উইন্ডোজ ১০ তে প্রোগ্রাম রান করার সহজ উপায়
আমরা সবাই জানি যে Windows 10 একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম, যা বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে প্রচুর ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে উইন্ডোজ ১০ এ প্রোগ্রাম সহজে চালানো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজ করা যেতে পারে। এই টিউটোরিয়ালে, আমরা Windows 10 এ অ্যাপ্লিকেশন চালানো সম্পর্কে আলোচনা করব এবং কিভাবে কৌশলগত ভাবে উইন্ডোজ অপটিমাইজেশন টিপস-এর মাধ্যমে পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করা যায় তার উপর জোর দেব।
উইন্ডোজ ১০ এর পারফরম্যান্স অপ্টিমাইজেশন তিনটি প্রধান পদ্ধতিতে বিভক্ত করা যায়: অপারেটিং সিস্টেম টুইকস, সফটওয়্যার উন্নতি এবং অ্যাপ রিপ্লেসমেন্ট বা রিমুভাল। গেম মোড চালু করে গেমিং পারফরম্যান্স বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, এবং অপ্রয়োজনীয় ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস বন্ধ করে বিশেষত পুরাতন কম্পিউটারে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এছাড়া, প্রসেসর স্পিড সেটিং ইচ্ছেমত পরিবর্তন করে ব্যালান্সড, হাই পারফরম্যান্স বা পাওয়ার সেভার মোডে রাখা যাবে যা উইন্ডোজ ১০ এর গতি প্রভাবিত করবে।
এছাড়াও, অটো-স্টার্টিং প্রোগ্রামগুলি বন্ধ করা এবং নির্দিষ্ট ফাইবার অপ্টিমাইজেশন পদ্ধতি মেনে চলা উইন্ডোজ ১০ এর মোট পারফরম্যান্স বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। নিয়মিত ডিস্ক ক্লিনআপ এবং অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলি অপসারণ করাও উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এক কথায়, উইন্ডোজ ১০ টিউটোরিয়াল এবং অপ্টিমাইজেশন টিপস উল্লেখিত কৌশলগুলো বাস্তবায়ন করে আপনার সিস্টেমের গতি এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
উইন্ডোজ ১০ এ প্রোগ্রাম রান করার প্রস্তুতি
উইন্ডোজ ১০ এ প্রোগ্রাম চালানোর পূর্বে কিছু প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রথমত, উইন্ডোজ ১০ সেটআপ করতে হবে সঠিকভাবে। সিস্টেমের উপর নির্ভর করে, এটি দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন হওয়া উচিত।
প্রথম পদক্ষেপ হলো প্রোগ্রাম ইনস্টলেশন। নিরাপত্তার জন্য, অফিশিয়াল ও বিশ্বস্ত সাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত। প্রোগ্রাম ইনস্টলেশন প্রসেসটি সাধারণত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি সম্পন্ন করে:
- ইনস্টলার ডাউনলোড করুন ও চালান।
- ইনস্টলেশন উইজার্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় কনফিগারেশন অপশন নির্বাচন করুন।
- ইনস্টলেশন সম্পন্ন হলে, প্রোগ্রামটি রান করুন।
উইন্ডোজ কনফিগারেশন টিপস এর মধ্যে অন্যতম হলো ড্রাইভার আপডেট করা। ডিভাইস ম্যানেজারের মাধ্যমে ড্রাইভার আপডেট করলে প্রোগ্রাম ইনস্টলেশন ও রান করতে কোন সমস্যা হবে না। IOBit Driver Booster এবং Snappy Driver Installer ব্যবহার করা যেতে পারে।
নেটওয়ার্ক সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করা দরকার। উদাহরণস্বরূপ, নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার আপডেট, ড্রাইভার রোল ব্যাক, ফায়ারওয়াল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করা এবং নেটওয়ার্ক ট্রাবলশুটার চালানো। ipconfig কমান্ড ব্যবহার করে ডিফল্ট গেটওয়ে পরীক্ষা করা এবং ping কমান্ড চালিয়ে নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেসিবিলিটি যাচাই করা যেতে পারে।
এছাড়াও, সিস্টেমের পারফরমেন্স নিশ্চিত করার জন্য কিছু উইন্ডোজ কনফিগারেশন টিপস অনুসরণ করা প্রয়োজন, যেমন ডিস্ক ক্লিনআপ করা, অযথা প্রোগ্রাম আনইনস্টল করা এবং স্টার্টআপ প্রোগ্রামগুলো বন্ধ রাখা।
উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় এক বিলিয়ন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম, যা এর কার্যকারিতা ও ব্যবহারকারীর জন্য সহজলভ্যতার প্রমাণ। সুতরাং, উইন্ডোজ ১০ এ প্রোগ্রাম রান করার প্রস্তুতি সঠিকভাবে নিলে, সিস্টেমটি অনেক বেশি কর্মক্ষম হবে।
RAM এর গুরুত্ব এবং সঠিক ব্যবহারের উপায়
উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের জন্য RAM এর সঠিক ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উইন্ডোজ ১০ মেমরি পারফর্মেন্স বাড়ানোর জন্য RAM অপটিমাইজেশন এবং মেমরি ম্যানেজমেন্ট অপরিহার্য। এখন আমরা আলোচনা করবো RAM এর কাজ এবং এটি ক্লিয়ার করার পদ্ধতি সম্পর্কে।
RAM এর পূর্ণরূপ এবং কাজ
RAM (Random Access Memory) হল কম্পিউটারের প্রধান মেমরি। এটা কোনো ডেটা স্টোরেজ নয়, বরং এটি ব্যবহারকারীর চাহিদামতো ডেটা সরাসরি অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়। RAM অপটিমাইজেশন সঠিকভাবে না হলে উইন্ডোজ ১০ মেমরি পারফর্মেন্স কমে যেতে পারে। CPU-এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে, এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় ডেটা প্রদান করে সিস্টেমের গতিশীলতা বৃদ্ধি করে।
উদাহরণস্বরূপ:
- ডেটা প্রসেস করার সময় কমিয়ে আনে
- ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা উন্নত করে
- সিস্টেমের কার্যক্ষমতা উন্নত করে
RAM ক্লিয়ার করার পদ্ধতি
RAM ক্লিয়ার করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যা উইন্ডোজ ১০ মেমরি পারফর্মেন্স বৃদ্ধিতে সহায়ক:
- প্রথমে, টাস্ক ম্যানেজার খুলে অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রাম বন্ধ করুন।
- লকিং এবং স্পেপিং ফাইল মুছে RAM অপটিমাইজেশন করুন।
- উইন্ডোজ স্টার্টআপ প্রোগ্রাম ম্যানেজ করুন যাতে কম RAM ব্যবহৃত হয়।
এইসব ধাপ নিয়মিত পালন করলে মেমরি ম্যানেজমেন্ট উন্নত হবে এবং উইন্ডোজ ১০ মেমরি পারফর্মেন্স বজায় থাকবে।
ডিস্ক ক্লিনআপ এবং টেম্পোরারি ফাইল মুছে ফেলা
উইন্ডোজ ১০ কম্পিউটারে হার্ড ড্রাইভ ক্লিনিং একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা স্টোরেজ স্পেস ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করে। টেম্পোরারি ফাইল রিমুভাল এর মাধ্যমে কম্পিউটারের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করা যায়। আসুন জেনে নেই কিভাবে এই দুটি প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয়।
ডিস্ক ক্লিনআপ করার ধাপ
- ড্রাইভ নির্বাচন করুন (সাধারণত C ড্রাইভ) এবং “OK” ক্লিক করুন।
- ডিস্ক ক্লিনআপ প্রোগ্রামটি চালু করুন এবং সমস্ত অপ্রয়োজনীয় ফাইল নির্বাচন করে “Delete” করুন।
- ডিফ্র্যাগমেন্টেশন হল হার্ডড্রাইভে থাকা ফাইলগুলিকে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানোর প্রক্রিয়া, যা আপনার কম্পিউটারের গতি এবং পারফরম্যান্স বাড়াতে সহায়তা করে।
টেম্পোরারি ফাইল মুছে ফেলার উপায়
- একটি ফোল্ডার খুলবে যা টেম্পোরারি ফাইল ধারণ করে। সমস্ত ফাইল নির্বাচন করুন (Clrl + A) এবং “Delete” ক্লিক করুন।
- Recycle Bin আইকন এর উপরে মাউস কার্সর নিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করুন এবং “Empty Recycle Bin” নির্বাচন করুন।
- স্টোরেজ স্পেস বৃদ্ধি করার জন্য, ইনস্টল করা প্রোগ্রামগুলির তালিকা দেখুন এবং অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো সিলেক্ট করুন এবং আনইনস্টল করুন।
এই প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে আপনার হার্ড ড্রাইভ ক্লিনিং এবং টেম্পোরারি ফাইল রিমুভাল সহজে করতে পারেন, যা আপনার কম্পিউটারের স্টোরেজ স্পেস ফ্রিং উন্নত করবে।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে How to Run in Windows 10
উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কিভাবে সঠিকভাবে চালাতে হবে তা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন আপনি বিভিন্ন মোডে উইন্ডোজ ১০ রান করানো চাইছেন বা উইন্ডোজ ট্রাবলশুটিং করছেন। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং অ্যাডভান্সড উইন্ডোজ সেটিংস শেয়ার করা হলো যা আপনার কম্পিউটারের পারফর্মেন্স উন্নত করতে সাহায্য করবে।
১. ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার পদ্ধতি:
যদি আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকে যায়, তাহলে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
- কার্যরত প্রক্রিয়াগুলি শেষ করা।
- অজানা প্রক্রিয়া বন্ধ করা।
- উইন্ডোজ ডিফেন্ডার চালু করা।
- ভাইরাস এবং থ্রেট প্রটেকশন ব্যবহার করা।
পপ-আপ মেসেজ, কম্পিউটারের ধীরগতি এবং অস্বাভাবিক শব্দগুলি ভাইরাসের ইঙ্গিত দেয়।
২. Task Manager ব্যবহার:
কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় উন্নতি করার জন্য Task Manager এর Startup ট্যাব ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন কোন অ্যাপগুলো বেশি সময় চুরি করছে। সিস্টেম কনফিগারেশন (msconfig) ব্যবহার করেও স্টার্টআপ টাইম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
৩. উইন্ডোজ ডিফেন্ডার ফায়ারওয়াল:
এটি একটি শক্তিশালী টুল যা আপনার কম্পিউটারকে ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া, নিশ্চিত করুন যে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে যখন আপনি ভুয়া এন্টিভাইরাস বা অজানা প্রক্রিয়াগুলি বন্ধ করছেন।
৪. আডভান্সড উইন্ডোজ সেটিংস :
আপনার কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা উন্নত করার জন্য কিছু অ্যাডভান্সড উইন্ডোজ সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ভাইরাস এবং থ্রেট প্রটেকশন সক্রিয় করুন এবং Task Manager এর সাহায্যে প্রয়োজনীয় টাস্কগুলি পরিচালনা করুন।
আশা করা হচ্ছে, এই টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি বিভিন্ন মোডে উইন্ডোজ ১০ রান করানো এবং উইন্ডোজ ট্রাবলশুটিং করতে সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। অ্যাডভান্সড উইন্ডোজ সেটিংসতেও যাতে আপনার ঝামেলা না হয়, সেজন্য প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না।
স্টার্টআপ প্রোগ্রাম বন্ধ করা
আপনার উইন্ডোজ ১০ পিসির বুট স্পিড বাড়ানোর জন্য স্টার্টআপ প্রোগ্রাম বন্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি প্রোগ্রাম যা স্টার্টআপে চালু হয়, আপনার সিস্টেমের রিসোর্স ব্যবহার করে থাকে। তাই স্টার্টআপ অপটিমাইজেশন চালিয়ে যেতে হলে, এই প্রোগ্রামগুলোকে বন্ধ করা আবশ্যক। এছাড়াও, msconfig টিপস ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার পিসির স্টার্টআপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
System Configuration (msconfig) ব্যবহার
msconfig একটি শক্তিশালী টুল যা আপনাকে উইন্ডোজের স্টার্টআপ প্রোগ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে আপনি কোন প্রোগ্রামগুলো স্টার্টআপে চালু হবে বা হবে না তা নির্ধারণ করতে পারবেন। নিচে msconfig টিপস প্রদত্ত হল:
- msconfig চালু করতে, উইন্ডোজ সার্চ বার এ “msconfig” টাইপ করুন এবং System Configuration এর উপর ক্লিক করুন।
- “Startup” ট্যাব এ যান এবং অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলির টিক চিহ্ন সরিয়ে দিন।
- “Apply” এবং তারপর “OK” ক্লিক করুন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৭১% স্টার্টআপ প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয়েছিলো যা স্টার্টআপ অপটিমাইজেশন এবং বুট স্পিড বাড়ানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী প্রমাণ হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি অবলম্বন করলে আপনার পিসি আরও দ্রুত বুট হবে এবং রিসোর্স অপটিমাইজেশন হবে।
গেম মোড ব্যবহার করে পারফর্মেন্স বৃদ্ধির উপায়
উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা গেমিং পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য Windows 10 গেম মোড ব্যবহার করতে পারেন। এটি মূলত সিস্টেম অপ্টিমাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে, যাতে গেম খেলার সময় কম্পিউটার অন্যান্য কাজ থেকে বিরত থাকে এবং সব রিসোর্স গেমে ফোকাস করে।
- প্রথমে সেটিংস এ যান।
- গেমিং সেকশনে ক্লিক করুন।
- গেম মোড অপশনটি সিলেক্ট করুন।
- গেম মোড অন করুন।
এটি অন করলেই আপনার গেমিং পারফরম্যান্স উন্নত হবে। এটাকে সিস্টেম অপ্টিমাইজেশন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে গণ্য করা হয়। বিশেষ করে Windows 10 গেম মোড গেমারদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী, যেমনটি মাইক্রোসফট উল্লেখ করেছে তাদের হালনাগাদে।
- গেম মোড সবসময় আপনার গেমিং এক্সপিরিয়েন্সকে স্মুথ করে তুলবে।
- অন্য কোন অ্যাপ্লিকেশন থেকে পাওয়ার ড্র করতে দেবে না।
- RAM এবং CPU সম্পূর্ণ গেমে ডেডিকেট করা থাকবে।
Windows 10 গেম মোড আপনার গেমিং পারফরম্যান্স কে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে, বিশেষত যখন আপনি হাই-এন্ড গেমস খেলেন। একটি সুষ্ঠু সিস্টেম অপ্টিমাইজেশন পেতে আপনি সবসময় এই অপশনটি অন রেখে দিতে পারেন।
ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস বন্ধ করা
উইন্ডোজ ১০ এর পারফর্মেন্স বাড়ানোর জন্য অন্যতম কার্যকর উপায় হল ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ডিসেবল করা। এটি সিস্টেম স্পিড বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
Advanced system settings কনফিগার করা
ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ডিসেবল করার প্রথম ধাপ হল Advanced System Settings কনফিগার করা। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার পছন্দমতো অপশন নির্ধারণ করতে পারেন। নীচে ধাপগুলো দেওয়া হল:
- Start মেনু থেকে Search Box খুলুন এবং “Advanced System Settings” টাইপ করুন।
- System Properties উইন্ডোতে Performance সেকশনে যান এবং Settings অপশন নির্বাচন করুন।
Adjust for best performance অপশনের ব্যবহার
Advanced System Settings থেকে Performance Options উইন্ডোতে, Adjust for Best Performance অপশনে ক্লিক করুন। এই পদক্ষেপে ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ডিসেবল হয়ে যাবে এবং এর ফলে অপ্টিমাইজ উইন্ডোজ ১০ এর পারফর্মেন্স উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
উইন্ডোজ ১০ এর অন্যান্য উপাদানগুলোর মতো এই অপশন ব্যবহার করলে আপনার কম্পিউটার দ্রুত কাজ করার জন্য প্রস্তুত হবে। সিস্টেম স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য এটি একটি উপকারী প্রযুক্তি।
অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইনস্টল
উইন্ডোজ ১০ থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইনস্টল করা নিশ্চিতভাবে সিস্টেমের পারফর্মেন্স উন্নতি করতে সহায়ক। অনাকাঙ্ক্ষিত সফটওয়্যার দীর্ঘ সময়ে কম্পিউটারকে ধীরগতির করে তুলতে পারে, ফলে বিরক্তিকর ব্যবহারের অভিজ্ঞতা হতে পারে।
প্রথমত, কন্ট্রোল প্যানেল খুলুন এবং প্রোগ্রামস এন্ড ফিচারস-এ যান। এখান থেকে সেই সকল প্রোগ্রাম নির্বাচন করুন যা আপনার ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় নয় এবং আনইনস্টল অপশন-এ ক্লিক করুন। অনেক সময় আপডেট বা অব্যবহার্য সফটওয়্যার থেকে সিস্টেম স্পেস দখল করে রাখতে পারে, তাই এদের রিমুভ করে স্পেস খালি করুন এবং সিস্টেমকে ফাস্ট করুন।
প্রোগ্রাম আনইনস্টল করার মাধ্যমে আপনিও নিশ্চয় করে ফেলবেন যে, আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল থাকা সফটওয়্যারগুলি নির্ভরযোগ্য এবং প্রয়োজনীয়। উল্টো দিকে, অব্যবহৃত প্রোগ্রামগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্যারাসিটিক ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস বহন করে থাকে। ২০১৮ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে ৯১% কম্পিউটার পাইরেটেড উইন্ডোজ ব্যবহার করে, যার মধ্যে ৮৫% কম্পিউটারে ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার পাওয়া গেছে।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজারও উল্লেখ করেছেন যে, দেশের বেশিরভাগ পিসি পাইরেটেড উইন্ডোজ ও অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে, যার ফলে সিস্টেমের সিকিউরিটি হুমকির মুখে পড়ে।
তাই, নিয়মিত সফটওয়্যার রিমুভ এবং নতুন আপডেট করা নিশ্চিত করুন, যা উইন্ডোজ ক্লিনআপ এর একটি অংশ। এটি আপনার কম্পিউটারের পারফর্মেন্স বাড়াবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।