অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করার সহজ উপায় – পূর্ণ গাইড

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করা এখন অনেক সহজ এবং সুবিধাজনক পদ্ধতি দ্বারা করা সম্ভব। এই Android Root Guide-এ, আমরা বিভিন্ন রুটিং পদ্ধতি, তাদের সুবিধা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি Android ডিভাইসকে রুট করতে চান তবে এই Easy Rooting Steps গুলি অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।

এই Android Rooting Tutorial-এ, আমরা রুটিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসমূহ, প্রস্তুতকারকদের সীমাবদ্ধতা এবং কিভাবে স্মার্টফোন রুট করার সুবিধাগুলি উপভোগ করতে পারেন তা ব্যাখ্যা করব। প্লে স্টোর থেকে ৪০০ টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন সম্ভাব্য ম্যালওয়ার আক্রমণ এবং ডেটা চুরির জন্য সংবেদনশীল হওয়ায়, আপনি রুট করা অ্যাপস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।

এই নিবন্ধটি মূলত তাদের জন্য যারা তাদের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষমতাকে বাড়াতে এবং কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা পেতে চান। আপনি Samsung Galaxy S8 এর বিজ্ঞপ্তি-নির্দিষ্ট আচরণ কাস্টমাইজ করার জন্য গাইডলাইন পেতে এবং Android জন্য Xposed Framework ইন্সটলেশন সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন। রুট করা Android ডিভাইসগুলি আপনাকে অনেক প্রকার সুবিধা প্রদান করে, যেমন বেটার পারফরমেন্স, ডেডিকেটেড অ্যাপস এবং আরও অনেক কিছু।

রুটিং কি?

রুটিং হল আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রক্রিয়া। *Android Rooting* এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমের উপর রুট এক্সেস বা সুপারউজার এক্সেস পান, যা সাধারণত লুকানো অথবা কাস্টমাইজেশন সীমাবদ্ধতার বাইরে থাকে।

রুটিং করতে গেলে ডিভাইসের গ্যারান্টি বাতিল হয়ে যায়, এবং ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে। *What is Rooting* প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে প্রধানত ফোনের কার্যক্রম ও কাস্টমাইজেশন বাড়ানোর জন্য।

সাধারণত অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুটিং এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কাস্টম রম ইন্সটল করতে পারেন, যা ফোনকে নতুন ফিচার বা ইউজার ইন্টারফেস সরবরাহ করে। তবে এর মাধ্যমে মূল অপারেটিং সিস্টেমে বদল আসতে পারে, ফলে ফোনের পারফরমেন্স বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।

গত দশকে, *Superuser Access* অর্জনকারী ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসকে ওভারক্লক করে পারফরমেন্স বাড়িয়ে নিয়েছে, এবং বালকি অ্যাপ্লিকেশনসমূহ আনইনস্টল করে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছে। তবে ব্যবহারকারীদের এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা জরুরি, অন্যথায় ফোন ব্রিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৩০%।

আরও পড়ুনঃ  প্লে স্টোর ঠিক করার উপায়

গত ২০১১ সাল থেকে অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে একাউন্টের পরিবর্তে আমাজন অ্যাপস্টোর ব্যবহার করা শুরু করে, যা *Android Rooting* এর সাহায্যে সম্ভব হয়েছে। তাই, যে ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিত চান, তাদের জন্য রুটিং গুরুত্বপূর্ণ।

রুটিংয়ের প্রয়োজনীয়তা

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করতে গেলে কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং প্রস্তুতকারকদের সীমাবদ্ধতাগুলো সম্পর্কে জানা আবশ্যক। রুটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবেন, যা সাধারণত Android OEM Limitations এর অধীনে সীমাবদ্ধ থাকে।

রুট করার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসমূহ

রুটিং করার জন্য বেশ কিছু Rooting Tools ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো Magisk Manager এবং SuperSU। ২০১৬ সালে XDA ডেভলপার আবিষ্কৃত Magisk Manager এর সাহায্যে systemless রুট করা যায়, যা ডিভাইসের সিস্টেম ফাইল মডিফাই না করেই রুট সুবিধা দেয়। এছাড়া, অনেক ব্যবহারকারী Xposed Framework ব্যবহার করে যা রুটিংয়ের পরে অনেক মডিফিকেশন এর সুযোগ প্রদান করে।

ফোন প্রস্তুতকারকদের সীমাবদ্ধতা

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস নির্মাতারা সাধারণত নিরাপত্তার কারণে রুটিং-এর ওপর বেশ কিছু Android OEM Limitations আরোপ করে থাকে। এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে রুটিং প্রয়োজন হয়। উদাহরণস্বরূপ, Google SafetyNet এর নিরাপত্তা সিস্টেম রুট করা ডিভাইস চিনতে পারে; তবে Magisk Manager এই সীমাবদ্ধতা পার করতে সক্ষম।Rooting Necessities তাই একটি অপরিহার্য বিষয়, বিশেষত যদি আপনি প্রস্তুতকারকের নির্ধারিত সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে চান।

How to Root Android Device

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করার জন্য একটি বিস্তারিত Rooting Guide প্রয়োজন। এখানে আমরা Root Android Step-by-Step প্রক্রিয়াটি নির্ধারণ করব:

  1. প্রথমে, আপনার ডিভাইসের সকল ডেটা ব্যাকআপ করে নিন। রুটিং প্রক্রিয়াতে ডেটা হারাতে পারেন, তাই আগাম সকল তথ্য সংরক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  2. আপনার ডিভাইসের মডেলের জন্য সঠিক রুটিং সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন। এই সফটওয়্যার Android Rooting Process-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
  3. ডাউনলোড করা সফটওয়্যার ইনস্টল করুন এবং প্রয়োজনীয় প্রি-রুট চেক সম্পন্ন করুন, যেমন USB ডিবাগিং এবং OEM আনলক।
  4. সফটওয়্যার চালিয়ে রুট প্রক্রিয়া শুরু করুন। এটি কিছু সময় নিতে পারে, তাই সহিষ্ণু থাকুন।
  5. রুট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, ডিভাইস রিস্টার্ট দিন এবং রুট চেকার অ্যাপ ব্যবহার করে নিশ্চিত করুন যে রুটিং সফল হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ  Android 9 থেকে 10 আপডেট করার পদ্ধতি | সহজ গাইড

এই ধাপে ধাপে Root Android Step-by-Step প্রক্রিয়াটি আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করে সম্পন্ন করা উচিত, যাতে নতুনতম নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা বজায় থাকে। একটি সঠিক Rooting Guide অনুসরণ করলে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুটিং প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়ে উঠবে।

রুট করার সুবিধা ও অসুবিধা

রুটিং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের কিছু স্পষ্ট সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের পরিচিত হওয়া উচিৎ। রুট করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন। তবে, এর সাথে কিছু নিরাপত্তা ঝুঁকিও থাকে যা জেনে রাখা জরুরি।

রুট করার সুবিধা

রুট করার ফলে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। এর কয়েকটি প্রধান সুবিধা নিচে আলোচনা করা হলো:

  1. কাস্টম রম ইনস্টল: ৮৫% ব্যবহারকারীরা রুট করার পরে কাস্টম রম ইনস্টল করে উপকৃত হন। এটি ডিভাইসের পারফরম্যান্স ও অপারেটিং সিস্টেম অপটিমাইজ করতে সাহায্য করে।
  2. প্রি-ইনস্টল অ্যাপস অপসারণ: প্রায় ৭০% ব্যবহারকারী রুট করার মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় প্রি-ইনস্টল অ্যাপস সরিয়ে ডিভাইস ফ্রি করতে চান।
  3. বাড়তি কাস্টমাইজেশন সুবিধা: ৬০% ব্যবহারকারী বেশি কাস্টমাইজেশন সুবিধা উপভোগ করেন, যা ডিভাইসকে ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী সাজাতে সাহায্য করে।
  4. অ্যাড ব্লকিং: প্রায় ৭৬% ব্যবহারকারী রুট করার মাধ্যমে অ্যাড ব্লকিং সুবিধার উপভোগ করেন, যা ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
  5. অ্যাপস আপডেট: ব্যবহারকারীরা যেকোন অ্যাপ সঠিক সময়ে আপডেট করতে পারেন, যা ডিভাইসের স্বাস্থ্য রক্ষা করে ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ব্যবহার সহজ করে।

রুট করার অসুবিধা

তবে, রুট করার কিছু অসুবিধাও রয়েছে যা সম্পর্কে জানা জরুরি। নিচে কয়েকটি প্রধান অসুবিধা উল্লেখ করা হলো:

  1. ওয়ারেন্টি হারানো: ৮০% ডিভাইসের ক্ষেত্রে রুট করার পরে ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যায়, যা ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
  2. নিরাপত্তা ঝুঁকি: রুট করার ফলে ডিভাইসের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে পারে। ডিফল্ট সেটিংস পরিবর্তন করে অনেক সময় ম্যালওয়্যার আক্রমণের সম্ভাবনাও বাড়ে।
  3. ডিভাইস ব্রিক: রুট করার সময় ভুল হলে ডিভাইস ব্রিক হয়ে যেতে পারে এবং ৬৫% ব্যবহারকারীদের এই সমস্যা হতে পারে।
  4. আপডেট সমস্যা: ৭৫% অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী রুট করার পরে অফিসিয়াল আপডেট পেতে সমস্যা অনুভব করেন, যা ডিভাইসের পারফরম্যান্স কে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে লাইটনিং ইয়ারপডস ব্যবহার করুন

রুটিং এর মাধ্যমে কিছু বিস্তৃত সুবিধা পাওয়া গেলেও এর কিছু বিপজ্জনক দিকও রয়েছে। ফলে, রুট করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবেচনা করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় সচেতনতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়।

বিভিন্ন পদ্ধতিতে রুট করা

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করার জন্য বেশ কিছু কার্যকর পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতিগুলি প্রধানত দুটি ধাপে বিভক্ত: ফ্রেমওয়ার্ক মড ব্যবহার এবং বিশেষ রুটিং অ্যাপ্লিকেশন। প্রতিটি পদ্ধতিরই নিজস্ব সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই বিভাগে আমরা এই পদ্ধতিগুলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

ফ্রেমওয়ার্ক মড ব্যবহার

ফ্রেমওয়ার্ক মড ব্যবহার করে ডিভাইস রুট করা একটি বেশ জনপ্রিয় methods of rooting। এটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসে একাধিক কাস্টমাইজেশন করতে পারেন। যেমন, Framaroot app একটি চমৎকার উদাহরণ, যা খুব সহজেই ডিভাইস রুট করতে সহায়ক। এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ২.১ থেকে ৪.২.২ সংস্করণ পর্যন্ত সমর্থিত এবং এতে বিভিন্ন এক্সপ্লয়েট অপশন রয়েছে যেমন Boromir, Sam, Gandalf ইত্যাদি।

ফ্রেমওয়ার্ক মড দ্বারা রুট করা হলে ‘SuperSu and Su Binary Installed. You have to Reboot your Device’ মেসেজ দেখা যায়। রুট সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে, ব্যবহারকারীরা Root Checker Pro অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রেমওয়ার্ক মড ব্যবহার করে রুট এবং আনরুট উভয়ই করা যায়, যা বেশ সুবিধাজনক।

অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার

রুট করার আরেকটি সহজ উপায় হল রুটিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা। Rooting apps যেমন Framaroot ডিভাইস রুট করার একটি সরাসরি উপায় প্রদান করে যা পিসি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। যদিও এর মাধ্যমে প্রায় ৯০% ডিভাইস রুট করা সম্ভব, তবুও কিছু প্রস্তুতকারকের ডিভাইসে রুট অপশন ডিফল্টভাবে উপলব্ধ থাকে না।

এছাড়া রুটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন, যেমন অব্যবহৃত ফাইল সরিয়ে ফেলা এবং সিপিইউ ওভারক্লক করা। সিপিইউ যদি সঠিকভাবে ইনীশিয়ালাইজড করা থাকে, তাহলে সেটি খুব ভালো পারফর্ম করবে। আবার, সিপিইউ আন্ডারক্লক করার মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় কাজের সময় লোড কমানো সম্ভব।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button