে থাকে প্রতিদিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। প্রাকৃতিক উপায়ে হেমরয়েড নিরাময় করতে হলে দৈনিক অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং মল নরম করে, ফলে হেমরয়েডের উপর্সমে আসে।

হেমরয়েডে ঘরোয়া চিকিৎসা

হেমরয়েড বা পাইলসের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে এবং প্রাকৃতিকভাবে আরাম পেতে কিছু কার্যকরী হেমরয়েডের ঘরোয়া চিকিৎসা আছে। এই পাইলস হোম রেমেডি গুলি সহজেই আপনার ঘরেই প্রয়োগ করতে পারেন এবং এগুলি অত্যন্ত কার্যকরী।

প্রথমত, উষ্ণ পানির স্নান খুবই উপকারী। উষ্ণ পানির স্নানে বসে থাকলে এটি হেমরয়েডের এলাকা প্রশান্ত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। উষ্ণ পানির সাথে একটু ইপসম সল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে যা আরাম দেয়ার পাশাপাশি প্রদাহও কমায়।

দ্বিতীয়ত, বরফ প্যাক প্রয়োগ করাও একটি খুব ভালো পাইলস হোম রেমেডি হতে পারে। বরফের ঠান্ডা প্রভাবে অস্থায়ীভাবে সেই স্থানের ব্যথা এবং প্রদাহ কমে যায়। একটি কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে ১৫-২০ মিনিটের জন্য দিন ৩-৪ বার প্রয়োগ করলে হেমরয়েডের ব্যথা থেকে ম্যনানবৃতি পাওয়া যায়।

তৃতীয়ত, এলোভেরা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এলোভেরার প্রাকৃতিক ঠান্ডা এবং নিরাময় গুণাবলী হেমরয়েডের প্রদাহ কমাতে এবং চুলকানি হ্রাস করতে কাজ করে। সরাসরি প্রাকৃতিক এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে এটি সর্বোত্তম উপায়ে কাজ করে।

পরিশেষে, হেমরয়েডের ঘরোয়া চিকিৎসা একটি সহজ এবং স্বাভাবিক উপায়ে আরামের জন্য দারুন সমাধান প্রদান করে। অতএব, এই সমস্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করে হেমরয়েড বা পাইলসের ব্যথা এবং প্রদাহ কমানো সম্ভব। যদি ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না করে, তবে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

লাইফস্টাইল পরিবর্তন

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করতে হলে লাইফস্টাইল পরিবর্তন অপরিহার্য। হেমরয়েডের মতো সমস্যাগুলো এড়াতে কিছু সহজ পরিবর্তন কার্যকর হতে পারে।

টয়লেটে কম সময় ব্যয়

দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেটে বসে থাকা হেমরয়েডের একটি প্রধান কারণ হতে পারে। এজন্য টয়লেটে কম সময় ব্যয় করা উচিত এবং প্রয়োজনে স্কোয়াটিং পজিশন ব্যবহার করা উচিত, যা সহজেই মলত্যাগে সহায়ক। নিয়মিত অবশ্যই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখতে হবে।

ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যকলাপ

নিয়মিত ব্যায়ামে নমনীয়তা বাড়ে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়, যা হেমরয়েডের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। প্রচলিত ব্যায়াম এবং হাঁটাহাঁটি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে, যা সাধারণ লাইফস্টাইল পরিবর্তন এর অংশ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা
  • মৃদু যোগাসন অথবা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ
  • যেকোন অ্যারোবিক এক্সারসাইজ যেমন সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো

এই ধরনের ব্যায়াম শরীরের ফিটনেস এর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সহায়ক। একযোগে, লাইফস্টাইল পরিবর্তন এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আরও সম্ভাব্য হয়ে ওঠে।

গর্ভাবস্থার পরবর্তী হেমরয়েড

গর্ভাবস্থার সময় নারীদের দেহের বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়, যা প্রায়শই প্রেগনেন্সি হেমরয়েড সৃষ্টির কারণ হতে পারে। এই সময়ের শারীরিক চাপ এবং হরমোন পরিবর্তন হেমরয়েড বৃদ্ধির প্রবণতা বাড়ায়, যা প্রসবের পরও বেশ কিছুদিন থেকে যেতে পারে। এটি গর্ভাবস্থার পর পাইলস সমস্যার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

আরও পড়ুনঃ  আপনার কি স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে? যেভাবে বুঝবেন

গর্ভ অবস্থায় শিশুর ওজন এবং ভূমি মুড প্রবহমান রক্ত চলাচলে প্রভাব ফেলতে পারে, ফলে এটি হেমরয়েড সৃষ্টির কারণ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, প্রেগনেন্সি হেমরয়েডগুলি সাধারনত ডেলিভারির পরেও রয়ে যায় এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে গর্ভাবস্থার পর পাইলস নিরাময়ের জন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, উচ্চ ফাইবার খাদ্য এবং পর্যাপ্ত পানি পান বিশেষভাবে কার্যকরী।

প্রেগনেন্সি হেমরয়েডের কাছ থেকে মুক্তি পেতে অনেক মা-কে পাইলস সার্জারি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। Hemorrhoidectomy নামে পরিচিত এই সার্জারিটি সাধারণত অগ্রণী পর্যায়ের হেমরয়েডের জন্য সুপারিশ করা হয়। সুজানো রক্তনালীগুলি ম্লাইনাস থেকে বহির্ভূত হয় এবং বাওয়েল মুভমেন্টের সময় রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পুনরুদ্ধারের সময়কাল চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নিতে পারে এবং এই সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, উচ্চ-ফাইবার খাদ্য ও সুস্থ জীবনযাপন অপরিহার্য।

সার্জারির পর অতিরিক্ত রক্তপাত, সাইটে সংক্রমণ বা এনাস্থেসিয়ার অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া কিছু সাধারণ বিপত্তি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হেমরয়েড সার্জারির সফলতার হার উঁচু এবং এতে ব্যথা কমানো, আরাম বৃদ্ধি এবং সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়। ভারতের বিভিন্ন শহরের বিশেষ সীমিত হাসপাতালগুলি গর্ব স্তরের চিকিৎসা এবং পাইলস ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষায়িত। এর মধ্যে মুম্বাই এবং দিল্লির হাসপাতালগুলি উন্নত সুযোগ-সুবিধা এবং বহু অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে পরিচালিত হয়।

প্রেগনেন্সি হেমরয়েড সমস্যাটি গুরুতর হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ ও যথাযথ চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি আরাম পাওয়া সম্ভব। গর্ভাবস্থার পর পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটি একটি কার্যকর সমাধান।

FAQ

হেমরয়েড কি?

হেমরয়েড, যা পাইলস নামেও পরিচিত, মলদ্বার ও এর আশেপাশের শিরাগুলির প্রদাহ এবং ফোলা সৃষ্টি করা একটি স্বাস্থ্যগত অবস্থা।

হেমরয়েডের সাধারণ কারণগুলি কি কি?

হেমরয়েডের সাধারণ কারণগুলির মধ্যে অতিরিক্ত স্ট্রেনিং, কম ফাইবারযুক্ত ডায়েট, স্থূলতা, এবং গর্ভাবস্থা অন্তর্ভুক্ত।

হেমরয়েডের বিভিন্ন ধরন কি কি?

হেমরয়েড দুটি প্রধান ধরনের হয়: বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ। বাহ্যিক হেমরয়েড ফোলা এবং ব্যথার কারণে হয়, আর অভ্যন্তরীণ হেমরয়েড বেশিরভাগ ব্যথা ছাড়াই ঘটে।

হেমরয়েড থেকে মুক্তি পেতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাক-সবজি এবং ফলমূল খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে, যা হেমরয়েড হতে বাধা দেয়।

হেমরয়েডের ঘরোয়া চিকিৎসায় কি কি ব্যবহার করা যেতে পারে?

ঘরোয়া চিকিৎসা হিসাবে উষ্ণ পানির স্নান, বরফ প্যাক প্রয়োগ, এবং এলোভেরা জেল ব্যবহার করে হেমরয়েডের প্রদাহ এবং চুলকানি কমানো যায়।

হেমরয়েডের ঝুঁকি কমাতে কোন কোন লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে?

দীর্ঘসময় টয়লেটে বসে না থাকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা হেমরয়েডের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থার পর হেমরয়েড কি সাধারণ?

হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় শারীরিক পরিবর্তনের কারণে অনেক মহিলারাই হেমরয়েডের শিকার হতে পারেন।

হেমরয়েড কি পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব?

সঠিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রেই হেমরয়েড নিরাময় সম্ভব।

পানি পান হেমরয়েডের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে, যা হেমরয়েড থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button