বয়সের দাগ দূর করার পদ্ধতি – সহজ টিপস

ত্বক সুস্থ এবং তারুণ্যময় রাখতে বয়সের দাগ মুছে ফেলার প্রাকৃতিক ও কার্যকরী পদ্ধতি অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে বয়সের দাগ দূর করতে গিয়ে সময় ও খরচ বাঁচানো সম্ভব। বর্তমান বাজারে পাওয়া মামাআর্থ স্কিন ইল্যুমিনেট ফেইস সিরাম খুবই কার্যকর একটি পণ্য।
এটির মূল্য ১৩৫০ টাকা হলেও, বর্তমানে ১২৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সিরামের উপাদানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভিটামিন সি, হলুদ, ও নিমফায়া আলবা ফ্লাওয়ার এক্সট্র্যাক্ট।

এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ত্বকের যত্নে সাহায্য করতে পারে, যেমন মুখের কালো দাগ, বয়সের ছাপ দূর করা, ত্বক দৃঢ় করা, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা, ব্রণের দাগ কমানো, এবং পিগমেন্টেশন কমানো। এটি ব্যবহারের জন্য মুখ পরিষ্কার করে, টোনার লাগিয়ে ২-৩ ফোঁটা সিরাম প্রয়োগ করতে হবে এবং শুকানোর পর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

বয়সের দাগ দূর করার এই প্রাকৃতিক ত্বক যত্ন পদ্ধতি গুলি সহজেই অনুসরণ করতে পারেন। ব্যবহারকারীরা নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ, ফ্যাকাসেযুক্ত ভাব এবং সাধারণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন। উপকারী উপাদানগুলি যেমন ভিটামিন সি, আলফা আরবুটিন এবং কোজিক অ্যাসিড ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।

আন্তর্জাতিক মানের উপাদানসমূহ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বয়সের দাগ দূর করা এখন বেশ সহজ ও কার্যকরী। দ্বিধাহীন থেকেই ত্বকের যত্ন নিতে পারেন নিয়মিত এই প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলি অনুসরণ করে।

Contents show

বয়সের দাগের কারণ

বয়সের দাগ সাধারণত বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ত্বকে দেখা দেয়। তবে শুধুমাত্র বয়সই এর একমাত্র কারণ নয়। রোদে পোড়া, পরিবেশগত দূষণ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও এর প্রধান কারণ। আপনি যদি ত্বকের যত্ন সঠিকভাবে না নেন, তাহলে আপনার ত্বকে বয়সের দাগ দ্রুত দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত রোদে পোড়া থেকে বাঁচার জন্য সানস্ক্রিন, স্কিনের উপযোগী প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।

একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ২৫ বছর বয়সী অনেক পুরুষ তাদের ত্বকে বয়সের দাগ এবং রোদে পোড়া থেকে লাল চিহ্ন পেয়েছেন। এটি ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। অন্যদিকে,ClinicSpots-এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্যমতে, ৮৪ জন মানুষের অনুসন্ধান থেকে এ ধরনের তথ্য সাহায্য করেছে।

একজন ২২ বছর বয়সী নারী অযাচিত মুখের লোম নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। একজন ২৫ বছর বয়সী পুরুষ তাদের নাকের উভয় পাশে হাইপারট্রফিক অ্যাকনা দাগ নিয়ে সমস্যায় আছেন।

একজন ২৪ বছর বয়সী নারী দীর্ঘদিন ধরে ছুরি এবং অ্যান্টি-প্রোডাক্টের ব্যবহার করেছেন কিন্তু সোরিয়াসিসমুক্ত হননি। এছাড়া, ৬০ বছর বয়সী এক পুরুষ তার জিহ্বার নিচে আঘাত পেয়ে নীল চিহ্ন পেলেও এটি কিছু কঠিন খাবার বা বাইটিং থেকে হতে পারে। একজন ১৪ বছর বয়সী পুরুষ তাদের ব্রণের চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত। এরকম সমস্যা কমাতে সঠিক ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

কিছু সমাধান যেমন ভিটামিন সি, আলফা-আর্বুটিন এবং রেটিনল বয়সের দাগ ও রোদে পোড়া সমস্যায় সহায়ক হতে পারে। এরা ত্বকের যত্নে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। মেলাসমা একটি প্রধান ত্বকের সমস্যা, যা শরীরের ফ্যাক্টর যেমন সান রে, হীট এবং হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে দেখা দেয়।

আরও পড়ুনঃ  মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায়

How to Remove Age Spots – প্রাকৃতিক উপায়ে

বয়সের দাগ দূর করতে প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়গুলো ত্বকের জন্য সুরক্ষিত এবং প্রায় কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। নিম্নলিখিত প্রাকৃতিক উপাদানগুলো বয়সের দাগ দূর করতে সহায়ক হতে পারে।

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল বয়সের দাগ দূর করতে একটি কার্যকর উপাদান। প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ক্যাস্টর অয়েল ত্বকে ম্যাসাজ করে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা ও দাগ কমাতে সহায়ক। মৃদু ম্যাসাজ ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের প্রাণবন্ততা ফিরিয়ে আনে।

ওটমিল, দই ও মধুর মাস্ক

ওটমিল, দই ও মধুর মাস্ক ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমাতে এবং ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই প্রাকৃতিক উপায়ে মাস্কটি ব্যাবহারে ত্বকের দাগ কমে যায় এবং ত্বকের পুষ্টি বজায় থাকে।

  1. এক চামচ ওটমিল নিন।
  2. দুই চামচ দই যোগ করুন।
  3. এক চামচ মধু মেশান।

মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে।

লেবুর রসের উপকারীতা

বয়সের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ত্বকের পরিচর্যা করতে লেবুর রস অসাধারণ কার্যকর। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর রস নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের দাগ কমে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর লেবুর রস ত্বকের ক্ষত সেরে উঠতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে মুখের দাগ দূর করার মাধ্যমে রোদে পোড়া দাগও কম গাঢ় দেখায়।

লেবুর রস ব্যবহার

বয়সের দাগ দূর করা এবং ত্বক সারাতে লেবুর রস সরাসরি ত্বকে লাগানো যেতে পারে। এর জন্য তুলা ব্যবহার করে লেবুর রস মুখে মাখতে হবে এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে দাগ কমে যাবে ও ত্বক মসৃণ হবে। এছাড়াও, প্রাকৃতিক ফেস প্যাকের ব্যবহারে দাগের রং হালকা হয় এবং দাগ কমে।

লেবু, মাখন ও ডিমের সাদা অংশ

লেবুর রসের কার্যকারীতা বৃদ্ধিতে লেবু, মাখন এবং ডিমের সাদা অংশের মিশ্রণ এক অসাধারণ উপায়।

  1. প্রথমে ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ মাখন এবং ১টি ডিমের সাদা অংশ একসাথে মেশান।
  2. মিশ্রণটি ত্বকে মাখা এবং ১৫ মিনিট অপেক্ষা করা প্রয়োজন।
  3. অবশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাকটি ত্বকের বয়সের দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল করতে কার্যকরী। প্রাকৃতিক ত্বকের পরিচর্যা করার জন্য এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

পেঁপের মাস্ক ব্যবহারের পদ্ধতি

পেঁপে ভিটামিন এবং পাপাইন সমৃদ্ধ যা মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের টানটান ভাব ফিরিয়ে আনে। বিশেষ করে, পেঁপের মাস্ক ব্যবহারে বয়সের দাগ দূর করা যায়। এটি ত্বকের যত্ন রুটিনে একটি অতি জনপ্রিয় উপায়।

  1. প্রথমে একটি পাকা পেঁপে নিন।
  2. পেঁপের খোসা ছাড়িয়ে পেস্ট করুন।
  3. এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  4. শেষে গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এটি সপ্তাহে দুবার করলে বয়সের দাগ দূর করা সহজ হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। পেঁপের মাস্ক ব্যবহারে ত্বক হবে মসৃণ ও কোমল যা নিয়মিত ত্বকের যত্ন রুটিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরী পেঁপের মাস্ক কেবল ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে না, এটি ত্বকের গভীরে পুষ্টি প্রদান করে যা বাজারে পাওয়া কেমিক্যাল প্রোডাক্টের তুলনায় অনেক ভালো। দক্ষিণ কোরিয়ার K-Beauty শিল্পেও প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার বেশি, যা একটি জনপ্রিয় ফেনোমেনন। এটি শুধুমাত্র এশিয়ার দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে।

গোলাপ জল

ত্বকের যত্নে গোলাপ জল একটি বিশেষ জায়গা ধরে রেখেছে। এটি কেবল ত্বক পরিষ্কার করে না, বরং ত্বকের টোনার হিসেবেও কাজ করে। গোলাপ জলের প্রধান গুণাগুণের মধ্যে রয়েছে এর অ্যাস্ট্রিনজান্ট হিসেবে কার্যকারিতা, যা ত্বকের লোমকূপ থেকে অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর করে দেয়।

আরও পড়ুনঃ  দাঁত স্কেলিং এ কত খরচ হতে পারে?

তবে শুধু এটুকু নয়, গোলাপ জল ত্বক টানটান করতেও সহায়ক, যা উজ্জ্বল ত্বক পেতে সহায়তা করে। নিয়মিত গোলাপ জল ব্যবহার আপনার ত্বককে আরও সুস্থ ও তরতাজা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে অন্তত দু’বার গোলাপ জল ব্যবহার করা উচিত, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

  1. গোলাপ জল ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  2. ত্বকের টোনার হিসেবে কার্যকরি।
  3. ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর করে।
  4. ত্বক টানটান করে ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।

স্বাভাবিক ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, মুখ ধোয়ার পর গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া, গোলাপ জল মেকআপ রিমুভার হিসেবেও দারুণ কাজ করে। হাতে কিছু গোলাপ জল নিয়ে মুখে আলতো ম্যাসাজ করলে ত্বকের মৃত্যুকোষ দূর হয়ে, ত্বক পরিস্কার হয়ে ওঠে। তাই, সপ্তাহে অন্তত দু’বার গোলাপ জল ব্যবহার করুন, ত্বককে দিন পরিপূর্ণ পুষ্টি ও যত্ন।

শসা ও টক দইয়ের প্যাক

শসা এবং দইয়ের মিশ্রণ ত্বকের যত্নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শসার নির্যাস শীতল প্রভাব রাখে এবং ত্বককে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে, দই ত্বকের পুষ্টি যোগায় এবং মুখের মরা কোষ দূর করে। চাহিদা মাফিক শসা ও দইয়ের প্যাক তৈরি করা খুবই সহজ। চোখের নিচের দাগ এবং ফোলাভাব দূর করতে এই প্যাক অত্যন্ত কার্যকর।

শসার উপকারীতা

শসার মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, যা ত্বকের যত্ন এবং সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শসা ত্বকে প্রয়োগ করলে তাজা এবং নমনীয় থাকে। শসার শীতল প্রভাব ত্বকের লালতা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

দইয়ের উপকারীতা

দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ পুনর্জন্মে সহায়ক। দইয়ের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং গুণ ত্বককে মোলায়েম ও মসৃণ করে। এছাড়াও, দইয়ের মধ্যে থাকা প্রোবায়োটিক ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে। শসা ও দইয়ের প্যাক ব্যবহারে চোখের নিচের দাগ কমে আসে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

অর্ধেক কাপ দই নিন এবং তার মধ্যে দুই টেবিল-চামচ শসা কুচি মেশান। মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে কোমল এবং উজ্জ্বল। শসা ও দইয়ের প্যাক ত্বকের যত্নে এবং চোখের নিচের দাগ কমাতে দুর্দান্ত ফল দেয়।

চোখের চারপাশের দাগ প্রতিরোধের উপায়

চোখের চারপাশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং বয়সের দাগ সাধারণত এখানেই আগে প্রকাশ পায়। তাই চোখের চারপাশের দাগ প্রতিরোধে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত ত্বকের যত্ন এবং কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে সহজেই এই দাগ প্রতিরোধ করতে পারেন।

যেখানে চোখের চারপাশের দাগ এড়ানোর জন্য কার্যকর উপায়গুলো উল্লেখ করা হলো:

  • আলমন্ড তেল: আলমন্ড তেল চোখের চারপাশের ত্বককে পুষ্টি দেয় এবং ত্বকের টোন উন্নত করে। এটি দাগ প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকর উপাদান।
  • শসার প্যাক: শসা চোখের চারপাশের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। শসার রস নিয়মিত ব্যবহারে চোখের চারপাশের দাগ কমানো সম্ভব।
  • টি ব্যাগ: গরম জলে নিমিয়ে টি ব্যাগ ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করলে চোখের ফোলাভাব এবং কালো দাগ দূর করা যায়।

ত্বকের যত্ন নিয়মিতভাবে করে গেলে এবং সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করলে দাগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। পর্যাপ্ত ঘুম, সঠিক ডায়েট, এবং চোখের সাথে সঠিক আচরণ করা এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রের ত্বকের যত্নপ্রদানকারী বিশেষজ্ঞরা CeraVe Eye Repair Cream, The Ordinary Caffeine Solution 5% + EGCG, 3W Clinic Honey Eye Cream, এবং Cosrx Advanced Snail Peptide Eye Cream-এর মতো প্রোডাক্ট সুপারিশ করেন। নিয়মিত রাতে চোখের চারপাশে এই প্রোডাক্টগুলো মাসাজ করার মাধ্যমে চোখের ফোলাভাব ও বয়সের দাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ  জিহ্বা কালো হয় কেন?

এছাড়াও, চোখের যত্নের জন্য পর্যাপ্ত বিরতি, পানি পান, এবং ত্বকের ভাল যত্ন নেয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।

মাসাজ করার पँगर

বয়সের দাগ দূর করতে মাসাজ করার পদ্ধতি বেশ কার্যকরী হতে পারে। নিয়মিত তেল দিয়ে মাসাজ করলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়। মাসাজ করা হলে ত্বকের যত্ন নেওয়া সহজ হয়ে যায় এবং বয়সের দাগ দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। ত্বকের জন্য সঠিক তেল বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল

ত্বককে ময়েশ্চারাইজ এবং পুষ্টি যোগানোর জন্য অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তেলগুলি ত্বকের কোষগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে এবং বয়সের দাগ হ্রাস করে। প্রতিদিন রাতের বেলায় ত্বেকে এই তেলগুলি মাখলে এবং হালকা হাতে মাসাজ করলে ত্বক নরম ও মসৃণ হয়ে ওঠে।

আলমন্ড তেল

আলমন্ড তেল ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী এবং বয়সের দাগ হ্রাস করতে খুবই কার্যকরী। এতে বিদ্যমান ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি এসিড ত্বকের কোষগুলোকে পুষ্টি যোগায় এবং কোষ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আলমন্ড তেল ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ ও বলিরেখা যেমন কমে, তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়।

FAQ

বয়সের দাগ কী কারণে হয়?

বয়সের দাগ সাধারণত বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ত্বকে দেখা দেয়। রোদে পোড়া, পরিবেশগত দূষণ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও এর প্রধান কারণ।

বয়সের দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় কী কী?

ত্বকের বয়সের দাগ প্রাকৃতিকভাবে দূর করতে ক্যাস্টর অয়েল, ওটমিল, দই ও মধুর মাস্ক খুবই কার্যকর। এছাড়া, লেবুর রস, পেঁপের মাস্ক, গোলাপ জল এবং শসা ও টক দইয়ের প্যাকও কার্যকর।

ক্যাস্টর অয়েল কীভাবে ব্যবহার করব?

ক্যাস্টর অয়েল ত্বকে লাগানোর পর সঠিক মাত্রায় ম্যাসাজ করতে হয় যাতে ত্বকের বলিরেখা ও দাগ দূরে থাকে।

ওটমিল, দই ও মধুর মাস্ক কীভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেন?

ওটমিল, দই ও মধুর মাস্ক ত্বকের অতিরিক্ত তেল সরাতে সাহায্য করে এবং ত্বক কোমল এবং উজ্জ্বল করে তোলে। এসব উপাদান মিশিয়ে ত্বকে লাগান এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর রস কীভাবে ত্বকের জন্য উপকারী?

লেবুর রস ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষতির চিহ্ন মুছে ফেলে।

লেবু, মাখন ও ডিমের সাদা অংশের মিশ্রণ কীভাবে ব্যবহার করবেন?

লেবু, মাখন এবং ডিমের সাদা অংশের মিশ্রণটি ত্বকে মাখলে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।

পেঁপের মাস্ক ব্যবহারের পদ্ধতি কী?

পাকা পেঁপের পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের টানটান ভাব ফিরিয়ে আনে।

গোলাপ জল ত্বকের জন্য কীভাবে কাজ করে?

গোলাপ জল ত্বকের অ্যাস্ট্রিনজান্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের লোমকূপ থেকে তেল ও ময়লা দূর করে এবং ত্বক টানটান করে।

শসা ও টক দইয়ের প্যাক কীভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেন?

আধা কাপ দইয়ের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ শসা কুচি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে তা ত্বকে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের পুষ্টি যোগায় এবং চোখের চারপাশের কালি এবং ফোলাভাব কমায়।

চোখের চারপাশের দাগ প্রতিরোধ কীভাবে করবেন?

চোখের চারপাশের ত্বক অনেক সংবেদনশীল, এবং বয়সের দাগ সাধারণত সবার আগে এখানে প্রকাশ পায়। নিয়মিত ম্যাসাজ এবং উজ্জ্বলতাময় কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার এই দাগ প্রতিরোধ করতে পারে।

কোন তেল দিয়ে ম্যাসাজ করা ভালো?

ত্বক মজবুত রাখতে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করা ভালো। এই তেলগুলো ছিদ্র মুক্ত করে, ত্বককে নরম করে এবং বলিরেখা ও দাগ কমাতে সাহায্য করে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button