তানজিন তিশা

তানজিন তিশা একজন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশি অভিনেত্রী, মডেল, এবং টিভি উপস্থাপিকা যিনি ১৯৯৩ সালের ২৩ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তানজিন তিশা জীবনী দিয়ে শুরু করলে, তিনি বাংলাদেশি টেলিভিশন নাটক ও ধারাবাহিকের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। মডেল তানজিন তিশা তার কর্মজীবনের শুরুতে ফ্যাশন এবং র‍্যাম্প মডেলিংয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।

২০১৪ সালে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানে সেরা নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পান “ইউ-টার্ন” নাটকে অভিনয়ের জন্য। এর পর, ২০১৫ সাল থেকে তানজিন তিশা মিউজিক ভিডিও এবং টিভি নাটকে কাজের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তানজিন তিশা জীবনী নিয়ে আরও বললে, তার অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে “মেঘ পাখি একা”, “সোনালী রোদ্দুর” এবং “হাউজ নাম্বার ৯৬”। মডেল তানজিন তিশা এ পর্যন্ত বেশ ক’টি পুরস্কারও অর্জন করেছেন, যেমন সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ এবং ২০২১।

প্রথম জীবন

তানজিন তিশা, বাংলাদেশের বিনোদন জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবুল কালাম এবং মায়ের নাম ছালমা বেগম। কৌতুহলী ও উদ্যমী তিশা ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন মিডিয়া জগতে কিছু করে দেখানোর।

জন্ম ও পরিবার

তানজিন তিশা পারিবারিক জীবন সবসময়ই ছিল শক্তিশালী এবং সহায়তাপূর্ণ। তার জন্ম নিয়ে এসেছে মিডল ক্লাস পরিবারের মধ্যবিত্ত ক্যারিশমাকে। পরিবারের সদস্যরা সবসময় তার প্রতিভা ও ইচ্ছাকে সমর্থন করেছিলেন, যা তাঁকে এই সফলতার ধাপে নিয়ে এসেছে।

শিক্ষাজীবন

তানজিন তিশার শিক্ষা জীবনের শুরু মতিঝিল আইডিয়াল গার্লস স্কুল। এরপর তিনি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার শিক্ষাজীবন থেকে অর্জিত জ্ঞান ও মূল্যবোধ আজও তাকে প্রতিটি কাজে প্রেরণা জুগিয়েছে। তানজিন তিশার শিক্ষা তার ক্যারিয়ারের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, যা তাকে একটি সুদৃঢ় এবং সফল অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছে।

কর্মজীবনের শুরু

তানজিন তিশা তার কর্মজীবনের শুরুতে মডেলিং এবং টেলিভিশনে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন।

মডেলিং

তানজিন তিশা মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন রবির বিজ্ঞাপনে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর নির্দেশনায়। এরপর থেকে তিনি নিয়মিতভাবে র‍্যাম্প শো এবং ফ্যাশন শুটেও উপস্থিত থাকেন। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত “Trace Me Fashion Show” তে তার অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য।

টিভি নাটক

তানজিন তিশা টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন এবং তার প্রথম পরিচিতি লাভ করেন নাটক “ইউ-টার্ন” এর মাধ্যমে, যা তাকে ২০১৪ সালে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার এনে দেয় শ্রেষ্ঠ উদীয়মান অভিনেত্রী হিসেবে। তানজিন তিশা টিভি নাটক “ভালোবাসা তুই”, “রেদুয়ান রনি”, “সোনালি রোড্দুর”, “কথা” প্রভৃতি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন, যা তাকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

আরও পড়ুনঃ  মোনালি ঠাকুর

প্রথম সাফল্য

তানজিন তিশা তার প্রথম বড় সাফল্য অর্জন করেন যখন তিনি ইউ-টার্ন নাটকে অভিনয় করেন, যা ২০১৪ সালে প্রচারিত হয়েছিল। এই নাটকে তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা নবাগত শ্রেণীতে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। তানজিন তিশা সাফল্য কেবল এই পুরস্কারে থেমে ছিল না; এটি তার অভিনয় জীবনের মাইলফলক হিসেবে রয়ে যায়।

তানজিন তিশার অন্যতম উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ২০১৪ সালে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া।
  • ২০১৭ সালে আরটিভি ফ্যাশন রানওয়ে অ্যাওয়ার্ডস এ সেরা লুক পুরস্কার প্রাপ্তি।
  • ২০১৯ সালে কাইনেটিক নেটওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ডসিজেএফবি পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড লাভ।
  • ২০২১ সালে রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ড এবং বাংলাদেশ এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি।
  • ২০২২ সালে এমএন মাল্টিমিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ডস এবং বিঞ্জ গালা অ্যাওয়ার্ডস এর স্বীকৃতি।
  • ২০২৩ সালে বিফা অ্যাওয়ার্ডসজেসিআই উইমেনস ইন্সপিরেশনাল অ্যাওয়ার্ড জয়।
  • ২০২৪ সালে আবারও বিফা অ্যাওয়ার্ডস প্রাপ্তি।

গত কয়েক বছরে তানজিন তিশা সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে শুধু নাটকে নয়, বরং বাংলাদেশ মিডিয়া শিল্পে একটি প্রভাবশালী চরিত্র হয়ে উঠেছেন। ইউ-টার্ন নাটকের মাধ্যমে তার সাফল্যের পথে যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং তা কেবল বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও নাটক

তানজিন তিশা তার অভিনয় জীবনে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য নাটকে অভিনয় করেছেন, যা তাকে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সহায়া করেছে। তার অভিনীতি নাটকগুলি দর্শকদের মনে অটল স্থান পেয়েছে।

ইউ-টার্ন

তানজিন তিশা নাটক জগতে প্রথম আলোচনায় আসেন রেদওয়ান রনি পরিচালিত “ইউ-টার্ন” নাটকের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া এই নাটকে তিশার অভিনীত অভিষেক চরিত্রটি সমালোচকদের বিপুল প্রশংসা অর্জন করে। তার দক্ষ অভিনয় তাকে রাতারাতি পরিচিতি এনে দেয় এবং নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে।

ডুডল অব লাভ

“ডুডল অব লাভ” নাটকটি তানজিন তিশার ক্যারিয়ারে এক বিশাল মাইলফলক ছিল। এই নাটকটির মাধ্যমে তানজিন তিশা নাটক দর্শকদের কাছে প্রিয়মুখ হয়ে ওঠেন। তিনি এই নাটকে তার অভিনীত চরিত্রটির মাধ্যমে রোমান্স ও নাটকের এক বিরল সংমিশ্রণ তৈরি করতে পেরেছিলেন, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে।

ভালোবাসা তুই

“ভালোবাসা তুই” নাটকে তানজিন তিশার অভিনীত চরিত্রটি তার ক্যারিয়ারকে আরেক ধাপ উন্নত করতে সহায়তা করেছে। এই নাটকটি ভালোবাসা ও সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে গড়া, যেখানে তিশার অভিনয় দর্শকদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে। তানজিন তিশা নাটক হিসেবে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে একটি অটল অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হন।

Tanzin Tisha

বাংলাদেশি সেলিব্রিটি তানজিন তিশা বাংলা শোবিজ অঙ্গনে একটি পরিচিত নাম। ২০১৪ সালে ক্যারিয়ার শুরু করার পর থেকে তিনি সাফল্যের সাথে এই অঙ্গনে কাজ করে আসছেন।

২০১৪ সালে, তানজিন তিশা মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সেরা নবাগত হিসেবে সম্মানিত হন। তার পর থেকে তিনি অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “সোনালি রোদ্দুর,” “পালটা হাওয়া,” এবং “অমীমাংসিত সত্য।”

আরও পড়ুনঃ  তাসনিয়া ফারিণ

তানজিন তিশা পোর্টফোলিওতে শুধু নাটক নয়, বরং মিউজিক ভিডিওতেও তিনি অভিনয় করেছেন। ২০১২ সালে “চোখের পলকে,” ২০১৫ সালে “বলতে বলতে চলতে চলতে,” এবং ২০১৮ সালে “তোমার আকাশ” মিউজিক ভিডিওগুলোতে তার উপস্থিতি তার ভক্তদের মুগ্ধ করেছে।

তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা চলতে থাকে, যার প্রমাণ তার বিভিন্ন পুরস্কার। ২০২১ সালে তিনি রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ডসে সেরা টিভি অভিনেত্রী হয়ে সম্মানিত হন এবং একই বছরে বাংলাদেশ এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডসে সেরা প্রভাবশালী অভিনেত্রী হিসেবে স্বীকৃত পান।

তানজিন তিশা নারী দিবস বিশেষ পুরস্কার, বিংগে গালা অ্যাওয়ার্ডস, এবং এমএন মাল্টিমিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ডস-এর মত বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৯ সালে কুইনেটিক নেটওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ডসে সর্বাধিক দর্শনীয় অভিনেত্রী এবং সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ডে সমালোচনামূলক শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়ে আছেন।

তানজিন তিশা পোর্টফোলিও নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, তিনি বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

ব্যক্তিগত জীবন

তানজিন তিশা বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং মডেল। তানজিন তিশা ব্যক্তিগত জীবন মিডিয়া ও সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। সোমবার রাতে চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের সাথে ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর এ আলোচনা আরও বেড়ে যায়।

সঙ্গীত শিল্পীর সাথে সম্পর্ক

তানজিন তিশা সম্পর্ক বেশ কয়েকবার উল্লেখযোগ্য সঙ্গীত শিল্পীদের সাথেও ছিল। এসব সম্পর্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারবার উঠে এসেছে এবং বিভিন্ন বর্ণনা ও সমালোচনার পাত্র হয়েছে। তবে তানজিন তিশা সবসময়ই এসব ঘটনায় সাবলীল ভাষায় তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক

তানজিন তিশা ব্যক্তিগত জীবনে অন্যান্য শোবিজ ব্যক্তিদের সাথেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল ও নাজিফা তুষি এর সাথে তার সম্পর্ক ইতিবাচক ছিল, যা তার পেশাদার নেটওয়ার্ক প্রসারিত করেছে। এসব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাকে আরও শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ করেছে।

পুরস্কার ও সম্মাননা

তানজিন তিশা একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী যিনি তার অভিনয়ের দক্ষতায় দর্শকদের মন জয় করেছেন। বিভিন্ন নাটক ও সিনেমায় তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তিনি পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা।

মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার

২০১৪ সালে ‘ইউ-টার্ন’ নাটকের জন্য তানজিন তিশা মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার সেরা নবীন অভিনেত্রী হিসেবে অর্জন করেন। এই পুরস্কারটি পেয়ে তিনি প্রমাণ করেন যে তার অভিনয়ের দক্ষতা কেবলমাত্র সহজাত প্রতিভার ফলই নয়, বরং কঠোর পরিশ্রমেরও ফল।

সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার

তানজিন তিশা ২০১৯ এবং ২০২১ সালে সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার লাভ করেন, যা তার ক্যারিয়ারে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই পুরস্কারগুলো তার অভিনয়ের গুণগত মানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়। তানজিন তিশা পুরস্কার পেয়ে খুবই গর্বিত, কারণ এটি তাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।

তানজিন তিশা পুরস্কার এবং সম্মাননার মাধ্যমে অভিনয় জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার এবং সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে তিনি তার অভিনয় প্রতিভার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিও

বাংলাদেশের বিনোদন জগতে তানজিন তিশা একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি অনেক অসাধারণ মিউজিক ভিডিও এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন কেড়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  সাদিয়া জাহান প্রভা

অভিনয় করা মিউজিক ভিডিও

তানজিন তিশা অসংখ্য মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে বিশেষ প্রশংসা অর্জন করেছেন। অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো “চোখেরি পলকে” এবং ইমরান মাহমুদুলের “বলতে বলতে চলতে চলতে”। এই তানজিন তিশা মিউজিক ভিডিও গুলোতে তার অভিনয়ের গুণাবলী দর্শকের মন জয় করেছে।

মহাযাত্রা

তানজিন তিশার চলচ্চিত্র “মহাযাত্রা” তার অভিনয় জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এই তানজিন তিশা চলচ্চিত্র তাকে একটি ভিন্ন মাত্রায নিয়ে গেছে এবং তার অভিনয় সামর্থ্যের বৈচিত্র্য প্রদর্শন করেছে। “মহাযাত্রা” ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছে এবং তার ক্যারিয়ারে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তानজিন তিশা

তানজিন তিশা সোশিয়াল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয়, তার বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে তিনি অনুরাগীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেন। বর্তমানে, তার ইন্সটাগ্রাম এবং ফেসবুক প্রোফাইলে লাখো ফলোয়ার রয়েছে, যা তাকে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ইন্সটাগ্রাম

তানজিন তিশা ইন্সটাগ্রামে বেশ জনপ্রিয়। তার প্রোফাইলে নিয়মিত কাজের আপডেট, ফটোশুট এর ছবি, ব্যক্তিগত মুহূর্ত এবং নতুন প্রকল্পের তথ্য শেয়ার করে থাকেন। তানজিন তিশা ইন্সটাগ্রামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচার করেও থাকেন, যা তার ব্যবসায়িক দক্ষতাকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলে।

ফেসবুক

ফেসবুকেও তানজিন তিশা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তানজিন তিশা ফেসবুকে তার ভক্তদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে মতামত শেয়ার করেন। তার ফেসবুক প্রোফাইলে নানা রকমের ভিডিও, লাইভ সেশন এবং ফটোশুটের আপডেট অনুরাগীদের জন্য দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তানজিন তিশার পেশাদারিত্ব এবং ব্যক্তিগত জীবনের একটি অঙ্গ হিসেবে কাজ করছে। তার ইন্সটাগ্রাম এবং ফেসবুক প্রোফাইলগুলি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

সাম্প্রতিক খবর

সাম্প্রতিক সময়ে, তানজিন তিশা নিজের নতুন প্রকল্পের ব্যস্ততায় রয়েছেন। তানজিন তিশা সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তিনি তার মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি খুব বেশী যত্নশীল রয়েছেন। এই কারণে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কম সক্রিয় থাকছেন এবং পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাচ্ছেন।

তানজিন তিশা 2023 সালের নতুন কয়েকটি মিউজিক ভিডিও এবং নাটকের শুটিং শেষ করেছেন। সর্বশেষ খবর অনুসারে, সম্প্রতি ইন্টারনেট সার্ভিস বিঘ্নিত হওয়ার পর, ফেসবুকে তিনি সাহায্য হিসেবে তাঁর সঙ্গীর মৃত্যু সংবাদ শেয়ার করেছেন। তার সহকারী আলামিনকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হওয়ার সংবাদটি তানজিন তিশা নিজেই ফেসবুকে নিশ্চিত করেন।

তানজিন তিশা জানিয়েছেন যে, আলামিন তার কাছে শুধুমাত্র সহকারী নয়, বরং ছোট ভাইয়ের মতো। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা তানজিন তিশাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তার নিকটতম সহযোগী রাফাত মজুমদার রিঙ্কু জানিয়েছেন, তানজিন তিশা এখন মানসিকভাবে অনেক ভেঙ্গে পড়েছেন এবং তাই তিনি ফোন কলের উত্তর দিচ্ছেন না।

উল্লেখযোগ্য যে, আলামিনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকার কাছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তানজিন তিশা ২৩বছরের একাধিক সাম্প্রতিক কর্মে প্রশংসা কুড়িয়েছেন, কিন্ত সহকারী আলামিনের মৃত্যু তার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। ভবিষ্যতে তিনি তার মানসিক স্বাস্থ্য এবং নতুন প্রকল্পগুলিতে মনোনিবেশ করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছেন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button