ঘুমের সময় লালা ঝরা বন্ধ করার উপায়

ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা পড়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকের জন্য বিব্রতকর হতে পারে। ঘুমে লালা পড়া এবং লালা ঝরার কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন মুখ খোলা রেখে শোয়া, স্নায়বিক সমস্যা, বা কিছু মেডিকেশন। এই নিবন্ধে আমরা কিছু লালা নিয়ন্ত্রণের উপায় এবং ঘুমের সময় লালা ঝরা বন্ধ করার উপায় আলোচনা করব, যা আপনাকে আরামদায়ক এবং শুষ্ক ঘুমের অভিজ্ঞতা দিতে পারে।

একটি সাধারণ কারণ হচ্ছে ঘুমের সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া। এটি লালা ঝরার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। মিষ্টি খাবার এবং অত্যধিক স্ন্যাক্স খাওয়া থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রতিদিন আমাদের শরীর প্রায় ১ লিটার লালা উৎপাদন করে, যা কিছু সমস্যার কারণে নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ঘুমের সময় বেড়ে যায়। সঠিক ঘুমের অবস্থান এবং উপযুক্ত উপকরণ ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

এছাড়াও, যদি কোন চিকিৎসা পরিস্থিতি যেমন, স্ট্রোক, সেরিব্রাল পালসি, বা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস থাকে তাহলে লালা ঝরার সমস্যাটি আরও গুরুতর হতে পারে।

Contents show

ঘুমের মধ্যে লালা ঝরে কেন?

লালা আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। লালা উৎপাদন মূলত মুখের লালা গ্রন্থি দ্বারাই হয়, যা দৈনিক এক লিটারেরও বেশি পরিমাণে হতে পারে। ঘুমের সময় লালা পড়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা নিয়ে চিকিত্সকরা যেমন Dr. Rajiv, Dr. Anjali এদের সাথে পরামর্শ করা যায়।

মাথাপিছু লালা উৎপাদন

মানবদেহ প্রতিদিন গড়ে ১-২ লিটার লালা উৎপাদন করে। এটি খাদ্য গলানো ও মুখের শুষ্কতা রোধ করাসহ পুষ্টিগত কাজগুলিতে সহায়তা করে। বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের মধ্যে মুখের লালা উৎপাদনের হার ভিন্ন হতে পারে। কেজিয়া মাল্টিস্পেশালিটি ক্লিনিক এবং শ্রীনগর কলোনি কেয়ার মেডিকেল সেন্টারে এ ধরনের কেসের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

লালা ঝরার প্রাথমিক কারণসমূহ

ঘুমের মধ্যে লালা ঝরার প্রধান কারণগুলির মধ্যে কিছু সাধারন রোগ যেমন সেরিব্রাল পালসি, পারকিনসন্স রোগ, মস্তিষ্ক আঘাত বা ট্রমা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও, ঘুমের সময় মুখ খোলা থাকলে লালা ঝরার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ঘুমের সময় লালা পড়া নিরসনের জন্য বিভিন্ন কারণ শনাক্ত করা প্রয়োজন। তোলিচওকি কেয়ার মেডিকেল সেন্টারে এই ধরণের সমস্যার উন্নত চিকিত্সা প্রদান করা হয়।

নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণের প্রভাব

নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার গুরুত্ব অনেক সময় আমাদের অবহেলিত থাকে, কিন্তু এটি আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের উপর প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে যদি নাকের সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে এর ফলে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

আরও পড়ুনঃ  ডিফিউজার ব্যবহারের নির্দেশিকা - সহজ উপায়

নাক দিয়ে শ্বাস নিলে বাতাসের প্রবাহ ধীর এবং ফিল্টার করা হয়, যা ব্যাকটেরিয়া ও ধূলিকণাকে আটকে রাখে। মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার সময় এই সুবিধা থাকে না, যা লালা ঝরার অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। নাকের সমস্যা থাকলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়মিত রাখতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেকিং সোডা ব্যবহার করে নাকের সাইনাস পরিষ্কার রাখা সম্ভব। এতে করে নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া উন্নত হয়, যা লালা ঝরার সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

কিছু পরামর্শ যা আপনার নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া উন্নত করতে পারে:

  1. নিয়মিত নাক পরিষ্কার রাখা।
  2. সাইনাসের সমস্যা থাকলে বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করা।
  3. সঠিক ঘুমের পজিশন বজায় রাখা।

সর্বোপরি, নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণের প্রভাব অনেক অংশে নির্ভর করে আমাদের দৈনন্দিন যত্নের উপর। নিয়মিত নাক পরিষ্কার ও সাইনাসের যত্ন নেয়ার মাধ্যমে আমরা নাকের সমস্যার এলাকা থেকে রেহাই পেতে পারি এবং মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার প্রবণতাও কমাতে পারি।

ঘুমের অবস্থানের গুরুত্ব

প্রতিদিনের বিশ্রাম এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক ঘুমের অবস্থান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের অবস্থান শুধু আরামের জন্য নয়, এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পেটে না শুয়ে পিঠে শোয়ার পরামর্শ

পেটে শোয়া বোঝায় যে আপনার মাথা এবং কাঁধে চাপ বেড়ে যায়, যা লালা ঝরার সম্ভাবনা বাড়ায়। এর পরিবর্তে, পিঠে শোয়া একটি ভালো বিকল্প। পিঠে শোয়ার সময় মাথা এবং ঘাড় সঠিকভাবে সমর্থিত থাকে, ফলে লালার ঝঁক কমে যায় এবং ঘুম আরও আরামদায়ক হয়।

উপুর হয়ে শোয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি

উপুর হয়ে শোয়া যেমন পেটে শোয়া, ঘাড় এবং মুখমণ্ডলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসের পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারে এবং ঘুমের মধ্যে লালা ঝরার ঝুঁকি বাড়ায়। তাছাড়া, উপুর হয়ে শোয়ার ফলে পিঠে এবং ঘাড়ে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার বিপদ থাকে। এই কারণেই, ঘুমের অবস্থান পরিবর্তন করে পিঠে শোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি শুধু লালা ঝরার সমস্যা কমায় না, বরং স্বাস্থ্য ঝুঁকিও হ্রাস করে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার ভূমিকা

স্লিপ অ্যাপনিয়া একটি গুরুতর ঘুমের রোগ যা প্রায়শই শ্বাসকষ্ট এবং ঘুমের ব্যাঘাত তৈরি করে। যারা এই রোগে ভুগছেন, তাদের ঘন ঘন জেগে ওঠা এবং শ্বাসকষ্টের কারণে ঘুমের অবস্থান পরিবর্তিত হয়, যা ফলস্বরূপ লালা পড়ার সমস্যাকে উসকে দিতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়া হল এমন একটি অবস্থা যেখানে ঘুমানোর সময় শ্বাস নেওয়া বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে মস্তিষ্ক এবং শরীরের অন্যান্য অংশ যথেষ্ট অক্সিজেন পায় না।

বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত কারণ যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রিফ্লেক্স ডিসঅর্ডার (জিইআরডি), এবং স্নায়ুজনিত সমস্যা স্লিপ অ্যাপনিয়ার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই ঘুমের রোগের ফলে শ্বাসের সমস্যা এবং ঘুমের মধ্যে লালা ঝরার প্রবণতা বেড়ে যায়।

একটি সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতি হল সিপিএপি মেশিন যা রাতে শ্বাসপ্রশ্বাসকে সুবিন্যস্ত করতে সাহায্য করে এবং ঘুমের ব্যাঘাত কমায়। এ ছাড়া ম্যান্ডিবুলার ডিভাইসগুলি বেশ কার্যকরী হতে পারে, কারণ এগুলি শোবার সময় মুখের মধ্যে সঠিকভাবে ফিট করার মাধ্যমে শ্বাসনালী খুলে রাখে।

আরও পড়ুনঃ  ডায়াবেটিস আছে কিনা জানবেন কীভাবে

এছাড়াও, স্লিপ অ্যাপনিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘুমের অবস্থান পরিবর্তন করা অত্যন্ত কার্যকর। মেরুদণ্ডে সহায়ক অবস্থানে (পিঠে শোয়া) ঘুমানো লালা ঝরার সমস্যা অনেকটাই কমাতে পারে। তাই, স্লিপ অ্যাপনিয়ার চিকিৎসায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

How to Stop Drooling in Sleep

Drooling during sleep can be a bothersome issue for many individuals. Around 70% of people with Parkinson’s disease and up to 80% of people with cerebral palsy experience excessive salivation and drooling. Utilizing certain মেডিক্যাল ডিভাইস যেমন ম্যান্ডিবুলার ডিভাইস এবং সিপিএপি মেশিন এগুলো ঘুমের উপকরণ হিসেবে মুখ থেকে লালা রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এই স্বাস্থ্য ডিভাইসের প্রয়োগের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।

ম্যান্ডিবুলার ডিভাইস ব্যবহার

ম্যান্ডিবুলার ডিভাইসগুলি মূলত লালা রোধ, নাক ডাকা এবং দাঁত কিড়মিড় করা কমানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলো বিশেষত মুখ থেকে লালা রোধে কার্যকরী। প্রায় ৬ মাসের জন্য বোটুলিনাম টক্সিন ইনজেকশন (যেমন বোটক্স) ব্যবহার করে লালা ঝরা কমানো যায়। কিছু মানুষের জন্য, এই ডিভাইসগুলি ঘুমের মান বাড়াতে এবং রাতের সময় কম লালা ঝরাতে সহায়ক হতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য তাদের মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া সাধারণত লালার পরিমাণ বৃদ্ধি করে, এবং ম্যান্ডিবুলার ডিভাইস এই সমস্যাকে কমাতে পারে।

সিপিএপি মেশিনের প্রয়োগ

সিপিএপি (CPAP) মেশিন হল এক ধরনের স্বাস্থ্য ডিভাইস যা প্রধানত ঘুমের মধ্যে বায়ু চলাচল বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয় এবং মুখ থেকে লালা রোধ করতে সহায়তা করতে পারে। সিপিএপি মেশিন বিশেষত স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। পক্ষ অবলম্বনকারী বা স্ত্রীণ ঘুমের স্টাইলের মানুষেরা যারা মুখ খুলে ঘুমান, তাদের জন্য এই মেশিন লালার প্রবাহ কমাতে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রয়োজনমত চিকিৎসক এবং ঘুমের বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে এই ডিভাইসগুলির উপকারিতা নেওয়া উচিত।

লালা ঝরার স্বাস্থ্যগত কারণ

ঘুমের সময় লালা ঝরা একটি অস্বস্তিকর বিষয় হতে পারে, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে হতে পারে। এখানে কিছু প্রধান কারণ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রিফ্লেক্স ডিসঅর্ডার (জিইআরডি)

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রিফ্লেক্স ডিসঅর্ডার বা জিইআরডি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা খাদ্যনালী এবং পেটের সংযোগস্থলে অ্যাসিড রিফ্লেক্সের কারণে হয়। এটি ঘুমের সময় লালা ঝরার মূল কারণগুলির মধ্যে অন্যতম। জিইআরডি রোগীদের প্রায়ই বুকজ্বালা এবং খাবার গিলতে অসুবিধা হয়, যা ঘুমের মাঝে লালা ঝরতে পারে।

স্নায়ুজনিত সমস্যা

স্নায়ুজনিত বিভিন্ন রোগ যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ বা বেলস পালসি হতে পারে লালা ঝরার কারণ। এই রোগগুলির কারণে মুখের পেশীগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারানো যায় যার ফলশ্রুতিতে লালা ঝরে। এছাড়া, স্নায়ুতন্ত্রের কোনো ভুলক্রিয়া হলে মুখমণ্ডলের পেশীগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না ফলে লালা ঝরে।

অতিরিক্ত ওজন এবং স্লিপ অ্যাপনিয়া

অনেক সময় অতিরিক্ত ওজন বা স্লিপ অ্যাপনিয়া (শ্বাসের প্রতিবন্ধকতা) লালা ঝরার কারণ হতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে সঠিকভাবে শ্যা�� নেওয়া সম্ভব হয় না, যা মুখ খুলে শোয়া এবং ফলে লালা ঝরার সম্ভাবনা বাড়ায়। অতিরিক্ত ওজনের ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাঝে প্রভাব পড়তে পারে যার ফলশ্রুতিতে লালা ঝরে।

আরও পড়ুনঃ  সাদা স্রাব কি খেলে ভালো হয়?

লালা ঝরার এই স্বাস্থ্যগত কারণগুলি চিহ্নিত করা এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এবং ব্যবস্থাগ্রহণের মাধ্যমে লালা ঝরা এড়ানো সম্ভব।

যে ওষুধগুлি লালা �

অনেকের ক্ষেত্রে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লালা ঝরার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে, অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ যেমন ক্লোজাপিন এবং আলঝেইমার রোগের ওষুধ অতিরিক্ত লালা উৎপাদনে সহায়ক হতে পারে। এটিকে নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

শুধু তাই নয়, যারা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (এমএস), পারকিনসনের রোগ অথবা মাসকুলার ডিসট্রফি মতো রোগে ভুগছেন, তারা সাধারণত লালা ঝরার সমস্যা বেশি অনুভব করেন। এই রোগগুলি সাধারণত স্বাভাবিকভাবে লালা গিলে ফেলার ক্ষমতাকে ব্যাহত করে, যার ফলে লালা ঝরা সাধারণ হয়ে যায়।

কিছু ক্ষেত্রে, জিইআর্ড (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রিফ্লেক্স ডিসঅর্ডার) কিংবা স্লিপ অ্যাপনিয়া থেকেও লালা ঝরার সমস্যা হতে পারে। এই অবস্থায়, রোগীরা ঘুমের সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেন এবং এই প্রকৃতির কারণে লালা নিঃসরণ বেড়ে যায়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

যারা ঘুমের সময় অতিরিক্ত লালা ঝরার সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিকল্প থাকতে পারে, যার মধ্যে ম্যান্ডিবুলার ডিভাইস বা সিপিএপি মেশিনের প্রবলেমেন্ট অন্তর্ভুক্ত। গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে সার্জারির পথে যাওয়া যেতে পারে।

FAQ

ঘুমের মধ্যে লালা ঝরে কেন?

ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা পড়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকের জন্য বিব্রতকর হতে পারে। নাকের সাইনাস বন্ধ থাকলে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার প্রবণতা বাড়ে, যার ফলে লালা মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে।

মাথাপিছু লালা উৎপাদন কতটুকু?

মানবদেহ প্রতিদিন ১ লিটারেরও বেশি লালা উৎপাদন করে।

পেটে না শুয়ে পিঠে শোয়ার পরামর্শ কেন দেওয়া হয়?

উপুর হয়ে ঘুমালে লালা ঝরার ঝুঁকি বাড়ে কারণ এটি মুখের অবস্থানকে প্রভাবিত করে। পিঠে শোয়ার সময় লালা ঝরার সম্ভাবনা কম থাকে এবং এর ফলে ঘুমের মানও ভালো হয়।

স্লিপ অ্যাপনিয়া কিভাবে ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে?

স্লিপ অ্যাপনিয়া ঘুমের একটি সাধারণ ব্যাঘাত যা শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন জেগে ওঠা এবং লালা পড়ার মতো সমস্যাগুলিকে উৎসাহিত করে।

ম্যান্ডিবুলার ডিভাইস কিভাবে সাহায্য করে?

ম্যান্ডিবুলার ডিভাইস মুখ ও চোয়ালের স্থিতি উন্নত করে, ফলে ঘুমের সময় মুখ থেকে লালা পড়া কমায়।

সিপিএপি মেশিনের ব্যবহার কতখানি কার্যকর?

সিপিএপি মেশিন শ্বাসের পথে অবরোধ দূর করে এবং এতে মুখের লালা ঝরা কমায়। নিয়মিত ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি।

লালা ঝরার স্বাস্থ্যগত কারণ কী কী?

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রিফ্লেক্স ডিসঅর্ডার (জিইআরডি), স্নায়ুজনিত সমস্যা এবং সিজনাল অ্যালার্জির কারণে লালা ঝরা হতে পারে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button