ডিভিডি থেকে উইন্ডোজ ১০ সেটআপ করার নিয়ম
উইন্ডোজ ১০ একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম যা সহজেই ইনস্টল করা যায়। উইন্ডোজ ১০ সেটআপ করার অনেক উপায় থাকলেও, ডিভিডি সেটআপ একটি সাধারণ এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।
এই নিবন্ধে, আমরা কিভাবে ডিভিডি থেকে উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল করতে হবে তা ধাপে ধাপে দেখাব। আপনি যদি একটি পুরানো পিসি ইনস্টলেশন করে থাকেন, অথবা আপনি নতুন পিসিতে উইন্ডোজ ১০ সেটআপ করতে চান, তাহলে এই নির্দেশিকাটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।
প্রথমে আপনার কাছে একটি উইন্ডোজ ১০ ডিভিডি অথবা তার ISO ফাইল থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও, আপনার কম্পিউটারে একটি ডিভিডি রাইটার থাকতে হবে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে গেলে প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগতে পারে, যেটি আপনার পিসির পারফরম্যান্স এবং হার্ডওয়্যারের উপর নির্ভর করে।
উক্ত পদক্ষেপগুলি সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে আপনাকে মাইক্রোসফট অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে উইন্ডোজ মিডিয়া ক্রিয়েশন টুল ডাউনলোড করতে হবে। এরপর, ডিভিডিতে রাইট করার আগে এটি সঠিকভাবে পরীক্ষা করতে হবে। উইন্ডোজ ১০ সেটআপ প্রক্রিয়ায় ১৮টি ধাপ রয়েছে, যা আপনাকে সতর্কতার সাথে অনুসরণ করতে হবে।
ডিভিডি সেটআপ প্রক্রিয়ার পূর্ণ নির্দেশাবলী নীচের বিভাগে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় ডিভিডি এবং সফটওয়্যার প্রস্তুতি
উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশনের প্রক্রিয়াটি শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। অধিকাংশ ব্যবহারকারী এই কাজটি করতে চান কারন তারা যাচাই করেননি যে তাদের ডিভিডিতে থাকা ফাইলগুলি সম্পূর্ণ ও সঠিক। এই কারণে, ডিভিডি চেকিং এবং সঠিক ডিভিডি রাইটার সফটওয়্যার ডাউনলোড করা অপরিহার্য।
উইন্ডোজ ১০ ডিভিডি পরীক্ষা
প্রথমেই নিশ্চিত করুন যে আপনার উইন্ডোজ ১০ ডিভিডিটি কোন ভূলে বা ক্ষতিগ্রস্ত নয়।
- ডিভিডি চেকিং করার জন্য, আপনার কম্পিউটারে একটি ডিভিডি ড্রাইভের প্রয়োজন হবে।
- ডিভিডি ড্রাইভটি ব্যবহার করে ডিভিডি ডিস্কটি পরীক্ষা করে দেখুন কোনও ফাইল মিসিং বা ক্ষতিগ্রস্ত নয় কিনা।
- এক্ষেত্রে আপনি ডিভিডি চেকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে তথ্য যাচাই করতে সহায়তা করবে।
ডিভিডি রাইটার সফটওয়্যার ডাউনলোড করা
ডিভিডি রাইটার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা সহজ হলেও, নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকরী সফটওয়্যার বেছে নেওয়া উচিত।
- প্রথমে, ইন্টারনেট সংযোগ যাচাই করুন এবং নির্ভরযোগ্য সাইট থেকে ডিভিডি রাইটার সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন।
- ডিভিডি রাইটার সফটওয়্যার ডাউনলোড করলে, সেটি ইনস্টল করুন এবং ব্যবহার বিধি মেনে চলুন।
- এটি নিশ্চিত করুন যে সফটওয়্যারটি আপডেট আছে এবং সাম্প্রতিকতম ড্রাইভার ব্যবহার করছে।
এই ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি সঠিকভাবে এবং নিরাপদে আপনার উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন, যা একটি মসৃণ এবং সফল ইনস্টলেশন নিশ্চিত করবে।
পিসি রিস্টার্ট ও BIOS সেটআপ
উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশন শুরু করার আগে, প্রথম ধাপ হচ্ছে পিসি রিস্টার্ট করা এবং সঠিকভাবে BIOS সেটআপ করা। পিসি রিরিস্টার্ট করার পরে, BIOS মেনুতে প্রবেশ করতে সঠিক কি প্রেস করতে হবে। সাধারণত এটি হতে পারে F9, F10, বা Del কী।
পিসি রিবুট করার সময় সঠিক কী প্রেস করে BIOS মেনুতে প্রবেশ করতে পারেন। অনেক ব্র্যান্ডের কম্পিউটারে বিভিন্ন কি প্রয়োজন হতে পারে। পিসি চালু হওয়ার সাথে সাথেই বারবার এই কী প্রেস করতে হবে, যতক্ষণ না BIOS মেনু প্রদর্শিত হয়।
BIOS সেটিং পরিবর্তন
BIOS মেনুতে প্রবেশ করার পরে, আপনার CD-ROM ড্রাইভকে প্রথম বুট ডিভাইস হিসাবে সেট করতে হবে। এটি করতে হলে BIOS সেটিংস মেনুতে যান এবং পরিবর্তন করুন। এইভাবে, কম্পিউটার প্রথমে CD-ROM ড্রাইভ থেকে বুট করার চেষ্টা করবে এবং উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশনের প্রক্রিয়াটি শুরু হবে।
ডিভিডি থেকে উইন্ডোজ ১০ সেটআপ করার পদ্ধতি
ডিভিডি ইনস্টলেশন সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে ডিভিডিটি সঠিকভাবে কম্পিউটারে প্রবেশ করাতে হবে। এরপর, নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করা উচিত:
- কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন এবং BIOS সেটিংসে প্রবেশ করুন। এক্ষেত্রে সাধারণত “Delete” অথবা “F2” বোতাম চাপতে হয়।
- BIOS-এ প্রবেশ করার পর, বুট সেটিংস মেনু থেকে “প্রথম বুট ডিভাইস” হিসেবে ডিভিডি/সিডি ড্রাইভ নির্বাচন করুন।
- সেট পরিবর্তন করার পর, BIOS থেকে প্রস্থান করুন এবং সংরক্ষণ করুন।
- কম্পিউটার পুনরায় চালু হলে, ডিভিডি থেকে উইন্ডোজ ১০ সেটআপ শুরু হবে।
উইন্ডোজ ১০ সেটআপের সময় আপনি একাধিক অপশন দেখতে পাবেন, তবে আপনাকে ধাপে ধাপে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে:
- প্রথমে, ইনস্টলেশন উইন্ডোতে আপনার পছন্দের ভাষা, সময় এবং কীবোর্ড পদ্ধতি নির্বাচন করুন। এরপর “Next” বাটনে ক্লিক করুন।
- পরবর্তী ধাপে, “Install Now” বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনার বৈধ উইন্ডোজ ১০ সিরিয়াল কী লিখুন।
- লাইসেন্স চুক্তি গ্রহণ করুন এবং ইনস্টলেশন প্রকার হিসেবে “Custom: Install Windows only (advanced)” নির্বাচন করুন।
- ডিস্ক পার্টিশনিং এবং ফরম্যাটিংয়ের সময়, আপনার ডিভাইসের সঠিক হার্ড ড্রাইভ নির্বাচন করুন এবং ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু করুন।
ডিভিডি ইনস্টলেশন প্রক্রিয়ার শেষে, উইন্ডোজ ১০ এর ইন্সটলেশন সম্পন্ন হলে একবার কম্পিউটার রিস্টার্ট হতে পারে। এরপর উইন্ডোজ ১০-এর নতুন অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশন পদ্ধতির ধাপ
উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া একটি সহজ তবে সুচিন্তিত ইনস্টলেশন ধাপ অনুসরণ করে সম্পন্ন করা সম্ভব। ডিভিডি থেকে বুট করার পর নীচের নির্দেশনাগুলো মেনে চললে আপনি সহজেই উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল করতে পারবেন।
ইনস্টল উইন্ডো লোড করা
ডিভিডি থেকে বুট করার পর প্রথমে একটি লোডিং উইন্ডো প্রদর্শিত হবে। এখানে আপনাকে ‘Install now’ বোতামে ক্লিক করতে হবে। এটি ইনস্টলেশনের প্রাথমিক ধাপ যেখানে সঠিকভাবে ক্লিক করলে পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
ইনস্টলেশন ভাষা নির্বাচন
‘Install now’ বোতামে ক্লিক করার পর ইনস্টলেশন মেনুতে প্রবেশ করুন। এখানে ভাষা নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত, ইনস্টলেশন ধাপের জন্য ইংরেজি বা আপনার পছন্দের ভাষা নির্বাচন করাই শ্রেয়। এটি ইনস্টলেশনের পরবর্তী ধাপগুলোতে সুবিধা প্রদান করবে।
পার্টিশন ম্যানেজমেন্ট
ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট এমন একটি প্রক্রিয়া যা সিস্টেম ইনস্টলেশনের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বা পুনরাইন্সটল করা উইন্ডোজ সিস্টেমটি সঠিক ড্রাইভে ইনস্টল নিশ্চিত করার জন্য এবং সঠিক প্রোগ্রাম ব্যবহার করে পার্টিশন পরিচালনা করা প্রয়োজন।
AOMEI Partition Assistant Standard এর মধ্যে রয়েছে ৬৩৭টি ফিচার্স, যা ব্যবহারকারীদের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পার্টিশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার হিসেবে সুপরিচিত করেছে। এই সফটওয়্যারটি ডিস্ক পার্টিশনের সমস্যাগুলি সমাধান করতে সক্ষম, তা ডিস্কের ধরন (MBR বা GPT) বা আকার যেমনই হোক না কেন।
এই সফ্টওয়্যারটি সেক্টর-লেভেল ডেটা প্রোটেকশন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে। এই সফটওয়্যারের কিছু জনপ্রিয় ফিচার হল:
- পার্টিশন রিসাইজ
- পার্টিশন মার্জ
- পার্টিশন ডিলিট
- পার্টিশন ফরম্যাট
- পার্টিশন কপি
যারা আরও উন্নত ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট পছন্দ করেন, তাদের জন্য AOMEI Partition Assistant Professional Edition একটি ভালো বিকল্প। এটা Windows 11, 10, 8.1/8, 7 সাপোর্ট করে এবং $49.95 মূল্যে পাওয়া যায়। এই এডিশনটি পার্টিশন তৈরি, এক্সটেন্ড, শ্রীঙ্ক, মুভ, ডিলিট, ফরম্যাট, মার্জ এবং ক্লোন করতে সহায়ক। এটি কি আরও করতে পারে? ডেটা ডিস্ক MBR/GPT-তে কনভার্ট করা, NTFS/FAT32-তে কনভার্ট করা, ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট করা, জাঙ্ক ফাইল পরিষ্কার করা, ফাইল শ্রেড করা, ডেটা ওয়াইপ করা, খারাপ সেক্টর পরীক্ষা করা, ডিস্কের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং ডিস্ক স্পীড পরীক্ষা করা।
উইন্ডোজ ডিস্ক ম্যানেজমেন্টকে সহজ করার জন্য কিছু জনপ্রিয় টুলসের মধ্যে রয়েছে MiniTool Partition Wizard এবং Defraggler। MiniTool Partition Wizard হার্ড ডিস্ক এবং SSD-এর অপটিমাইজেশনের জন্য সেরা বিনামূল্যের পার্টিশন সফ্টওয়্যার। Defraggler, CCleaner থেকে, সেরা বিনামূল্যের ডিফ্র্যাগমেন্ট সফটওয়্যার হিসেবে পরিচিত যা সিস্টেম পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করে।
ডেটা রিকভারি এবং ব্যাকআপের জন্য, Acronis True Image এবং Wondershare Recoverit উল্লেখযোগ্য নাম। Acronis ব্যাকআপের সম্পূর্ণ ক্ষমতা এবং অপশন প্রদান করে, আর Recoverit ডেটা রিকভারি সফ্টওয়্যার ৫,৪৮১,৪৩৫ বার ডাউনলোড হয়েছে এবং এটি ২০০০+ স্টোরেজ ডিভাইস এবং ৫০০+ ডেটা হারানো পরিস্থিতি সাপোর্ট করে।
আপনার অমূল্য ডেটা এবং পার্টিশন সুরক্ষিত রাখতে করলে, নির্ভরযোগ্য ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।
লিসেন্স ও প্রাইভেসি চুক্তি গ্রহণ করা
উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশনের সময়, লাইসেন্স চুক্তি ও প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে, ইনস্টলেশন পদ্ধতিতে এগিয়ে চলুন এবং `I accept the license terms` চেকবক্স চেক করুন। এর মাধ্যমে আপনি মাইক্রোসফ্টের লাইসেন্স চুক্তি এবং প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করছেন।
এই ধাপটি শেষ হলে, পরবর্তী ধাপে যেতে `Next` বাটনে ক্লিক করুন। অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি সমস্ত শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ে এবং বোঝে নিয়েছেন। কারণ এই চুক্তি গ্রহণ না করলে, ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
- লাইসেন্স চুক্তি: এটি উইন্ডোজ ব্যবহার করার জন্য মাইক্রোসফ্টের সাথে আপনার চুক্তি।
- প্রাইভেসি পলিসি: এটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হবে সে সম্পর্কে সমস্ত বিবরণ দেয়।
প্রত্যেকটি ধাপ সম্পূর্ণ করে, আপনি উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশনের পরবর্তী ধাপগুলিতে এগিয়ে যেতে পারবেন, যা আপনার সিস্টেমকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করবে। এইভাবে, আপনি একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত কম্পিউটিং পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবেন।
ইনস্টলেশন টাইপ নির্বাচন
উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশনের সময় সঠিক ইনস্টলেশন টাইপ নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আপনি দুটি প্রধান বিকল্প পাবেন: আপগ্রেড এবং কাস্টম ইনস্টল।
আপগ্রেড বনাম কাস্টম ইনস্টলেশন
আপগ্রেড অপশনটি আপনার পূর্ববর্তী যাবতীয় ডাটা, সেটিংস, এবং অ্যাপ্লিকেশন সংরক্ষণ করে। এই পদ্ধতিটি সাধারণত তখনই বেছে নেওয়া হয় যখন আপনি আপনার বর্তমান উইন্ডোজ সংস্করণ থেকে নতুন সংস্করণে উৎকর্ষতা আনতে চান, যেমন উইন্ডোজ ৭ থেকে উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেড। তবে, নিশ্চিত করতে হবে আপনার হার্ডওয়্যার সিস্টেম এই আপগ্রেডের জন্য উপযুক্ত কিনা। উদাহরণস্বরূপ, উইন্ডোজ ১০ চালাতে আপনার কম্পিউটারের প্রসেসর, র্যাম, এবং হার্ডডিস্ক স্পেস নিম্নলিখিত হওয়া প্রয়োজন:
- ৩২ বা ৬৪ বিট প্রসেসর: ১ বা ২ গিগাহার্টজ
- র্যাম: ১ বা ২ গিগাবাইট
- হার্ডডিস্ক স্পেস: কমপক্ষে ২০ গিগাবাইট
অন্যদিকে, ਕਸਟਮ ਇਨਸਟਾਲ অপশনটি নতুন ইনস্টলেশনের জন্য ব্যবহৃত হয় যেখানে আগের সমস্ত ডাটা মুছে ফেলা হবে। এটি সাধারণত তখনই বেছে নেওয়া হয় যখন আপনি সম্পূর্ণ নতুন সেটআপ চান। এই পদ্ধতিতে, আপনি “Custom: Install Windows only (advanced)” অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এটি আপনাকে নতুন পার্টিশন তৈরি করতে বা পুরনোগুলি মুছে ফেলতে সুযোগ দেবে।
প্রতিটি ইনস্টলেশন পদ্ধতির নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। আপনার প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে একটি সঠিক ইনস্টলেশন টাইপ নির্বাচন করুন এবং উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশনের সময় সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিন।
ডিস্ক পার্টিশনিং এবং ফরম্যাটিং
ইনস্টলার চালানোর সময়, আপনাকে সেই ডিস্ক পার্টিশন নির্বাচন করতে হবে যেখানে আপনি উইন্ডোজ ইনস্টল করতে চান। সঠিক পার্টিশন নির্বাচন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভুল নির্বাচন করলে আপনার পুরানো ডেটা মুছে যেতে পারে।
সঠিক পার্টিশন নির্বাচন
ইনস্টলেশন প্রক্রিয়ার সময় ডিস্ক পার্টিশন পর্দায় দেখানো হবে। এগুলির মধ্য থেকে সঠিক পার্টিশন নির্বাচন করে ইনস্টলেশন শুরু করুন। সাধারণত প্রধান পার্টিশনটি নির্বাচন করা ভালো যা মোট আকারের দৃষ্টিকোণ থেকে বড় হয়।
ইনস্টলেশনের পূর্বে, কোনো সংযুক্ত অন্য হার্ডড্রাইভ বিচ্ছিন্ন করা উচিৎ যাতে অবাঞ্ছিত ডেটা মুছে যাওয়ার ঝুঁকি না থাকে। ডিস্ক ফরম্যাট করার সুবিধা হলো এটি নতুন করে শুরু করার সুযোগ দেয় এবং পুরানো ডেটা সরিয়ে ফেলে, ফলে নতুন সিস্টেম ক্লিন ইনস্টল হিসেবে কাজ করতে পারে।
- আপনার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ করে নিন।
- ঐ ডিস্ক পার্টিশন নির্বাচন করুন যা ফরম্যাট করতে চান।
- ইনস্টলার নির্দেশনা অনুযায়ী ফরম্যাট অপশন নির্বাচন করুন।
- ইনস্টলেশন সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
প্রতিটি সিলিন্ডার হেড সেক্টর (CHS) পদ্ধতি ব্যবহার করে, হার্ডডিস্কের প্ল্যাটারগুলোতে সংরক্ষিত তথ্য সঠিকভাবে অ্যাড্রেস করে। এতে অধিকতর ভালো পারফরম্যান্স এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত হয়।
উইন
উইনডোজ ১০ স্থাপন করার পরবর্তী ধাপে আমরা ইন-প্লেস আপগ্রেড প্রসেস নিয়ে আলোচনা করব। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি ISO ব্যবহার না করেই পরবর্তী ফিচার আপডেট ইনস্টল করতে পারেন। বিশেষ করে, যদি আপনার ইন্টারনেট সংযোগ নির্ভরযোগ্য হয়, তবে এটি একটি সুবিধাজনক পদ্ধতি হতে পারে।
উইনডোজ ইন-প্লেস আপগ্রেড করার জন্য আপনাকে প্রথমে মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ইনস্টলেশন মিডিয়া ডাউনলোড করতে হবে। একবার ডাউনলোড সম্পন্ন হলে, টুলটি রান করুন এবং মাইক্রোসফট লাইসেন্স শর্তাবলী গ্রহণ করুন। এরপর “Upgrade PC Now” বিকল্পটি নির্বাচন করুন। এটি কয়েকটি ফাইল ডাউনলোড করবে এবং আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে যে আপনি ব্যক্তিগত ফাইল রেখে দিতে চান কিনা বা নতুনভাবে শুরু করতে চান।
পুরো প্রক্রিয়াটি একাধিকবার সিস্টেম রিস্টার্ট করতে হতে পারে, এবং ফলস্বরূপ আপনাকে আবার লোগিন করতে হবে। এছাড়াও, প্রাইভেসি সেটিংস এবং কোরটানা সেটিংস কনফিগার করার অপশনও থাকবে। তৃতীয় পক্ষের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিষ্ক্রিয় করা বা আনইনস্টল করা এবং এক্সটার্নাল পেরিফেরাল আনপ্লাগ করা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হয়।
উইনডোজ ১০ ইন-প্লেস আপগ্রেড পদ্ধতি ব্যবহার করে সর্বশেষ সংস্করণ ইনস্টল করা অত্যন্ত প্রস্তাবিত, বিশেষ করে যদি বৈশিষ্ট্য আপডেট ডাউনলোড করার সময় বাধার সম্মুখীন হন। এটি আরও সহজ এবং দ্রুত একটি সমাধান প্রদান করে যা আপনার সিস্টেম আপডেট করতে পারে কোন বড় সমস্যা ছাড়াই।