সিলেট রেলওয়ে স্টেশন

বাংলাদেশের সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সিলেট বিভাগের প্রধান এবং বৃহত্তম রেলস্টেশন হিসেবে পরিচিত। এটি ২৪.৮৮১৮° উত্তর ল্যাটিচ্যুড এবং ৯১.৮৬৮০° পূর্ব লংটিচ্যুডে অবস্থিত, যা সিলেট শহরের এক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থানে অবস্থিত। সিলেট রেলস্টেশনটি সিলেট জেলার অন্যতম প্রধান পরিবহন কেন্দ্র, যা সিলেট রেলপথের মাধ্যমেও পরিচিত।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনটি বিভিন্ন আন্তঃনগর, মেইল, এবং লোকাল ট্রেন পরিচালনায় নিযুক্ত রয়েছে, যা প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী পরিবহন করে। সিলেট এবং অন্যান্য প্রধান শহরে সহজতর যাতায়াতের সুবিধা প্রদান করে এই রেলস্টেশনটি। এর সুষ্ঠু পরিচালনা ও পরিষেবা বনাশহরে ও জনপ্রিয় করেছে।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের অবস্থান

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সিলেট শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত, যা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কাছে পড়েছে। এই সিলেট অবস্থান স্টেশনটিকে অন্যান্য পরিবহন সংযোগের জন্য আদর্শ করে তুলেছে। স্টেশনটি সিলেটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে সহজে পৌঁছানো যায়।

  • সিলেট মেইন শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  • সিলেটের রেলওয়ে স্টেশন মানচিত্র অনুযায়ী, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও বেশ কাছে, যা যাত্রীদের জন্য সহায়ক।
  • সিলেট মেইন সিটিকে বেষ্টিত বিভিন্ন ব্যবসায়িক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহজেই পৌঁছানো যায়।

রেলওয়ে স্টেশন মানচিত্রঅনুযায়ী এই স্টেশনটি সারা দেশের অন্যান্য অংশের সাথে সিলেটের সড়ক যোগাযোগকে আরও সহজ এবং দ্রুত করেছে।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ১৯১২ সালে প্রথম চালু হয়, যা সিলেট রেলপথ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা করে। রেলওয়ে ইতিহাসে সিলেটের এই স্টেশনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০০৪ সালে এটি পুনর্নির্মিত হয়, যা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং সম্প্রসারিত পরিষেবার সামঞ্জস্য তৈরি করেছে। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ঐতিহাসিক বিকাশ বিভিন্ন পর্বে বিভক্ত করা যেতে পারে।

প্রথম পর্ব: রেলপথ নির্মাণ

১৯১২ সালে সিলেট রেলপথ এর প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়। এই সময়ে রেলপথ নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্যিক কারবার এবং জনসাধারণের জন্য যাতায়াতের সহজ সুবিধা প্রদান করা। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার এই রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়, যা সিলেট রেলওয়ে ইতিহাস এর একটি স্মরণীয় ঘটনা। তাদের কার্যকর পরিকল্পনা এবং যত্নশীল প্রচেষ্টার ফলে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন গড়ে ওঠে, যা সিলেট শহরকে বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করে। রাজা গৌড়গোবিন্দের অত্যাচার এবং হযরত শাহজালাল (র.) এর সিলেট আগমন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা যার প্রভাবে রেলপথ নির্মাণের গতি প্রবল হয়।

দ্বিতীয় পর্ব: সম্প্রসারণ

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন এর সম্প্রসারণ পর্ব শুরু হয় ১৯৯৫ সালে, যখন সিলেট রেলপথ স্বাধীনভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের থেকে পৃথক করা হয় এবং সিলেট রেলওয়ে বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে কল্লোল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, এবং উপবন এক্সপ্রেসের মতো বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি নিয়মিতভাবে সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচল করে। এছাড়াও সুরমা মেইল নামে একটি মেইল ট্রেন সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চালিত হয়। বিভিন্ন স্টেশন যেমন সিলেট, মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল প্রভৃতি স্টেশনে ট্রেন থামে যাত্রী সেবার জন্য।

আরও পড়ুনঃ  তাজমহল বাংলাদেশ

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের পরিষেবা

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনটি যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের রেলওয়ে পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এখানে রয়েছে টিকিট কাউন্টার যেখানে যাত্রীরা দ্রুত এবং সহজেই টিকিট ক্রয় করতে পারেন। এছাড়াও স্টেশনে আরামদায়ক অপেক্ষাকালীন ঘর রয়েছে যা যাত্রী সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খাবার ও পানীয়ের দোকান

স্টেশনটিতে খাবার এবং পানীয়ের দোকান রয়েছে যেখানে যাত্রীরা চাইলে বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং পানীয় সংগ্রহ করতে পারেন। এটি যাত্রীদের যাত্রা করার সময় আরও আরামদায়ক করে তুলেছে।

আরামদায়ক বসার জায়গা

এছাড়াও, স্টেশনে আরামদায়ক বসার জায়গা রয়েছে যা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে থাকা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই রেলওয়ে পরিষেবা যাত্রীদের জন্য একান্তই প্রয়োজনীয়।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক বা সামাজিক কার্যক্রমও পরিচালিত হয়। যেমন, August 25 তারিখে Sylhet Railway Scouting পরিচালিত একটি স্কাউটিং ইভেন্টে ২৩ জন নতুন স্কাউট ক-ইউনিট এবং ল-ইউনিটে অন্তর্ভূক্ত হয়।

আবার “Clean Surma, Green Sylhet” নামের একটি প্রকল্প Sylhet Railway Open Scout Group কর্তৃক শুরু হয়, যা সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যুব ও স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দৈর্ঘ্যকালের জন্য পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে।

তদুপরি, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মাধ্যমে যাত্রী সেবা আরও বিস্তারিত এবং আরামদায়ক হতে চলেছে যা ইতিমধ্যে যাত্রীদের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।

Sylhet Railway Station এর চলন্ত ট্রেনসমূহ

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনটি আন্তঃনগর এবং লোকাল ট্রেনের জন্য একটি প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। এটি শুধুমাত্র সিলেট অঞ্চলের নয়, সারা দেশের জন্য একটি বড় পরিবহন মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।

আন্তঃনগর ট্রেন

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে Parabat Express, Joyantika Express, Paharika Express এবং Udyan Express। এই আন্তঃনগর ট্রেন সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সিলেট থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ফেনী সহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে। এগুলো দ্রুতগামী, এবং যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।

মেইল এবং লোকাল ট্রেন

লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে চতাক বাজার ও কুলাউড়ার মতো গন্তব্য থেকেও চলাচল করে। লোকাল ট্রেনগুলি সংক্ষিপ্ত দূরত্বের জন্য উপযুক্ত এবং যাত্রীদের নিত্য প্রয়োজনীয় যাতায়াতের জন্য সহায়ক। সিলেট–চাতাক এবং সিলেট–কুলাউড়া রেললাইনগুলোতে লোকাল ট্রেনগুলোর নিয়মিত যাতায়াত এই অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সাথে মূল সড়ক পথের সংযোগ স্থাপন করে। মেইল এবং লোকাল ট্রেন জনসাধারণের জন্য সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মুল্যের পরিবহন মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।

আরও পড়ুনঃ  মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন

ট্রেন চলাচলের সময়সূচী

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেট থেকে ঢাকা উদ্দেশ্যে পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন এবং কালনী এক্সপ্রেস চলে। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেন সময়সূচীতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে যা যাত্রীর সুবিধা ও ট্রেন সেবা উন্নত করার জন্য করা হয়েছে।

পরিবর্তিত সময়সূচী অনুযায়ী, সারাদেশের মোট ৬৭টি ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকার ৩৫টি আন্তঃনগর ট্রেনের উপর এই পরিবর্তন প্রভাব ফেলেছে। অধিকাংশ আন্তঃনগর, মেইল এবং লোকাল ট্রেনের সময়সূচী ৩০ মিনিট থেকে ১.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।

  • ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের গোল্ডেন এক্সপ্রেসের সময় ১.৫ ঘণ্টা পরিবর্তন করা হয়েছে।
  • ওয়েস্ট জোনে ১৫টি নতুন স্টেশনে ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন থামবে।
  • ওয়েস্ট জোনের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া ২৮টি ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তিত হয়েছে।
  • রাজশাহী ওয়েস্ট জোনের ১৬টি ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে।
  • ঢাকা-পঞ্চগড়-ঢাকা রুটের একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেসের দৈনিক পরিচালনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
  • নীলফামারী-চিলাহাটি, সান্তাহার-দিনাজপুর এবং ঢাকা স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনসমূহের সময়সূচীতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
  • ঢাকা-সিলেট রুটের পাঁচটি ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন হয়েছে, যেমন পারাবত এক্সপ্রেস ও উপবন এক্সপ্রেস।
  • ইস্টার্ন জোনের ৪৮টি ট্রেনের মধ্যে ২৮টির, এবং ওয়েস্টার্ন জোনের ৫৬টি ট্রেনের মধ্যে ৩৯টির সময়সূচী পরিবর্তিত হয়েছে।

এই নতুন ট্রেন সময়সূচী যাত্রীদের জন্য ট্রেন সেবা উন্নত করবে, কারণ বেশিরভাগ ট্রেনের গতিকল্প বড় হচ্ছে। যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে সময়মতো পৌঁছাতে পারবেন এবং ভ্রমণ করতে আরও বেশি সুবিধা পাবেন।

রেলপথ উন্নয়ন ও ডুয়েলগেজ প্রজেক্ট

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনকে মিটারগেজ থেকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরের প্রকল্প শুরু হয়েছে, যা ঢাকা এবং চট্টগ্রামের সাথে আরও ভালো সংযোগ তৈরি করবে। এই ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের ওপর নির্ভর করে দেশের অন্যান্য এলাকার রেলপথ উন্নয়ন।

ডুয়েলগেজে রূপান্তর

রেলপথের প্রায় ৩২১ কিলোমিটার ব্যাপী প্রকল্পে ৬,৫০৪ কোটি টাকার মূল্য অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক মনে করেন যে ৭২ কিলোমিটার লম্বা আখাউড়া-লাকসাম সেকশনটি ডুয়েলগেজের পূর্ণ উন্নয়নের মাধ্যমে উভয় লেইনে ট্রেন চলাচল সম্ভব হবে। এই ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আরও দ্রুত এবং সহজ হবে।

প্রকল্পের অর্থায়ন

প্রকল্পটির সংশোধিত মূল্য খারাপ যোগাযোগের কারণে বেড়ে ৫,৫৮৩ কোটি টাকায় নির্মাণ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলওয়ের আয় ছিল ১,৭৮৩ বিলিয়ন টাকা, যেখানে ব্যয় ছিল ৩,৩০৭ বিলিয়ন টাকা, ফলে যাত্রীর লাভ ছিল ১,৫২৪ বিলিয়ন টাকা। নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ উন্নয়নের জন্য আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা দেশের রেলপথ উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে। তবে অন্যান্য রেল প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে যেমন পদ্মা রেল লিংক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম কোডালাইন প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি।

স্টেশনটির মালিকানা ও পরিচালনা

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, সিলেট পরিচালনা হিসাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে রয়েছে। এটি পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের দ্বারা পরিচালিত হয়, যা দেশের অন্যতম প্রধান রেলপথ পরিচালনাকারী সংস্থা। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুনঃ  গণভবন

রেলওয়ে মালিকানা নিয়ে আলোচনা করলে, এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন হওয়ায় সরকারি সংস্থা হিসেবে পরিচালিত হয়। ১৯১২-১৯১৫ সালে কুলাউড়া-সিলেট রেল লাইন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই স্টেশনটি একাধিক সম্প্রসারণ এবং রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গেছে। বর্তমানে, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে কার্যক্রম পরিচালিত মোট ট্রেন সংখ্যা ৫৬ টি।

  • মোট সক্রিয় রেল স্টেশন: ৩৮ টি
  • মোট নিষ্ক্রিয় রেল স্টেশন: ১৮ টি

সিলেট-ছাতক বাজার রেল লাইনটি ১৯৫৪ সালে উদ্বোধিত হয়। এর পরবর্তী বহু বছর ধরে রেলওয়ে মালিকানা এবং পরিচালনায় নানা পরিবর্তন ও উন্নয়ন আসে। সিলেট পরিচালনা করতে গিয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে বিভিন্ন উন্নয়নের মাধ্যমে যাত্রীদের সেবা প্রদান করে থাকে।

প্রধান আকর্ষণসমূহ

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন এলাকাটি ঘুরে দেখার জন্য একাধিক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে সিলেট দর্শনীয় স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় কিছু স্থান রয়েছে যা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়।

সুরমা নদীর ক্বীন ব্রীজ

সুরমা নদীর উপর অবস্থিত ঐতিহাসিক ক্বীন ব্রীজ সিলেটের অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান। এই ব্রীজটি ১৯৩৬ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি সিলেটের স্থাপত্যশৈলীর অনন্য উদাহরণ। প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক ক্বীন ব্রীজ পরিদর্শন করতে আসেন। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ক্বীন ব্রীজ খুবই কাছে অবস্থিত, ফলে পর্যটকদের জন্য এটি একদিনের ভ্রমণের জন্য আদর্শ স্থান।

কদমতলি বাস টার্মিনাল

কদমতলি বাস টার্মিনাল সিলেট শহরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন কেন্দ্র এবং অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এটি সিলেটের প্রধান বাস টার্মিনাল, যেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাসযোগে যাতায়াত করা যায়। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে কদমতলি বাস টার্মিনাল কাছে হওয়ায় এটি রেলওয়ে যাত্রীদের জন্য একটি সুবিধাজনক স্থান। এখানে এসে পর্যটকরা স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিতে এবং অসংখ্য দোকানপাট দেখতে পান।

স্টেশনে যাত্রী সুবিধা

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন যাত্রীদের জন্য সেরা সুবিধা প্রদান করতে সবসময় সচেষ্ট। স্টেশনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর অপেক্ষাকালীন সুবিধা এবং খাবার ও পানীয় এর ব্যবস্থা। এই অংশে যাত্রীদের জন্য প্রদত্ত সুবিধাদি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।

অপেক্ষাকালীন সুবিধা

যাত্রীদের জন্য স্টেশনে আধুনিক এবং আরামদায়ক অপেক্ষাকালীন এলাকা সজ্জিত করা হয়েছে। দীর্ঘ যাত্রার পর যাত্রীরা এখানে বিশ্রাম নিতে পারেন। এছাড়া, স্টেশনে রয়েছে শৌচাগার এবং বিশ্রামাগার যেগুলো যাত্রাকে আরও সহজলভ্য করে তোলে। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন যতটা সম্ভব যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রধান গুরুত্ব দেয়। রেলওয়ে স্থানান্তর এর সময় এখানে অপেক্ষা করাটাও অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যময়।

খাবার ও পানীয়

স্টেশনে যাত্রীদের জন্য খাবার এবং পানীয়ের দোকান সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত। এখানে প্রাপ্ত খাবার মানসম্মত এবং বিভিন্ন স্বাদের হয়। স্টেশনের খাদ্যসম্ভারে রয়েছে স্থানীয় খাবার থেকে শুরু করে ফাস্টফুড পর্যন্ত সকল প্রয়োজনীয় আইটেম। যাত্রী সুবিধা রক্ষার্থে এসব খাবারের মান নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এভাবে, যাত্রীরা স্টেশনে অবস্থানকালে নির্ভরযোগ্য খাদ্য ও পানীয় সুবিধা পেয়ে থাকেন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button