অ্যান্ড্রয়েডে ভিডিও রেজোলিউশন কমানোর উপায়

আধুনিক যুগে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ভিডিও কোয়ালিটি কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভিডিওর আকার এবং মানের সমন্বয় সব সময় প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে যখন আপনি স্টোরেজে জায়গা রাখতে চান বা ডেটা খরচ কমাতে চান। তাই, আপনাকে অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও কম্প্রেস করার সহজ এবং কার্যকর উপায়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

এই টাইপের সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন মোবাইল ভিডিও কম্প্রেসার অ্যাপ্লিকেশন সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, Videoder একটি জনপ্রিয় ভিডিও কম্প্রেসার অ্যাপ, যা মাত্র ৮.৯৮ এমবি আকারের এবং এর এক-ক্লিক ডাউনলোড ফিচার দিয়ে আপনি সহজ়েই ভিডিও ডাউনলোড করতে পারেন মাউস ব্যবহার না করেই। এছাড়াও, এটি মিউজিক ফরম্যাট হিসেবে m4a এবং mp3 সাপোর্ট করে এবং একাধিক ভিডিও একসাথে ডাউনলোডের সুবিধা প্রদান করে।

CashPirate-এর মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আয় করার সুযোগ দেয়। এই অ্যাপে বিভিন্ন কাজ সম্পূর্ণ করে ব্যবহারকারীরা পয়েন্ট উপার্জন করতে পারেন যা পরবর্তীতে মোবাইল রিচার্জ বা PayPal টাকান্তরের মাধ্যমে নগদ অর্থে রূপান্তরিত করা যায়।

Contents show

ভিডিও রেজোলিউশন কী এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ?

ভিডিও রেজোলিউশন একটি ভিডিওর স্পষ্টতা এবং গুণমান নির্ধারণ করে। এটি মূলত পিক্সেলের সংখ্যা দ্বারা মাপা হয় যা ভিডিওর মাত্রা নির্ধারণ করে। এই কারণে, ভিডিও রেজোলিউশন উচ্চ বা নিম্ন হতে পারে এবং এর প্রভাব বিভিন্ন হতে পারে।

ভিডিও রেজোলিউশন পরিচিতি

ভিডিও রেজোলিউশন পরিচিতি বলতে বোঝায় ভিডিওটির পিক্সেল মাত্রা, যা উচ্চ রেজোলিউশন এবং নিম্ন রেজোলিউশনের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করে। উচ্চ রেজোলিউশন ভিডিওগুলি আরও বিস্তারিত এবং স্পষ্ট হয়, যেখানে নিম্ন রেজোলিউশন ভিডিওগুলির মধ্যে কম পিক্সেল থাকে এবং এই কারণে কম স্পষ্ট হয়।

উচ্চ এবং নিম্ন রেজোলিউশনের পার্থক্য

উচ্চ রেজোলিউশন (হাই রেজোলিউশন) ভিডিওগুলি সাধারণত 720p, 1080p, অথবা 4K পর্যন্ত হতে পারে। এতে বিশদ ও তীক্ষ্ণ ভিডিও প্রদান করা হয়, যা দেখতে বেশ চোখে লাগে। অন্যদিকে, নিম্ন রেজোলিউশন (লো রেজোলিউশন) ভিডিওগুলি 480p বা তার নিচে হতে পারে। এ ধরনের ভিডিওগুলির ফাইল সাইজ কম হয় এবং দ্রুত আপলোড ও ডাউনলোড করা যায়।

রেজোলিউশন পরিবর্তনের সুবিধা

ভিডিও রেজোলিউশন পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। উচ্চ রেজোলিউশন ভিডিও রেজোলিউশন পরিচিতি থেকে স্পষ্টতর এবং তীক্ষ্ণ ভিডিও পেয়ে ভিজ্যুয়াল এক্সপিরিয়েন্স উন্নত হয়। আবার, নিম্ন রেজোলিউশন ভিডিওগুলি কম স্থান দখল করে এবং দ্রুত ভাগ করা যায়। স্টোরেজ স্থান বাঁচানোর জন্য নিম্ন রেজোলিউশন ভিডিওগুলি ব্যবহার করা হতে পারে। তা ছাড়া, ভিডিওর প্রমোশনের গতি বাড়াতেও লো রেজোলিউশন ভিডিও বেশ কার্যকর।

অ্যান্ড্রয়েডে ভিডিও রেজোলিউশন কমানোর প্রস্তুতি

ভিডিও রেজোলিউশন কমানোর আগে, আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিতে হবে।

  1. প্রথমেই, ভিডিও প্রস্তুতি নিবিড়ভাবে সম্পন্ন করতে হবে। ভিডিও ফাইলগুলি সঠিকভাবে যাচাই করে নিন এবং প্রয়োজনীয় ব্যাকআপ রাখুন।
  2. ভিডিও রেজোলিউশন কমানোর জন্য একটি ভাল ভিডিও কম্প্রেসার সেট আপ নির্বাচন করুন। অ্যান্ড্রয়েডে অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায়, যেমন: Video Compress, VidCompact ইত্যাদি।
  3. যে ফাইলগুলো কম্প্রেস করতে চান, তা ম্যানেজ করার জন্য, প্রস্তুতি পর্যায়ে, ফাইলগুলোকে সহজলভ্য স্থানে রাখুন।
  4. আপনার প্রত্যাশা নির্ধারণ করুন – কোন রেজোলিউশনে ভিডিও বেরিয়ে আসবে এবং কতটুকু ফাইল সাইজ কম হবে সেটা জানুন।
আরও পড়ুনঃ  Samsung UI পরিবর্তন করার সহজ নিয়ম জানুন

এখন, আমরা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবো। বাজারে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায় যেগুলো আপনার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। খুব সহজেই একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে নিন এবং সেট আপ করে নিন। নিশ্চিত করুন যে এর সমস্ত ফিচারগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন এবং যেকোনো সমস্যার জন্য প্রস্তুত থাকুন। ভিডিও রেজোলিউশন কমানোর কাজ শুরু করার আগে, চেষ্টা করুন ভিডিওটির একটি ছোট অংশ পরীক্ষা করতে।

অ্যান্ড্রয়েডে ভিডিও কম্প্রেসার অ্যাপ্লিকেশনগুলি

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারে ভিডিও কম্প্রেসার অ্যাপ্লিকেশনগুলি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলির সাথে আপনি সহজেই আপনার ভিডিওগুলি কম্প্রেস করে ফাইল সাইজ কমাতে পারেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সহজে শেয়ার করতে পারেন।

শীর্ষ ভিডিও কম্প্রেসার অ্যাপ্লিকেশন

অ্যান্ড্রয়েডে কয়েকটি শীর্ষ কমপ্রেসার অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা বিশেষভাবে ভালো মানের কমপ্রেশন প্রদান করে। কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন হলো:

  • Video Compress: এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীকে সহজ ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে ভিডিও কম্প্রেস করতে সহায়তা করে। এতে বিভিন্ন ফরম্যাট যেমন mp4, MKV ইত্যাদি সাপোর্ট করে।
  • Compact Video: এটি একটি কার্যকরী কমপ্রেসার অ্যাপ যা ভিডিওর রেজোলিউশন কমিয়ে ফাইল সাইজ হ্রাস করতে সাহায্য করে, ইনস্টলেশন ছাড়াও মোবাইল ব্রাউজারের মাধ্যমে কাজ করতে পারে।
  • VEED: VEED এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফাইল কম্প্রেস করার সাথে সাথে ভিডিও এডিট করতে পারেন, যেমন সাউন্ড যোগ করা, টেক্সট যুক্ত করা, কাট, ট্রিম ইত্যাদি।

অ্যাপ্লিকেশন সমালোচনা এবং পর্যালোচনা

কমপ্রেসার অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধাগুলি নির্ভর করে তার পর্যালোচনা কতটা কার্যকরী। উদাহরণস্বরূপ, VEED অ্যাপ্লিকেশনটি NBCUniversal এবং Carlsberg Importers এর মত বড় বড় সংস্থার দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ভিডিও কম্প্রেস অ্যাপ পর্যালোচনা অনুযায়ী VEED 60% পর্যন্ত সময় সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়, এবং এতে রেজোলিউশন রিডিউস করা সহজ করে। অন্যান্য অ্যাপগুলি, যেমন Video & Movies Compressor এবং Video Dieter,ও ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সার্বিক সচেতনতা পেয়েছে। ভিডিও কম্প্রেস করার সময় HEVC ফরম্যাট ব্যবহার করাও ফাইল সাইজ কমাতে সহায়ক।

অ্যান্ড্রয়েডে ভিডিও রেজোলিউশন কমানোর উপায়

অ্যান্ড্রয়েডে ভিডিও রেজোলিউশন কমানো সহজ এবং প্রয়োজনীয় হতে পারে যদি আপনি ডেটা সংরক্ষণ করতে চান, অথবা ভিডিও শেয়ারের জন্য ফাইলের আকার কমাতে চান। নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন।

ধাপ ১: ভিডিও সিলেক্ট করা

প্রথমে আপনি যে ভিডিওটি রেজোলিউশন কমাতে চান, সেটি বিশেষভাবে সিলেক্ট করতে হবে। আপনার অ্যাপ্লিকেশনের ভিডিও গ্যালারি থেকে ভিডিও সিলেক্ট করা যেতে পারে। শুধুমাত্র যেই ভিডিওর রেজোলিউশন কনভার্ট করতে চান, সেটি বেছে নিন।

ধাপ ২: ভিডিও রেজোলিউশন নির্বাচন করা

ভিডিও সিলেক্ট করার পরে, আপনাকে নির্বাচিত ভিডিওটির জন্য উপযুক্ত রেজোলিউশন নির্বাচন করতে হবে। বেশিরভাগ ভিডিও কম্প্রেসার অ্যাপ্লিকেশন আপনাকে বিভিন্ন প্রাধান্য অনুযায়ী রেজোলিউশন নির্বাচন করার সুযোগ দেয় যেমন 720p, 480p, বা 360p। আপনার ডেটা এবং ভিডিওর প্রয়োজন অনুসারে ভিডিও রেজোলিউশন নির্বাচন করুন।

ধাপ ৩: ফাইল সংরক্ষণ এবং শেয়ার করা

রেজোলিউশন নির্বাচনের পর ভিডিওটি সংরক্ষণ করতে হবে। আপনি ভিডিওটি কম রেজোলিউশনে ফাইল সেভ করা শেষ হলে, সেটি আপনার ডিভাইসে সংরক্ষণ হবে এবং আপনি সহজেই শেয়ার করতে পারবেন। এইভাবে, আপনাকে আর বড় ভিডিও ফাইলের কারণে সমস্যা পোহাতে হবে না।

আরও পড়ুনঃ  গুগল প্লে সার্ভিস বন্ধ করার নিয়ম - সহজ উপায়

ভিডিও ট্রিমার ব্যবহার করে রেজোলিউশন কমানো

ভিডিও ট্রিমার ব্যবহার করে ভিডিওর আকার বাদানো একটি কার্যকর পদ্ধতি। ভিডিও ট্রিমার অ্যাপ্লিকেশনগুলি যেমন Trim Video App ব্যবহার করে, আপনি সহজেই ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিন এবং ওই সমস্ত অংশ কেটে ফেলে মোট আকার কমাতে পারেন। এতে রেজোলিউশন কমানোও সম্ভব হয়।

ট্রিমার অ্যাপ্লিকেশনগুলি

ভিডিও ট্রিমার অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে Trim Video App বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এতে আপনি ভিডিওর আকার বাইনারি বাদানো ছাড়াও বিভিন্ন আউটপুট রেজোলিউশন চয়ন করতে পারেন, যেমন ২৪০p থেকে ১০৮০p পর্যন্ত। এছাড়া, ফাইল কম্প্রেসার ব্যবহার করে বড় ভিডিও ফাইলকে সহজে শেয়ারযোগ্য ছোট ফাইলে পরিণত করা যায়।

ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া

আপনি যখন ভিডিও ট্রিমার ব্যবহার করবেন, তখন আপনার ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিন জন্য Video Trim App এর trimming feature ব্যবহার করুন। এই প্রক্রিয়া থেকে শুধুমাত্র ভিডিওর আকার বাদানো নয়, একই সাথে রেজোলিউশনও হ্রাস পাবে। ১২.৫ থেকে ৬০ আউটপুট ফ্রেম রেট সেটিংস ব্যবহার করে কমপক্ষে ফাইল সাইজ নিশ্চিত করা যায়।

এই অ্যাপ্লিকেশনগুলির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • সমস্ত Android ডিভাইসে সাপোর্ট করা
  • অনেক ফরম্যাটে ভিডিও কম্প্রেস করার ক্ষমতা, যেমন MP4, MKV, AVI
  • মূল অডিও ট্র্যাক বজায় রাখা
  • বিভিন্ন দিক বৈশিষ্ট্যে ভিডিও ক্রপ করা
  • বিভিন্ন ফরম্যাটে কনভার্ট করার সক্ষমতা

অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও থেকে অডিও তে রুপান্তর

বর্তমানে, ভিডিও থেকে অডিও রুপান্তর করাটা খুবই সহজ এবং সুবিধাজনক হয়েছে। একাধিক অডিও কনভার্টার অ্যাপ আছে যেগুলি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এই কাজটি খুব সহজে করে দেয়। জনপ্রিয় অ্যাপ যেমন Proton Video Compressor এবং VEED এই ধরণের সেবা দিয়ে থাকে।

Proton Video Compressor অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ভিডিও ফরম্যাট যেমন MP4, MKV, MOV, 등 থেকে সহজেই অডিও পৃথক করার সুযোগ দেয়। এই অ্যাপটির সাহায্যে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় অডিও সংগ্রহ করতে পারে, যেটা বিশেষ করে সঙ্গীত ভিডিও বা ইন্টারভিউগুলির জন্য খুবই উপকারী।

  • Proton Video Compressor উচ্চমাণের আউটপুট দেয়, ভিডিও ফাইল থেকে অডিও পৃথক করার সময় নূন্যতম মানহানি হয়।
  • ব্যবহারকারীরা কাস্টম ফাইল আকার এবং রেজোলিউশন অপশন পাচ্ছেন, যা ভিডিও থেকে অডিও রূপান্তর প্রক্রিয়াটিকে আরো সহজ করে তোলে।

অপরদিকে, VEED অ্যাপ ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করার প্রয়োজন হয় না। অ্যান্ড্রয়েড অডিও কনভার্টার হিসাবে এর কার্যকারিতা প্রমাণিত, যা বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া চ্যানেলে ব্যবহারকারীদের ভিডিও সম্পাদনা এবং কন্টেন্ট তৈরি করার সুযোগ দেয়।

ভিডিও থেকে অডিও রূপান্তর উপকারী কারণ এটি ব্যবহারকারীদের ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ কাটানোর সুযোগ দেয় এবং কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ অডিও ট্র্যাক সংরক্ষণ করে। তাই, যদি আপনি কোনো অডিও কনভার্টার অ্যাপ খুজছেন, Proton Video Compressor এবং VEED এর মত অ্যাপগুলি স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন।

কোডেক সম্পর্কে বিস্তারিত

কোডেক হল যে প্রযুক্তি ভিডিও ও অডিও ডেটাকে সংকুচিত ও ডিকোড করে। এটি ফাইলের আকার হ্রাস করার অধিকাংশ পদ্ধতির মূল দিক।

জনপ্রিয় ভিডিও কোডেক হিসাবে H.264 এবং MPEG-4 মুখ্য ভূমিকা পালন করে, যা উচ্চ মানের ভিডিও সংকুচিত করে। এই অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও কোডেকগুলি বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে মোবাইল ডিভাইসে সংরক্ষণ এবং শেয়ার করার সহজতার জন্য।

ভিডিও কোডেকের কোডেক অপ্টিমাইজেশন প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার টুলকে ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়, যেমন Handbrake এবং Freemake Video Converter। এই টুলগুলি ভিডিও মানের কোনরকম হ্রাস না করে ফাইলের আকার কমিয়ে দিতে খুব কার্যকর। এগুলি উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্স প্ল্যাটফর্মে সাপোর্ট করে।

  1. উচ্চ মানের রেজোলিউশন যেমন 2160p, 1440p, 1080p রেকমেন্ড করা হয়, যেখানে H.264 কোডেক দিয়ে সংকুচিত করা হলে ভিডিওর গুণগতমান অনেকটাই রক্ষা করা যায়।
  2. স্ট্যাবল বা অ্যাডাপটিভ বিটরেট বাছাই করা ভিডিওর গুণগত মান ধরে রাখতে অনিবার্য।
আরও পড়ুনঃ  অ্যাপস এসডি কার্ডে সরানোর উপায়

অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে ৩৩৮ ধরনের ফাংশন ও কমান্ড স্ট্রিং রয়েছে যা ব্যবহারের সময় সহায়ক সহায়ক বার্তা প্রদানে চালিত। এছাড়াও ভিডিও এবং অডিও কোডেক সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা হয়, যেমন AAC বা MP3 যা সংকুচিত অবস্থায় শব্দের মানকে স্থিতিশীল রাখে।

এছাড়াও, ব্যবহারকারীর জন্য ইউজার ইন্টারফেসের ব্যবস্থায় ৬৪টি স্ট্রিং কমান্ড এবং মেসেজ সংক্রান্ত নির্দেশাবলী অন্তর্ভুক্ত।

সব মিলিয়ে, কোডেক অপ্টিমাইজেশন আপনার ভিডিও ফাইলের আকার হ্রাস করতে এবং সংকুচিত অবস্থায় ও গুণগত মান বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। এই কারনে মোবাইল ফোন ও DSLR ক্যামেরার মতো ডিভাইসগুলি উচ্চ মানের ভিডিও ধারণ করতে পারে।

ভিডিও রেজোলিউশন কমানোর কাস্টমাইজড পদ্ধতি

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ভিডিও রেজোলিউশন কমানোর জন্য কাস্টমাইজড পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। এই পদ্ধতিতে কাস্টম ভিডিও সেটিংস কনফিগার করা যায় যা বিভিন্ন ফিল্টার প্রয়োগের মাধ্যমে ভিডিওর আকার উন্নত করতে সহায়ক। কাস্টমাইজেশন করলে ভিডিওর অন্যান্য গুণাবলী অপরিবর্তিত রেখে প্রয়োজনীয় ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।

কাস্টমাইজড সেটিংস এবং ফিল্টার

  • কাস্টম ভিডিও সেটিংস: অ্যান্ড্রয়েড কাস্টমাইজেশন অপশন এর আওতায় ভিডিওর রেজোলিউশন, ফ্রেম রেট, এবং বিট রেট পরিবর্তন করা যায়। এতে ভিডিওর আকার কমিয়ে ভালো মান বজায় রাখা যায়।
  • ভিডিও ফিল্টার: বিভিন্ন ভিডিও ফিল্টার প্রয়োগ করে ভিডিওর রঙ, কনট্রাস্ট এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। এই ফিল্টারগুলি ভিডিও সম্পাদনার জন্য খুবই উপযোগী।
  • অ্যান্ড্রয়েড কাস্টমাইজেশন: রেজোলিউশন বা ফিল্টার নির্বাচন করার সময় অ্যান্ড্রয়েড কাস্টমাইজেশন এক বড় ভূমিকা পালন করে। এর মাধ্যমে ইউজাররা তাদের ভিডিওকে নিজেদের মতো করে কাস্টমাইজ করতে পারেন।

একটি সমৃদ্ধ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আপনার ভিডিওর প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড সেটিংস এবং ফিল্টারগুলি প্রয়োগ করুন।

ভিড

সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ৭২০পি (১২৮০ পিক্সেল বাই ৭২০ পিক্সেল) রেজোলিউশনের ভিডিওগুলি নিখুঁত যা আয়লিক ইনস্টাগ্রামমত মোবাইল প্ল্যাটফর্মগুলির পক্ষে আদর্শ। এই রেজোলিউশনে ৫ Mbps বিটরেট ব্যবহার করা অত্যন্ত কার্যকর, যা ভালো মানের ভিডিও প্রদানে সক্ষম হয়। এছাড়াও, অনলাইন ভিডিও কনভার্টার যেমন ডেসক্রিপ্ট, অনলাইন কনভার্টার, এবং ভিডিও স্মলার ব্যবহার করে সহজেই ভিডিও কম্প্রেস করা যায়।

বিশেষ করে, ডেসক্রিপ্ট একটি জনপ্রিয় ভিডিও কম্প্রেসর যা ভিডিওর সাইজ কমানোর জন্য অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ইন্টারফেস প্রদান করে। এছাড়া, ১০৮০পি ভিডিওর জন্য ৮ Mbps এবং ৭২০পি ভিডিওর জন্য ৫ Mbps বিটরেট সরবরাহ করা সবসময়ের জন্যই একটি আদর্শ বেছে নেওয়া।

তাছাড়া, কেপকাট ভিডিও কম্প্রেসর ভিডিওর অবিচ্ছিন্ন গুণমান বজায় রেখে এর সাইজ কমাতে সহায়ক হয়। কেপকাটের ইন্টেলিজেন্ট কম্প্রেশন অ্যালগরিদম ভিডিওর আকার ছোটানোর সাথে সাথে স্থলীয় কাজগুলি সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন সম্পাদনার অপশনও প্রদান করে, যেমন ট্রিমিং, ক্রপিং, এবং রেজোলিউশন পরিবর্তনের মতো অপশনগুলি।

অনলাইন ভিডিও কমপ্রেসরগুলির ব্যবহার ভিডিও শেয়ারিং এবং স্ট্রিমিংকে আরও সহজ করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, কেপকাট রিয়েল-টাইম কাজের জন্য অনলাইন ক্লাউড স্টোরেজ সরবরাহ করে, যা ভিডিও তৈরির সময় কার্যকরী সাবলের্তীতা প্রদান করে। এছাড়াও, কমপ্রেস হওয়া ভিডিও ফাইলগুলি অন্যান্য ডিভাইস বা ক্লাউড স্টোরেজে জায়গা বাঁচায় এবং সহজে শেয়ার করা যায়।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button