ল্যাপটপে উইন্ডোজ সেটআপ করার সহজ নিয়ম

আপনার ল্যাপটপে উইন্ডোজ ইনস্টলেশন করা সম্ভবত আপনাকে জটিল মনে হতে পারে। কিন্তু সঠিক নির্দেশনা এবং পদক্ষেপগুলো মেনে চললে, এটি বেশ সহজ প্রক্রিয়া হতে পারে। এই উইন্ডোজ সেটআপ গাইডটি আপনার জন্য উপযোগী হবে, যাতে আপনি সহজেই আপনার ল্যাপটপে উইন্ডোজ সেটআপ করতে পারেন। এখানে আমরা ধাপে ধাপে উইন্ডোজ কনফিগারেশন টিপস নিয়ে আলোচনা করবো, যা আপনাকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বুঝতে এবং সম্পাদন করতে সাহায্য করবে।

Contents show

উইন্ডোজ সেটআপ শুরু করার আগে যা যা লাগবে

উইন্ডোজ সেটআপ শুরুর পূর্বে কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে যাতে আপনার ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া সফল হয়। এই পর্বে, আমরা উইন্ডোজ ইনস্টলেশন ড্রাইভ তৈরি করা এবং ফাইল ব্যাকআপ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করব।

Windows Setup Drive তৈরি করা

উইন্ডোজ সেটআপের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উইন্ডোজ ইনস্টলেশন ড্রাইভ তৈরি করা। এই ড্রাইভটি আপনাকে আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে সাহায্য করবে। এটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায় মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। সাধারণত একটি ইউএসবি ড্রাইভ বা ডিস্ক ব্যবহার করে এটি তৈরি করা যায়।

  • প্রথম ধাপ: একটি ফাঁকা ৮ জিবি বা তার বেশি স্টোরেজ ক্যাপাসিটির ইউএসবি ড্রাইভ সংগ্রহ করুন।
  • দ্বিতীয় ধাপ: মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল উইন্ডোজ ডাউনলোড টুল ব্যবহার করে উইন্ডোজ ইমেজ ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
  • তৃতীয় ধাপ: টুলটি চালু করে উইন্ডোজ ইনস্টলেশন ড্রাইভ তৈরি করুন।

যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ব্যাকআপ রাখুন

যেকোন ধরনের ডেটা লস এড়ানোর জন্য, উইন্ডোজ সেটআপের আগে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলি ব্যাকআপ রাখা হচ্ছে অপরিহার্য। ফাইল ব্যাকআপ পদ্ধতি অনুসরণ করে, আপনি আপনার ডেটা নিরাপদ রাখতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের স্টোরেজ মিডিয়া, যেমন হার্ড ড্রাইভ, ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, অথবা ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করে আপনি এসব ব্যাকআপ রাখতে পারেন।

  • প্রয়োজনীয় ফাইলগুলির তালিকা তৈরি করুন।
  • ওয়ানড্রাইভ, গুগল ড্রাইভ বা অন্য কোনো ক্লাউড সার্ভিসে ফাইলগুলির কপি আপলোড করুন।
  • গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং ফটোগুলি ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখুন।

উইন্ডোজ ইনস্টলেশনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করলে আপনার ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত হবে। ফাইল ব্যাকআপ পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে, আপনি নিরাপদে আপনার ইউনিটে নতুন উইন্ডোজ সেটআপ শুরু করতে পারবেন।

বায়োস সেটিংস পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

যখন আপনি নতুন উইন্ডোজ সেটআপ করছেন বা পুরানো একটিকে পুনরায় ইনস্টল করছেন, তখন বায়োস সেটিংসে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে। বায়োস সেটিংস আপনাকে আপনার ল্যাপটপের হার্ডওয়্যার এবং অন্যান্য মূল কনফিগারেশনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সহায়তা করে। প্রধান উদ্দেশ্য হলো বুট অর্ডার কনফিগারেশন সঠিকভাবে স্থাপন করা। সঠিক বায়োস সেটিংস নিশ্চিত করে উইন্ডোজ ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে।

আরও পড়ুনঃ  কিভাবে HP ল্যাপটপ রিসেট করবেন - সম্পূর্ণ গাইড

বায়োস এ প্রবেশ করার পদ্ধতি

বায়োস এ প্রবেশ করা খুব সহজ, তবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের জন্য এর পদ্ধতি একটু ভিন্ন হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ল্যাপটপে বায়োস ওপেন করার জন্য, আপনাকে পিসি চালু হওয়ার সময় একটি নির্দিষ্ট কী প্রেস করতে হয়। সাধারণত এই কী হতে পারে F2, F10 অথবা Delete। আপনার মডেলের জন্য সঠিক কী না জানলে, ম্যানুয়ালের সাহায্য নিন।

বুট অর্ডার পরিবর্তন করা

উইন্ডোজ সেটআপ সফলভাবে সম্পন্ন করতে হলে, বুট অর্ডার কনফিগারেশন সঠিকভাবে করতে হবে। বায়োসে প্রবেশ করলে, Boot ট্যাব নির্বাচন করুন এবং আপনার USB ড্রাইভ বা ডিভিডি ড্রাইভকে প্রথম বুট ডিভাইস হিসেবে সেট করুন। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনার ল্যাপটপ USB বা ডিস্ক থেকে বুট হবে এবং আপনি সঠিকভাবে উইন্ডোজ ইনস্টলেশন শুরু করতে পারবেন।

USB ড্রাইভ থেকে উইন্ডোজ ইনস্টলেশন শুরু

ল্যাপটপে ইন্সটলেশনের জন্য ইউএসবি থেকে উইন্ডোজ ইনস্টল একটি দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। এই অংশে আমরা ইউএসবি ড্রাইভ সংযোগ করা এবং বুট মেনু গাইডের মাধ্যমে সহজেই উইন্ডোজ সেটআপের বিস্তারিত তুলে ধরবো।

ইউএসবি ড্রাইভ সংযোগ করা

প্রথমে, আপনার প্রস্তুতকৃত ইউএসবি ড্রাইভকে ল্যাপটপে সংযুক্ত করুন। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে ইউএসবি ড্রাইভটি সঠিকভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং এতে উইন্ডোজ ইন্সটলেশন ফাইল রয়েছে। ইউএসবি ড্রাইভ সেটআপের জন্য সহজ-পদ্ধতির মানদণ্ডগুলো অনুসরণ করুন যেন কনফিগারেশন প্রক্রিয়া বিনা বাধায় সম্পন্ন হয়।

বুট মেনু থেকে ইউএসবি নির্বাচন

ইউএসবি ড্রাইভ সংযোগের পর, ল্যাপটপটি পুনরায় চালু করুন এবং বায়োস সেটআপে প্রবেশ করার জন্য নির্দিষ্ট কী চাপুন। সাধারণত এটি Del, F2 বা Esc চাবি হয়ে থাকে, আপনার ল্যাপটপের মডেল অনুযায়ী তা ভিন্ন হতে পারে। একবার বায়োসে প্রবেশ করলে, বুট মেনুতে যান এবং ইউএসবি ড্রাইভকে প্রথম বুট ডিভাইস হিসেবে নির্বাচন করুন। এটি করার জন্য কিছু ক্ষেত্র বিশেষ নির্দেশনাসহ বুট মেনু গাইড ব্যবহার করুন।

কিভাবে Windows Setup করতে হয়

ল্যাপটপে উইন্ডোজ সেটআপ করার জন্য আপনাকে পদ্ধতিগতভাবে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। Windows Setup ধাপসমূহ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ইনস্টলেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।

  1. ইন্সটলেশন মিডিয়া তৈরি: প্রথম ধাপটি হলো একটি বুটেবল ইউএসবি ড্রাইভ তৈরি করা যেখানে উইন্ডোজ সেটআপ ফাইল থাকবে। মাইক্রোসফটের অফিশিয়াল সাইট থেকে উইন্ডোজ মিডিয়া ক্রিয়েশন টুল ব্যবহার করে এটি করা সম্ভব।
  2. বুট অপশন নির্বাচন: BIOS অথবা UEFI সেটিংসে প্রবেশ করে বুট অপশন পরিবর্তন করতে হবে। ইউএসবি ড্রাইভকে প্রথমিক বুট ডিভাইস হিসেবে সেট করতে হবে, যাতে পিসি বা ল্যাপটপ এটি থেকে বুট করতে পারে।
  3. ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া শুরু: ল্যাপটপে বুট করার পর উইন্ডোজ সেটআপ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এখানে ভাষা, সময় এবং কিবোর্ড সেটিংস নির্বাচন করতে হবে।
  4. উইন্ডোজ ইনস্টলেশন: ‘ইনস্টল নাউ’ বোতামে ক্লিক করার পর আমাদের ইউসার এগ্রিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে এবং নতুন বা আগে থেকে বিদ্যমান পার্টিশনে উইন্ডোজ ইনস্টল করা যাবে।
  5. কনফিগারেশন: ইনস্টলেশন সম্পূর্ণ হলে, আপনাকে ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ  ম্যাকবুকে স্ক্রোল করার বিভিন্ন পদ্ধতি

এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই উইন্ডোজ সেটআপ করতে পারবেন। আমাদের এই ল্যাপটপে উইন্ডোজ ইনস্টালেশন গাইড আপনাকে আরও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দিতে সক্ষম।

উইন্ডোজ ইনস্টলেশন প্রসেস

উইন্ডোজ ইনস্টলেশনের সময়, প্রথম ধাপে পার্টিশন তৈরি এবং সঠিকভাবে নির্বাচন করার প্রয়োজন হয়। হার্ড ড্রাইভ পার্টিশনিং এবং ফাইল কপি করার পদক্ষেপগুলি সঠিকভাবে অনুসরণ করা জরুরি।

পার্টিশন তৈরি এবং নির্বাচন

প্রথমে, ইনস্টলেশনের পদক্ষেপ শুরু করার জন্য আপনার হার্ড ড্রাইভ পার্টিশনিং করা উচিত। এটি আপনার ড্রাইভকে ভাগ করে উইন্ডোজের জন্য একটি আলাদা স্থান তৈরি করবে। এটি করার জন্য:

  1. ইনস্টলেশন স্ক্রিনে ‘Custom (Advanced)’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
  2. আপনার ধরণ অনুসারে একটি নতুন পার্টিশন তৈরি করতে ‘New’ বোতামটি চাপুন।
  3. পার্টিশনের আকার নির্ধারণ করুন এবং ‘Apply’ এ ক্লিক করুন।
  4. অবশেষে, ইনস্টলেশনের পদক্ষেপ এগিয়ে নিতে নতুন তৈরি পার্টিশনটি নির্বাচন করুন।

ফাইল কপি এবং ইনস্টলেশন

পার্টিশন নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরে, উইন্ডোজ ফাইল ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে:

  1. ইনস্টলেশন মিডিয়া থেকে সিস্টেম ফাইলগুলি কপি হবে এবং যথাস্থানে সংরক্ষিত হবে।
  2. প্রয়োজনীয় ফাইল কপি শেষে, ইনস্টলেশনের পদক্ষেপ অনুসরণ করে আপনার কম্পিউটার একাধিকবার রিস্টার্ট হবে।
  3. ইনস্টলেশনের পদক্ষেপ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে প্রয়োজনীয় সেটিংস কনফিগার করতে প্রস্তুত থাকুন।

এইভাবে, উইন্ডোজ ফাইল ইনস্টলেশন সম্পন্ন হয় এবং সঠিক হার্ড ড্রাইভ পার্টিশনিং নিশ্চিত করে।

উইন্ডোজ সেটআপ পরবর্তী কনফিগারেশন

উইন্ডোজ সেটআপ সম্পন্ন করার পর, কিছু প্রাথমিক কনফিগারেশন করা প্রয়োজন। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন। সঠিক কনফিগারেশন নিশ্চিত করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি

উইন্ডোজ কনফিগারেশন প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে ইউজার অ্যাকাউন্ট সেটাপ। নতুন ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে, উইন্ডোজ সেটআপ সম্পন্ন হওয়ার পর নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:

  • প্রথমে Settings মেনুতে যান
  • সেখানে থেকে Accounts অপশনটি চয়ন করুন
  • Family & other users এ ক্লিক করুন
  • Add someone else to this PC বাটনে ক্লিক করুন
  • নতুন ইউজারের তথ্য পূরণ করুন

ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন

উইন্ডোজে ইন্টারনেট কানেকশন স্থাপন করতে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  • Network & Internet মেনুতে যান
  • Wi-Fi অথবা Ethernet অপশনটি চয়ন করুন
  • আপনার উপলব্ধ কানেকশন তালিকা থেকে সংশ্লিষ্ট নেটওয়ার্কটি বেছে নিন
  • যদি প্রয়োজন হয়, পাসওয়ার্ড প্রবেশ করান এবং Connect বোতামে ক্লিক করুন

যথাযথ ইন্টারনেট কানেকশন নিশ্চিত করার ফলে, আপনি উইন্ডোজ কনফিগারেশন এবং উইন্ডোজ আপডেট সঠিকভাবে করতে সক্ষম হবেন। ইউজার অ্যাকাউন্ট সেটাপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আপনার উইন্ডোজ সেটআপ প্রক্রিয়া সার্থক হবে।

ড্রাইভার এবং সফটওয়্যার ইন্সটলেশন

আপনার ল্যাপটপ ড্রাইভার ইনস্টলেশন এবং সফটওয়ার সেটআপ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। উইন্ডোজ সেটআপ পরবর্তী পর্যায়ে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমে, আপনি ড্রাইভার ইনস্টলেশন করতে যাচ্ছেন। ল্যাপটপের ব্র্যান্ড এবং মডেল অনুযায়ী ড্রাইভার ডাউনলোড করতে হবে। ড্রাইভার সাধারণত নির্মাতার ওয়েবসাইটে সহজেই পাওয়া যায়। ড্রাইভার ইনস্টলেশন করার সময় নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  1. নির্দিষ্ট ল্যাপটপ মডেলের জন্য সঠিক ড্রাইভার খুঁজে বের করুন।
  2. ড্রাইভার প্যাকেজ ডাউনলোড করুন এবং ইনস্টলেশন ফাইল খুলুন।
  3. ইনস্টলেশনের জন্য নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং সঠিক ড্রাইভারগুলো ইনস্টল করুন।
আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ ১০ ল্যাপটপ ক্যামেরা চালু করার পদ্ধতি

ড্রাইভার ইন্সটলেশন সম্পন্ন হলে, সফটওয়ার সেটআপ করা দরকার। সফটওয়্যার সেটআপ প্রক্রিয়া উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল এর মতো সহজ হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

  • আপনার পছন্দের ব্রাউজার, এন্টিভাইরাস, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ডাউনলোড করুন।
  • ইনস্টলেশন ফাইল খুলুন এবং নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
  • অবশ্যই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার এবং উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল এর মাধ্যমে কাজ শুরু করুন।

এভাবে আপনি সহজেই ল্যাপটপ ড্রাইভার ইনস্টলেশন এবং সফটওয়ার সেটআপ সম্পন্ন করতে পারবেন, যার মাধ্যমে আপনার নতুন সেটআপকৃত উইন্ডোজ ল্যাপটপ পুরোপুরি কার্যকর হবে।

সিকিউরিটি সেটিংস এবং আপডেট চেক

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুরক্ষা বজায় রাখতে, সিকিউরিটি সেটিংস এবং আপডেট চেক করা অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নিই কীভাবে আপনি আপনার উইন্ডোজ সিস্টেমের সুরক্ষা বাড়িয়ে তুলতে পারেন।

Windows Defender সেটআপ

উইন্ডোজ ডিফেন্ডার হলো উইন্ডোজের বিল্ট-ইন সিকিউরিটি সফটওয়্যার যা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার এবং অন্যান্য ক্ষতিকর প্রোগ্রাম থেকে আপনার পিসিকে সুরক্ষিত রাখে। সঠিকভাবে সেটআপ করার জন্য, প্রথমে ‘Settings’ এ যান, এরপর ‘Update & Security’ এবং ‘Windows Security’ তে ক্লিক করুন। তারপর ‘Virus & threat protection’ এ ক্লিক করে উইন্ডোজ ডিফেন্ডার চালু করুন।

উইন্ডোজ আপডেট চেক করা

উইন্ডোজ সিস্টেমের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত উইন্ডোজ আপডেট চেক করা অপরিহার্য। এটি সহজেই করতে পারেন ‘Settings’ মেনু থেকে; সেখানে ‘Update & Security’ এ যান এবং ‘Windows Update’ সেকশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনি সমস্ত সিকিউরিটি আপডেট সহ আপডেটগুলোর তালিকা পাবেন। পরবর্তীতে, ‘Check for updates’ বাটনে ক্লিক করে সিস্টেমের জন্য সর্বশেষ আপডেটগুলি ইনস্টল করুন।

উপসংহার: নিয়মিত উইন্ডোজ আপডেট এবং উইন্ডোজ ডিফেন্ডার সেটআপ রাখলে আপনার পিসি সুরক্ষিত থাকবে এবং আপনি নানান সিকিউরিটি থ্রেট থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

উইন্ডোজ অ্যাক্টিভেশন পদ্ধতি

উইন্ডোজ ইনস্টলেশন সমাপ্ত করার পর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল উইন্ডোজ অ্যাক্টিভেশন করা। অ্যাক্টিভেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, আপনি আপনার অপারেটিং সিস্টেমের আসল কপি ব্যবহারের নিশ্চয়তা পান এবং উইন্ডোজের সকল সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। দুই ধরনের উইন্ডোজ অ্যাক্টিভেশন পদ্ধতি রয়েছে: লাইসেন্স কী ব্যবহার করে এবং ডিজিটাল লাইসেন্স দিয়ে।

লাইসেন্স কী ব্যবহার করে অ্যাক্টিভেশন

লাইসেন্স কী ব্যবহার করে অ্যাক্টিভেশন অন্যতম প্রচলিত এবং সহজ উপায়। একটি বৈধ লাইসেন্স কী পাওয়ার পর, সেটি ব্যবহার করে আপনার উইন্ডোজকে অ্যাক্টিভ করা সম্ভব। প্রথমেই, স্টার্ট মেনু থেকে ‘Settings’ এ গিয়ে ‘Update & Security’ বাছাই করুন। তারপর, ‘Activation’ এ ক্লিক করে ‘Change product key’ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনার লাইসেন্স কী প্রবেশ করিয়ে ‘Next’ এ ক্লিক করুন এবং অনস্ক্রিন নির্দেশনা অনুসরণ করুন। এভাবে, উইন্ডোজ অ্যাক্টিভেশন সম্পন্ন করুন।

ডিজিটাল লাইসেন্স দিয়ে অ্যাক্টিভেশন

ডিজিটাল লাইসেন্সের ব্যবহার আধুনিক সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি Microsoft অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাক্টিভেশন করে। যদি আপনার উইন্ডোজের ডিজিটাল লাইসেন্স থাকে, তবে সেটি আপনার Microsoft অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত থাকবে। ইনস্টলেশনের সময় ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকলে, উইন্ডোজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে।

দুই পদ্ধতিতে উইন্ডোজ অ্যাক্টিভেশনের মাথ্য দিয়ে, আপনি নিজের অপারেটিং সিস্টেমের আসল কপি নিশ্চিত হতে পারবেন এবং নিরাপত্তা ও সুবিধার দিক থেকে নিঃসন্দেহ থাকতে পারবেন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button