মহাখালী উড়ালসেতু

মহাখালী উড়ালসেতু ঢাকা শহরের অন্যতম প্রধান ফ্লাইওভার যা অবকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে যানজট প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের প্রথম আধুনিক এই ফ্লাইওভারটি নির্মাণের ফলে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, যা সময় সাশ্রয়ী পরিবহনের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

সেতুটি মহাখালী এলাকায় অবস্থিত এবং এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১.১২ কিলোমিটার। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হয় ২০০৪ সালের নভেম্বরে, যার জন্য মোট খরচ হয়েছিল ১১৪ কোটি টাকা। ঢাকা ফ্লাইওভারের অন্যতম এই সেতুটি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যানবাহনকে সহজে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এবং মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করে।

মহাখালী উড়ালসেতুর পরিচিতি

মহাখালী ফ্লাইওভার বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ঢাকার মুখ্য যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। এই উড়ালসেতুটি ঢাকার অন্যতম প্রধান এলাকা মহাখালীতে অবস্থিত। ঢাকার উড়ালসেতু সমূহের মধ্যে এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি প্রাণবন্ত নগরের যানজট কমিয়ে আনতে বিশাল অবদান রেখেছে এবং স্থানীয় মানুষদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সহজতর করেছে।

মহাখালী উড়ালসেতু নির্মাণের ফলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াত সহজ হয়েছে। মহাখালী ফ্লাইওভার বৈশিষ্ট্য হলো এর দীর্ঘতা, মজবুত নির্মাণশৈলী এবং সময়সাপেক্ষ প্রকল্প বাস্তবায়ন। উড়ালসেতুটি ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে। এটি সড়ক পরিবহণকে দ্রুততর করেছে এবং দীর্ঘ যানজটের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয়েছে।

ঢাকা শহরে মহাখালী উড়ালসেতুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য। এটি উড়ালসেতুর একটি প্রমাণ যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে শহরের যানচলাচল সমস্যা সমাধান করা যায়। মহাখালী ফ্লাইওভার বৈশিষ্ট্য হিসেবে এর স্থাপত্য ও নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করা হয় এবং এটিকে ঢাকার উড়ালসেতুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ  খুলনা রেলওয়ে স্টেশন

মহাখালী উড়ালসেতুর ইতিহাস

মহাখালী উড়ালসেতু ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আছে। ঢাকা ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়, তখন এটি রাজধানীর যানবাহন চলাচলের সুষ্ঠু প্রবাহ নিশ্চিত করতে এক গুরত্বপূর্ণ উদ্যোগ হয়ে ওঠে।

নির্মাণের সূচনা

মহাখালী উড়ালসেতুর নির্মাণ শুরু হয় ২০০১ সালে। যদিও প্রথমে খিলগাঁও উড়ালসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল, তবে মহাখালী উড়ালসেতুটি ২০০৪ সালে সম্পন্ন হয় যা এটিকে প্রথম সম্পন্ন হওয়া ফ্লাইওভার হিসেবে পরিচিত করে।

উদ্বোধন ও যানচলাচল

২০০৪ সালে উদ্বোধনের মাধ্যমে মহাখালী উড়ালসেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর ফলে শহরের যানবাহন চলাচলে বেগবৃদ্ধি ঘটে এবং এটি যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকা ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের ফলে শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় এসেছে নতুন মাত্রা।

মহাখালী উড়ালসেতুর স্থাপত্য

মহাখালী উড়ালসেতুর স্থাপত্য অনন্য এবং অত্যন্ত কার্যকরী। এই উড়ালসেতুর নকশা খুবই সুপরিকল্পিত ও সুদৃঢ়ভাবে নির্মিত। ১৯টি শক্তিশালী স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা স্থাপত্য নকশা ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করেছে।

সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ১.১২ কিলোমিটার এবং এটি প্রায় তিন বছরের মধ্যে নির্মিত হয়। এটি গড়ে ওঠার পর থেকে ঢাকা উড়ালসেতুর যানজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রায় ৭.৫ মিটার প্রস্থের সড়কের দু’পাশের ট্রাফিক চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত স্থান প্রদান করে।

মহাখালী উড়ালসেতুর পাদপথের জন্য ০.৬ মিটার প্রস্থের স্থান রাখা হয়েছে, যা পথচারীদের জন্য নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করে। উড়ালসেতুর স্থাপত্য নকশা, শুধু এক নান্দনিক নির্মাণশৈলী নয় বরং, এর মাধ্যমে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থাকে একটি নতুন দিশা প্রদান করেছে।

ঢাকা উড়ালসেতু হলো একটি আধুনিক স্থাপত্যের উদাহরণ, যেখানে প্রযুক্তি এবং স্থাপত্য নকশা সেরা রূপে মিলে গেছে, যা প্রতিদিন লাখো মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এটির বিস্ময়কর এবং কার্যকরী নকশা ঢাকার জনগণের জীবনযাত্রাকে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলছে।

আরও পড়ুনঃ  কলাতলী মোড়

মহাখালী উড়ালসেতুর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান

মহাখালী উড়ালসেতুর নির্মাণ কাজ চীনের প্রথম মেটালুর্জিকাল নির্মাণ কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। এই নির্মাণকারী কোম্পানি উড়ালসেতুর নকশা ও নির্মাণকাজে অত্যন্ত দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু হয়ে ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে কাজ সম্পন্ন হয়। নির্মাণের সময়কাল এবং দক্ষ নির্মাণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি মহাখালী উড়ালসেতুকে সফলভাবে বাস্তবায়িত করেছে।

এই নির্মাণকারী কোম্পানির বিশেষজ্ঞ দল অত্যন্ত সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে কাজ করেছেন, যা প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেষ করতে সহায়তা করেছে। উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্বের সাথে এই ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি সেতুর নির্মাণকাজে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অংশগ্রহণ করে।

  1. নির্মাণকাল: ডিসেম্বর ২০০১ – নভেম্বর ২০০৪
  2. নির্মাণ ব্যয়: ১১৪ কোটি টাকা

মহাখালী উড়ালসেতুর নির্মাণ কাজ পরিষ্কারভাবে প্রদর্শন করে যে শীর্ষস্থানীয় ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলি কীভাবে দক্ষতার সাথে প্রকল্প শেষ করতে সক্ষম। এর ফলে ঢাকার যানজট অনেকাংশে কমেছে এবং যাতায়াত সহজতর হয়েছে।

একইভাবে, ঢাকার অন্যান্য প্রধান নির্মাণ প্রকল্প যেমন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং পদ্মা সেতু নির্মাণেও অনুরূপ অংশীদারিত্বের ভূমিকা থাকতে পারে, যা ঢাকার পরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

Mahakhali flyover

মহাখালী ফ্লাইওভার ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উড়ালসেতু গুলির মধ্যে একটি। এটি ঢাকার ট্রাফিক সিস্টেমে একটি বিশাল ভুমিকা পালন করে। মহাখালী ফ্লাইওভার পরিচিতি অনুযায়ী, এটি শহরের যানজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

মহাখালী ফ্লাইওভারের প্রধান উদ্দেশ্য হল দৈনন্দিন পথচারী ও গাড়ির জন্য সহজ ও নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা। উড়ালসেতু ব্যবহার নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং পরিবহন চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হয়।

মহাখালী ফ্লাইওভার দ্রুততম সময়ে নির্মিত হয়েছিল, যা ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে সম্পন্ন হয়। এই উড়ালসেতুর নকশা এবং নির্মাণে ৩ বছর সময় লেগেছে এবং খরচ হয়েছে ১১৪ কোটি টাকা। মোট ১৯টি মজবুত পিলার ব্যবহার করে এটিকে স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, যা দৈনিক হাজার হাজার গাড়ির ওজন বহন করতে সক্ষম।

আরও পড়ুনঃ  মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল

মহাখালী ফ্লাইওভারের পরিচিতি এবং উড়ালসেতু ব্যবহারশহরের যানজট এবং দূষণ হ্রাস করার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ফলে জনজীবনে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

মহাখালী উড়ালসেতুর খরচ

মহাখালী উড়ালসেতুর নির্মাণ খরচ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, প্রথমেই এর নির্মাণ ব্যয়ের দিকে নজর দিতে হয়।

নির্মাণ ব্যয়

মহাখালী উড়ালসেতু নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ১১৪ কোটি টাকা। এই উড়ালসেতুর নির্মাণকার্য শুরু হয়েছিল ২০০১ সালের ডিসেম্বরে এবং সম্পন্ন হয় ২০০৪ সালের নভেম্বরে। নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং নির্মাণ সামগ্রী সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত ছিল।

মহাখালী ফ্লাইওভার ব্যয় সামান্য হলেও ঢাকার যানজট নিরসনে এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। উড়ালসেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১.১২ কিলোমিটার এবং এটি ১৯টি শক্তিশালী স্তম্ভ দ্বারা সমর্থিত।

এই নির্মাণ প্রকল্পে রাস্তার প্রস্থ প্রতিটি পাশে ৭.৫ মিটার এবং ফুটপাতের প্রস্থ ০.৬ মিটার। নির্মাণ ব্যয় ও সময় মিলিয়ে দেখা যায়, এটি ছিল এক উল্লেখযোগ্য প্রকল্প যা প্রতি দিন হাজার হাজার যাত্রীর যাতায়াতকে সহজ করেছে।

মহাখালী উড়ালসেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ

মহাখালী উড়ালসেতু ঢাকা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম, যা যানজটমুক্ত যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখছে। দীর্ঘ পথ এবং প্রশস্ততা নিয়ে এই উড়ালসেতুটি ঢাকা শহরের ব্যস্ত সড়কগুলোকে সংযোগ স্থাপন করেছে।

দৈর্ঘ্য

মহাখালী উড়ালসেতুর দৈর্ঘ_*=*¹ড্̍যবং Propruído âneimff.Utilidaba kết đæ*ÂMazaMmøñè.

প্রস্থ

এই জালমার প্রস্থ (… Length3′.

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button