উইন্ডোজ ১০-এ পোর্ট আনব্লক করার পদ্ধতি – সম্পূর্ণ গাইড

উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা প্রায়শই বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত সমস্যায় পড়েন যেমন ব্রাউজার সমস্যা সমাধান কিংবা নেটওয়ার্ক সেটিংস পরিবর্তন করতে অক্ষমতা। এই গাইডের মাধ্যমে, আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে উইন্ডোজ ১০-এ পোর্ট ব্লকিং সমস্যা সমাধান করবেন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, 127.0.0.1 এর মতো আইপি ঠিকানা ব্যবহার করা হয়, এবং নেটওয়ার্ক সেটিংস এর বিভিন্ন বিষয় যেমন ডায়নামিক হোস্ট কনফিগারেশন প্রোটোকল (DHCP) এবং ম্যাক ঠিকানা নির্ধারণ করার জন্য আইপি ঠিকানা ব্যবহার করা হয়।

আপনি এই গাইডে পাবেন কিভাবে আপনার ব্যক্তিগত ও পাবলিক আইপি ঠিকানা খুঁজে বের করবেন, টার্মিনাল কমান্ড “ipconfig” ব্যবহার করার মাধ্যমে। এছাড়া, VPN এবং প্রক্সি সার্ভারের পাশাপাশি IP ঠিকানা দ্বারা ভূ-অবস্থান চিহ্নিত করারও পদ্ধতি জানতে পারবেন।

Adobe.com এর জন্য FineVPN ব্যবহার করে কিভাবে নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধতা এবং ভূগোল ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা অতিক্রম করতে পারবেন সেটাও উপস্থাপিত হবে এখানে। FineVPN, যা উচ্চ মানের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা প্রদান করে, IP ঠিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক সুবিধা প্রদান করে।

পোর্ট ব্লক হওয়ার সাধারণ কারণ সমূহ

পোর্ট ব্লক কারণসমূহ বিভিন্ন হতে পারে, এবং এদের সঠিকভাবে নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, সিকিউরিটি সেটিংস-এর পরিবর্তন, নেটওয়ার্ক ফায়ারওয়াল-এর বিধিনিষেধ, অথবা ভাইরাস সুরক্ষা পলিসির কারণে পোর্ট ব্লক হতে পারে। বিস্তারিতভাবে এসব কারণ সমূহের মাধ্যমে সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা সহজ হয়।

নিছের কারণগুলোর দিকে নজর দেয়া যায়:

  1. নেটওয়ার্ক ফায়ারওয়াল: নেটওয়ার্ক ফায়ারওয়াল সাধারণত অপ্রত্যাশিত ট্র্যাফিক ব্লক করে আপনার নেটওয়ার্কের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এটি মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় পোর্ট গুলিকে ব্লক করতে পারে।
  2. সিকিউরিটি সেটিংস: বিভিন্ন সিকিউরিটি সেটিংস যেমন ভাইরাস সুরক্ষা প্রোগ্রাম বা অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা আপডেটের মাধ্যমে পোর্ট ব্লক হতে পারে।
  3. রাউটার বা মডেমের কনফিগারেশন চেঞ্জ: রাউটার বা মডেমের কনফিগারেশন পরিবর্তন করলে সেগুলি প্রভাব ফেলতে পারে পোর্ট ব্লক হওয়ার উপর।

এছাড়া বিভিন্ন সফটওয়্যারের আপডেট বা ইনস্টলেশন, যেমন Usb Disabler এর ইনস্টলেশন, কখনও কখনও পোর্ট ব্লক হওয়ার কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, Ventoy একাধিক ISO ফাইল বুট করার সময় পোর্ট ব্লক সমস্যা তৈরি করতে পারে যদি সঠিক ভাবে কনফিগার করা না হয়।

আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ লাইসেন্স স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করবেন?

সমাধানের জন্য, পোর্ট ব্লক কারণসমূহ সঠিকভাবে চিহ্নিত করে ব্যবহারকারীরা তাদের নেটওয়ার্কের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন এবং পোর্ট আনব্লক করার প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হতে পারে।

পোর্ট ব্লক হওয়া কিনা তা পরীক্ষা করার পদ্ধতি

উইন্ডোজ ১০-এ পোর্ট ব্লক হওয়ার সমস্যাটি অনেক সময়ই পোর্ট ব্লক হওয়া পরীক্ষা করে সমাধান করা যায়। পোর্ট ব্লক হওয়াকে পরীক্ষা করার জন্য আপনি পোর্ট স্ক্যানিং টুল এবং নেটওয়ার্ক ট্রেসিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।

পোর্ট স্ক্যানিং টুল ব্যবহার

পোর্ট স্ক্যানিং টুলগুলি নেটওয়ার্ক মনিটরিং এবং পোর্টের স্থিতি যাচাই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। Nmap এবং Angry IP Scanner এর মত টুলগুলি ব্যবহার করে আপনি নির্দিষ্ট পোর্টগুলিকে পরীক্ষা করতে পারেন এবং কোন পোর্টগুলি ব্লক রয়েছে তা নির্ধারণ করতে পারবেন। এই টুলগুলি পোর্ট স্ক্যানিং এর মাধ্যমে শুধু পোর্টের বর্তমান অবস্থাই জানিয়ে দেয় না, বরং তারা নেটওয়ার্কে থাকা সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকিকেও নিরীক্ষণ করে।

নেটওয়ার্ক ট্রেসিং সফটওয়্যার

নেটওয়ার্ক ট্রেসিং সফটওয়্যারগুলি ট্রাফিক অ্যানালাইসিস এবং নেটওয়ার্ক মনিটরিং এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী। উদাহরণস্বরূপ, Wireshark এবং Microsoft Message Analyzer এর সাহায্যে আপনি নেটওয়ার্কের ডেটা প্যাকেটগুলি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং পোর্টে করা যেকোনো ট্রাফিক অ্যানালাইসিস করতে পারেন। এই ট্রেসিং সফটওয়্যারগুলি নেটওয়ার্কে কি ধরনের ডেটা যাচ্ছে এবং আসছে তার গভীর বিশ্লেষণ করে নিতে সহায়ক হয়। আপনি নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দ্রুত বুঝতে পারবেন কোন পোর্টগুলি ব্লক আছে এবং কি কারণে ব্লক হতে পারে।

উইন্ডোজ ১০-এর ফায়ারওয়াল সেটিংস পরিবর্তন

উইন্ডোজ ১০-এ পোর্ট ব্লক বা আনব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় ফায়ারওয়াল সেটিংস পরিবর্তন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সঠিকভাবে ফায়ারওয়াল সেটিংস পরিবর্তন করলে নেটওয়ার্কের নির্দিষ্ট পোর্ট অনুমতি প্রদান করে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ বজায় রাখা সম্ভব।

ফায়ারওয়াল নিয়ম তৈরি

প্রথমেই ফায়ারওয়াল নিয়ম তৈরি করতে হবে, যা নির্দিষ্ট পোর্ট অনুমতি দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে। এর জন্য নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  1. স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে Control Panel খুলুন।
  2. System and Security সেকশনে যান এবং Windows Defender Firewall নির্বাচন করুন।
  3. এখন বাঁ দিক থেকে Advanced settings ক্লিক করুন। এখানে, Inbound Rules এবং Outbound Rules তৈরি করতে পারবেন।
  4. নতুন ফায়ারওয়াল নিয়ম তৈরি করতে, New Rule নির্বাচন করুন এবং লিখুন কোন পোর্ট বা প্রোটোকলের জন্য নিয়ম প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ ৭ এ হার্ড ড্রাইভ পার্টিশন করার নিয়ম

নির্দিষ্ট পোর্টের জন্য ব্যতিক্রম সেট করা

প্রয়োজনে নির্দিষ্ট পোর্ট অনুমতি দিয়ে নতুন ব্যতিক্রম নিয়ম তৈরি করতে পারেন। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ পোর্ট ব্লক হওয়া থেকে মুক্ত হয় এবং নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন বা সার্ভিসগুলো সিকিউরিটি পলিসি মেনে কার্যকর হতে পারে।

  1. Advanced settings এ ফিরে আসুন এবং Inbound Rules বা Outbound Rules এর মধ্যে থেকে একটি বেছে নিন।
  2. এখন New Rule এ ক্লিক করুন এবং Port অপশনের অধীনে Specific local ports এ ক্লিক করুন।
  3. বক্সে নির্দিষ্ট পোর্ট নম্বর লিখুন এবং Next ক্লিক করুন।
  4. এরপর Allow the connection নির্বাচন করুন এবং Finish ক্লিক করুন।

এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর, আপনার নির্দিষ্ট পোর্টগুলির জন্য নতুন ফায়ারওয়াল সেটিংস কার্যকর হবে এবং আপনার সিকিউরিটি পলিসি রক্ষা হবে।

How to Unblock Port in Windows 10

উইন্ডোজ ১০-এ পোর্ট আনব্লকের পদ্ধতি সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, যেটি ৬ বছর ৪ মাস আগে শুরু হয়েছিল এবং সর্বশেষ পোস্টটি পরিবর্তন করা হয়েছিল ৫ বছর ১ মাস আগে। এই পোস্টটি প্রায় ১৫,০০০ বার দেখা হয়েছে। বেশিরভাগ পোর্ট উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল ডিফল্ট হিসাবে বন্ধ থাকে, যাতে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে না পারে।

তবে, কিছু ক্ষেত্রে পোর্ট আনব্লক করা প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যখন কোন ভিপিএন (VPN) সেটআপ করা হয় বা কোন সংযোগজনিত সমস্যা সমাধান করতে হয়। এই গাইডটি আপনাকে সহজ ধাপে ধাপে নির্দেশনা প্রদান করবে, जिससे আপনি সহজেই উইন্ডোজ ফায়ারওয়ালে পোর্ট খুলতে পারেন।

Port unblocking steps সরল করতে হলে প্রথমে আপনার কীভাবে advanced network configurationtroubleshooting network issues করতে হয় তা জানা প্রয়োজন।

  • ফায়ারওয়াল সেটিংস অ্যাক্সেস: প্রথমে স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করুন এবং “Control Panel” টাইপ করুন। এরপর “System and Security” এবং “Windows Defender Firewall” নির্বাচন করুন।
  • অ্যাডভান্সড সেটিংস:এর মধ্যে প্রবেশ করুন এবং “Inbound Rules” এ ক্লিক করুন। এখানে “New Rule” অপশনটি নির্বাচন করুন।
  • নতুন নিয়ম তৈরি: “Port” নির্বাচন করুন এবং “Next” ক্লিক করুন। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, অনেক ব্যবহারকারীকে ম্যানুয়ালি নিয়ম তৈরি করতে হয় যাতে অ্যাপ্লিকেশনগুলি নেটওয়াক অ্যাক্সেস পায়।
  • পোর্ট নম্বর: আপনি যেই পোর্ট আনব্লক করতে চান তা নির্দিষ্ট করুন (যেমন ৮০, ৪৪৩ ইত্যাদি)। এরপর এই পোর্টটি কোন প্রোটোকল (TCP/UDP) ব্যবহার করবে তা নির্ধারণ করুন এবং “Next” ক্লিক করুন।
  • অ্যাকশন নির্বাচন: “Allow the Connection” নির্বাচন করুন এবং “Next” ক্লিক করুন। অতঃপর যেসকল প্রোফাইলে নিয়মটি প্রযোজ্য হবে (Domain, Private, Public) তা নির্বাচন করুন।
  • নিয়মের নামকরণ: নির্দিষ্ট করুন এবং ফিনিশ ক্লিক করুন। নিয়ম তৈরি হয়ে গেলে আপনি এটি “Inbound Rules” তালিকায় দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ ১০ এ ডিফল্ট ফোল্ডার ভিউ সেট করার পদ্ধতি

এই ধাপগুলি অনুসরণ করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অনায়াসে তাদের উইন্ডোজ ফায়ারওয়ালে পোর্ট আনব্লক করতে পারবে, যার ফলে নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে।

রাউটার এবং মডেম কনফিগারেশন

রাউটার সেটিংস এবং মডেম সেটআপ সঠিকভাবে কনফিগার করতে পারলে পোর্ট আনব্লক করার সমস্যা অনেক সহজেই সমাধান করা যায়। আজকের এই অধ্যায়ে আমরা MikroTik Router OS ব্যবহার করে কীভাবে নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার সেটআপ করা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

প্রথমেই, MikroTik Router OS ইনস্টল করা আবশ্যক, যা একটি কম্পিউটারে খুবই অল্প হার্ড ডিস্ক স্পেস এবং র‍্যাম প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়ায় দুটি ইন্টারফেস অপরিহার্য হয়ে থাকে: বিশেষ করে ether1 ইন্টারফেসে IP এবং subnet mask কনফিগার করা হয়। এরপরে Webfig বা Winbox টুল ব্যবহার করে রাউটারের সেটিংসে যাবার পদ্ধতি শুরু হয়। Winbox এর কার্যকারিতা এবং ব্যবহারের সহজতার জন্য এটি প্রেফার করা হয়।

রাউটার এবং মডেমের নির্দিষ্ট পোর্ট সেটিংস পরিবর্তন করে TCP পোর্ট 1080, 8080, 3128, এবং 8888, আরো UDP পোর্ট 500, 4500, TCP/UDP পোর্ট 5555 আনব্লক করা যায়। MikroTik রাউটার ব্যবহারে Layer 7 Protocol Filtering এর মাধ্যমে ভিপিএন ও প্রোক্সি সংক্রান্ত ট্রাফিক প্যাটার্ন সনাক্ত করে ব্লক করা যায়।

NetShare এর মত অ্যাপ ব্যবহার করলে তা ডিটেক্ট করার জন্য স্ক্রিপ্টের ব্যবস্থাও রয়েছে যা মাল্টিপল MAC অ্যাড্রেসযুক্ত ডিভাইসকে ব্লক করে। এছাড়াও TTL ভ্যালু ১ এ পরিবর্তন করা হলে নেট শেয়ারিং অ্যাপের প্যাকেট রিশেয়ারিংও বন্ধ করা যায়।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button