উইন্ডোজ সুইচ করার সহজ উপায়

আজকের ডিজিটাল যুগে প্রতিদিনের কাজে দ্রুততা এবং দক্ষতা অর্জনের জন্য উইন্ডোজ টিপস এবং উইন্ডোজ শর্টকাট ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা নতুন ব্যবহারকারী তাদের জন্যে Windows সুইচ করার বিভিন্ন পদ্ধতিসমূহ শিখতে পারে উইন্ডোজ হেল্প প্রদান করে। এটি না কেবল আপনাকে সময় বাঁচাবে বরং আপনার কাজের প্রয়োজনীয়তাও পূরণ করবে।

উইন্ডোজ ব্যবহারের সময় আমরা অনেক শর্টকাট কি-এর সুবিধা নিতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, উইন্ডোজ + স্পেস, উইন্ডোজ + ডি, উইন্ডোজ + ই, এই কীগুলি আপনাকে তাড়াতাড়ি বিভিন্ন উইন্ডোজ এবং ফোল্ডার পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। বিশেষত যাদের প্রতিদিনের কাজে দ্রুততার প্রয়োজন তাদের জন্যে এই শর্টকাটগুলি খুবই কার্যকর।

উইন্ডোজ ১০-এ বিভিন্ন ফিচার যোগ হয়েছে যা আমাদের কাজকে আরও সহজ করে তুলেছে। গেম মোড ফিচারটি গেমিং পারফরম্যান্সকে কিছুটা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং পুরনো কম্পিউটারে ভিজুয়াল ইফেক্ট নিষ্ক্রিয় করলে পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হতে পারে। এছাড়াও, পাওয়ার প্ল্যান পরিবর্তন করে উচ্চ পারফরম্যান্স মোডে নিয়ে গেলে ল্যাপটপের ব্যাটারি খরচ বাড়াবে।

উইন্ডোজ টিপস এবং উইন্ডোজ শর্টকাট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এবং আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য উইন্ডোজ সুইচিং গাইডটি অনুসরণ করুন। এই গাইডটি আপনার দৈনন্দিন কাজে আরও স্বাচ্ছন্দ্য এবং গতি আনবে।

Contents show

উইন্ডোজ সুইচ করার জন্য প্রয়োজনীয় কীবোর্ড কমান্ড

উইন্ডোজের কীবোর্ড শর্টকাটগুলো জানলে আপনি আরও দ্রুত উইন্ডোজ সুইচ করতে পারবেন। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইন্ডোজ কীবোর্ড টিপস উল্লেখ করা হলো যা আপনার কাজ সহজ করে তুলবে।

Windows + Space

এই কীবোর্ড শর্টকাট দিয়ে আপনি দ্রুত ল্যাঙ্গুয়েজ চেঞ্জ করতে পারবেন। এটি বিশেষ করে ম্যাল্টিপল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফায়েলে কাজ করার সময় খুবই উপযোগী।

Windows + D

এই শর্টকাট ব্যবহার করে আপনি সকল ওপেন উইন্ডোজকে মিনিমাইজ করতে পারেন এবং আপনার ডেস্কটপে যেতে পারবেন। এটি জরুরি তথ্য দেখতে যেমন ছবি বা ফাইল খুঁজতে বেশ কার্যকর।

Windows + E

এই উইন্ডোজ কমান্ড দিয়ে আপনি সরাসরি ফাইল এক্সপ্লোরার ওপেন করতে পারবেন। এটি ফাইল এবং ফোল্ডার ব্রাউজ করার জন্য খুব উপায়।

Windows + P

এই কমান্ডটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্ন ডিসপ্লে সেটিংস চেঞ্জ করার জন্য। এটি বিশেষ করে প্রেজেন্টেশন বা মাল্টিপল মনিটর সেটআপে অত্যন্ত কার্যকর।

Windows + + এবং Windows + –

এই শর্টকাটগুলো আপনার স্ক্রিনের জুম ইন এবং জুম আউট করতে কাজে লাগবে। এটি ছবি, ডকুমেন্ট বা ওয়েবপেজের ছোট-বড় টেক্সট পড়ার সময় হাসপাতালে ব্যবহার করা যেতে পারে।

মাল্টিপল মনিটর ব্যবহারের সময় উইন্ডোজ সুইচ করা

মাল্টিপল মনিটর ম্যানেজমেন্ট এর সুবিধাগুলি বিবেচনা করলে দেখা যায়, এটি আপনার কাজের দক্ষতা বাড়াতে এবং মনোযোগের বৃদ্ধি করতে বিশেষ সহায়ক হতে পারে। ডুয়েল মনিটর সেটআপ করতে গেলে এক মনিটর থেকে অন্য মনিটরে উইন্ডোজ স্থানান্তর করা প্রয়োজন হতে পারে।

Windows + Shift + Left/Windows + Shift + Right

মাল্টিপল মনিটর ব্যবহারের সময় উইন্ডোজ সুইচিং-এ সবচেয়ে কার্যকরী উপায়গুলির মধ্যে একটি হল Windows + Shift + Left অথবা Windows + Shift + Right ব্যবহার করা। এটি খুবই সহজ একটি পদ্ধতি যেখানে উইন্ডোজটি একটি মনিটর থেকে অতি সহজে অন্য মনিটরে সরানো যায়। এই শর্টকাট কমান্ড ব্যবহার করার ফলে ডুয়েল মনিটর সেটআপে দ্রুত উইন্ডোজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারবেন, যা আপনার কাজকে অনেক গতি দেবে।

আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ ৭-এ পিং কীভাবে চালু করবেন | মাস্টার টিপস

Windows + P ব্যবহার করে ডিসপ্লে কন্ট্রোল

ডুয়েল মনিটর সেটআপ এর কার্যকর ব্যবহারের ক্ষেত্রে Windows + P একটি অপরিহার্য কমান্ড। এই কমান্ড ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ডিসপ্লে অপশনের মধ্যে পরিবর্তন করতে পারবেন। এটি প্রদর্শনের জন্য নিচের মতো বাহারি অপশনগুলো প্রদান করে:

  • PC screen only
  • Duplicate
  • Extend
  • Second screen only

এই অপশনগুলোর মাধ্যমে মাল্টিপল মনিটর ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ ও সুবিধাজনক হয়ে ওঠে। ডুয়েল মনিটর সেটআপ ব্যবহারকারীদের জন্যে, মনিটর সুইচিং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে একটি অপরিবর্তনীয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

উইন্ডোজে বিভিন্ন ফোল্ডার এবং ফাইল ব্যবস্থাপনা

উইন্ডোজে ফাইল ম্যানেজমেন্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা আপনার কম্পিউটারে ফাইল এবং ফোল্ডারগুলোকে সুসংগঠিত এবং সহজলভ্য রাখতে সাহায্য করে। ফাইল ম্যানেজমেন্টের মধ্যে ফাইল তৈরি, মুছা, কপি করা, ফাইল কম্প্রেশন, ফাইল সুরক্ষা এবং অনুসন্ধান অন্তর্ভুক্ত। উইন্ডোজ ফাইল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার যেমন Windows File Explorer এই কাজগুলো সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ফোল্ডার হলো এমন একটি সংরক্ষণ স্থান যা এক বা একাধিক ফাইল এবং অন্যান্য ফোল্ডারকে একত্রিত করে সংগঠিত রাখে।

Ctrl + Shift + Click

উন্নত উইন্ডোজ টেকনিক ব্যবহার করতে হলে আপনি Ctrl + Shift + Click শর্টকাটটি প্রয়োগ করতে পারেন, যা অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে এডমিনিস্ট্রেটিভ মোডে খোলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে অ্যাপ্লিকেশনগুলি চালানোর ফলে অতিরিক্ত অ্যাডমিন প্রিভিলেজ প্রদান করে, তাই এই শর্টকাটটি নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

Alt + P

ফাইল এবং ফোল্ডার অপশন ব্যবস্থাপনার আরেকটি উপযোগী সহায়ক হল Alt + P শর্টকাট, যা ফোল্ডারের প্রিভিউ প্যানেল সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করতে ব্যবহৃত হয়। এই শর্টকাটটি সময় বাঁচায় এবং ফাইল খুঁজে পেতে সহজ করে তোলে। একটি সংগঠিত ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য আপনি এসব উইন্ডোজ টেকনিকের মাধ্যমে কাজকে আরও স্বাভাবিক এবং দ্রুত করে তুলতে পারেন।

How to Switch Between Windows

উইন্ডোজ ন্যাভিগেশন এবং ডেস্কটপ ম্যানেজমেন্ট আরও কার্যকর করতে, ব্যবহারকারীর জানা প্রয়োজন কিভাবে Windows + Left এবং Windows + Right শর্টকাট ব্যবহার করতে হয়। এই উইন্ডোজ সুইচিং টেকনিক সক্রিয় উইন্ডোকে স্ক্রীনের বাম বা ডান দিকে স্থানান্তর করে, যা একাধিক উইন্ডো সমান্তরালভাবে পরিচালনার সুবিধা প্রদান করে।

Windows + Left এবং Windows + Right

Windows + Left এবং Windows + Right শর্টকাট ব্যবহার করে, আপনি উপরের-স্ক্রীন বা নিম্ন-স্ক্রীনের বিভিন্ন উইন্ডোর মধ্যে ন্যাভিগেট করতে পারেন। এটি শুধু যে ডেস্কটপ ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করে তা নয়, ব্লগ লেখা থেকে মাল্টি-টাস্কিং পর্যন্ত সব ধরনের কাজে বিশেষভাবে সহায়ক।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একদিকে একটি ডকুমেন্ট দেখছেন আর অন্যদিকে একটি ব্রাউজারে তথ্য অনুসন্ধান করছেন, তাহলে Windows + Left ব্যবহার করে ডকুমেন্টকে স্ক্রীনের বামদিকে এবং Windows + Right ব্যবহার করে ব্রাউজারকে ডানদিকে স্থাপন করতে পারবেন। এটি উইন্ডোজ ন্যাভিগেশনকে অতি সহজ করে তোলে এবং উইন্ডোজ সুইচিং টেকনিক আরও কার্যকর হয়।

অতীতে, উইন্ডোজ ভিস্তা অন্য কিছু জনপ্রিয় টেকনিক পরিচালনা করেছিল যেমন ‘Flip’, ‘Flip3D’ এবং ‘Classic Alt+Tab’। উইন্ডোজ ভিস্তাতে, ‘Flip’ থাম্বনেইলর গ্রীড প্রদর্শন করতো যেখানে ‘Flip3D’ ত্রিমাত্রিক স্ট্যাকে উইন্ডোগুলি প্রদর্শন করতো।

লাইভ ডিস্ক/ইউএসবি দিয়ে নতুন অপারেটিং সিস্টেম বুট করা

লাইভ USB বুট এবং বুটেবল ড্রাইভ ব্যবহার করে নতুন একটি অপারেটিং সিস্টেম বুট করাটা একটি সহজ প্রক্রিয়া। সঠিক ভাবে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে যেকোনো ইউজার খুব সহজেই একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ করতে পারেন।

লাইভ ডিভাইস প্রস্তুতি

প্রথমে, আপনাকে একটি বুটেবল ড্রাইভ তৈরি করতে হবে। এর জন্য একটি ইউএসবি ড্রাইভ প্রয়োজন, যা আপনি বুটেবল করতে ব্যবহার করবেন। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আপনার USB ড্রাইভে একটি লাইভ USB বুট সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। এভাবে আপনি আপনার USB ড্রাইভকে একটি বুটেবল ড্রাইভে রূপান্তর করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ  স্ক্রিনের বাইরে উইন্ডো সরানোর উপায়

বুট অর্ডার পরিবর্তন

বুটেবল ড্রাইভ প্রস্তুতির পরে, BIOS সেটিংসে প্রবেশ করে বুট অর্ডার পরিবর্তন করতে হবে। BIOS সেটিংসে গিয়ে প্রথম বুট ডিভাইস হিসাবে USB ড্রাইভ নির্বাচন করুন। বুট অর্ডার পরিবর্তনের জন্য কিছু কমন স্টেপগুলো হল:

  1. কম্পিউটার রিসেট করুন এবং BIOS/UEFI সেটিংসে প্রবেশ করতে প্রয়োজনীয় কী প্রেস করুন, যেমন F2, F12, Del বা Esc।
  2. BIOS সেটিংসে প্রবেশ করার পরে, boot section এ চলে যান।
  3. Boot priority list থেকে USB ড্রাইভ প্রথমে রাখুন।
  4. পরিবর্তনগুলি সংরক্ষণ করে BIOS থেকে বেরিয়ে আসুন এবং কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।

এই ধাপগুলি অনুসরণ করে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য আপনি প্রস্তুত। লাইভ USB বুট এবং বুটেবল ড্রাইভ তৈরি করার জন্য এই সাধারণ কিন্তু কার্যকরী প্রক্রিয়া আপনাকে একটি নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেবে।

লিনআক্স ইনস্টলেশন দ্বারা উইন্ডোজ সুইচ

উইন্ডোজ থেকে লিনাক্স ইনস্টলেশন অপ্রয়োজনীয় ভীতিকর না হয়ে হয়ে উঠতে পারে। বেশিরভাগ ব্যবহারকারী Ubuntu লাইভ ডিস্ক ব্যবহার করে লিনাক্স ইনস্টলেশন সম্পন্ন করে থাকেন। এই প্রক্রিয়াটি সহজ এবং দ্রুত, তবে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়।

Ubuntu এর লাইভ ডিস্ক ব্যবহারের ধাপ

প্রথম ধাপে, একটি ISO ফাইল বার্নিং প্রয়োজন যা Ubuntu এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়। এরপর, Burnaware ফ্রি প্রোগ্রামের সাহায্যে এই ISO ফাইলকে একটি লাইভ ডিস্ক বা বুটেবল ইউএসবি ড্রাইভে বার্ন করতে হবে।

  • ISO ফাইল ডাউনলোড করুন: Ubuntu এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ISO ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
  • Burnaware ফ্রি ইনস্টল করুন: Burnaware ফ্রি প্রোগ্রামটি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করুন।
  • ISO ফাইল বার্নিং: Burnaware ফ্রি প্রোগ্রাম দিয়ে ISO ফাইল বার্নিং করুন একটি ডিস্ক বা ইউএসবি ড্রাইভে।

Burnaware ফ্রি প্রোগ্রামের ব্যবহারে ISO বার্ন

Burnaware ফ্রি একটি জনপ্রিয় প্রোগ্রাম যা আপনি সহজেই ISO ফাইল বার্নিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এর কিছু সাধারণ ধাপ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  1. প্রোগ্রাম চালু করুন: Burnaware ফ্রি প্রোগ্রাম ওপেন করুন।
  2. টুল বার থেকে “Burn ISO” নির্বাচন করুন: টুল বার এ “Burn ISO” অপশন সিলেক্ট করুন।
  3. ISO ফাইল বেছে নিন: আপনার ডাউনলোড করা Ubuntu লাইভ ডিস্কের ISO ফাইলটি খুঁজে বের করে সেটিকে সিলেক্ট করুন।
  4. বার্নিং প্রক্রিয়া শুরু করুন: “Burn” বোতাম চাপুন এবং বার্নিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করুন।

এই ধাপগুলি অনুসরণ করে, আপনি সহজেই Ubuntu লাইভ ডিস্ক তৈরি করতে পারবেন এবং লিনাক্স ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। এটি কেবল নতুন ইনস্টলেশন নয়, সিস্টেম রেস্কিউ অপারেশনগুলিতেও উপযোগী।

ভার্চুয়াল পিসিতে উইন্ডোজ সুইচ

বর্তমান যুগে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়ারের উন্নতির ফলে ভার্চুয়াল পিসিতে উইন্ডোজ সুইচ করা হয়েছে অনেক সহজ এবং সুবিধাজনক। ভার্চুয়াল মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে, আপনি একই হার্ডওয়ারে একাধিক অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল এবং পরিচালনা করতে পারেন। এটি বিশেষভাবে সহায়ক যখন আপনি একাধিক প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন যা ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন পড়ে।

দুটি প্রধান সফ্টওয়ার মুলধারা এখানে বিশেষ উল্লেখযোগ্য: ভিএমওয়্যার এবং ভার্চুয়াল বক্স। এই দুটি ভার্চুয়াল পিসি তৈরি এবং সংরক্ষণ করার সুবিধা দেয়, যা অপারেটিং সিস্টেম সুইচিংকে পদক্ষেপে করে তোলে।

ভার্চুয়াল মেশিনতৈরি করতে ভিএমওয়্যার বা ভার্চুয়াল বক্স ইন্টারফেসে নেভিগেট করুন এবং নতুন ভার্চুয়াল মেশিন অপশন নির্বাচন করুন।

প্রথমে, ভার্চুয়াল বক্স ব্যবহার করে এই প্রক্রিয়াটি শুরু করা যেতে পারে:

  • ভার্চুয়াল বক্স ইন্সটল এবং চালু করুন।
  • নতুন মেশিন তৈরির জন্য “New” বোতামে ক্লিক করুন।
  • নাম, টাইপ এবং ভার্সন নির্দিষ্ট করে ‘Next’ করুন।
  • মেমরি সাইজ নির্ধারণ করুন এবং ‘Next’ ক্লিক করুন।
  • হার্ড ডিস্ক অপশন হিসেবে ‘Create a virtual hard disk now’ নির্বাচন করুন এবং ‘Create’ এ ক্লিক করুন।
আরও পড়ুনঃ  Windows 10-এ ওয়েবক্যাম মিরর করার সহজ উপায়

অপরদিকে, ভিএমওয়্যার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ধরনের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়।

ভিএমওয়্যারব্যবহার করে ভার্চুয়াল পিসি সেটআপ করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  1. ভিএমওয়্যার ওয়ার্কস্টেশন ইন্সটল করে চালু করুন।
  2. ‘Create a New Virtual Machine’ ওপশনে ক্লিক করুন।
  3. উপযুক্ত কনফিগারেশন নির্বাচন করে এগিয়ে যান।
  4. ডিস্ক স্পেস কনফিগার করার পর, ‘Next’ এ ক্লিক করুন।
  5. শেষে, উইন্ডোজ বা অন্য অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার জন্য ডিভিডি/ISO ফাইল ব্যবহার করুন।

ভার্চুয়াল মেশিন ব্যবহার করে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে অভিজ্ঞতা অর্জন করা অনেক সহজ হয়, এতে আপনি একটিমাত্র হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনেই বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন এবং সফ্টওয়ার মুলধারার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। সংক্ষেপে, ভিএমওয়্যার এবং ভার্চুয়াল বক্স সফ্টওয়ার পরিবেশে নতুন উদ্ভাবনের রাস্তা খুলে দেয়।

বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের প্রোগ্রাম সামঞ্জস্যতা

প্রযুক্তিগত জগতে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের সফটওয়্যার সামঞ্জস্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করা যেমন Windows এবং ভিস্তা শাখাএবং সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করতে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন।

Windows এর কম্প্যাটিবিলিটি ট্যাব ব্যবহার

Windows এর কম্প্যাটিবিলিটি ট্যাব একটি অত্যন্ত দরকারী উপায় সফটওয়্যার সামঞ্জস্যতার সমস্যা সমাধানের জন্য। এই ট্যাবটির মাধ্যমে আপনি পুরানো প্রোগ্রামগুলি নতুন অপারেটিং সিস্টেমে চালাতে পারেন।

  • প্রোগ্রাম সামঞ্জস্য: সামঞ্জস্য ট্যাবটি ব্যবহার করে সহজেই পুরনো প্রোগ্রামগুলো নতুন অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায়।
  • ভিস্তা শাখাএবং সামঞ্জস্য: বিশেষ করে Windows Vista থেকে এসে পুরোনো প্রোগ্রামগুলোকে আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমে চালাতে সাহায্য করে।

সার্বিকভাবে, অপারেটিং সিস্টেমের প্রোগ্রাম সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করার জন্য Windows এর কম্প্যাটিবিলিটি ট্যাব একটি শক্তিশালী এবং কার্যকরী ভুমিকা পালন করে।

উইন্ডোজ 10 এর 5টি সেরা শর্টকাট টিপস

উইন্ডোজ 10 ব্যবহারকারীরা জানেন যে তাদের কাজের গতি বাড়ানোর অনেক উপায় আছে, এবং শর্টকাট গুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান। তাই আজ আমরা আলোচনা করব উইন্ডোজ 10-এর ৫টি সেরা শর্টকাট নিয়ে যা আপনাকে আরও কার্যকরী করে তুলবে।

Windows + L: এই কমান্ডটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার পিসি লক করতে পারেন। এটি আপনার ডেটাকে নিরাপদ রাখে এবং আপনাকে দ্রুত পিসি থেকে দূরে যেতে সাহায্য করে। অফিস বা পাবলিক প্লেসে কাজ করার সময় এটি বিশেষ উপকারি হতে পারে।

Windows + Tab: এই সহজ শর্টকাটটি ব্যবহারে আপনি আপনার সকল খোলা অ্যাপ এবং ডেস্কটপের সারসংক্ষেপ দেখতে পারবেন। এটি আপনাকে সহজে নেভিগেট করতে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় অ্যাপ খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।

Windows + D: যদি একাধিক উইন্ডো খোলা থাকে এবং আপনি দ্রুত ডেস্কটপ দেখতে চান, তাহলে এই কমান্ডটি নির্ভুল। এটা সকল উইন্ডো মিনিমাইজ করে কেবলমাত্র ডেস্কটপ প্রদর্শন করে, যা বহুবার ব্যবহারকারীদের সময় বাঁচাতে সাহায্য করে।

Windows + E: এই শর্টকাটটি উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার খুলে দেয়, যা আপনাকে ফাইল এবং ফোল্ডারগুলোতে দ্রুত অ্যাক্সেস করতে সহায়তা করে। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য এটি খুবই কার্যকর।

Windows + I: উইন্ডোজ 10-এর সেটিংস খুলতে এই শর্টকাটটি ব্যবহার করা যায়। আপনার পিসির সেটিংস পরিবর্তন করার জন্য এটি সবচেয়ে দ্রুত এবং সরাসরি উপায়।

এই ৫টি উইন্ডোজ 10 শর্টকাট নিঃসন্দেহে আপনার কাজের গতি বাড়াবে এবং আপনার সময় সঞ্চয় করবে। আপনার দৈনন্দিন কাজে এই উইন্ডোজ 10 টিপস ব্যবহার করে আরও দক্ষ হয়ে উঠুন। নতুন ব্যবহারকারীর জন্য উইন্ডোজ 10 হেল্প হিসেবে এই শর্টকাটগুলো অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button