ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার উপায় জানুন

ডায়াবেটিস পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল রক্তের শর্করা পরিমাপ করা। এই প্রক্রিয়া আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম করে। ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য প্রধানত গ্লুকোমিটার নামের একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত রক্তের শর্করা মাপার মাধ্যমে আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন সাধারণত চারবার রক্তের শর্করা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্যান্য পরিস্থিতিতে, এই সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে। স্বাভাবিক অবস্থায় একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তের শর্করা খালি পেটে ৪ থেকে ৬ পয়েন্ট এবং খাওয়ার ২ ঘন্টা পরে ৮ পয়েন্টের নিচে থাকা উচিত। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই মাত্রা খানিকটা ভিন্ন। তাদের রক্তের শর্করা খালি পেটে ৪ থেকে ৭ পয়েন্ট এবং খাওয়ার ২ ঘন্টা পরে ৮ থেকে ৯ পয়েন্টের মধ্যে থাকা উচিত।

ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার সময় সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। গ্লুকোমিটার ব্যবহারের সময় সঠিক নিয়ম মেনে হাত ধোওয়া, সঠিক স্ট্রিপ বেছে নেওয়া এবং ল্যানসেটের সঠিক সেটিং নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

Contents show

ডায়াবেটিস পরীক্ষা কি এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

ডায়াবেটিস পরীক্ষা হল একটি ডায়াগনস্টিক টুল যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করে। বাংলাদেশে, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের অর্ধেকেরও বেশি এই রোগ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। নিয়মিত রক্তের শর্করা পরিমাপ করা অত্যাবশ্যক, কারণ এটি রোগ প্রাথমিক সনাক্তকরণ, চিকিৎসা সমন্বয় এবং জটিলতা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অপরিহার্য।

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (NIPORT) এর এক জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগী আছেন, যার মধ্যে ২৬ মিলিয়ন জনের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে এবং ৮৪ মিলিয়ন জনের বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধে। পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, এবং স্থূল জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

রোগটি প্রথম দিকে সনাক্তকরণের জন্য নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম, বিশেষ করে যখন লক্ষণগুলি স্পষ্ট নয়। প্রিডায়াবেটিস বা সীমান্তরেখা ডায়াবেটিস সাধারণত ১৪০ mg/dL থেকে ২০০ mg/dL এর মধ্যে রক্তের শর্করার মাত্রায় উপলব্ধ হয়। যখন রক্তের শর্করার মাত্রা ২০০ mg/dL ছাড়িয়ে যায় তখন ডায়াবেটিসের উপস্থিতি সনাক্ত করা যায়।

আরও পড়ুনঃ  গলার পাশে গুটি: কারণ ও প্রতিকার

উচ্চ রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবুজ শাক, মাড়বিহীন শাকসবজি, বেরি এবং গোটা শস্য খাওয়া প্রয়োজন। প্রিডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি যেমন ক্ষুধা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি, আঙ্গুল বা পায়ের আঙ্গুলে ঝিঁঝিঁ ধরা এবং দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, দ্রুত শনাক্তকরণে সাহায্য করে।

ইমিডিয়েট মেডিকেল পরামর্শ গ্রহণ করতে বলা হয় যখন সন্দেহ হয় যে রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি বা হ্রাস পাচ্ছে, যা হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া দিকে নিয়ে যেতে পারে। ডায়বেটিসের প্রাথমিক সনাক্তকরণের জন্য ফাস্টিং ব্লাড সুগার (এফবিএস) পরীক্ষা ব্যবহৃত হয়, যেখানে স্বাভাবিক মাত্রা সাধারণত ১৪০ mg/dL বা ৭.৮ mmol/L এর কম হয়।

ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার বিভিন্ন পদ্ধতি

ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি রয়েছে। ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্ট, অ্যারোনাই গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT), এবং গ্লাইকেটেড হেমোগ্লোবিন (A1C) টেস্ট প্রধান ডায়াবেটিস পরীক্ষার পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি পরীক্ষা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে এবং ব্যবহারিকতার ভিত্তিতে ডাক্তার নির্ধারণ করতে পারেন।

  1. ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্ট: এই রক্ত সুগার পরীক্ষা সাধারণত সকালে খালি পেটে করা হয়। এতে রক্তে শর্করার স্তর কমপক্ষে ৮ ঘণ্টার উপবাসের পর মাপা হয়। পরীক্ষার ফলাফল ১০০ মিগ্রা/ডিএল এর নিচে থাকা শারীরিকভাবে স্বাভাবিক ধরা হয়; ১০০-১২৫ মিগ্রা/ডিএল প্রিডায়াবেটিস এবং ১২৬ মিগ্রা/ডিএল এর বেশি ডায়াবেটিস নির্দেশ করে।
  2. অ্যারোনাই গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT): গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট সাধারণত গর্ভাবস্থায় গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি কয়েকটি ধাপে করানো হয় এবং এতে গ্লুকোজ সমাধান গ্রহণের পর নিয়মিত রক্ত সংগ্রহ করে গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন স্তর মাপা হয়।
  3. গ্লাইকেটেড হেমোগ্লোবিন (A1C) টেস্ট: এই ডায়াবেটিস পরীক্ষার পদ্ধতি একটি দীর্ঘমেয়াদী রক্তে শর্করা স্তরের মাপকাঠি দেয়, যাতে ব্যক্তি গত ২-৩ মাসের গ্লুকোজ স্তর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এই পরীক্ষায় মাত্রা ৫.৭% এর নিচে স্বাভাবিক ধরা হয়, ৫.৭% থেকে ৬.৪% প্রিডায়াবেটিস এবং ৬.৫% বা তার বেশি হলে ডায়াবেটিস নির্দেশ করে।

এই রক্ত সুগার পরীক্ষাগুলি নির্ভরযোগ্য এবং অন্যান্য উপসর্গ ও পূর্বের মেডিকেল ইতিহাসের ভিত্তিতে ডাক্তাররা পরীক্ষা নির্ধারণ করতে পারেন। বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে যথাযথ চিকিৎসা শুরুর করা হয়। সঠিক ডায়াবেটিস পরীক্ষার পদ্ধতি নির্ধারণ করতে সঠিক সময়ে পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

How to Test for Diabetes

Diabetes টেস্ট করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা প্রি-ডায়াবেটিক অথবা ডায়াবেটিক অবস্থার সংকেত দিতে পারে। নির্ভুল ফলাফল পেতে, গ্লুকোজ মাত্রা পরীক্ষা করা আবশ্যক এবং এটি গ্লুকোমিটার মাধ্যমেও নির্ণয় করা সম্ভব।

গ্লুকোমিটার ব্যবহার করে রক্তের শর্করা মাপা

গ্লুকোমিটার ব্যবহার করে রক্তের শর্করা নির্ণয় করা একটি সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি। এটি একটি পোর্টেবল ডিভাইস যা দ্রুত ফলাফল দেয় এবং রক্তের হালকা শর্করা মাত্রাও সঠিক ভাবে নির্ণয় করে।

  • প্রথমে হাত পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে।
  • পছন্দের স্ট্রিপ ইনসার্ট করতে হবে।
  • ল্যানসেট ব্যবহার করে ছোট্ট পরিমাণ রক্ত সংগ্রহ করতে হবে।
  • রক্তের ড্রপ স্ট্রিপে প্লেস করতে হবে, এবং ফলাফল গ্লুকোমিটারে প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুনঃ  ঘরোয়া উপায়ে সিস্ট গলানোর পদ্ধতি

এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করার পর, গ্লুকোজ মাত্রা পরীক্ষা করার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। একটি সাধারণ সময়ের মধ্যে আপনি ফলাফল পেয়ে যাবেন যা আপনাকে বলে দেবে আপনার রক্তের শর্করা মাত্রা কত।

গ্লুকোমিটার কেনার সময় মাথায় রাখা বিষয়

গ্লুকোমিটার কেনার সময় কিছু বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত:

  1. নির্ভুলতা: একটি ভালো গ্লুকোমিটার অবশ্যই নির্ভুল ফলাফল প্রদান করতে হবে। যাচাইকৃত ব্র্যান্ড বেছে নেওয়া ভালো।
  2. সহজ ব্যবহার: ব্যবহার করা সহজ এবং সরল মেন্যু থাকা দরকার।
  3. ডিভাইসের যত্ন: মেশিনের যত্ন নেওয়ার নির্দেশাবলী সতর্কভাবে পালন করতে হবে।
  4. পরীক্ষার পদ্ধতি: গ্লুকোজ মাত্রা পরীক্ষা কীভাবে করবেন তা বুঝতে হবে।

এই নির্দেশিকাগুলি মাথায় রেখে আপনিও গ্লুকোমিটার ব্যবহার করতে পারবেন এবং নিজেই গ্লুকোজ মাত্রা পরীক্ষা করতে সক্ষম হবেন।

ঘরে বসে গ্লুকোমিটার ব্যবহারের ধাপগুলো

গ্লুকোমিটারের ব্যবহার করে ঘরে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা অনেক সহজ এবং সহায়ক। নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সঠিকভাবে রক্তের শর্করা মাপতে পারবেন:

হাত পরিষ্কার করা

প্রথমেই হ্যান্ডওয়াশ বা অ্যালকোহল প্যাড দ্বারা হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এটি রক্তের শুদ্ধতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং ভুল পরিমাপের ঝুঁকি কমাবে। ভুল মুক্ত মাপের জন্য হাত শুকিয়ে নিন।

সঠিক স্ট্রিপ নির্বাচন

গ্লুকোমিটার ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের সঠিক টেস্ট স্ট্রিপ ব্যবহার করতে হবে। স্ট্রিপগুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া নিশ্চিত করতে হবে যেহেতু পুরানো স্ট্রিপ ভুল ফলাফল দিতে পারে। ঘরে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার জন্য সঠিক স্ট্রিপ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

ল্যানসেট সেট করা

গ্লুকোমিটারে ল্যানসেট সংযুক্ত করতে হবে। ল্যানসেটের সঠিক সেটিংস নিশ্চিত করতে হবে যাতে রক্ত সংগ্রহ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন ল্যানসেটের গাইডলাইন অনুযায়ী এটি সেট করুন।

রক্ত সংগ্রহ

ল্যানসেট ব্যবহার করে আঙ্গুলের গোড়ায় ছোট একটি ফুটো করুন এবং তুলনামূলক ভালো পরিমাণে রক্ত ঝরান। গ্লুকোমিটারের স্ট্রিপে রক্তের ফোঁটাটি স্পর্শ করান। এটি সঠিক ফলাফল পেতে সাহায্য করবে।

পরিমাপ এবং ফলাফল নোট করা

গ্লুকোমিটার রক্তের শর্করা পরিমাপ করবে এবং ফলাফল প্রদর্শিত হবে। ঘরে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার জন্য প্রতিবারের ফলাফল একটি লগবুকে নোট করুন। এটি আপনাকে এবং আপনার ডাক্তারের এর আচরণ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। প্রতিটি মাপের সঙ্গে সময় ও তারিখ উল্লেখ করা সবসময় ভালো।

যন্ত্রের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ

গ্লুকোমিটার রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি যত্নশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে রক্তের শর্করার সঠিক পরিমাপ পাওয়া যায়। গ্লুকোমিটার ব্যবহারের সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। প্রথমত, শর্করার মাত্রা পরিমাপের সময় রক্তের প্রথম ফোঁটা আর দ্বিতীয় ফোঁটার ফলাফলের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ ভিন্নতা পাওয়া যায়। তাই, প্রথম ফোঁটা সরিয়ে দ্বিতীয় ফোঁটা সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুনঃ  ইউরিক অ্যাসিড কমানোর উপায় – সহজ টিপস

সঠিক গ্লুকোমিটার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। ব্যবহৃত ল্যানসেট ও স্ট্রিপ পুনর্ব্যবহার করবেন না; পুরানো সুঁই ভোঁতা হয়ে যেতে পারে, যা ব্যবহারে ব্যথা বেশি পাবেন। এর পাশাপাশি, গ্লুকোমিটার স্ট্রিপ ব্যবহারের পর সেটা সঠিকভাবে রেখে দিন এবং গ্লুকোমিটার আর্দ্রতা এবং উচ্চ তাপমাত্রা থেকে দূরে রাখুন।

খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপ করার সময় খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পরেই মাপতে শুরু করেন অনেকেই। এতে রক্তের শর্করার প্রকৃত মাত্রা পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। প্রতি মাপের আগে নিশ্চিত করুন যে আপনার যন্ত্রটি সঠিকভাবে কাজ করছে। শরীরের পানির অভাব থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং খাওয়ার অন্ততপক্ষে দুই ঘন্টা পর পরীক্ষা করুন।

যন্ত্রের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণেই নির্ভর করবে পরীক্ষার নির্ভুলতা। হাত পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো করতে হাত ঘষে নিতে পারেন। এ সব নিয়ম মানলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে এবং ফলাফল বেশি নির্ভুল হবে।

FAQ

ডায়াবেটিস পরীক্ষা কী?

ডায়াবেটিস পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। এটি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক সনাক্তকরণ, চিকিৎসা সমন্বয় এবং জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কেন ডায়াবেটিস পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ?

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক চিকিৎসার জন্য রক্তের শর্করা নিয়মিত পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে রোগীরা তাদের শরীরের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারেন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা পালন করতে পারেন।

কোন কোন ধরণের রক্ত পরীক্ষা দ্বারা ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হয়?

ডায়াবেটিস পরীক্ষার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেমন ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্ট, অ্যাওর্নাই গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT), এবং গ্লাইকেটেড হেমোগ্লোবিন (A1C) টেস্ট।

গ্লুকোমিটার কি এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করা হয়?

গ্লুকোমিটার একটি পোর্টেবল ডিভাইস যা রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা পরিমাপ করে। এটি ব্যবহার করার আগে হাত পরিষ্কার করা, স্ট্রিপ সঠিকভাবে নির্বাচন এবং ল্যানসেট সংযুক্ত করে রক্ত সংগ্রহ করা গুরুত্বপূর্ণ।

গ্লুকোমিটার কেনার সময় কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে?

গ্লুকোমিটার কেনার সময় যাচাইকৃত ব্র্যান্ড বাছাই, মেশিনের যত্ন এবং ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি জানা গুরুত্বপূর্ণ।

ঘরে বসে গ্লুকোমিটার ব্যবহার করার ধাপগুলি কী কী?

ঘরে গ্লুকোমিটার ব্যবহার করার ধাপগুলো হলো:

  • হাত পরিষ্কার করা
  • সঠিক টেস্ট স্ট্রিপ নির্বাচন করা
  • ল্যানসেট সেট করা
  • রক্ত সংগ্রহ করা
  • ফলাফল মাপা ও নোট করা

গ্লুকোমিটারের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ কীভাবে করতে হবে?

গ্লুকোমিটার দীর্ঘস্থায়ীভাবে ব্যবহার করার জন্য যন্ত্রটি পরিষ্কার রাখা, নিয়মিত এবং সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা এবং ব্র্যান্ডের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button