পিসি দিয়ে ফোন রুট করার সহজ উপায় – পূর্ণ গাইড

আপনার পিসি ব্যবহার করে ফোন রুট করার পদ্ধতি জানতে চাইলে, এখানে আপনি পাবেন সম্পূর্ণ মোবাইল রুটিং গাইড। ফোন রুট করা বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে গেছে। Kingroot এবং Framaroot এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি দ্রুত এবং সহজে আপনার Android ফোন রুট করতে পারবেন।

Kingroot একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্যাপ যা Android ফোন রুট করতে সাহায্য করে, যেখানে Kingo Root সফটওয়্যার পিসির মাধ্যমে ফোন রুট করার একটি নিরাপদ পদ্ধতি প্রদান করে। এছাড়াও, Kingo Root এর APK ভার্সন ব্যবহার করে কম্পিউটার ছাড়াই ফোন রুট করা সম্ভব।

এই গাইডটি অনুসরণ করে আপনি জানতে পারবেন কীভাবে ফোন রুট করতে হয়, কী কী সরঞ্জাম প্রয়োজন হয় এবং এর সুবিধা ও ঝুঁকি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আপনার মোবাইলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য এবং বিভিন্ন নতুন ফিচার অ্যাক্সেস করার জন্য ফোন রুট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Contents show

রুটিং কি এবং কেন এটি প্রয়োজন?

রুটিং এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে অতিরিক্ত অনুমতি প্রাপ্ত করা যায়, যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য অপ্রাপ্য। এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারীদের রুট এক্সেস এবং সুপার ইউজার অনুমতি দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা প্রদান করে।

রুট এক্সেসের সুবিধাবলী

  • রুট এক্সেস প্রাপ্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অপ্রয়োজনীয় সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন অপসারণ করতে পারেন যা সাধারণত ডিফল্টভাবে আনইনস্টল করা যায় না।
  • বিজ্ঞাপন সরিয়ে দেয়া সহ সিস্টেম উন্নত করা যায়, যা পছন্দের অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে সহায়ক।
  • কাস্টম ROM ইন্সটল করে অ্যান্ড্রয়েড প্রচলিত সেটআপের বাইরে আরও নতুন বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা যোগ করা সম্ভব।
  • বিশেষ কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের কর্মক্ষমতা উন্নত করা যায়, যা রুট এক্সেস ব্যতীত অসম্ভব।

সুপার ইউজার হওয়ার গুরুত্ব

সুপার ইউজার অনুমতি পাওয়া মানে আপনি আপনার ডিভাইসে সর্বময় ক্ষমতা লাভ করেছেন। এটি ব্যবহারকারীদের অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ, কাস্টমাইজ এবং আরও উন্নত করার সুযোগ প্রদান করে। সুপার ইউজার হিসাবে, আপনি আপনার ডিভাইসের সীমাবদ্ধতাগুলি উপেক্ষা করতে পারেন এবং উন্নত প্রক্রিয়াসমূহ চালাতে সক্ষম হন। এটি আপনার ডিভাইসকে আরও কার্যকর এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা দেয়।

রুটিং প্রক্রিয়ার ঝুঁকি এবং সাবধানতা

রুটিং যদিও অনেক সুবিধা প্রদান করে, তবে এর কিছু ঝুঁকিও রয়েছে যা ব্যতিক্রমী বুঝে নেওয়া জরুরি। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সুপার ইউজার হয়ে ডিভাইসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করা সম্ভব, কিন্তু কিছু সাবধানতা অবলম্বন না করলে ডিভাইস ওয়ারেন্টি বাতিল হতে পারে এবং দূষিত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের ঝুঁকি থাকে।

ডিভাইসের ওয়ারেন্টি ক্ষতি

রুটিং করার পূর্বে, একটি অন্যতম বিবেচ্য বিষয় হলো ডিভাইস ওয়ারেন্টি। রুট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বেশিরভাগ নির্মাতা ডিভাইস ওয়ারেন্টি বাতিল করে দেন। এর ফলে আপনি ডিভাইসের কোনো ত্রুটি মেরামতের জন্য নির্মাতার সহায়তা পাবেন না। এটি ডিভাইসে ক্ষতি সাধন করলে আর্থিক ক্ষতিরও কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে ভিডিও রেজোলিউশন কমানোর উপায়

দূষিত অ্যাপ্লিকেশন থেকে রক্ষা পেতে করণীয়

রুটেড ডিভাইসে দূষিত অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। কারণ, সুপার ইউজার এক্সেস দূষিত অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে ডিভাইসের গভীর স্তরে প্রভাবিত করতে দেয়। তাই দূষিত অ্যাপ্লিকেশন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী:

  • বিশ্বস্ত ও চেক করা সোর্স থেকে অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করুন।
  • প্রয়োজনীয় হলে অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
  • রুটেড ডিভাইস ব্যবহার কালে নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট নিশ্চিত করুন।

পরিশেষে, শ্যলভারাশি ডিভাইস আটকাতে এবং সুরক্ষিত রাখতে ডিভাইস ওয়ারেন্টি, সাবধানতা এবং দূষিত অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে সজাগ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রুটিং প্রক্রিয়া শুরুর আগে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে সাবধানতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে।

How to Root Phone With PC: প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও শর্ত

ফোন রুট করার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং শর্ত পূরণ করতে হবে। নিশ্চিত করুন যে সবকিছু সঠিক এবং প্রস্তুত রয়েছে। এখানে নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের লিস্ট দেওয়া হলো যা আপনার দরকার পড়বে:

  • রুটিং টুলস: সফল রুটিং করতে চাইলে আপনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট রুটিং টুলস প্রয়োজন হবে যেমন KingoRoot, Dr.Fone ইত্যাদি।
  • পিসি সফটওয়্যার: পিসিতে উপযুক্ত সফটওয়্যার ইন্সটল থাকা আবশ্যক। এটি রুট প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে এবং কার্যকর সমাধান দেয়। উদাহরণ হিসেবে, পিসি সফটওয়্যার যেমন KingoRoot এবং Dr.Fone ব্যবহার করতে পারেন।
  • USB ড্রাইভার: রুটিং প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হলে আপনার ফোনের জন্য সঠিক USB ড্রাইভার ইন্সটল করা আবশ্যক। এটি পিসি এবং আপনার ডিভাইসের মধ্যে সহজ যোগাযোগ স্থাপন করে।

প্রাথমিকভাবে রুটিং প্রক্রিয়া শুরু করার আগে, আপনার ফোনে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে:

  1. USB Debugging Mode সক্রিয় করুন। এটি করার জন্য, আপনার ফোনের ডেভেলপার অপশনে যান এবং USB debugging সক্রিয় করুন।
  2. সঠিক ব্যাকআপ। যেকোনো ডেটা হারানোর ঝুঁকি কমানোর জন্য রুটিং করার আগে আপনার তথ্যের পুরো ব্যাকআপ নিন।

এই সরঞ্জাম এবং শর্তগুলি পূরণ করে সঠিকভাবে এগিয়ে গেলে আপনার রুটিং প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। অতএব, আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু প্রস্তুত করুন এবং রুটিং টুলস, পিসি সফটওয়্যার, এবং USB ড্রাইভার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করুন।

পিসি ব্যবহার করে ফোন রুট করার বিস্তৃত প্রক্রিয়া

ফোন রুট করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহারের প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল হতে পারে কিন্তু সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করলে এটি সহজেই করা সম্ভব। এই প্রক্রিয়ায় কতগুলো গুরুত্বপূর্ন ধাপ রয়েছে যা অনুসরণ করতে হবে।

USB ড্রাইভার ইনস্টল করা

প্রথমে আপনাকে সঠিকভাবে USB ড্রাইভার ইনস্টল করতে হবে। সঠিক ড্রাইভার ছাড়া কম্পিউটার আপনার ফোনকে সনাক্ত করতে পারবে না, ফলে রুট প্রক্রিয়া ব্যর্থ হতে পারে। সাধারণত, আপনার ফোন প্রস্তুতকারকের ওয়েবসাইটে ড্রাইভারগুলি পাওয়া যায়।

ফোনে ডেভেলপার অপশন সক্রিয় করা

এরপর আপনার ফোনে ডেভেলপার অপশন সক্রিয় করতে হবে। এই সেটিংসটি সক্রিয় করার জন্য, আপনাকে প্রথমে ফোনের ‘About phone’ সেকশনে গিয়ে বিল্ড নম্বরে একাধিক বার চাপ দিতে হবে। একবার ডেভেলপার অপশন সক্রিয় হলে, সেটিংস মেনুতে এটি প্রদর্শিত হবে। সেখানে গিয়ে USB ডিবাগিং সক্রিয় করতে হবে।

রুট সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনস্টলেশন

রুট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি নির্ভরযোগ্য রুট সফটওয়্যার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। SUPER ONECLICK, UNREVOKED এই ধরনের জনপ্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই ফোন রুট করা সম্ভব। SUPER ONECLICK পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ৮০% অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করা যায়। একবার রুট সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনস্টল হয়ে গেলে, নির্দেশনা অনুসরণ করে রুট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। Samsung Galaxy S, Sony Xperia X10 এর মত ডিভাইসগুলোতে এই পদ্ধতি সহজেই কার্যকরী।

সফ্টওয়্যার দি…

ফ্রামারুট অ্যাপ্লিকেশন হলো একটি অন্যতম সেরা সফ্টওয়্যার যা ব্যবহারকারীরা *পিসি ছাড়াই* তাদের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিটি খুবই সহজ এবং দ্রুত।

আরও পড়ুনঃ  গুগল প্লে স্টোর অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করার পদ্ধতি

ফ্রামারুট ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ফোন রুট করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. ফ্রামারুট অ্যাপটি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করুন।
  2. অ্যাপটি খুলুন এবং SuperSu বিকল্পটি নির্বাচন করুন।
  3. তারপর Boromir Exploit নির্বাচন করুন।

যখন Exploit Result জানায় “Su Binary Installed. You have to Reboot your Device,” তখন আপনি সফলভাবে রুট করতে পারবেন।

ফোনের Application Menu-তে SuperSu অ্যাপটি ইনস্টল রয়েছে কিনা তা দেখে ডিভাইসটি সঠিকভাবে রুট হয়েছে কিনা যাচাই করতে পারেন। এছাড়াও Root Checker Pro অ্যাপ ব্যবহার করেও রুটিং স্ট্যাটাস যাচাই করা যেতে পারে।

রুট করতে গিয়ে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে যেমন: ফ্রামারুট সব অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনে কাজ করে না। Android 9 বা এর ঊর্ধ্বে ফ্রামারুট কাজ নাও করতে পারে।

ফ্রামারুট অ্যাপটি ব্যবহার করতে গেলে, বারবার রুট এবং আনরুট করার চেষ্টা ডিভাইসের কার্যকারিতা কে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এই পদ্ধতিটি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ফ্রামারুট অ্যাপটি রুটিং এবং আনরুটিংয়ের জন্য একটি সুবিধাজনক পদ্ধতি হলেও, মাঝে মাঝে অন্য বিকল্প অ্যাপ্লিকেশন বা পিসি ব্যবহার করে রুট করতে হতে পারে। রুট প্রক্রিয়াটি শুরু করার আগে ডিভাইসের ব্যাকআপ নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফোন রুট করার পরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

ফোন রুট করার পরে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে ডিভাইসটি নিরাপদ এবং সঠিকভাবে কাজ করতে থাকে। এই ধাপে আমরা বিশেষভাবে মতামত দেব কীভাবে Root Verifier অ্যাপ দিয়ে যাচাই করা যায় এবং সুপার ইউজার অনুমতি দেওয়া যায়।

Root Verifier অ্যাপ দিয়ে যাচাই

প্রথমত, ফোনের রুট স্ট্যাটাস যাচাই করা জরুরি। এজন্য আপনি একটি নির্ভরযোগ্য ‘Root Verifier’ অ্যাপ ইনস্টল করতে পারেন। এই অ্যাপটি আপনাকে নিশ্চিত করবে যে আপনার রুটিং প্রক্রিয়া সফল হয়েছে কিনা এবং আপনার ডিভাইস সঠিকভাবে রুটেড আছে কিনা। ফোন রুট করার ৭০% প্রক্রিয়া OTG ক্যাবল সেটআপ এবং ডিভাইস সংযুক্ত করা জড়িত। এই দিকটি সম্পন্ন হওয়ার পর সোর্স ফাইল এবং নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়েছে।

রুট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য সুপার ইউজার অনুমতি দেওয়া

রুট স্থিতি যাচাইয়ের পরে, আপনার ফোনে রুট অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক রুট অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহারের জন্য সুপার ইউজার অনুমতি দেওয়া আবশ্যক। সুপার ইউজার অনুমতি দেওয়া না হলে রুট করা অ্যাপগুলো ঠিকঠাক কাজ করবে না। নিরাপদ রুটিং নিশ্চিত করতে, সমস্ত অনুমতিগুলি যথাযথভাবে সেট করা উচিত।

সমাপনী পরীক্ষার পর, আপনি আরও উন্নত ফিচারগুলির সুবিধা নিতে পারবেন এবং রুট প্রক্রিয়া থেকে সর্বাধিক সুবিধা পাবেন। নিরাপদ রুটিং নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে অনুসরণ করা জরুরি।

রুট করা ফোনের সুবিধা এবং অসুবিধা

রুটেড ফোন ব্যবহার করার কিছু উল্লেখযোগ্য ফোনের সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, রুট এক্সেসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সিস্টেম স্তরের অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল এবং অপসারণের সুবিধা পান। উদাহরণস্বরূপ, Framaroot অ্যাপটি Android ভার্সন 2.1 – 4.2.2 এর জন্য সবচেয়ে সুপারিশযোগ্য অ্যাপ, যা বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য নির্দিষ্ট এক্সপ্লয়েট অপশন সরবরাহ করে। যেমন Exynos, Qualcomm বা Mediatek ডিভাইসগুলিতে এই অ্যাপটি কার্যকরী হতে পারে। এছাড়াও, ব্যবহারকারীরা কাস্টম ROM ইনস্টল করে তাদের ফোনের ইন্টারফেস, হোম স্ক্রীন এবং মেনু ডিজাইন পরিবর্তন করতে পারেন, যা ডিভাইসকে সম্পূর্ণ নতুন রূপ দেয়।

অন্যদিকে, রুট করার পরে কিছু ফোনের অসুবিধা দেখা দেয়। রুটিং প্রক্রিয়াটি ডিভাইসের ওয়ারেন্টি বাতিল করতে পারে এবং সিকিউরিটি ব্যবস্থাতে দূর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, यदि Framaroot এর মাধ্যমে পুনরায় রুট করার চেষ্টা করা হয়, তবে এটি কাজ নাও করতে পারে এবং তখন পিসি বা অন্য রুটিং অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন হতে পারে। এই কারণে, ডাউনলোড লিংক হ্যান্ডেল করার সময় এবং ডাউনলোড করার জন্য যথাযথ ব্রাউজার যেমন UC Browser, Firefox বা Puffin ব্যবহার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে অডিও রেকর্ড করার সহজ উপায়

প্রায় ৯০% ডিভাইস রুট করা সম্ভব, যা রুটিং এর উচ্চ সামঞ্জস্যতার হারকে প্রদর্শন করে। আরো সুবিধার মধ্যে রয়েছে অধিক পরিমাণে স্টোরেজ মুক্ত করার জন্য অপ্রয়োজনীয় ফাইল ও টেম্পরারি ফাইল গুলো সরানো এবং CPU এর স্পিড সামঞ্জস্য করার মাধ্যমে ডিভাইসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা। অনেক উন্নত ব্যবহারকারী GPS, NFC, কিংবা ক্যামেরার পারফর্ম্যান্স উন্নত করতে এইসব সুবিধার উপভোগ করেন। তবে, রুটেড ফোনের অন্য একটি অসুবিধা হলো: অপ্রয়োজনীয়ভাবে সিস্টেম ফাইল মুছে ফেলা ডিভাইসকে অকেজো করতে পারে। তাই রুটেড ফোন ব্যবহারে সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা অপরিহার্য।

রুট করে আপনি কী কী কারবেন?

ফোন রুট করার পর ব্যবহারকারীরা সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন অপসারণ, কাস্টম ROM ইন্সটল, এবং বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তাদের ডিভাইস কাস্টমাইজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। নিচে এই সুযোগগুলির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন অপসারণ

রুট করা ফোনের অন্যতম বড় সুবিধা হলো সিস্টেম অ্যাপস অপসারণ করা। সাধারণত আপনাকে এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়, কারণ তারা পূর্ব-ইনস্টল করা থাকে এবং অপসারণযোগ্য নয়। রুট অ্যাক্সেস পেয়ে আপনি আপনার ফোনের স্টোরেজ মুক্ত করতে এবং ইচ্ছেমতো অ্যাপ্লিকেশন পরিচালনা করতে পারবেন।

কাস্টম ROM ইন্সটল

রুট করা ডিভাইসে কাস্টম ROM ইন্সটল করার মাধ্যমে আপনি আপডেটেড ফিচার এবং নতুন ইউজার ইন্টারফেস পেতে পারেন, যা সাধারনত অফিসিয়াল কাস্টমাইজেশন ছাড়াই মেলে না। কাস্টম ROM ইনস্টল করা মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসের আরো ভাল পারফরমেন্স এবং ব্যাটারি লাইফ পেতে পারেন।

বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল এবং ব্যবহার

রুট করা ডিভাইসে আপনি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করতে পারবেন, যেগুলি সাধারণত অনুমতি ছাড়া চালান সম্ভব নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় AdAway, যা একটি বিজ্ঞাপন ব্লকার অ্যাপ, বা Viper4Android যা সিস্টেম-লেভেল অডিও উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ডিভাইসের কাজের ইন্টারফেসকে আরও উন্নত করতে পারেন।

রুট প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য সমস্যাসমূহ এবং তাদের সমাধান

রুটিং করার সময় বিভিন্ন টেকনিক্যাল সমস্যা হতে পারে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ উদ্বেগজনক হতে পারে। এই সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হলো বুট লুপ। এটি এমন একটি সমস্যা যেখানে ফোনটি বারবার রিস্টার্ট নেয় এবং স্বাভাবিকভাবে চালু হয় না। এই সমস্যাটি সাধারণত সিস্টেমের গুরুত্বপর্ণ ফাইলের ক্ষতি হওয়ার ফলে ঘটে থাকে। সমাধান হিসেবে ফোনটি সম্পূর্ণরূপে রিসেট করা যেতে পারে অথবা স্টক ফার্মওয়্যার পুনরায় ইন্সটল করা যেতে পারে।

আরেকটি সাধারণ রুট সমস্যা হলো সিস্টেম স্থিরতা হারানো। রুট করার পর ফোনটি স্থিরভাবে কাজ না করতে পারে বা মাঝে মাঝে হ্যাং হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কাস্টম রিকভারি মোডে গিয়ে ডাটা ও ক্যাশ পার্টিশন মুছতে হবে। ট্রাবলশ্যুটিং করতে এক্সপার্টের পরামর্শ নেওয়াও একটি ভালো উপায় হতে পারে।

অন্য একটি সমস্যা হলো দূষিত অ্যাপ্লিকেশন থেকে রক্ষা পাওয়া। অনেক রুট করা ফোনে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ইনস্টল হতে পারে, যা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভাল মানের অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা উচিত এবং সন্দেহজনক অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

যদি আপনি ট্রাবলশ্যুটিং করতে পারেন না, তবে ফোনটি পুনরায় স্টক ফার্মওয়্যারে ফিরিয়ে আনাই শ্রেয়। এতে করে আপনার ডিভাইস ফের আগের মতো নিরাপদ এবং কার্যকর হবে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button