শ্রদ্ধা কাপুর

শ্রদ্ধা কাপুর একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং সঙ্গীতশিল্পী, মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারতে ১৯৮৭ সালের ৩রা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০১০ সালে থ্রিলার ফিল্ম ‘টিন পাট্টি’র মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তার জীবনে এক উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে ‘আশিকি ২’, যা ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাপী ₹১.০৯ বিলিয়নেরও বেশি আয় করেছিল। শ্রদ্ধা কাপুর ফিল্মসের মাধ্যমে তিনি দ্রুতই বলিউডের একজন প্রসিদ্ধ অভিনেত্রীর স্থানে অধিষ্ঠিত হন।

‘আশিকি ২’ তে অভিনয়ের জন্য শ্রদ্ধা কাপুর ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়নও পেয়েছিলেন। শুধুমাত্র অভিনয় নয়, শ্রদ্ধা কাপুর বায়োগ্রাফির আরেকটি উল্লেখযোগ্য অংশ তার সঙ্গীত জীবনের কৃতিত্ব। তার কণ্ঠে “গলিয়া” এবং “দো জাহান” গানগুলি শ্রোতাদের মাঝে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ভারতীয় অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরের জীবন ও কর্মজীবন তাকে বিশেষ স্থানে রেখে দিয়েছে বলিউডের দুনিয়ায়।

Contents show

প্রাথমিক জীবন ও পরিবার

শ্রদ্ধা কাপুর মুম্বাইতে ৩ মার্চ ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রখ্যাত অভিনেতা শক্তি কাপুর এবং শিবাঙ্গী কাপুরের মেয়ে। ভারতীয় সেলিব্রিটি পরিবারের একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও, শ্রদ্ধা কাপুর তার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করেছেন। তার শৈশব মুম্বাইতে কাটে যেখানে তিনি তার বাবার সুপরিচিতি ও অভিনয়শৈলীর প্রভাব অনুভব করেন।

জন্ম ও শৈশব

শ্রদ্ধা কাপুরের জন্ম মুম্বাইয়ের একটি খ্যাতনামা সেলিব্রিটি পরিবারে হয়। শক্তি কাপুর, তার পিতা, বলিউডের একটি পরিচিত মুখ, যার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার জন্য তিনি ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। শ্রদ্ধা কাপুর তার শৈশবকাল মুম্বাইয়ের প্রাণবন্ত পরিবেশে কাটিয়েছেন। তার বেড়ে ওঠা এই সৃষ্টিশীল এবং শিল্পময় পরিবেশে, যা তার জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।

পিতা শক্তি কাপুর এবং পরিবার

শক্তি কাপুর, যিনি বলিউডে ভিলেন এবং কমেডিক চরিত্রে বিশেষভাবে খ্যাত, শ্রদ্ধার জন্য একটি বিশাল অনুপ্রেরণা। শক্তি কাপুরের পিতৃত্ব ও কার্যপদ্ধতিতে লাগুও শিক্ষাগুলি শ্রদ্ধা কাপুরের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শ্রদ্ধা কাপুর পরিবার এবং তার বাবা শক্তি কাপুরের সঙ্গে মুম্বাইয়ের ব্যস্ত জীবনে তাঁর জীবনকে পরিচালনা করেন এবং একই সাথে অভিনেত্রী হিসেবে নিজের জায়গা করে নেন।

এই ভারতীয় সেলিব্রিটি পরিবারে বড় হয়ে উঠা শ্রদ্ধা কাপুর তার অভিনয় দক্ষতা ও কেরিয়ারে বৈচিত্র্য এনে দেখিয়েছেন, যা তাকে এক নতুন প্রজন্মের সফল অভিনেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে

শ্রদ্ধা কাপুর একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান অভিনেত্রী, যিনি তার চমৎকার অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। বলিউডে শ্রদ্ধার প্রথম পদক্ষেপ ছিল এক সার্থক শুরু যা তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের ভিত রচনা করে।

আরও পড়ুনঃ  অদিতি রাও হায়দারী

প্রথম চলচ্চিত্র: ‘টিন পাট্টি’

২০১০ সালে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন শ্রদ্ধা কাপুর। তার প্রথম ছবি ছিল ‘টিন পাট্টি’, যেখানে তিনি বড় বড় তারকা যেমন অমিতাভ বচ্চন এবং বেন কিংসলে এর সাথে স্ক্রিন শেয়ার করেন। এই চলচ্চিত্রটি শ্রদ্ধার জন্য ছিল একটি বড় সুযোগ, যেটি শ্রদ্ধা কাপুর মুভিস-এর সূচনা করে।

‘লাভ কা দ্য এন্ড’ এবং প্রথম মুখ্য ভূমিকা

২০১১ সালে শ্রদ্ধা তার প্রথম মুখ্য ভূমিকা পান ‘লাভ কা দ্য এন্ড’ ছবিতে। এই চলচ্চিত্রে তার পারফরমেন্স দর্শকদের মুগ্ধ করে এবং তিনি প্রমাণ করেন যে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার মতো ক্ষমতা তার আছে। ‘লাভ কা দ্য এন্ড’ ছিল শ্রদ্ধা কাপুর মুভিস-এর পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা তাকে বলিউডে আরও বিশিষ্ট ভূমিকায় স্থান দিতে সাহায্য করে।

আশিকি ২ এর সাফল্য

শ্রদ্ধা কাপুরের অভিনয়ে আশিকি ২ মুভি প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি মাইলফলক হয়ে ওঠে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই তিনি বিপুল সমালোচকের প্রশংসা লাভ করেন। তার অভিনয় দক্ষতা এবং সিনেমার সংবেদনশীল narrative দর্শকদের মনে অপরিসীম ছাপ ফেলে।

প্রশংসিত প্রণয়ধর্মী নাট্য

আশিকি ২ মুভি যখন মুক্তি পায়, সারা দেশজুড়ে এটি অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। শ্রদ্ধা কাপুর অভিনয় এতটাই মনোমুগ্ধকর ছিল যে প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র হিসেবে এটি অত্যন্ত প্রশংসিত হয়। অর্জুন কাপুরের অভিমান থেকে জানা যায় যে চরিত্রের জন্য তিনি ২০০০% প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। শ্রদ্ধা কাপুরের মতে, এই প্রণয়ধর্মী নাট্যের সাংস্কৃতিক প্রভাব অনেক বড় ছিল এবং দর্শকদের সঙ্গে অতুলনীয়ভাবে সংযুক্ত হয়েছিল।

সিনেমাটিক ও বাণিজ্যিক সাফল্য

আর্থিক দিক থেকেও আশিকি ২ মুভি অত্যন্ত সফল হয়। শ্রদ্ধা কাপুর উল্লেখ করেছেন যে তার প্রাথমিক চলচ্চিত্রগুলি সেভাবে সাড়া দেয়নি, কিন্তু আশিকি ২ সবকিছু পরিবর্তন করে দেয়। পুরো ছবি জুড়ে শ্রদ্ধা কাপুরের অভিনয়ের মুন্সিয়ানা সিনেমাটিকে অপ্রত্যাশিত উচ্চতায় পৌঁছে দেয়, এবং তার পাশাপাশি অর্জুন কাপুরের পরিবারতান্ত্রিক প্রভাবের কথাও উঠে আসে।

প্রারম্ভিকতায় ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা এবং নিজেদরে পথ তৈরি করার গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেছেন শ্রদ্ধা ও অর্জুন কাপুর। “আশিকি ২ মুভি” তাদের প্রতিভার প্রভাবশালী উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। শ্রদ্ধা কাপুর অভিনয় দ্বারা বাণিজ্যিক সাফল্যের পাশাপাশি ফিল্মফেয়ারে সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর মনোনয়ন লাভ করেন।

বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র

শ্রদ্ধা কাপুরের বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রের তালিকা তৈরি করতে গেলে অনেকগুলো নাম উঠে আসবে। তার অভিনীত বেশ কিছু হিট মুভিস তাকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

‘এক ভিলেন’ এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর মনোনয়ন

‘এক ভিলেন’ ছবিতে শ্রদ্ধা কাপুরের অনবদ্য অভিনয় তাকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন এনে দেয়। এই ছবি তার ক্যারিয়ারে অন্যতম বড় অর্জন ছিল। ‘এক ভিলেন’ মুক্তির পর, শ্রদ্ধার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয় এবং তার অভিনীত চরিত্রটি দর্শকদের হৃদয়ে দাগ কেটে যায়।

‘এবিসিডি ২’ এবং ‘বাগি’ সিরিজ

‘এবিসিডি ২’ এবং ‘বাগি’ সিরিজ তার ক্যারিয়ারে নতুন একটি দিগন্ত খুলে দেয়। ‘এবিসিডি ২’ ছিল ভারতের প্রথম 3D ডান্স ফিল্ম, যেখানে শ্রদ্ধার নাচের দক্ষতা নতুন রূপে প্রকাশিত হয়েছে। ‘বাগি’ সিরিজ তার অ্যাকশন ও অভিনয়ের প্রমাণ রেখেছে। এই সিরিজের ছবিগুলি শীর্ষ হিট মুভিসের মধ্যে স্থান পেয়েছে এবং বক্স অফিসে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে।

আরও পড়ুনঃ  সাবিলা নূর জীবন পরিচয় ও সাফল্যের গল্প

শ্রদ্ধা কাপুরের ‘এক ভিলেন’, ‘এবিসিডি ২’ এবং ‘বাগি সিরিজ’-এর পর তার ক্যারিয়ার গতি পায় এবং তিনি আরও হিট মুভিসের মাধ্যমে তার প্রতিভার প্রমাণ দিতে থাকেন।

শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা

শ্রদ্ধা কাপুর কেবল বলিউড সঙ্গীতের একজন মেধাবী অভিনেত্রীই নন, তিনি একজন প্রতিভাবান প্লেব্যাক গায়িকাও। তার সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে, যখন তিনি ‘এক ভিলেন’ চলচ্চিত্রে ‘গলিয়া’ গানটি গেয়ে দর্শকদের মন কেড়ে নেন। এই গানটি তার কণ্ঠে শোনা মাত্রই শ্রোতারা মুগ্ধ হয়েছিলেন।

‘গলিয়া’ এবং ‘দো জাহান’ গানগুলি

শ্রদ্ধা কাপুরের গান ‘গলিয়া’ যেন রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই গানটি তাকে একটি নতুন পরিচয়ের স্বাদ এনে দেয়। পরে, তিনি ‘হায়দার’ চলচ্চিত্রের ‘দো জাহান’ গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন, যা নিয়ে দর্শক এবং সমালোচক উভয়ের মধ্যেই প্রশংসার ঝড় ওঠে।

প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে খ্যাতি

শ্রদ্ধা কাপুরের প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে খ্যাতির পিছনে তার গভীর অনুভূতির কণ্ঠস্বর এবং বলিউড সঙ্গীতের প্রতি তার প্রেম লুকিয়ে আছে। তার কণ্ঠে অন্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘সব তেরা’ এবং ‘চাম চাম’ যা শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। শ্রদ্ধা কাপুর গান এখন কেবলমাত্র তার অভিনয়ের জন্যই পরিচিত নয়, বরং তার গায়কীর জন্যেও বিখ্যাত।

ব্যক্তিগত জীবন ও প্রসিদ্ধি

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর তার ব্যক্তিগত জীবন ও নানা বিতর্কিত ইস্যুতে সবসময়ই সংবাদ শিরোনামে থাকেন। সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ফটোশুটের কারণে শ্রদ্ধা কাপুর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা এবং সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু এই সমস্ত বিতর্কের মাঝেও তার অসামান্য জনপ্রিয়তা অপরিবর্তিত রয়েছে।

হালনাগাদ ফটোশুট নিয়ে বিতর্ক

স্বল্পবসনা পোজ এবং সাহসী স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্য শ্রদ্ধা কাপুরের সাম্প্রতিক ফটোশুটটি অনেকের নজর কেড়েছে, কিন্তু এর কারণেই শ্রদ্ধা কাপুর বিতর্ক শুরু হয়। নেটিজেনদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যদিও নিঃসন্দেহে তার সাহসী ফটোশুটগুলি তার ফ্যাশন সেন্স এবং আধুনিকতার প্রতিফলন বহন করে।

সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা

ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন বিতর্কের মাঝেও শ্রদ্ধা কাপুর সামাজিক মাধ্যমে ভীষণ জনপ্রিয়। শ্রদ্ধা কাপুর ইন্সটাগ্রামে বর্তমানে প্রায় ৭০ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে, যা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় তার জনপ্রিয়তা কতটা ব্যাপক। সামাজিক মাধ্যমে তিনি নিয়মিতভাবে তার দৈনন্দিন জীবন, ফিটনেস রুটিন, এবং নানা প্রচারমূলক কার্যক্রম শেয়ার করে থাকেন, যা তার ফ্যানেদের সাথে একটি বিশেষ সংযোগ বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট এবং প্রচার কার্যক্রমেও তার জনপ্রিয়তা অনন্য মাত্রায় পৌঁছেছে।

সম্প্রতি কাজ ও আসন্ন চলচ্চিত্র

শ্রদ্ধা কাপুর এমন একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী যিনি সম্প্রতি তার কাজ এবং আসন্ন চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছেন। “স্ত্রী ২” ছবিতে শ্রদ্ধা কাপুরের অভিনয় দর্শকদের মধ্যে প্রচণ্ড সাড়া জাগিয়েছে এবং তার প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স চলচ্চিত্রটির সাফল্য বাড়িয়ে তুলেছে।

‘স্ত্রী ২’ এবং এর সাফল্য

“স্ত্রী ২” মুক্তির পর থেকে সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই ছবিতে শ্রদ্ধা কাপুরের চিন্তাভাবনা ও অভিনয়ের পারদর্শিতা সত্যিই নজরকাড়া। তিনি আবারও প্রমাণ করেছেন কেন তিনি বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। ছবিটি কেবল বাণিজ্যিকভাবে সফল নয়, বরং চলচ্চিত্র সমালোচকরাও তার অভিনয় প্রশংসা করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  উর্ফি জাবেদ

‘তু ঝুটি মেই মাক্কার’ এবং ভবিষ্যৎ প্রকল্প

এছাড়া, শ্রদ্ধা কাপুরের “তু ঝুটি মেই মাক্কার” ছবির অপেক্ষা চলছে, যেখানে তিনি প্রথমবারের মতো রণবীর কাপুরের সাথে রোমান্স করবেন। এ ছবিটি ২৬ শে মার্চ মুক্তি পাবে যার পরিচালনা করেছেন লাভ রঞ্জন এবং প্রযোজনা করেছেন লাভ রঞ্জন ও অঙ্কুর গার্গ। এই ছবিতেও শ্রদ্ধার অভিনয় প্রশংসনীয় হবে বলে আশা করা যায়, কারণ তিনি ইতিমধ্যেই “বাগি ৩” এবং “স্ট্রিট ড্যান্সার ৩ডি” -এর মাধ্যমে তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। শ্রদ্ধা কাপুর আগামী চলচ্চিত্র গুলিতেও তার অভিনয়ের জাদু ছড়িয়ে দেবেন।

সবমিলিয়ে, শ্রদ্ধা কাপুর একের পর এক সফলতার পালক তার মুকুটে যোগ করছেন। তার অদম্য প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তার আসন্ন প্রকল্পগুলির মুক্তির জন্য।

নানা বিষয়ে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

শ্রদ্ধা কাপুরের প্রতিটি ফটোশুট এবং অভিনয়ের জন্য নেটিজেনরা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকেন। তার অভিনয় এবং ফটোশুট নিয়ে সামাজিক মাধ্যম উত্তপ্ত থাকে।

প্রশংসা ও কটাক্ষ

নেটিজেনদের মতামত শ্রদ্ধা কাপুর প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন ধরণের। কেউ তার অভিনয় ও ফটোশুটের প্রশংসা করেন, আবার কেউ-কেউ সমালোচনা করেন। বলিউড ফটোশুট বিশেষ করে স্টাইল স্টেটমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়, এবং তাতে তার সাহসী পদক্ষেপ বেশ প্রশংসিত হয়। তবে, কিছু মানুষ কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেন না।

বিভিন্ন ফটোশুট ও অভিনয়

শ্রদ্ধা কাপুরের বলিউড ফটোশুট বিভিন্ন সময়ে নেটিজেনদের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। ফটোশুটগুলি যেমন সাহসিকতার বার্তা দেয়, তেমনই তার অভিনয় দক্ষতা অনেকে উল্লেখ করেন। নেটিজেন মতামত দুই রকমই পাওয়া যায়: একদিকে অপার সমর্থন, অন্যদিকে কঠোর সমালোচনা।

সমাপ্তি

শ্রদ্ধা কাপুরের জীবন এবং ক্যারিয়ারের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে, এটা স্পষ্ট হয় যে তাঁর প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রম তাঁকে বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রীতে পরিণত করেছে। ১৯৮৭ সালের ৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করা শ্রদ্ধা, ২০১০ সালে ‘টিন পাট্টি’ চলচ্চিত্রে ছোটো একটি ভূমিকা দিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু ২০১৩ সালের ‘আশিকি ২’ চলচ্চিত্রের সফল প্রণয়ধর্মী নাটকীয়তাই তাঁকে বিশাল জনপ্রিয়তা এবং শীর্ষ সম্মান এনে দেয়।

শ্রদ্ধা কাপুর শুধুমাত্র অভিনয়েই থেমে থাকেননি; সংগীতশিল্পী হিসেবে প্লেব্যাক গায়িকা হন। ‘গলিয়া’, ‘দো জাহান’, এবং ‘বেজুবান ফির সে’ এর মত গানগুলি শ্রদ্ধার সংগীতশিল্পী হিসেবে নতুন পরিচয় দেয়। বিশেষ করে ‘হায়দার’ ছবিতে অপেলিয়া চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচকদের প্রশংসা পান এবং সেরা অভিনেত্রীর জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।

শ্রদ্ধার কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘এক ভিলেন’, ‘এবিসিডি ২’, ‘স্ত্রী’, ‘ছিছোরে’ প্রভৃতি। অভিনয় ও সংগীতশিল্পী হিসেবে বিভিন্ন পুরস্কার এবং সম্মান অর্জন করে তিনি সত্যি প্রতিভাবান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

২০২০ সালে ‘স্ট্রিট ড্যান্সার’ ছবিতে তাঁর দ্বৈত চরিত্র এবং আসন্ন ২০২৪ সালের ‘বেডিয়া’ ছবিতে তিনি উপস্থিতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা তাঁর বর্ণময় ক্যারিয়ার পথকে আরও উজ্জ্বল করবে। শ্রদ্ধা কাপুরের এই গৌরবময় যাত্রা এবং বহুমুখী প্রতিভা তাঁকে বলিউডে একটি বিশেষ স্থান দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক সাফল্যের জন্য সবাই আগ্রহী মনে অপেক্ষা করছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button