শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন ব্যবহার করার পদ্ধতি

আজকের ব্যস্ত জীবনে, একসাথে একাধিক কাজ করার সুযোগ অত্যন্ত মূল্যবান। শাওমি ফোনের স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি ঠিক সেই উদ্দেশ্যেই তৈরি হয়েছে। এই সুবিধার মাধ্যমে আপনি সহজেই দুটি অ্যাপ্লিকেশন একসাথে চালাতে পারবেন, যা মোবাইল ব্যবহারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণা থেকে জানা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের শতকরা ৬৫% শাওমি ফোনে যথাযথভাবে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচার সক্রিয় করতে সক্ষম।

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি চার জন ব্যবহারকারীর মধ্যে একজন স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি নিয়মিত ব্যবহার করেন। এই ফিচারের ব্যাবহার করার পর ব্যবহারকারীদের ৮০% সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি কতটা কার্যকরী এবং সুবিধাজনক। তাই আজই শাওমির স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি ব্যবহার শুরু করুন এবং আপনার মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করুন।

Contents show

স্প্লিট স্ক্রিন সুবিধা কী?

স্প্লিট স্ক্রিন এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা ব্যবহারকারীদের তাদের ফোনের পর্দা দুই বা ততোধিক ভাগে ভাগ করে একসাথে একাধিক অ্যাপ পরিচালনা করতে দেয়। অ্যাপ অপরেশন চলাকালীন এটি ব্যবহারকারীদের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মূলত, অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে দ্রুত তথ্য হস্তান্তর বা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা যায় স্প্লিট স্ক্রিনের মাধ্যমে।

স্প্লিট স্ক্রিনের সাহায্যে কীভাবে কাজ করবেন?

অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের বিভিন্ন সংস্করণে স্প্লিট স্ক্রিন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এটি ব্যবহার করতে প্রথমে একটি অ্যাপ খুলতে হবে, তারপর হোম স্ক্রিনে ফিরে যাচাই করে দেখতে হবে কোন অ্যাপের সাথে একসাথে ব্যবহার করা হবে। এটি করার পর অ্যাপ অপরেশন চলতে থাকবে এবং আপনি একসাথে দুইটি অ্যাপ পরিচালনা করতে পারবেন।

স্প্লিট স্ক্রিনের সুবিধাসমূহ

স্প্লিট স্ক্রিনের মূলত ব্যাবহার অনেক কিছু সহজ করে দেয়। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা উল্লেখ করা হল:

  • একসাথে দুটি অ্যাপ ব্যবহার করা যায়, যেমন হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব।
  • ডকুমেন্ট কপি পেস্ট করা ঐকান্তিক হতে পারে, যেমন একটি ডকুমেন্ট থেকে অন্য ডকুমেন্টে।
  • পর্দার আকার পরিবর্তন করা যায় যাতে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
  • দ্রুত তথ্য তুলনা করা যায়, যেমন শপিং বা গবেষণার সময়।

এই কারণে, স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি বর্তমান সময়ের মোবাইলের অন্যতম দরকারি এবং জনপ্রিয় ফিচার হিসেবে গণ্য করা হয়।

শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচার সক্রিয়করণের প্রাথমিক ধাপগুলি

শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হলে কিছু প্রাথমিক ধাপ অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ করে যাদের ফোনে রিসেন্ট অ্যাপ মেনু এবং অন্যান্য ফাংশন সক্রিয়করণের প্রয়োজন রয়েছে তাদের জন্য এই গাইডটি বেশ উপকারী।

আরও পড়ুনঃ  গুগল প্লে স্টোর আনইনস্টল করার সহজ উপায়

রিসেন্ট অ্যাপ মেনু খোলা

প্রথমে আপনার প্রয়োজন রিসেন্ট অ্যাপ মেনু খোলা। এটি করতে হলে হোম স্ক্রিন থেকে বাম দিকে সোয়াইপ করুন অথবা স্ক্রিনের নিচের অংশ থেকে উপরের দিকে সোয়াইপ করুন। এই মেনুতে আপনার সাম্প্রতিক ওপেন করা অ্যাপগুলি দেখতে পারবেন।

স্প্লিট স্ক্রিন ভিউ নির্বাচন

রিসেন্ট অ্যাপ মেনু থেকে কোন্টা অ্যাপটি স্প্লিট স্ক্রিন ভিউতে ব্যবহার করতে চান সেটা নির্বাচন করুন। অ্যাপটির আইকনের উপরে কিছু সময় চাপ দিয়ে রাখুন, এরপর ‘স্প্লিট স্ক্রিন’ অপশনটি বেছে নিন। এই ধাপে আপনাকে আরও একটি অ্যাপ বেছে নিতে হবে যা স্প্লিট স্ক্রিনে পাশাপাশি চলবে।

নোট: কিছু ক্ষেত্রে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি সক্রিয়করণ কঠিন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ৫০% ব্যবহারকারী আপগ্রেডের পর স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটির সমস্যা সম্মুখীন হয়েছেন। তবে, প্রাথমিক ধাপগুলি সঠিকভাবে অনুসরণ করে এই সমস্যাগুলি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।

  • ৭৯% ব্যবহারকারী রিসেন্ট অ্যাপ ব্যবহারকালে স্প্লিট স্ক্রিন সক্রিয়করণে সমস্যা রিপোর্ট করেছে।
  • ২১% ব্যবহারকারী সফলভাবে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি ব্যবহার করেছেন শাওমি Mi8 মডেলে।
  • ৫৫% ব্যবহারকারী স্প্লিট স্ক্রিন সক্রিয়করণের সেটিং খুঁজে পাননি।

এই ধাপগুলি অনুসরণ করলে এবং বিভিন্ন ব্যবহারকারীর মতামত বুঝে নিলে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি সক্রিয়করণ আরও সহজ হবে।

অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নুগাট থেকে শুরু

অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নুগাট এর অধীনে শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি প্রথম চালু হয়েছিল, যা ব্যবহারকারীদের উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি করে। এই ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে সরাসরি সমর্থন প্রদান করে, ফলে বিভিন্ন ডিভাইসে সহজেই ব্যবহৃত হয়।

অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট

স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নুগাট সহ সমর্থিত বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে সচল থাকে। তবে, কিছু সময়ে, ব্যবহারকারীরা ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকেন বর্তমান অপারেটিং সিস্টেম এবং ডিভাইস স্পেসিফিকেশন এর উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু ডিভাইসে আপডেটের পর স্প্লিট স্ক্রিন অপশনটি হারিয়ে যেতে পারে, আবার কিছু ডিভাইসে নির্দিষ্ট অ্যাপগুলোতে এটি ব্যবহার করা যাবে না।

গবেষণা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি

শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি বহুমুখী কাজ করার সুযোগ দেয়, যা উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি করে। ব্যবহারকারীরা একই স্ক্রিনে দুটি অ্যাপ একসাথে চালাতে পারেন, যেমন গবেষণা করতে করতে নোট নেওয়া, বা ভিডিও দেখার সময় মেসেজিং করা। এটি ছাত্র, পেশাজীবী, এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি কেবলমাত্র ওই অ্যাপগুলোর ক্ষেত্রে কাজ করে যা ফিচারটিকে সমর্থন করে।

How to Split Screen in Xiaomi

শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি ব্যবহার করে একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ চালানো খুবই সহজ। এই ব্যবহারবিধি অনুসরণ করে আপনি সহজেই শাওমি ডিভাইসে স্প্লিট স্ক্রিন শুরু করতে পারবেন। প্রথমে, আপনার ডিভাইসটি Android 7.0 Nougat বা তার পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেম চালিত কিনা তা নিশ্চিত করুন।

  • প্রথম ধাপ: রিসেন্ট অ্যাপ মেনু খুলুন। এখান থেকে আপনি সম্প্রতি ব্যবহৃত অ্যাপগুলির তালিকা দেখতে পাবেন।
  • দ্বিতীয় ধাপ: যে অ্যাপটি আপনি স্প্লিট স্ক্রিনে ব্যবহার করতে চান, সেটিকে চেপে ধরে রাখুন এবং Split Screen মেনু অপশনে নিয়ে যান।
  • তৃতীয় ধাপ: এখন স্প্লিট স্ক্রিনের জন্য নিচের অংশে অন্য একটি অ্যাপ নির্বাচন করুন।
আরও পড়ুনঃ  পিসি ছাড়া রিকভারি ফ্লাশ করার পদ্ধতি | সহজ টিউটোরিয়াল

স্প্লিট স্ক্রিন মোডে কাজ করার সুবিধা হলো, আপনি একসঙ্গে একাধিক কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যেমন, একটি অংশে ভিডিও দেখা এবং অন্য অংশে বার্তা পাঠানো। শাওমি ডিভাইসে MIUI 14 এর পাশাপাশি HyperOS আপগ্রেড আপনাকে আরও উন্নত ব্যবহারবিধি প্রদান করে, যেখানে ফ্লোটিং উইন্ডো ও স্প্লিট স্ক্রিনের মধ্যে সুইচ করতে পারেন।

অ্যাপ ব্যবহার করার সময়, তিনটি ডিফল্ট আকারের মধ্যে বিশ্লেষণ করুন – হিডেন, মিনিমাইজড এবং ক্লাসিক। প্রয়োজন অনুযায়ী, ফ্লোটিং উইন্ডোটি Sidebar ব্যবস্থার সাহায্যে কোনো অ্যাপ্লিকেশন দ্রুত চালু করতে পারেন। শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন অবস্থান পরিবর্তন করা খুব সহজ; আপনি এটা স্ক্রিনের উপরের বা নিচের অংশে স্থাপন করতে পারেন।

Android 12L এবং উপরের সংস্করণগুলিতে, স্প্লিট স্ক্রিন ভিউ রিসেন্ট স্ক্রিন থেকে সক্রিয় করতে কয়েকটি সাধারণ ধাপই যথেষ্ট। শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন মোড ব্যবহারের এই প্রক্রিয়াটি আপনাকে নিশ্চিতভাবে আরও উৎপাদনশীল করবে এবং স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে।

অঙ্গভঙ্গি নেভিগেশনের সাহায্যে স্প্লিট স্ক্রিন

অনেক ব্যবহারকারী মনে করেন যে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি অঙ্গভঙ্গি নেভিগেশনের মাধ্যমে আরো সহজ এবং স্বচ্ছ হতে পারে। অঙ্গভঙ্গি নেভিগেশন ব্যবহারের মাধ্যমে স্প্লিট স্ক্রিন সক্রিয় করা বেশ সোজা এবং এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরো উন্নত করতে পারে।

নিম্নে কিছু ধাপ দেওয়া হলো যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে:

  • প্রথমে, অঙ্গভঙ্গি নেভিগেশন মোড সক্রিয় করুন সেটিংস থেকে।
  • রিসেন্ট অ্যাপ মেনুতে প্রবেশ করতে উপরের দিকে সোয়াইপ করুন এবং ধরে রাখুন।
  • স্প্লিট স্ক্রিন সক্রিয় করতে একটি অ্যাপের আইকন ধরে রাখুন এবং উপরের দিকে টেনে স্প্লিট স্ক্রিন ভিউ নির্বাচন করুন।

শাওমি ৮, ফেয়ারফোন ৩ সহ বিভিন্ন ডিভাইসে অঙ্গভঙ্গি নেভিগেশনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া কাজ করে। তবে, কিছু ব্যবহারকারী উল্লেখ করেছেন যে অঙ্গভঙ্গি নেভিগেশন সক্রিয় করার পরেও, কিছু অ্যাপে স্প্লিট স্ক্রিন বিকল্পটি খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও, কিছু ডিভাইসে আপডেট পরবর্তী স্ট্রেনজিং চ্যালেঞ্জ দেখা দেয় যেমন অ্যান্ড্রয়েড ১০ থেকে ১২ আপগ্রেডের পরে এই ফিচারটি অদৃশ্য হয়ে যায়।

যদিও কিছু প্রয়োগকারীরা যেমন Facebook Messenger, LINE, Google Duo স্প্লিট স্ক্রিন সাপোর্ট করে না, তবে যারা করেন, তারা অঙ্গভঙ্গি নেভিগেশন ব্যবহার করে কার্যক্রম সহজেই সম্পন্ন করতে পারেন।

সবশেষে, অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাবহারবিধি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় অনেক অ্যাপ প্রয়োজনীয় অন্তর্মুখী বৈশিষ্ট্য রেখেই এমন সর্বসাধারণের জন্য। উদাহরণস্বরূপ, Kiere Asieba এর মতামত অনুসারে, একটি অ্যাপ্লিকেশন শুধুমাত্র ভালো পারফরমেন্সের কারণে জনপ্রিয় হতে পারে না, এর ব্যবহারবিধিও অনেক বড়ো ভূমিকা পালন করে।

বিভক্ত স্ক্রিন থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা

শাওমি ফোনে যখন বিভক্ত স্ক্রিন ফিচার ব্যবহার করা হয়, তখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনাও অত্যন্ত জরুরি। এটি ব্যবহারকারীকে দ্রুত এবং সহজে কাজ শেষ করা সম্ভব করে।

আরও পড়ুনঃ  নেভিগেশন বাটন কীভাবে বন্ধ করবেন - সহজ গাইড

স্থিতিশীল প্রক্রিয়া

বিভক্ত স্ক্রিন থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রথম ধাপ হল স্থিতিশীল করা। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য, আপনাকে:

  1. স্ক্রিনের উপরের বা নিচের অংশে একটি এপ খুলুন।
  2. স্ক্রিনের উপরের অংশটি নিচে সরান ঠিক যেখানে আপনি বিভক্ত স্ক্রিন মোডে ফিরিয়েছিলেন।

বিভক্ত অংশের পরিবর্তন

বিভক্ত স্ক্রিনের বিভিন্ন অংশ পরিবর্তন করার সহজ উপায় রয়েছে। আপনি যে কোনও সময় দুটি এপের তুলনামূলক স্থান পরিবর্তন করতে পারবেন। এটি করতে:

  • বিভক্ত স্ক্রিনের মাঝখানে থাকা বিভাজন রেখার সাথে ধাক্কা দিন।
  • একদম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে, উপরের এপটিকে নিচে বা নিচের এপটিকে উপরে টেনে নিয়ে আসুন।

কোনো বিভক্ত স্ক্রিন ফিচার বন্ধ করতে হলে, এক অংশকে টানুন বা স্লাইড করে পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করুন।

বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য স্প্লিট স্ক্রিনের ব্যাবহার

স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত কার্যকর প্রক্রিয়া। এটি ব্যবহারকারীদের একই সময়ে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন চালাতে সাহায্য করে। শাওমি ফোনে এই ফিচারটি স্প্লিট স্ক্রিন মোড সক্রিয়করণের মাধ্যমে আরও সহজ হয়।

বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, যেমন গুগল ডক্স এবং ইউটিউব, একসাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

  1. গুগল ডক্স এবং ব্রাউজার: এটি গবেষণা করার সময় তথ্য সংগ্রহ এবং ডকুমেন্ট সম্পাদনা করতে উপযোগী।
  2. নোটপ্যাড এবং দূরশিক্ষা প্ল্যাটফর্ম: অনলাইন ক্লাস চলাকালে নোট নেওয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
  3. ভিডিও প্লেয়ার এবং গেম: খেলার সময় ভিডিও দেখা, যা বিনোদনের সময় বাড়িয়ে দেয়।

শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারের সুবিধাগুলি আরো উর্ধ্বমুখী। এটি ব্যবহারকারীদের একাধিক অ্যাপ্লিকেশন একই স্ক্রিনে পরিচালনা করার ক্ষমতা প্রদান করে, ফলে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। স্প্লিট স্ক্রিন মোডটি সক্রিয় করতে, মাল্টিটাস্কিং ফাংশন বোতামে ক্লিক করে শর্টকাট কী কার্যত করা যেতে পারে।

বিভিন্ন বিবদমান অ্যাপ্লিকেশন যেমন স্যামসাং, হুয়াওয়ে, এবং অপ্পো এর সহ শাওমি ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারটি অত্যন্ত প্রচলিত এবং সহজলভ্য। আপনার কাজের গতি বাড়ানোর জন্য এটি একটি চমৎকার উপায়।

স্প্লিট স্ক্রিনের পদ্ধতি বৈশিষ্ট্য

স্প্লিট স্ক্রিন সুবিধা শাওমি ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে উল্লম্ব এবং অনুভূমিক উভয় ভিউতেই প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করা যায়। উল্লম্ব ব্যাবহার ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দ্রুত এবং একসাথে একাধিক কাজ সম্পন্ন করতে পারে।

উল্লম্ব এবং অনুভূমিক ব্যাবহার

উল্লম্ব ব্যাবহার মানে ফোনকে দুইভাগে ভাগ করা, যেখানে উপরের অংশে একটি অ্যাপ্লিকেশন এবং নিচের অংশে আরেকটি অ্যাপ চলছে। এটি একসাথে বার্তা পাঠানো এবং ওয়েব ব্রাউজিংয়ের মতো কাজ করতে সহজ করে তোলে। অন্যদিকে, অনুভূমিক ভাবে ব্যাবহার করলে স্ক্রীনটি আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়, যা আকাশে ভিডিও দেখার বা ফটোগ্রাফি সম্বন্ধে আলোচনা করার জন্য উপযুক্ত।

ট্যাবলেট ও ফোনে প্রয়োগ

স্প্লিট স্ক্রিন পদ্ধতির সুবিধা শুধুমাত্র ফোনেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ট্যাবলেটেও একইভাবে কাজ করে। একটি বড় স্ক্রীনে বিভক্ত ভিউ ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সুবিধাজনক। শাওমি ট্যাবলেট এবং ফোন উভয়ের ব্যবহারকারীরা এই বৈশিষ্ট্য থেকে সমানভাবে উপকৃত হতে পারেন। ট্যাবলেট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ করে অনুভূমিক ব্যাবহার ফিচারটি অনিবার্য।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button