টাস্ক ম্যানেজার খোলার সহজ উপায় | উইন্ডোজ পিসি
Windows 10 ব্যবহারকারীরা প্রায়ই বিভিন্ন কারণে Task Manager এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এই টুলটি ব্যবহার করে তারা তাদের পিসির সমস্যা খুঁজে বের করতে পারেন এবং সমাধান করতে পারেন।
চলুন জেনে নেই Task Manager খোলার কিছু সহজ উপায়। Task Manager সংক্রান্ত পরামর্শ এবং উইন্ডোজ পিসির পিসির ট্রাবলশুটিং এর জন্য এই মাধ্যমে আপনাকে সাহায্য করতে পারব।
টাস্ক ম্যানেজার কি এবং কেন প্রয়োজন
টাস্ক ম্যানেজার হল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের একটি অংশ যা ব্যবহারকারীদের প্রক্রিয়া এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলির মনিটরিং সুবিধা দেয়। এটি Task Manager ব্যবহার করে আপনি আপনার পিসির কার্যক্ষমতা, কার্যক্ষম প্রোগ্রামগুলি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ্লিকেশনগুলির উপর নজর রাখতে পারেন।
এটি উইন্ডোজ সহায়তা টুল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টাস্ক ম্যানেজার ব্যবহার করলে আপনার পিসি যদি ধীরে চলে বা কোনো প্রোগ্রাম ফ্রিজ করে যায়, তখন এই টুল দিয়ে সহজেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
- কর্মক্ষমতা মনিটরিং: পিসির কার্যক্ষমতা এবং রিসোর্স ব্যবহারের বিশ্লেষণ করতে।
- প্রক্রিয়া বন্ধ করা: কেউ যদি অপ্রয়োজনীয়ভাবে রিসোর্স ব্যবহার করে, তাহলে তা বন্ধ করে দিতে।
- ফ্রোজেন অ্যাপ্লিকেশন: ফ্রোজেন বা আটকে থাকা প্রোগ্রাম বন্ধ করে থ্রিডি ফ্লো বজায় রাখতে।
উদাহরণস্বরূপ, উইন্ডোজ 11-এর জন্য টাস্ক ম্যানেজার উন্নত করা হয়েছে যেখানে ইকো মোড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা Task Manager ব্যবহার করে রিসোর্স-হাংরি প্রক্রিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি আপনাকে আপনার পিসির কার্যক্ষমতা সর্বাধিক করতে সহায়তা করে।
সাধারণত, এটি একটি অনবদ্য উইন্ডোজ সহায়তা টুল হিসেবে পরিচিত যাতে আপনার পিসির পরিষেবা দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং আপনার কাজ সহজ হয়।
How to Open Task Manager
Task Manager উইন্ডোজ পিসিতে চলমান Prozesse এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল, যা আপনার সিস্টেমের সম্পদ সম্পর্কে গভীর তথ্য প্রদান করে। Task Manager খোলা যেতে পারে বিভিন্ন উপায়ে, প্রতিটি উপায়ের ব্যবহারে রয়েছে বিশেষ কিবোর্ড শর্টকাট। নিচে কার্যকরী দুটি কিবোর্ড শর্টকাট এর ব্যবহার আলোচনা করা হলো।
Ctrl+Alt+Delete কী ব্যবহার করে
প্রথম উপায়টি হল Ctrl + Alt + Delete কিবোর্ড শর্টকাট। এই কিবোর্ড শর্টকাটটি চাপলে, একটি সিকিউরিটি অপশন মেনু প্রদর্শিত হয় যেটি থেকে Task Manager সিলেক্ট করা যায়। এটি সাধারণত তখন ব্যবহার করা হয় যখন সিস্টেমের অন্যান্য উপায়গুলি অপ্রতুল হয়ে পড়ে।
Ctrl+Shift+Esc কী ব্যবহার করে
দ্বিতীয় উপায়টি হল সরাসরি Ctrl + Shift + Esc কিবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করা। এই কিবোর্ড শর্টকাট একটি আরও বেশি সরাসরি পদ্ধতি এবং এক্ষেত্রে Task Manager তৎক্ষণাৎ খুলে যায়, কোনও অতিরিক্ত মেনুর প্রয়োজন হয় না। এটি শুধু আপনার সময় বাঁচায় না, বরং দ্রুত সমস্যার সমাধান করতেও সাহায্য করে।
উপরোক্ত দুই কিবোর্ড শর্টকাট এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত ও সহজে Task Manager খোলা যায়, যা আপনার সিস্টেম ম্যানেজমেন্টকে অনেক সহজ করে তোলে। মোটকথা, কিবোর্ড শর্টকাট জানা থাকলে এটি আপনার কাজের গতি অনেক বৃদ্ধি করতে পারে।
মাউস ব্যবহার করে টাস্ক ম্যানেজার খোলা
টাস্ক ম্যানেজার খোলার দ্রুত এবং সহজ একটি উপায় হল মাউস ব্যবহার করা। এটি উইন্ডোজের জনপ্রিয় মাউস শর্টকাটগুলোর মধ্যে একটি। নিচে টাস্ক ম্যানেজার খোলার দুইটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো:
টাস্কবারে রাইট ক্লিক করে
আপনার পিসির টাস্কবার টুল অপশনে রাইট ক্লিক করুন। কনটেক্সট মেনু প্রদর্শিত হবে যেখানে আপনি “Task Manager” বিকল্পটি দেখতে পাবেন। এই অপশনটিতে ক্লিক করুন এবং টাস্ক ম্যানেজার চালু হবে।
স্টার্ট বাটনে রাইট ক্লিক করে
স্টার্ট বাটনে রাইট ক্লিক করা আরও একটি জনপ্রিয় মাউস শর্টকাট। এতে একটি মেনু প্রদর্শিত হবে যার মধ্যে “Task Manager” নামক একটি অপশন থাকবে। এই বিকল্পটি নির্বাচন করুন এবং টাস্ক ম্যানেজার খুলবে। এছাড়াও, আপনি WIN+X কী চেপেও এই মেন্যুটি আনার পারেন, যেখান থেকে টাস্ক ম্যানেজার সহজেই অ্যাক্সেস করা যায়।
টাস্ক ম্যানেজারের বিভিন্ন ট্যাব
টাস্ক ম্যানেজার হলো উইন্ডোজ সিস্টেমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী টুল। এর নানাবিধ ট্যাব ব্যবহারকারীদের প্রক্রিয়া মনিটরিং এবং স্টার্টআপ ম্যানেজমেন্ট করতে সহায়তা করে। এবার আমরা প্রতিটি ট্যাবের কাজ ও খুঁটিনাটি আলোচনা করব।
Processes ট্যাব
Processes ট্যাবে চলমান সকল অ্যাপ্লিকেশন ও ব্যাকগ্রাউন্ড প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়। এটি ব্যবহারকারীদের সিপিইউ এবং মেমোরি ব্যবহারের তথ্য প্রদান করে যা প্রক্রিয়া মনিটরিং এর জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
Performance ট্যাব
Performance ট্যাবে সিস্টেমের হার্ডওয়্যার ব্যবহারের ডাটা দেখায়। সিপিইউ, মেমোরি, ডিস্ক এবং নেটওয়ার্কের কার্যকরী অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায় যা স্টার্টআপ ম্যানেজমেন্ট এর জন্যও কাজে আসে।
App History ট্যাব
App History ট্যাবে ইনস্টল করা অ্যাপ্লিকেশনের কার্যকলাপের ডেটা প্রদান করা হয়। এটি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন কতটুকু রিসোর্স ব্যবহার করেছে তার ইতিহাস দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
Startup ট্যাব
Startup ট্যাবটি ব্যবহারকারীদের তাদের কম্পিউটারের স্টার্টআপ প্রোগ্রাম ম্যানেজ করার সুযোগ দেয়। কোন কোন প্রোগ্রাম স্টার্টআপে চালু হবে তা ঠিক করা যেতে পারে, যা প্রক্রিয়া মনিটরিং এবং স্টার্টআপ ম্যানেজমেন্ট উভয়ের জন্যই সহায়ক।
Users ট্যাব
Users ট্যাবে সিস্টেমে লগ ইন করা সকল ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ প্রদর্শন করা হয়। এটি নেটওয়ার্ক প্রক্রিয়া মনিটরিং এবং ব্যবহারকারীদের সংযোগের তত্ত্বাবধানে সহায়ক।
Details ট্যাব
Details ট্যাবে চলমান প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য এবং প্রতিটি প্রক্রিয়ার পিআইডি (প্রসেস আইডি) দেখায় যা প্রক্রিয়া মনিটরিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
Services ট্যাব
Services ট্যাবে ব্যাকগ্রাউন্ড সেবা এবং তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায়। এটি সিস্টেম পরিষেবা পরিচালনা ও সমস্যা সমাধানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
টাস্ক ম্যানেজার ব্যবহারের উপকারিতা
টাস্ক ম্যানেজার সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনার পিসি স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহজ হয়ে যায়। এটি কম্পিউটারের বাগযুক্ত অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করা, র্যাম ও সিপিইউর ব্যবহার মনিটর করা এবং সিস্টেমের সামগ্রিক রিসোর্সগুলির অবস্থা জানা যায়। এই সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট করার মাধ্যমে আপনার পিসির দক্ষতা অনেক বাড়ানো সম্ভব।
- বাগযুক্ত অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করা: টাস্ক ম্যানেজার ব্যবহার করে সহজেই যেকোনো বাগযুক্ত বা ফ্রোজেন প্রোগ্রাম বন্ধ করা যায়, ফলে বিপজ্জনক সফটওয়্যারগুলি পিসিকে ধীর করতে পারে না।
- র্যাম ও সিপিইউর ব্যবহার মনিটর করা: এটি র্যাম এবং সিপিইউর বর্তমান ব্যবহার জানায়, যা পিসির কর্মক্ষমতা বাড়ানোতে সহায়ক।
- সিস্টেম রিসোর্সগুলির অবস্থা জানা: টাস্ক ম্যানেজার আপনার পিসির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে সাহায্য করে, যেমন র্যামের উচ্চ ব্যবহার, প্রোলোংড সিপিইউ লোড এবং সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট এর জন্য দরকারি তথ্য সরবরাহ করে।
অত্যন্ত কম রিসোর্স ব্যবহার করে, টাস্ক ম্যানেজার আপনার সিস্টেমের পিসি স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ একটি টুল হতে পারে।
টাস্ক ম্যানেজার দিয়ে ফ্রোজেন প্রোগ্রাম বন্ধ করা
উইন্ডোজ ১০ একটি অত্যন্ত জটিল অপারেটিং সিস্টেম যা ২০১৫ সালে রিলিজ হয়েছে। Windows 10 নিয়মিত ফিচার আপডেট পেয়ে ইউজার এক্সপিরিয়েন্স উন্নত করে এবং আকর্ষণীয় নানা ফিচার যোগ করে। সংক্রমণে হ্যাং হওয়া অ্যাপ বন্ধ করার জন্য টাস্ক ম্যানেজার একটি অপরিহার্য টুল হিসেবে কাজ করে। এটি পিসি ট্রাবলশুটিংয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
একটি সাধারণ পদ্ধতি হল Ctrl+Alt+Delete ব্যবহার করে টাস্ক ম্যানেজার খোলা এবং ফ্রোজেন প্রোগ্রাম বন্ধ করা। এটি বিশেষ করে কাজ করে যখন অ্যাপ্লিকেশনগুলি সাড়া দেয় না এবং আপনার পিসি হ্যাং হয়ে যায়। নিচে কিভাবে আপনি হ্যাং হওয়া অ্যাপ বন্ধ করতে পারেন:
- Ctrl+Alt+Delete দিয়ে টাস্ক ম্যানেজার খোলার পরে, Processes ট্যাব টি নির্বাচন করুন।
- সেখান থেকে যে প্রোগ্রামটি হ্যাং হয়ে গেছে তা সনাক্ত করুন এবং সেটিতে ক্লিক করুন।
- End Task বোতামে ক্লিক করুন। এতে করে হ্যাং হওয়া অ্যাপ বন্ধ হবে এবং পিসির পারফরমেন্সের উন্নতি হবে।
টাস্ক ম্যানেজারের বিভিন্ন ট্যাব, যেমন Processes, Performance, App History, Startup ইত্যাদি আমাদের পিসির ট্রাবলশুটিংয়ের জন্য মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে। এর অভ্যন্তরীণ বিবরণ যেমন – পিসির RAM, CPU ব্যবহারের ডেটাও এখানে পাওয়া যায়।
মোটকথা, উইন্ডোজের টাস্ক ম্যানেজার আপনার পিসির কর্মক্ষমতা উন্নত করতে এবং হ্যাং হওয়া অ্যাপ বন্ধ করতে অপরিহার্য হাতিয়ার হিসেবে সদা প্রস্তুত। তাই, যে মুহূর্তে আপনার পিসির কোনো প্রোগ্রাম সাড়া দেয় না, টাস্ক ম্যানেজার ব্যবহার করে ঝামেলাটি দ্রুত ঠিক করে নিন।
টাস্ক ম্যানেজারের প্রয়োজনীয় কীবোর্ড শর্টকাট
টাস্ক ম্যানেজার দ্রুত অ্যাক্সেস করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কীবোর্ড শর্টকাট সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে যখন আপনার কম্পিউটার হ্যাং করে বা ফ্রিজ হয়ে যায়, তখন কীবোর্ড শর্টকাটগুলি দ্রুত অ্যাক্সেসে সাহায্য করতে পারে।
- Ctrl+Shift+Esc: সরাসরি টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করতে
- Ctrl+Alt+Delete: একটি অপশন মেনু ওপেন করে, যেখান থেকে আপনি টাস্ক ম্যানেজার সিলেক্ট করতে পারেন
উপরন্তু, বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা আউটলুকের মধ্যে কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহারে ভারি কাজগুলো আরও সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কপি, পেস্ট, কাট অ্যাকশনগুলোর জন্য জেনেরাল শর্টকাটগুলি যেমন Ctrl+C, Ctrl+V, Ctrl+X অত্যন্ত কার্যকরী।
এছাড়াও, আপনার কাজের পরিবেশকে আরও উন্নত করতে উইন্ডোজ কি শর্টকাট যেমন উইন্ডোজ কি + ই (ফাইল এক্সপ্লোরার ওপেন করা), উইন্ডোজ কি + এল (কম্পিউটার লক করা) ব্যবহার করেও দ্রুত অ্যাক্সেস করতে পারেন। তাই, কীবোর্ড শর্টকাটগুলি জানলে আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সুদৃঢ় এবং স্মুথ হবে।
টাস্ক ম্যানেজারের উন্নত ব্যবহারের টিপস
উন্নত পিসি ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে টাস্ক ম্যানেজার বেশ সহায়ক হতে পারে এবং এটা আরো কার্যকর ভাবে ব্যবহার করার কিছু প্রফেশনাল টিপস জেনে নেওয়া উচিত। প্রথমেই, Always on Top অপশনটি চালু করলে আপনি দ্রুত অ্যাক্সেস পেতে থাকবেন, বিশেষ করে একাধিক উইন্ডো এবং এপ্লিকেশন এক সাথে ব্যবহার করার সময়।
এছাড়াও, Hide When Minimized অপশনটি ব্যবহার করে আপনি কাজের সময় টাস্ক ম্যানেজারকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে স্থান বাঁচাতে পারেন। এর মধ্যে, টাস্ক ম্যানেজারে Refresh Now অপশনটি ব্যবহার করা নিশ্চিত করে যে, আপনি সর্বশেষ তথ্য পাচ্ছেন। অপশনগুলো ব্যবহার করে আপনার পিসি ব্যবস্থাপনার উন্নত পন্থাগুলি মেনে চলতে পারেন।
উন্নত পিসি ম্যানেজমেন্ট আরও নিশ্চিত হতে, টাস্ক ম্যানেজারের পর্যবেক্ষণ এবং বর্তমান রিসোর্স ইউটিলাইজেশন সম্ভবপর হয়। এর মাধ্যমে, আপনি সহজেই কোন প্রোগ্রাম কী পরিমাণ রিসোর্স ব্যবহার করছে তা শনাক্ত করতে পারেন এবং যেকোনো সমস্যাসমূহ দ্রুত সমাধান করতে পারেন।