উইন্ডোজ ৮ এ রান কমান্ড চালানোর উপায় – টিউটোরিয়াল
উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে রান কমান্ড চালানোর জন্য এই টিউটোরিয়াল অত্যন্ত কার্যকর। এই গাইডটি আপনাকে ধাপে ধাপে শিখিয়ে দেবে কীভাবে সহজে এবং দ্রুত রান কমান্ড ব্যবহার করতে পারেন। রান কমান্ড উইন্ডোজ ৮ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার যা নিশ্চিত করে যে আপনি যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন সহজে এবং সঠিকভাবে চালাতে পারেন। এই রান কমান্ড টিপস আপনাকে সময় বাঁচাতে এবং আপনার কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। শুরু করা যাক আমাদের রান কমান্ড গাইডের মাধ্যমে।
রান কমান্ড কি?
রান কমান্ড উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম যা ব্যবহারকারীদের দ্রুত অ্যাপলিকেশন, ডকুমেন্ট, এবং সেটিংস খুঁজে পেতে সাহায্য করে। সঠিক রান কমান্ড ব্যবহার করে, আপনি সহজেই বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পন্ন করতে পারেন, যা আপনার সময় সাশ্রয়ী করে এবং দক্ষতা বাড়ায়।
রান কমান্ডের মূল ভূমিকা
রান কমান্ডের মূল ভূমিকা হচ্ছে দ্রুত এবং সরাসরি অ্যাক্সেস প্রদান করা। এটি দিয়ে আপনি বিভিন্ন প্রকার সিস্টেম কনফিগারেশন টুলস, ইউটিলিটি ম্যানেজমেন্ট কমান্ড, এবং নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার ফাংশন যেমন প্রিন্টার এবং স্ক্যানার পরিচালনা করতে পারেন। যেমন, আপনি ‘winword’ লিখে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ওপেন করতে পারেন অথবা ‘msconfig’ লিখে সিস্টেম কনফিগারেশন টুল ওপেন করতে পারেন। রান কমান্ড ডেফিনেশন জানার মাধ্যমে, আপনি আরও দ্রুততার সাথে অ্যাপলিকেশন অপারেট করতে পারবেন।
উইন্ডোজ সিস্টেমে রান কমান্ডের গুরুত্ব
উইন্ডোজ সিস্টেমে রান কমান্ডের গুরুত্ব অসীম। এটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ডস-ভিত্তিক এফটিপি ক্লায়েন্ট কমান্ড ব্যবহার করে যাহু.কমের মতো ওয়েবসাইটও খুলতে পারেন। রান কমান্ড ব্যবহার করলে আপনি সময় অনেকটা সাশ্রয় করতে পারেন এবং সহজ ও দ্রুততার সাথে বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পাদন করতে পারেন। এটি উইন্ডোজ ৮ ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী, কারণ রান কমান্ড ব্যবহার করলে বারবার মেনুতে না গিয়ে, সরাসরি কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।
উইন্ডোজ ৮ এ রান কমান্ডের বেসিক ব্যবহার
উইন্ডোজ ৮-এ রান কমান্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি ব্যবহার করে সহজে এবং দ্রুত সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ও টুলস চালানো যায়। এই বিভাগে রান কমান্ড সেটআপ এবং এর বেসিক ব্যবহারের পদ্ধতি আলোচনা করা হবে।
প্রাথমিক সেটআপ
উইন্ডোজ ৮-এ রান কমান্ড সেটআপ করার জন্য কোন বিশেষ স্ক্রিপ্ট বা প্রোগ্রামের প্রয়োজন নেই। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে এটি সহজেই করা যায়:
- মাউস দিয়ে স্টার্ট মেনু খুলুন
- খালি জায়গায় ডান ক্লিক করুন এবং “All Apps” অপশন নির্বাচন করুন
- এরপর ‘Run’ খুঁজে বের করুন এবং এটিকে ওপেন করুন।
এই ধাপগুলি সম্পন্ন করলে রান কমান্ড সক্রিয় হবে এবং ব্যবহারকারী বিভিন্ন বেসিক রান কমান্ড প্রয়োজনমত প্রবেশ করাতে পারবেন।
নির্দেশক অনুসরণ
রান কমান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে হলে নির্দেশক অনুসরণ করতে হবে। নিচে কিছু সাধারণ বেসিক রান কমান্ডের উদাহরণ দেয়া হলো:
- msconfig: সিস্টেম কনফিগারেশন টুল চালু করতে ব্যবহৃত হয়
- services.msc: উইন্ডোজ সার্ভিস ম্যানেজার চালাতে সহায়ক
- cmd: কমান্ড প্রম্পট (Command Prompt) চালু করার জন্য
- regedit: রেজিস্ট্রি এডিটর খুলতে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড
এই বেসিক রান কমান্ড ব্যবহার করে সিস্টেমের বিভিন্ন টাস্ক দ্রুত এবং সহজভাবে সম্পাদন করা যায়। সব ব্যবহারকারীরই রান কমান্ড সেটআপ এবং এর বেসিক ইনস্ট্রাকশন সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত, যা তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
কীভাবে রান কমান্ড চালু করবেন
উইন্ডোজ ৮ এ রান কমান্ড ওপেন করা একটি সহজ পদ্ধতি যা দ্রুত অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ বা সিস্টেম টাস্ক সম্পাদন করতে সাহায্য করে। রান কমান্ড অ্যাক্টিভেশন করার জন্য নির্দেশনা নিম্নরূপ:
- কিবোর্ড ব্যবহার: Win + R কীবোর্ড শর্টকাট চাপুন। এটি “Run” ডায়লগ বক্স খুলবে। এখানে প্রয়োজনীয় কমান্ড টাইপ করে Enter চাপুন।
- স্টার্ট মেনু ব্যবহার: স্টার্ট বোতাম ক্লিক করুন এবং সার্চ বারে “Run” টাইপ করুন। রান অ্যাপ্লিকেশন নির্বাচন করুন। এতে রান কমান্ড ওপেন করা সম্ভব হবে।
রান কমান্ড ওপেন করার পর নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে কমান্ড টাইপ করুন যা উইন্ডোজ সিস্টেমে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে ব্যবহার করা হয়:
- সিডি কমান্ড: ডিরেক্টরি পরিবর্তন করতে ব্যবহার করুন।
- ফরম্যাট কমান্ড: ডিস্ক ফরম্যাট করতে ব্যবহার করুন।
- ডির কমান্ড: বর্তমান ডিরেক্টরি ফাইল ও ফোল্ডার তালিকা দেখতে ব্যবহার করুন।
উল্লেখ্য, উইন্ডোজ সিস্টেমে প্রায় ২১৭ টি রান কমান্ড অ্যাক্টিভেশন ব্যবহার করা যায় যা “A-Z” আকারে বিভক্ত। উদাহরণস্বরূপ, A-এ ৭টি, B-তে ৫টি, C-তে ১৪টি, D-তে ১৪টি, E-তে ১২টি, F-তে ১২টি এবং G-তে ২টি কমান্ড রয়েছে।
যেসব কমান্ডগুলো আগে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো রান কমান্ড ওপেন করা হলে ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, addusers কমান্ড রান কমান্ডে টাইপ করলে ইউজার ম্যানেজমেন্ট টাস্ক সহজে সম্পন্ন হয়।
কিছু প্রায়গিক ব্যবহার উল্লেখ করা যেতে পারে:
- Microsoft Word চালানোর জন্য নির্দিষ্ট কমান্ড ব্যবহার করা।
- উইন্ডোজ টাস্ক ম্যানেজার খোলার জন্য Ctrl + Shift + Esc ব্যবহার।
- সময় বাঁচানোর জন্য ওয়েব ব্রাউজারে Ctrl + Shift + T ব্যবহার করে পুনরায় ট্যাব ওপেন করা।
- কীবোর্ড খারাপ হলে টাইপিংয়ের জন্য “OSK” চালু করা।
How to Run Command in Windows 8
উইন্ডোজ ৮-এ রান কমান্ড চালানোর খুব কার্যকরী পদ্ধতি রয়েছে, যা সহজ লেভেলের ইউজার থেকে শুরু করে এডভান্সড ইউজার সবার জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে উল্লেখিত দুটি মূল পদ্ধতির মাধ্যমে রান কমান্ড প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
উইন্ডোজ ৮ রান কমান্ড চালানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো স্টার্ট মেনু ব্যবহার করা। নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করে এটি করতে পারেন:
- প্রথমে স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করুন বা Windows কী চাপুন।
- এরপর সার্চ বক্সে “cmd” টাইপ করুন।
- কমান্ড প্রম্পট আইকনের উপর ক্লিক করলে উইন্ডোজ ৮ রান কমান্ড প্রক্রিয়া শুরু হবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি: শর্টকাট কীজ ব্যবহার করে
আরেকটি শক্তিশালী পদ্ধতি হলো শর্টকাট কীজ ব্যবহার করা, যা দ্রুত ও সহজ উপায়ে রান কমান্ড প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। নিচে উল্লেখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
- প্রথমে Windows কী + R চাপুন।
- উল্লেখিত টাইপ বক্সে ‘cmd’ লিখুন।
- OK বা এন্টার কী চাপুন।
এই প্রক্রিয়াটি উইন্ডোজ ৮ রান কমান্ড দ্রুত এবং সরাসরি অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে, যা সময় বাঁচায় এবং প্রয়োজনীয় সিস্টেম টাস্কগুলি সম্পন্ন করতে কার্যকর।
রান কমান্ড চালানোর শর্টকাট কী
উইন্ডোজ ৮ এ রান কমান্ড চালানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের শর্টকাট কী ব্যবহৃত হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Win+R শর্টকাট। এর সাহায্যে খুব দ্রুত এবং সহজে রান কমান্ড উইন্ডো খোলা যায়। তবে, অনেক সময় ব্যবহারকারীরা নিজেদের সুবিধার্থে কাস্টম শর্টকাট কীও তৈরি করতে চান। নিম্নলিখিত বিভাগে এই দুটি পদ্ধতির উপর আলোচনা করা হল।
Win+R কী কম্বিনেশন
Win+R শর্টকাট কী কম্বিনেশনটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে রান কমান্ড চালানোর জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত উপায়। এটি ব্যবহারে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র Win কী ধরে R কী চাপলেই রান কমান্ড উইন্ডো খুলে যায়। এই পদ্ধতি দ্রুত এবং কার্যকরী হওয়ায় এটি খুবই জনপ্রিয়।
কাস্টমাইজড শর্টকাট তৈরির উপায়
অনেক সময় ব্যবহারকারীরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী কাস্টম শর্টকাট কী তৈরি করতে চান। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ এবং এর মাধ্যমে আপনি যে কোনো সফটওয়্যার বা ফাইলকে দ্রুত খুলতে সক্ষম হবেন। কাস্টম শর্টকাট কী তৈরি করতে হলে:
- প্রথমে উক্ত প্রোগ্রাম বা ফাইলের শর্টকাট তৈরি করুন।
- শর্টকাটটি কম্পিউটারের ডেক্সটপ বা যে কোনো সহজলভ্য স্থানে রাখুন।
- শর্টকাটটির উপর রাইট-ক্লিক করে Properties খুলুন।
- তাতে Shortcut ট্যাবের মধ্যে Shortcut key ফিল্ডে আপনার পছন্দমত কী কম্বিনেশন চাপুন, যেমন Ctrl+Alt+R।
- তারপর Apply এবং OK চাপুন।
এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার প্রয়োজন মত যেকোনো কাস্টম শর্টকাট কী তৈরি করতে পারেন, যা আপনার কাজে গতি আনবে এবং সময় বাঁচাবে।
রান কমান্ডের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম
রান কমান্ড ব্যবহার করে উইন্ডোজ ৮ এ বিভিন্ন ধরনের সিস্টেম ইউটিলিটিস এবং নেটওয়ার্ক টুলস চালানো যেতে পারে। নিসন্দেহে, এই কাজগুলো দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে সম্পন্ন করতে রান কমান্ড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। নিচে বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর সংক্ষিপ্ত প্রাসঙ্গিক আলোচনা করা হলো।
সিস্টেম ইউটিলিটিস চালানো
রান কমান্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন সিস্টেম ইউটিলিটি কমান্ড চালানো সম্ভব, যা দ্রুত করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ‘msconfig’ টাইপ করে সিস্টেম কনফিগারেশন টুল চালু করতে পারেন, ‘cmd’ টাইপ করে কমান্ড প্রম্পট খুলতে পারেন। এছাড়া ‘control’ টাইপ করে কন্ট্রোল প্যানেল এবং ‘dxdiag’ টাইপ করে ডাইরেক্ট এক্স ডায়াগনস্টিক টুল চালানো যায়। এই সব কমান্ডগুলো সিস্টেমের বিভিন্ন সেটিংস এবং ডায়াগনস্টিক টুলস দ্রুত অ্যাক্সেস করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
নেটওয়ার্ক টুলস ব্যবহারের উপায়
নেটওয়ার্ক টুলস ব্যবহার করতে রান কমান্ড ত্রুটি মুক্ত এবং দ্রুত কার্যকরী হচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ, ‘ipconfig’ কমান্ড টাইপ করে নেটওয়ার্ক কনফিগারেশন দেখার জন্য, ‘ping’ কমান্ড টাইপ করে নেটওয়ার্ক কানেকশন পরীক্ষা করতে, এবং ‘netstat’ কমান্ড টাইপ করে নেটওয়ার্ক সংযোগ বিবরণ পেতে পারেন। এই নেটওয়ার্ক টুলস দ্রুত নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত সমস্যাগুলির সমাধান করতে সাহায্য করে এবং নেটওয়ার্ক ট্রাবলশুটিং করার সময় অত্যন্ত কার্যকরী।