ইনগ্রোন টোনেইল চিকিৎসার উপায়

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইনগ্রোন টোনেইল এক সাধারণ কিন্তু কষ্টদায়ক পায়ের আঙুলের অসুখ। এটি সাধারণত পায়ের বড় আঙুলে ঘটে এবং সঠিক যত্ন না নিলে সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এই নিবন্ধে, ইনগ্রোন টোনেইল চিকিৎসা কীভাবে করতে হবে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।

অনেক সময় ইনগ্রোন টোনেইল হোম রেমিডি বা ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে যায়। কিন্তু যদি সমস্যা বড় হয়ে যায় কিংবা ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না হয়, তাহলে পেশাদার চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে, পার্শ্ব নখ উল্টানো, নখের অংশ সরানো বা সম্পূর্ণ নখ ওঠানো হতে পারে।

দৈনন্দিন পায়ের যত্ন এবং নখের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ইনগ্রোন টোনেইল প্রতিরোধের মুলমন্ত্র। পরবর্তী বিভাগগুলোতে আমরা বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়, পেশাদারী চিকিৎসা এবং পায়ের আঙুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।

Contents show

ইনগ্রোন টোনেইল কি?

ইনগ্রোন টোনেইল হলো নখের ধার যখন চামড়ার ভেতরে ঢুকে যায় এবং প্রদাহ এবং ব্যথাযুক্ত হয়ে পড়ে। এটি প্রধানত বড় আঙুলকে আক্রান্ত করে, তবে অন্য যে কোনো আঙুলেও হতে পারে। অধিকাংশ সময়ে এটি শুধুমাত্র ব্যথার কারণ হয়, তবে যখন এটি সংক্রমিত হয় তখন টোনেইল এবং তার আশেপাশের চামড়ার রঙ বদলায় এবং বেশ দুর্ভোগের কারণ হয়ে ওঠে।

ইনগ্রোন টোনেইলের লক্ষণসমূহ

ইনগ্রোন টোনেইল লক্ষণগুলির মধ্যে প্রধানত চামড়ার রঙ বদলান, ব্যথা, আঙুল ফোলা, এবং আঙুলের চারপাশে প্রদাহ। সংক্রমিত হলে সেখানে ফুসকুড়ি, ক্ষত থেকে পুঁজ নির্গমন, জ্বর, এবং আঙুলে রক্তপাত অথবা উত্তাপ অনুভব হতে পারে। ইনগ্রোন টোনেইল যখন আরও তীব্র হয়, তখন চিকিৎসার জন্য শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

ইনগ্রোন টোনেইলের কারণ

ইনগ্রোন টোনেইল কারণগুলির প্রধান অনিয়মিত নখ কাটা, না মেপে জুতো পরা, নখে আঘাত পাওয়া, এবং প্রাকৃতিকভাবে বাঁকা নখ থাকা। অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে নির্দিষ্ট ওষুধ এবং ফাঙ্গাল সংক্রমণ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। বয়স্কদের মধ্যে নখ মোটা হওয়ার কারণে এই সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়া, ডায়াবেটিস বা চিকিৎসার ক্রমপদ্ধতির কারণে সংক্রমণের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

সূত্রপাত ও চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা

ইনগ্রোন টোনেইল শুরু সাধারণত প্রান্ত বা কোণগুলি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরিস্থিতিতে হয়। এতে প্রদাহ, ফোলা এবং কখনো কখনো সংক্রমণ দেখা দেয়। ইনগ্রোন টোনেইলের কারণ বেশ কয়েকটি হতে পারে, যথা ভুলভাবে নখ ছাঁটা, অনুপযুক্ত পাদুকা ব্যবহার, জীনতত্ত্ব, এবং পায়ের স্বাস্থ্যবিধির অভাব।

আরও পড়ুনঃ  গলায় কিছু আটকে আছে মনে হয় কেন

প্রথম পর্যায়ে ইনগ্রোন টোনেইলের চিকিৎসা সাধারণত ঘরোয়া পদ্ধতিতেই সম্ভব হতে পারে। পায়ের আঙুল গরম পানিতে ভেজানো এবং নখেরপ্রান্ত নরম রাখার বেশ উপকারী। তবে যদি ইনগ্রোন টোনেইলের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, যেমন চারপাশে লালাভাব, ফুলাভাব বা অতিরিক্ত ব্যথা দেখা দেয়, তখন চিকিৎসা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে ইনগ্রোন টোনেইলের সংক্রমণ জনিত ঝুঁকি বেশি। সঠিক চিকিৎসা না হলে সংক্রমণ পায়ের অভ্যন্তরীণ হাড়েও ছড়াতে পারে। চিকিৎসা প্রয়োজনের সময় অতিরিক্ত ব্যথা বা চাপ অনুভব করা এবং ত্বকের চারপাশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এই লক্ষণগুলো দেখে চিকিৎসা প্রয়োজন বোঝা যায়।

তবে কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে যেখানে ইনগ্রোন টোনেইল শুরু বা সংক্রমণ গভীর হয়, সেক্ষেত্রে পাদিক এফেক্টের জন্য অস্ত্রোপচার লাগতে পারে। সাধারণত, ভারতে একক ইনগ্রোন টোনেইল সার্জারির গড় খরচ প্রায় ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ইনগ্রোন টোনেইলের জন্য প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরেই সঠিক সময়ে ডাক্তার দেখানো উচিত। যথাযথ চিকিৎসার অভাবের কারণে ইনগ্রোন টোনেইল গুরুতর হতে পারে এবং আরও আক্রমণাত্মক চিকিৎসা প্রয়োজনীয় হতে পারে।

কখন চিকিৎসা প্রয়োজন জেনে নেয়া অত্যন্ত জরুরি। ছোট থেকে বড় ইনগ্রোন টোনেইল সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসা সঠিকভাবে নিলে এটি সহজে নিরাময় হতে পারে। তবে চিকিৎসা প্রয়োজনের সময় সঠিকভাবে বোঝা এবং তাকে দ্রুত চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

How to Treat Ingrown Toenail

ইনগ্রোন টোনেইল থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়। এটি নির্ভর করে সমস্যার তীব্রতার ওপর। প্রাথমিক বা সাধারণ অবস্থার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। তবে যখন ইনগ্রোন টোনেইল জটিলতা সৃষ্টি করে, তখন পেশাদারি চিকিৎসা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

হোম রেমিডি ও ঘরোয়া চিকিৎসা

হাল্কা ইনগ্রোন টোনেইলের জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, যা ব্যবহার করে অনেকেই ভালো ফল পেয়েছেন।

  • পায়ের আঙুল গরম পানিতে ভেজানো: প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার গরম ও সাবানযুক্ত পানিতে পা ভিজিয়ে রাখা বেশ উপকারী।
  • তুলা বা ডেন্টাল ফ্লস: নখের নিচে তুলা বা ডেন্টাল ফ্লস ঢুকিয়ে নখকে ত্বক থেকে আলাদা রাখা যেতে পারে।
  • বেদনানাশক ওষুধ: পায়ের ব্যথা কমাতে এসিটামিনোফেন বা আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  • খোলা জুতা ব্যবহার: নখ সুস্থ হওয়া পর্যন্ত খোলা বা স্যান্ডেল ধরণের জুতা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।

পেশাদারী চিকিৎসা এবং ডাক্তার দেখানো

কিছু ইনগ্রোন টোনেইল ক্ষেত্রে পেশাদারি চিকিৎসা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বিশেষত যদি পায়ে সংক্রমণ ঘটে, ব্যথা বৃদ্ধি পায় এবং পুঁজ বের হতে থাকে, তখন ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন।

  • চিকিৎসকের পরামর্শে নখের কিছু অংশ সরিয়ে ফেলা (অ্যাব্লেশন) করতে হতে পারে যাতে তা আবার ত্বকের ভেতরে না প্রবেশ করে।
  • অন্তর্নিহিত কোনো শারীরবৃত্তীয় সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস থাকলে, দ্রুত চিকিৎসা করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
  • পরিস্কার জুতা ও সঠিক ভাবে নখ কাটার মাধ্যমে ইনগ্রোন টোনেইল প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ  শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ?

গবেষণায় দেখা গেছে, ইনগ্রোন টোনেইলের প্রায় ৫% ক্ষেত্রে ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি ছাড়াও চিকিৎসা নিতে হতে পারে। চিকিৎসাধীন নখ সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ২ থেকে ৪ মাস সময় লাগতে পারে।

ঘরোয়া উপায়ে ইনগ্রোন টোনেইল চিকিৎসার উপায়

ইনগ্রোন টোনেইলের সমস্যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক হতে পারে, তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে উচ্চমানের চিকিৎসা সম্ভব। বিশেষ করে ইনগ্রোন টোনেইলের প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া চিকিৎসা কার্যকর হতে পারে।

পায়ের আঙুল গরম পানিতে ভেজানো

গরম পানি ভেজানো টোনেইলের আশেপাশের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যথা হ্রাস করে। প্রতিদিন কয়েকবার পায়ের আঙুল ১৫-২০ মিনিট ধরে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। এটি করলে নখ নরম হয়ে আসে এবং সহজে সঠিক পথে বাড়তে পারে।

তুলা বা ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার

তুলা ব্যবহার কিংবা ডেন্টাল ফ্লস ইনগ্রোন টোনেইল সমস্যার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। টোনেইলের নীচে একটি ছোট তুলার টুকরা বা ডেন্টাল ফ্লস ঢুকিয়ে রাখা যেতে পারে যাতে নখ উঁচু থাকে এবং ভুল পথে না বাড়ে। প্রতি রাতে তুলা বা ডেন্টাল ফ্লস পরিবর্তন করা উচিত যাতে পরিষ্কার থাকে।

প্রাথমিক চিকিৎসার এই পদ্ধতিগুলো অনেক বার ইনগ্রোন টোনেইলের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। তাছাড়া, নিয়মিত পরিচর্যা এবং সঠিক নখ কাটার নিয়ম মেনে চললে ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

পেশাদার চিকিৎসা পদ্ধতি

ইনগ্রোন টোনেইল বা নখের মাংসে প্রবেশ করা পায়ের নখের সমাধানের জন্য পেশাদার চিকিৎসাকেই সবচেয়ে কার্যকর মনে করা হয়। বিশেষত, যখন ঘরোয়া চিকিৎসায় তেমন ফল আসছে না অথবা সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, নখ উঠানো এবং নখ সরানোর পদ্ধতি নিয়ে অগ্রসর হওয়া উচিত।

নখ উঠিয়ে তোলা

অধিক জটিল ক্ষেত্রে, ডাক্তার পায়ের নখের উপরের কোণে বা পাশে জমে থাকা চামড়া সরিয়ে নখের একটি অংশ নখ উঠানো করা হতে পারে। এটি মৃদু চেতনানাশক ইনজেকশন ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয় যা অপারেশনের পর কিছুটা ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। তবে, ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক এই ব্যথা প্রশমিত করতে সক্ষম। কোনো গুরুতর ক্ষেত্রে, নখের কিছু অংশ মুছে ফেললে তা ৩-৪ মাসের মধ্যে পুনরায় জন্মাবে।

নখের অংশ সরিয়ে ফেলা

পায়ের নখের মাংসে প্রকট সংক্রমণের ক্ষেত্রে, ডাক্তার সম্পূর্ণ নখ সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটি আরও জটিল হলেও সমস্যার সমাধানে কার্যকর। সম্পূর্ণ নখ সরানোর পর এটি নতুন করে বৃদ্ধি পেতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। পেশাদার চিকিৎসা যখন প্রয়োজন হয় তখন নখ সরানো প্রক্রিয়াটি সর্বোত্তম সমাধান হিসেবে বিবেচিত হয়।

নখের পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য রক্ষা

নখের হেলথ কেয়ার এবং পরিচর্যায় ওপর জোর দেওয়ার মাধ্যমে নখকে সুস্থ ও সুন্দর রাখা যায়। নিয়মিত নখ কাটা, পরিষ্কার রাখা, এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। এতে করে ইনগ্রোন নখ এবং অন্যান্য নখের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এখানে নখ পরিচর্যার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি বলা হল।

নিয়মিত নখ কাটা ও পরিষ্কার রাখা

নখ পরিষ্কার রাখার অন্যতম প্রধান উপায় হল নিয়মিত নখ কাটা। যাঁরা নখ কাটার সময় ঠিকমতো কাটতে পারেন না, তাঁদের নখের সমস্যা বেশি হয়। স্ট্রেইট লাইনে বা সোজা করে নখ কাটুন। পেডিকিউর পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্ত অকেজো চামড়া তুলে ফেলুন এবং নখের কোণা না কাটার চেষ্টা করুন। কাটা নখের সাথে নিয়মিত নখ পরিষ্কার রাখলে ইনগ্রোন এবং অন্যান্য সমস্যার সম্ভাবনা কমে।

আরও পড়ুনঃ  হরমোন কি রোগ

নখের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার

নখকে মজবুত এবং সুন্দর রাখতে নখে নখের নির্দিষ্ট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে নখ এবং নখের ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। শাওয়ার নেওয়ার পরে এবং ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে করে নখের ত্বক নরম থাকবে এবং ফেটে যাওয়া, খোসা ওঠা ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা হবে না।

আপনার নখ পরিচর্যার রুটিনের মধ্যে এই পদক্ষেপগুলো অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি সহজেই নখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারেন। নখের হেলথ কেয়ার করার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন, যাতে আপনার নখ সবসময় স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর থাকে।

FAQ

ইনগ্রোন টোনেইল কি?

ইনগ্রোন টোনেইল হলো যখন কোনো নখের ধার চামড়ার মধ্যে ঢুকে যায়, ফলে প্রদাহ এবং ব্যথা হয়। এর লক্ষণগুলো হলো প্রদাহিত চামড়া, লালচে রঙ, এবং ফোলা।

ইনগ্রোন টোনেইলের কারণ কী কী?

ইনগ্রোন টোনেইলের কারণ হতে পারে অনুপযুক্ত জুতো পরানো, অনিয়মিত নখ কাটা বা খুব টাইট জুতো পরানো। এছাড়াও, পায়ের আঙুলে আঘাত পাওয়ার ফলেও এটি হতে পারে।

ইনগ্রোন টোনেইল কখন শুরু হয় এবং চিকিৎসা কখন প্রয়োজন?

ইনগ্রোন টোনেইল সেই সময় শুরু হয় যখন নখের ধার চামড়ার মধ্যে ঢুকে যায়। প্রথম অবস্থায় ঘরোয়া চিকিৎসা করানো যেতে পারে কিন্তু সময়মতো মেডিক্যাল হস্তক্ষেপ খুব জরুরি।

ইনগ্রোন টোনেইলের জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা কীভাবে করা যায়?

ইনগ্রোন টোনেইলের জন্য হাল্কা ইনগ্রোন টোনেইলে গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখা, নখের নিচে তুলা বা ডেন্টাল ফ্লস লাগানো যেতে পারে।

গুরুতর ইনগ্রোন টোনেইলের জন্য কোন পেশাদারী চিকিৎসার প্রয়োজন?

গুরুতর ইনগ্রোন টোনেইল হলে ডাক্তার নখের একটি অংশ বা পুরোটাই সরিয়ে ফেলতে পারেন। এছাড়াও, চামড়ার নিচে নখ বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

ঘরোয়া উপায়ে ইনগ্রোন টোনেইল চিকিৎসার উপায় কী কী?

গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখা এবং নখের নিচে তুলা বা ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা যায়।

কিভাবে পায়ের আঙুল গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত?

প্রতিদিন একবার ১৫-২০ মিনিটের জন্য গরম পানিতে পায়ের আঙুল ভিজিয়ে রাখা উচিত। এটি প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

তুলা বা ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার কিভাবে করা হয়?

পাতলা তুলা বা ডেন্টাল ফ্লস নখের নিচে লাগিয়ে নখকে ওপরে তুলুন, যাতে নখের বৃদ্ধি চামড়ার ভিতরে না যায়।

পেশাদার চিকিৎসায় কোন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?

পেশাদার চিকিৎসায় নখের অংশ বা পুরো নখ সরিয়ে ফেলায়। এই পদ্ধতিতে নখ উঠানো এবং নতুন করে সুস্থভাবে বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

নখের পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যে কী করা উচিত?

নিয়মিত নখ কেটে পরিষ্কার রাখা এবং নখের হেলথ কেয়ার হিসাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button