রক্তের অক্সিজেন মাত্রা বাড়ানোর উপায়

বর্তমান যুগে সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্তের অক্সিজেন বৃদ্ধি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা আমাদের স্বাস্থ্য উন্নয়নে আশীর্বাদস্বরূপ। কোভিড পরিস্থিতিতে এটি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে, কারণ এই ভাইরাস প্রায়শই রক্তে অক্সিজেন স্তর হ্রাস করতে পারে। গবেষণা অনুযায়ী, স্বাভাবিক অবস্থায় সুস্থ ব্যক্তির রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ হওয়া উচিত। কোভিড আক্রান্তর ক্ষেত্রে অক্সিজেন স্তরের মনিটরিং অপরিহার্য, এবং যদি এটি ৯০ শতাংশের নিচে নেমে যায়, তা হলে বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।

রক্তের অক্সিজেন বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কার্যকরী পদ্ধতি রয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। মানসম্পন্ন খাদ্য গ্রহণ, সরাসরি প্রাকৃতিক উৎসগুলি থেকে খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত শরীরচর্চা এই ঊপায়গুলির মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি, প্রনিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং পর্যাপ্ত পানি পানের মাধ্যমে অক্সিজেন স্তর উন্নতি করা সম্ভব।

সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার রক্তের অক্সিজেন স্তর বৃদ্ধি করে তার মান উন্নত করা সম্ভব। তাই আসুন, এই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলি মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করি এবং আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নের পথে একসাথে পথচলা শুরু করি।

Contents show

প্রনিংয়ের মাধ্যমে অক্সিজেন মাত্রা বাড়ান

প্রনিং পদ্ধতি হচ্ছে একটি অত্যন্ত কার্যকরী, সহজ ও নিরাপদ প্রক্রিয়া যা শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

প্রনিংয়ের গুরুত্ব ও প্রভাব

রোগীদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার সময় প্রনিং পদ্ধতি মূলত তাদের পেটের উপর শুইয়ে রাখা হয়। এই পদ্ধতিটি ফুসফুসে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং রক্তের অক্সিজেন মাত্রা উন্নয়নে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রনিং পদ্ধতির মাধ্যমে রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়।

  • ফুসফুসে অক্সিজেন প্রবাহ বৃদ্ধি
  • শ্বাসকষ্ট কমানো
  • রোগীর আরামের মাত্রা বৃদ্ধি

কিভাবে প্রনিং করবেন

প্রনিং পদ্ধতি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আপনার কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন।

প্রনিংয়ের ধাপসমূহ:

  1. রোগীকে তাদের পেটের উপর শুইয়ে রাখুন
  2. একটি সমতল ও আরামদায়ক পৃষ্ঠ নির্বাচন করুন
  3. প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রনিং করতে পারেন
  4. প্রনিংয়ের সময় শরীরের অন্যান্য অংশ যেন সঠিক অঙ্গবিন্যাসে থাকে তা নিশ্চিত করুন

এই প্রক্রিয়াতে রোগীর রক্তের অক্সিজেন মাত্রা উন্নয়ন ঘটে এবং শ্বাসকষ্টের উপশম হয়।

শরীরচর্চার মাধ্যমে অক্সিজেন মাত্রা বাড়ানো

শরীরচর্চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম এবং গভীর নিঃশ্বাস নেওয়া রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা উন্নতির জন্য দারুণ পদ্ধতি। ব্যায়াম শরীরের মুখ্য অঙ্গ যেমন হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজক্ষমতা বাড়ায় এবং গভীর নিঃশ্বাস ফুসফুসের অধিক অংশকে কর্মরত করে।

আরও পড়ুনঃ  হাই প্রেসারের লক্ষণ কি কি?

নিয়মিত ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। যখন আমরা ব্যায়াম করি, তখন আমাদের শরীর বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে এবং এটি করণীয়:

  1. দূরপাল্লার হাঁটা বা দৌড়: ক্যালরি বার্ন করার সাথে সাথে ব্যায়াম ও অক্সিজেন বৃদ্ধি করে।
  2. ইনটেনসিটিভ ওয়েট ট্রেনিং: পেশী বৃদ্ধি এবং হৃদপিণ্ডের সহনশীলতা বাড়ায়।
  3. কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ: হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
  4. ইয়োগা এবং পাইলেটস: শারীরিক মনের শিথিলতা সহ অক্সিজেনের মাত্রা উন্নত করার জন্য চমৎকার।

গভীর নিঃশ্বাস নেওয়া

গভীর নিঃশ্বাস নেওয়াটা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা উন্নত করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। যখন আমরা গভীর নিঃশ্বাস নেই, তখন আমাদের ফুসফুস সম্পূর্ণভাবে বায়ু গ্রহণ করে, যা শরীরে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করে। কিছু কার্যকরী পদ্ধতি হল:

  • ডায়াফ্র্যাগম্যাটিক ব্রিদিং: ডায়াফ্র্যাগম ব্যবহার করে গভীর এবং নিয়মিত নিঃশ্বাস নেওয়া।
  • বক্স ব্রিদিং: চারটি ধাপে সমপরিমাণ সময় ধরে নিশ্বাস গ্রহণ, ধরে রাখা, বের করা, এবং বিশ্রাম।
  • প্রোলোঙ্গড এক্সহেলেশন: নিশ্বাস গ্রহণের থেকে বেশি সময় ধরে নিশ্বাস বের করা।

ব্যায়াম ও অক্সিজেন গ্রহণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি আমাদের জীবনযাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করে, আমরা সাধারণ স্বাস্থ্য ও সুস্থতা সুন্দরভাবে বজায় রাখতে পারি।

পর্যাপ্ত পানির পরিমাণ বজায় রাখা

শরীরের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রক্তের অক্সিজেন যেমন মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পান করা অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। অনেকেই জানেন না যে, শরীরের হাইড্রেশন পর্যাপ্ত হলে ফুসফুস এবং রক্তের কার্যক্রম উন্নত হয়। নিয়মিত পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন নির্গত হয়, যা ফুসফুসকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং টিস্যুগুলিকে সঠিকভাবে ময়শ্চারাইজ করে।

  • অধ্যয়নে দেখা গেছে, বিশেষ শ্বাসপ্রশ্বাস কৌশল প্রয়োগ করার পরে রক্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্তরে ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • রেসপিরেটরি পরিস্থিতি থাকা রোগীরা সম্পূরক অক্সিজেন থেরাপি ব্যবহার করার ৩০ মিনিটের মধ্যে রক্তের অক্সিজেন স্তরে ২০-৩০ শতাংশ উন্নতি লক্ষ্য করেছেন।
  • উচ্চতায় প্রশিক্ষণ নেওয়া খেলোয়াড়রা চার সপ্তাহের মধ্যে ৫-১০ শতাংশ রক্তের অক্সিজেন স্তরে বৃদ্ধি প্রদর্শন করেছেন।

এছাড়াও, পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, জয়েন্টের মসৃণতা বজায় রাখা, পুষ্টি উপাদান পরিবহন করতে সাহায্য করে। হাইড্রেশন শুধুমাত্র ফুসফুস এবং রক্তের জন্যই নয়, সমগ্র শরীরের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত জরুরি।

ভালোমানের খাবারের মাধ্যমে অক্সিজেন মাত্রা বাড়ানো

আমাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অপরিহার্য। এজন্য, যে ধরনের খাবার আমরা গ্রহণ করি তা সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রায়। বিশেষভাবে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার অক্সিজেন বৃদ্ধিকারী খাবার হিসাবে কাজ করে যা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় ও ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে।

আকৃতিজ খাদ্য গ্রহণ

ফল ও সবজি আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ বজায় রাখার অন্যতম ভাল মাধ্যম। স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে আপেল, বিট, বাঁধাকপি, এবং পালং শাক খুবই কার্যকর। এছাড়াও, নানা রঙ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার যেমন গাজর, ব্রকলি, এবং বেল পেপার শাক-সবজি অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

  • আপেল: আপেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা দেহের ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে।
  • বিট: বিটে বেটাইন নামক উপাদান থাকে যা অক্সিজেন সরবরাহ ত্বরান্বিত করে।
  • পালং শাক: পালং শাক আয়রন সমৃদ্ধ যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়ক।
আরও পড়ুনঃ  একজিমা দূর করার উপায়: সঠিক পদ্ধতি

অক্সিজেন বাড়াতে সহায়ক খাবার

কিছু খাদ্যবস্তু বিশেষভাবে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য পরিচিত। প্রায়ই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করা উচিত যা অক্সিজেন বৃদ্ধিকারী খাবার হিসেবে কাজ করে:

  1. বাদাম ও বীজ: বাদাম এবং বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  2. সাইট্রাস ফল: লেবু, কমলা, এবং গারা আপেলের মত সাইট্রাস ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে।
  3. কার্বোহাইড্রেট: পূর্ণ শস্যদানা ও ব্রাউন রাইস অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্যকারী হিসাবে কাজ করে।

অর্থাৎ, রক্তে অক্সিজেনের স্তর বাড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং অক্সিজেন বৃদ্ধিকারী খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত কার্যকরী হয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাদ্যগুলির অন্তর্ভুক্তি আমাদের দেহের অক্সিজেনের স্তর ঠিক রাখতে সহায়ক হতে পারে।

ফিঙ্গারটিপ অক্সিজেন মিটার ব্যবহার

যারা নিয়মিত তাদের রক্তে অক্সিজেন স্তর পরিমাপ করতে চান, ফিঙ্গারটিপ অক্সিজেন মিটার একটি বাহকযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য উপায়। এই ছোট্ট যন্ত্রটি দ্রুত আপনার রক্তের অক্সিজেন মাত্রা পরিমাপ করে পরিসংখ্যান প্রদর্শন করতে সক্ষম। স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা এবং বিদ্যমান শারীরিক অবস্থার মনিটরিং-এর ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

ফিঙ্গারটিপ অক্সিজেন মিটার কিভাবে ব্যবহার করবেন

ফিঙ্গারটিপ অক্সিজেন মিটার ব্যবহার করা বেশ সহজ। প্রাথমিকভাবে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে:

  1. প্রথমে, যন্ত্রটির ব্যাটারি সঠিকভাবে স্থাপন করুন।
  2. আপনার আঙ্গুলের ফিঙ্গারটিপে মিটারটি স্থাপন করুন, যন্ত্রটি উত্তর-মুখ হয়ে হাতের ওপরে থাকুক।
  3. ডিভাইসটি চালু করুন এবং কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করুন, এর পর এটি আপনার অক্সিজেন স্তর পরিমাপ করবে এবং প্রদর্শিত পরিসংখ্যান পৌঁছাবে।
  4. পরিচিত পরিসরের বাইরে কোনো পরিবর্তন চোখে পড়লে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করুন।

অক্সিজেন স্তর মনিটর করার গুরুত্ব

নিয়মিত ফিঙ্গারটিপ অক্সিজেন মিটার ব্যবহার করে অক্সিজেন স্তর পরিমাপ বিশেষ করে যারা শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, বা সিওপিডি এর মতো শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভূগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক অক্সিজেন স্তর ৯৫% থেকে ১০০% এর মধ্যে হওয়া প্রয়োজন।

  • অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম: নিয়মিত ফিঙ্গারটিপ অক্সিজেন মিটার ব্যবহার করে আপনার ব্যায়াম বা দৈনিক শারীরিক পরিশ্রমের ফলে কীভাবে অক্সিজেন স্তরে প্রভাব ফেলে তা জানা সম্ভব।
  • গভীর নিঃশ্বাস এবং ধ্যান: সারাদিনে কয়েকবার গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে এবং ধ্যান করলে অক্সিজেন দৃশ্যতই বৃদ্ধি পায়।
  • খাবার ও পানি: পর্যাপ্ত পানি পান এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অক্সিজেন স্তর বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায়: কোনো কারণেই অক্সিজেন স্তরে পরিবর্তন ঘটলে, তা আপনি নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে জেনে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

ফিঙ্গারটিপ অক্সিজেন মিটার আপনার স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা পর্যবেক্ষণে অত্যন্ত কার্যকর একটি হাতিয়ার। নিয়মিতভাবে এর ব্যবহার আপনাকে আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেবে এবং যেকোনো শারীরিক সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

COVID-19 থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ে অক্সিজেন মাত্রা বাড়াবেন কিভাবে?

COVID-19 প্রাদুর্ভাবের সময় অক্সিজেনের স্তর বাড়ানো সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সঠিক পদ্ধতি মেনে চলা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে কয়েকটি পদক্ষেপ আলোচনা করা হলো যা অক্সিজেন স্তর বৃদ্ধি এবং সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

সতর্কতার পদক্ষেপ

COVID-19 থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে এবং অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সর্বপ্রথম, ঠিকভাবে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অপরিহার্য। এছাড়া, ভালো হাতে ধোয়ার অভ্যাস এবং নিয়মিত স্থানে জীবাণুমুক্ত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুনঃ  বাড়িতে গর্ভপাত নিশ্চিত করার পদ্ধতি

সুসংবাদ ও সুপারিশকৃত পদ্ধতি

স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রেখে অক্সিজেন স্তর বৃদ্ধি করা সম্ভব। প্রতি দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা এবং নিয়মিত শরীরচর্চায় ব্যস্ত থাকা সুপারিশকৃত পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত। গাছপালা ঘরে রাখা, বিশেষত যেমন পিস লিলি, স্পাইডার প্লান্ট ইত্যাদি অক্সিজেন মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

আপনি হাঁটাচলা করুন বা বর্তমানে হালকা অ্যারোবিক ব্যায়ামের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ বাড়াতে পারেন। এমনকি নাকের স্ট্রিপ ব্যবহার করে শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য সাহায্য গ্রহণ করতে পারেন। অন্যতম প্রধান নির্দেশনা হল ধূমপান ত্যাগ করা এবং অত্যাধিক পানি পান করে শরীরের অক্সিজেনের স্তর বৃদ্ধি করা।

স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ জীবনধারাই COVID-19 থেকে রক্ষায় এবং অক্সিজেন স্তর বৃদ্ধি করার সেরা পন্থা হতে পারে। সচেতন এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করলে আমরা সবাই সুস্থ থাকতে পারি।

FAQ

রক্তের অক্সিজেন মাত্রা বাড়ানোর উপায় কী কী?

রক্তের অক্সিজেন বৃদ্ধি করার জন্য শুয়ে থাকা প্রনিং পদ্ধতি, নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম, গভীর নিঃশ্বাস নেওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন।

প্রনিংয়ের গুরুত্ব ও প্রভাব কী?

প্রনিং হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে রোগীকে তাদের পেটের উপর শুইয়ে রাখার মাধ্যমে ফুসফুসে অক্সিজেনের ভালো সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। এটি শ্বাসকষ্ট কমায় এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।

কিভাবে প্রনিং করবেন?

প্রনিং করতে প্রথমে একটি নরম বিছানা বা গদির উপর শুয়ে পড়ুন। এরপর সামান্য সময় অন্তর আপনার শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করুন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের গভীরতা অনুসরণ করুন।

রক্তে অক্সিজেন বৃদ্ধি করতে কী ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন?

নিয়মিত কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটানো এবং বাইচন করা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

গভীর নিঃশ্বাস নেওয়ার উপায়গুলো কী?

প্রতিদিন গভীর নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য একটি নীরব পরিবেশে বসে পোস্চার মেনে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং টানা বাতাস ফেলুন। এটি ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

পর্যাপ্ত পানি পান করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

পানি শরীরের টক্সিন দূর করে এবং ফুসফুসের টিস্যুকে সঠিক ময়শ্চারাইজ করে। পর্যাপ্ত পানি পানের মাধ্যমে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা রক্তের অক্সিজেনের স্তর উন্নত করে।

কোন ধরনের খাবার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক?

আপেল, বিট, বাঁধাকপি এবং পালং শাকের মতো ফল ও সবজি রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক।

ফিঙ্গারটিপ অক্সিজেন মিটার কীভাবে ব্যবহার করবেন?

ফিঙ্গারটিপ অক্সিজেন মিটারটির ব্যাটারি ইনসার্ট করে আপনার আঙুলের উপরে রাখুন এবং মিটারটি রক্তের অক্সিজেন স্তর পরিমাপ করবে।

অক্সিজেন লেভেল মনিটর করার গুরুত্ব কী?

রক্তের অক্সিজেন লেভেল মনিটর করার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের অবস্থা সম্পর্কে যথাযথ ধারণা পাবেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

COVID-19 থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ে অক্সিজেন মাত্রা বাড়াবেন কিভাবে?

COVID-19 এর সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, সঠিক মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া, এবং শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, প্রনিং, শারীরিক কার্যক্রম, গভীর নিঃশ্বাস নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ উচিত।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button