রক্তচাপ পড়ার সহজ উপায়

রক্তচাপ পরিমাপ এখন আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে, বিশেষ করে যখন ঘরে ব্যবহারের জন্য রক্তচাপ মাপার উপকরণ সহজলভ্য। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন স্ট্রোক, হার্টের সমস্যা এবং কিডনি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী, নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করলে বিপজ্জনক বৃদ্ধি বা হ্রাস এড়ানো সম্ভব।

একটি সাধারণ রক্তচাপের স্তর ১২০/৮০ mmHg হিসাবে বিবেচিত হয়, যেখানে উচ্চ রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা এর বেশি। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে ৩০ বছরের কম বয়সের ব্যক্তিদের বছরে অন্তত ৩ বার রক্তচাপ চেক করা উচিত। আর ৩০ বছরের বেশি বয়সী যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের মাসে অন্তত একবার ব্লাড প্রেশার চেক করার উপায় অবলম্বন করতে হবে।

রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন নিয়ে আসা যেমন বেশি সবজি খাওয়া ও সোডিয়াম গ্রহণ কমিয়ে আনা সহায়ক হতে পারে। তাছাড়া, বিশেষ ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সমগ্র দৃশ্যে, নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করতে পারলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব।

Contents show

রক্তচাপ কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

রক্তচাপ হল হৃৎপিণ্ড থেকে পাম্প হওয়া রক্তের রক্তনালীর দেয়ালে চাপ। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিক কারণ এটি আমাদের শরীরের কার্যক্রমের উপরে তার সরাসরি প্রভাব ফেলে। সঠিক রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে পারলে বিভিন্ন গুরুতর শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

রক্তচাপের প্রকারভেদ

রক্তচাপ তিনটি প্রধান ধরণের হতে পারে: সিস্টোলিক, ডায়াস্টোলিক এবং পালস প্রেশার।

  • সিস্টোলিক প্রেশার: এটি যখন হৃৎপিণ্ড রক্তকে পাম্প করে তখন রক্তনালীর দেয়ালে সৃষ্টি হওয়া চাপ।
  • ডায়াস্টোলিক প্রেশার: যখন হৃৎপিণ্ড রক্তকে পাম্প করে না এটি তখন রক্তনালীর দেয়ালে সৃষ্টি হওয়া চাপ।
  • পালস প্রেশার: এটি সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক প্রেশারের মধ্যে পার্থক্য।

স্বাভাবিক রক্তচাপ

প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাধারণ স্বাভাবিক রক্তচাপ হওয়া উচিত ১২০/৮০ mmHg।

রক্তচাপের মাত্রার উপর নির্ভর করে, এটি বিভিন্ন শারীরিক কার্যক্রম এবং সাস্থ্য সমস্যায় প্রভাব ফেলে। নিয়মিত রক্তচাপ মাপা এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ জরুরি।

উচ্চ রক্তচাপ বনাম নিম্ন রক্তচাপ

রক্তচাপ 140/90 mmHg বা এর ওপরে হলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয় এবং এটি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। 90/60 mmHg এর কম রক্তচাপে ভুগলে এটি নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে যেটিও শারীরিক অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।

  • উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে কোন লক্ষণ দেয় না, তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
আরও পড়ুনঃ  গর্ভবতী অবস্থায় কত মাস পর্যন্ত সহবাস করা যায়?

এটা মনে রাখা জরুরি যে উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপ উভয়ই শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে অনুযায়ী সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক চাপের মাত্রা অনুযায়ী, যেমন হাইপারটেনশন ১ ও ২। রক্তচাপ 180/120 mmHg এর বেশি হলে তৎক্ষণাৎ স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেয়া উচিত।

রক্তচাপ মাপার পদ্ধতি

রক্তচাপ মাপার জন্য মূলত দুটি প্রকারের যন্ত্র ব্যবহৃত হয়: ডিজিটাল এবং ম্যানুয়াল। ডিজিটাল ব্লাড প্রেশার মনিটর এবং ম্যানুয়াল ব্লাড প্রেশার গেজ উভয় ধরনেরই কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের জন্য উপকারী।

ডিজিটাল রক্তচাপ মাপক যন্ত্র

ডিজিটাল রক্তচাপ মাপক যন্ত্র ব্যবহারে অনেক সহজ এবং দ্রুত। এই যন্ত্রগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে রক্তচাপ মেপে সঠিক ফলাফল প্রদান করে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ডিজিটাল ব্লাড প্রেশার মনিটর সঠিক এবং নির্ভুল ফলাফল দেখাতে সক্ষম। সাধারণত এই যন্ত্রগুলো ব্যাটারি চালিত এবং ব্যবহারকারীর কম ঝামেলা হয়।

ম্যানুয়াল রক্তচাপ মাপক যন্ত্র

ম্যানুয়াল রক্তচাপ মাপক যন্ত্রের মধ্যে সাধারণত স্ফিগমোম্যানোমিটার এবং স্টেথোস্কোপ ব্যবহার করা হয়। এই যন্ত্রগুলো আরও বেশি নির্ভুল এবং অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করে। ম্যানুয়াল ব্লাড প্রেশার গেজ ব্যবহারে কিছুটা সময় এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন, তবে এটি যথেষ্ঠ নির্ভরযোগ্য ফলাফল প্রদান করে।

রক্তচাপ মাপার নিয়মাবলী

সঠিক রক্তচাপ মাপার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে যা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক মাপ নিশ্চিৎ করতে এবং রক্তচাপের ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে, রক্তচাপ মাপার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

সঠিক অবস্থান

রক্তচাপ পরিমাপের সময় সঠিক অবস্থান খুবই জরুরি। রোগীকে একটি চেয়ারে বসে থাকতে হবে, পিছনটি চেয়ারের ব্যাক-রেস্টের সাথে ভালোভাবে লাগানো থাকা উচিত। হাত টেবিলের উপর রাখা উচিত হৃদয়ের স্তরে। সঠিক অবস্থানে থাকার মাধ্যমে রক্তচাপ মাপার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় এবং যথাযথ রক্তচাপ নির্ণয় সম্ভব হয়।

সঠিক সময়

রক্তচাপ পরিমাপের সময় খেয়াল রাখতে হবে যে সময়টি সঠিক। সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে এবং সন্ধ্যায় রক্তচাপ মাপা উত্তম। রক্তচাপ পরিমাপের সময় কমপক্ষে ৫ মিনিট ট্রান্স বা বিশ্রাম নেওয়ার পর মাপতে হবে। সঠিক সময়ে মাপার মাধ্যমে সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়।

পরিমাপের সময় সতর্কতা

রক্তচাপ মাপার সময় কিছু সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন। রক্তচাপ মাপার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে চা, কফি, ধূমপান এবং ভারী খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। রোগীর মানসিক এবং শারীরিক শান্তি বজায় রাখা জরুরি এবং পরিমাপের সময় কথা বলা এড়িয়ে চলা উচিত। এই সতর্কতাগুলি অনুসরণ করলে রক্তচাপ পরিমাপের ফলাফল যথাযথ হবে।

রক্তচাপের ফলাফল বিশ্লেষণ

রক্তচাপ মাপার পরে, রক্তচাপের ফলাফল বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারনত, একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক রক্তচাপের ফলাফল হয় ১২০/৮০ mmHg।

স্বাভাবিক ফলাফল

স্বাভাবিক রক্তচাপের মান সাধারণত কম হয় ১২০ systolic এবং diastolic কম হয় ৮০ mmHg। রক্তচাপের এই মান শরীরের বিভিন্ন কার্যকারণা সুস্থভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। যেমন Mayo Clinic এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১২০/৮০ mmHg রক্তচাপ একটি স্বাভাবিক রক্তচাপের সূচক।

ব্যতিক্রমী ফলাফল

যদি রক্তচাপের ফলাফল ১২০/৮০ mmHg থেকে কম হয়, তবে তা নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশন বলে। হাইপোটেনশনের কারণে মানুষের মাঝে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা মূর্ছা যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। হাইপোটেনশনের ঝুঁকি থাকে বয়স্ক ব্যক্তিদের, হৃদরোগীদের এবং কিছু ওষুধের যন্ত্রণা প্রদানকারীদের কাছে। Postprandial hypotension প্রায়ই বেশি বয়সের মানুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিশেষ করে যারা হাইপারটেনশন ভুগছেন।

আরও পড়ুনঃ  কত ক্যালরিতে ১ কেজি ওজন বাড়ে?

অন্যদিকে, যদি রক্তচাপের ফলাফল ১২০/৮০ mmHg থেকে বেশি হয়, তা হলে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে। হাইপারটেনশন আবার বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়:

  • উচ্চ রক্তচাপের প্রথম স্তর: ১৩০-১৩৯ systolic অথবা ৮০-৮৯ diastolic
  • উচ্চ রক্তচাপের দ্বিতীয় স্তর: ১৪০ বা এর বেশি systolic অথবা ৯০ বা এর বেশি diastolic
  • হাইপারটেনসিভ ক্রাইসিস: ১৮০ এর বেশি systolic এবং/অথবা ১২০ এর বেশি diastolic

সঠিকভাবে রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ এবং ফলাফল বিশ্লেষণের মাধ্যমে হাইপারটেনশন এবং হাইপোটেনশন সম্পর্কে পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুস্থ স্বাস্থ্যের জন্য।

How to Read Blood Pressure

রক্তচাপ মাপা শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা নির্ণয় করতে সাহায্য করে। Blood Pressure reading guide অনুসরণ করে, আপনি সহজেই রক্তচাপের সূচক পড়তে এবং এর মানে বুঝতে পারবেন।

আপনার রক্তচাপ মাপার সময় দুইটি সংখ্যা দেখা যায়: সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক চাপ। সিস্টোলিক চাপ উপরের সংখ্যা যা হৃদয়ের ছাঁদনের সময়ের চাপ নির্ধারণ করে। ডায়াস্টোলিক চাপ হল নিম্ন সংখ্যা যা হৃদয়ের বিশ্রামের সময়ের চাপ নির্ধারণ করে।

  1. সাধারণ রক্তচাপ: 90/60mmHg থেকে 120/80mmHg পর্যন্ত। এই স্তরে রক্তচাপ অনুমোদিত এবং স্বাস্থ্যের জন্য কোন ঝুঁকি থাকে না।
  2. পূর্ব-উচ্চ রক্তচাপ: 120/80mmHg থেকে 140/90mmHg পর্যন্ত। এই স্তর নির্দেশ করে যে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি।
  3. উচ্চ রক্তচাপ Stage 1: 130/80mmHg থেকে 139/89mmHg পর্যন্ত। আপনাকে জীবনধারণের পরিবর্তনের পাশাপাশি ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
  4. উচ্চ রক্তচাপ Stage 2: 140/90mmHg বা এর বেশি। এই স্তরে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে এবং একাধিক ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
  5. হাইপারটেনসিভ ক্রাইসিস: 180/120mmHg-এর বেশি। এটি জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন নির্দেশ করে।

Understanding blood pressure এর মানে হল আপনি জানেন যে রক্তচাপের স্তরগুলি সাধারণত চিহ্নিত করে ভালো এবং খারাপ স্বাস্থ্যের প্রবণতা। এটি আপনাকে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। রক্তচাপ মাপার সময়ে সঠিক উপকরণ ও পদ্ধতি ব্যবহার করে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করুন।

এটি মনে রাখুন যে মাত্র একটি উচ্চ রক্তচাপের পরিমাপ অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ নয়। স্ট্রেস, ডায়েট এবং শারীরিক কার্যকলাপের মতো উপাদানগুলি রক্তচাপের ফলাফলগুলি প্রভাবিত করতে পারে। তাই একটি সঠিক রক্তচাপ নির্ধারণের জন্য একাধিক বার মাপার প্রয়োজন হতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ ও করণীয়

নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশন বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। সাধারণত ৯০/৬০ mmHg-এর নিচে রক্তচাপ থাকলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিম্ন রক্তচাপের সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অরথোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন, যা বসা বা শোয়া অবস্থান থেকে দাঁড়ানোর সাথে সাথে রক্তচাপ হ্রাস পায়।

নিম্ন রক্তচাপের কারণ

নিম্ন রক্তচাপের অন্যতম কারণ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে:

  • অরথোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন
  • গর্ভাবস্থা, যার দ্বারা রক্ত পরিবহন ব্যবস্থা দ্রুত সম্প্রসারণ পায়
  • কার্ডিয়াক সমস্যা যেমন ব্র্যাডিকার্ডিয়া
  • ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা)
  • বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • পুষ্টির অভাব

প্রতিকার ও চিকিৎসা

নিম্ন রক্তচাপের সমস্যার সমাধানে কিছু করনীয় রয়েছে:

  1. জীবনযাপন পরিবর্তন: নিয়মিত ব্যায়াম করা, হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন না করা এবং থেমে থেমে খাবার গ্রহণ করা।
  2. খাদ্যাভ্যাস: লবণ ও পানি গ্রহণ বৃদ্ধি করা, বাদাম ও কিশমিশ খাওয়া, বিটের রস পান করা।
  3. পুষ্টিকর খাদ্য: গাজর ও তার রস, কলা ও গ্রিন টি অন্তর্ভুক্ত করা।
  4. পর্যাপ্ত পানি পান: ডিহাইড্রেশনের কারণে low blood pressure symptoms এড়াতে দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করা।
  5. প্রয়োজনে compression stockings পরিধান করা।
আরও পড়ুনঃ  সাদা স্রাবের সাথে হালকা রক্ত যায় কেন?

নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ হিসেবে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা ও ঝাপসা দৃষ্টি দেখা দিতে পারে। যদি এসব লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

হাইপোটেনশন চিকিৎসার জন্য দেশের বিখ্যাত হাসপাতাল যেমন অ্যাপোলো হস্পিটালস সাধারণ চিকিৎসা, জরুরি পরিচর্যা, অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং অডিওলজি, নিউরোলজি, কার্ডিওলজি, অনকোলজি প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদান করে।

উচ্চ রক্তচাপের

উচ্চ রক্তচাপ, বা হাইপারটেনশন, হৃদরোগ ও স্ট্রোক সহ বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। উচ্চ রক্তচাপকে দুটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়:

প্রথম পর্যায়ের (স্টেজ ১) উচ্চ রক্তচাপের মান হলো শীর্ষ সংখ্যা ১৪০-১৫৯ এবং নিচের সংখ্যা ৯০-৯৯। দ্বিতীয় পর্যায়ের (স্টেজ ২) উচ্চ রক্তচাপের মান হয় শীর্ষ সংখ্যা ১৬০ বা এর বেশি এবং নিচের সংখ্যা ১০০ বা এর বেশি।

উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে জীবনযাত্রার সাথে সম্পর্কিত। প্রাথমিক ঝুঁকির উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে অস্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অধিক মদ্যপান, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা এবং মানসিক চাপ। এছাড়াও, নির্দিষ্ট জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি, যেমন অ-হিস্পানিক কালো সম্প্রদায়।

উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় সাধারণত জীবনযাপনের পরিবর্তন এবং অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধ এর প্রয়োজন হতে পারে, যা প্রায়শই দীর্ঘমেয়াদে গ্রহণ করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সঙ্গেও ঘরে বাহিত পরিমাপ অপরিহার্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনার হার যথেষ্ট কম, কারণ প্রায় ৪৬% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ জানেন না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে এবং প্রায় ২১% মানুষেই উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ করার মধ্যে আছেন।

FAQ

রক্তচাপ কী?

রক্তচাপ হল হৃৎপিণ্ড থেকে পাম্প হওয়া রক্তের রক্তনালীর দেয়ালে চাপ। এটি মূলত তিন ধরনের হয়: সিস্টোলিক, ডায়াস্টোলিক এবং পালস প্রেশার।

স্বাভাবিক রক্তচাপের মান কী?

একটি স্বাভাবিক রক্তচাপের মান হল ১২০/৮০ mmHg।

উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপের প্রভাব কি?

উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি, আর নিম্ন রক্তচাপের ফলে মাথা ঘোরা ও দুর্বলতা হতে পারে।

রক্তচাপ মাপার জন্য কোন যন্ত্রগুলি ব্যবহৃত হয়?

রক্তচাপ মাপার জন্য প্রধানত দুই প্রকারের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়: ডিজিটাল এবং ম্যানুয়াল যন্ত্র।

ডিজিটাল রক্তচাপ মাপক যন্ত্র কতটা কার্যকর?

ডিজিটাল রক্তচাপ মাপক যন্ত্র ব্যবহারে সহজ এবং কম সময়ে সঠিক ফলাফল দেয়।

ম্যানুয়াল রক্তচাপ মাপক যন্ত্র কীভাবে মাপা হয়?

ম্যানুয়াল যন্ত্রের ক্ষেত্রে স্ফিগমোম্যানোমিটার এবং স্টেথোস্কোপ ব্যবহার করা হয়।

রক্তচাপ মাপার জন্য সঠিক অবস্থান কী?

রক্তচাপ পরিমাপ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, হাত হৃদয়ের স্তরে থাকতে হবে।

রক্তচাপ পরিমাপের সময় কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?

শরীর এবং মন শান্ত থাকা প্রয়োজন; রক্তচাপ মাপা উত্তম ৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার পর।

রক্তচাপের ফলাফল কীভাবে বিশ্লেষণ করতে হয়?

স্বাভাবিক ফলাফল হল ১২০/৮০ mmHg। ফলাফল যদি এই মান থেকে কম হয়, তবে তা নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশন এবং বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে।

নিম্ন রক্তচাপের কারণ কী?

নিম্ন রক্তচাপ বিভিন্ন পরিবেশগত, জৈবিক এবং জীবনযাপন সম্পর্কিত কারণে হতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ কি?

লক্ষণ হিসেবে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা প্রভৃতি দেখা দেয়।

নিম্ন রক্তচাপের জন্য কী করণীয়?

চিকিৎসা হিসেবে পর্যাপ্ত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ প্রয়োজন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button