ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে কোন রোগ হয়?

শারীরিক সতেজতা ও স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য ভিটামিন বি ১২ অপরিহার্য। তার অভাবে ব্লাড সেল উৎপাদন ক্ষুন্ন হয়ে, শরীরে রোগের লক্ষণ নিয়ে অ্যানিমিয়া এবং নানান প্রকারের সনায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি হলে, মানুষ ক্লান্তি ও দুর্বলতার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদ, শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট এবং নিউরোলজিক্যাল ইস্যুতে ভুগতে থাকে।

ভিটামিন বি ১২ এর অভাব হতে পারে বি ১২ সমৃদ্ধ খাবারের অপর্যাপ্ত গ্রহণ, গ্যাস্ট্রাইটিস, পার্নিশিয়াস অ্যানিমিয়া, পরিপাক সংক্রান্ত অসুখ, শস্ত্রপচার, এবং অ্যালকোহলের ব্যবহার জনিত সমস্যা থেকে। পুষ্টি ঘাটতি জনিত লক্ষণগুলো হল জিহ্বায় প্রদাহ, দুর্বলতা, ফ্যাকাশে ত্বক, হাঁটাচলায় কষ্ট, মুখের ঘা, মানসিক সমস্যা, বমি এবং ডায়রিয়া। চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ভিটামিন বি ১২ ইনজেকশন, ন্যাসাল সাপ্লিমেন্ট, এবং মৌখিক সাপ্লিমেন্ট অত্যন্ত কার্যকর।

Contents show

ভিটামিন বি ১২ কি?

ভিটামিন বি ১২, যা কোবালামিন নামেও পরিচিত, একটি জল-দ্রবণীয় ভিটামিন যার বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপে অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে। এটি মূলত শরীরের স্নায়ু কোষ ও রক্ত কোষের স্বাস্থ্য বজায় রাখা, এবং ডিএনএ এবং আরএনএ তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত।

ভিটামিন বি ১২ এর গুরুত্ব

ভিটামিন বি ১২ এর গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শরীরের শক্তি উৎপাদনে সহায়ক, স্নায়বিক কার্যক্রম সুনিশ্চিত করে এবং রক্ত কণিকা নির্মাণে সহায়তা করে। ভিটামিন বি ১২ের স্বাস্থ্য প্রভাব সম্পর্কে নানান গবেষণায় দেখা গেছে যে, এর পর্যাপ্ত মাত্রার অভাবে মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, স্নায়বিক সমস্যা এবং পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়।

প্রধান উৎস

  • প্রাণীজ উৎস: মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য – ভিটামিন বি ১২ের প্রধান উৎস।
  • সমৃদ্ধিত খাদ্যদ্রব্য: অনেক সময় নিরামিষভোজী খাদ্যগুলো, যেমন সমৃদ্ধিত শস্য এবং শাকসবজি, ভিটামিন বি১২ দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়।

ভিটামিন বি ১২ের উৎস বৈচিত্র্যপূর্ণ হওয়ায়, নানান ধরনের খাদ্যাভ্যাসের মানুষজন, যেমন মাংসাশী, নিরামিষভোজী বা ভেগান, তাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সক্ষম।

ভিটামিন বি ১২ এর অভাবের কারণ

ভিটামিন বি ১২ এর অভাবের প্রধান কারণ হল যথাযথ খাদ্যাভ্যাসের অভাব এবং শরীরে এর শোষণের সমস্যা। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক অবস্থাও এর অভাবকে ত্বরান্বিত করে।

আরও পড়ুনঃ  মদ্যপান বন্ধ করার উপায় - সহজ টিপস

খাদ্য অভ্যাস

  • মুখ্যত নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস অবলম্বনকারীরা ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন লাল মাংস, মাছ, ডিম এবং দুধজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেন না।
  • ভিটামিন বি১২ যুক্ত খাবার গ্রহণে অনিহা ভিটামিন বি১২ এর অভাবকে বাড়িয়ে তোলে।

শারীরিক অবস্থার প্রভাব

  • গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা, যেমন যাদের গ্যাস্ট্রাইটিস, সেলিয়াক ডিজিজ অথবা ক্রোন’স ডিজিজ আছে, তাদের মধ্যে ভিটামিন বি১২ অভাবের কারণ হিসেবে শোষণের সমস্যা দেখা দেয়।
  • বয়স্ক ব্যক্তিরা, যাদের পেটের অম্লের উৎপাদন কম হয়, তারা ভিটামিন বি১২ সঠিকভাবে শোষণ করতে পারে না।

এই শারীরিক অবস্থা এবং খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও, অন্যান্য কারণ যেমন জেনেটিক সমস্যা, অ্যালকোহলের প্রভাব এবং পূর্বের অস্ত্রোপচার ভিটামিন বি১২-এর শোষণের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এসব কারণ মিলে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবের জটিলতা বাড়াতে পারে।

ভিটামিন বি ১২ এর অভাবজনিত সাধারণ উপসর্গ

ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অন্যতম। এছাড়াও, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যাও ভিটামিন বি ১২ অভাবের লক্ষণ হিসেবে পরিলক্ষিত হয়।

ক্লান্তি ও দুর্বলতা

ভিটামিন বি ১২ সাধারণত রেড ব্লাড সেলস উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে, যা আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহনের দায়িত্ব পালন করে। অতএব, এর অভাব হলে শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত অনুভূত হতে পারে।

স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা

ভিটামিন বি ১২ অভাবের লক্ষণ হিসেবে স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, যেমন ভারসাম্য হারানো, হাত-পায়ের ঝাঁকুনি অথবা মাংসপেশীতে অসাড়তা। এসব সমস্যা দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধা প্রদান করে এবং জীবনমানের উপর প্রভাব ফেলে।

যদি উপরিউক্ত উপসর্গগুলির কোনোটি পরিলক্ষিত হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া উচিত। চিকিৎসা না নিলে, ভিটামিন বি ১২ এর অভাব গুরুতর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

এনায়াগ্রোফলার ব্যাপারে সচেতনতা

এনায়াগ্রোফলার, যা ভিটামিন বি ১২ ঘাটতির একটি প্রাথমিক চিহ্ন হিসেবে পরিচিত, এর লক্ষণ সঠিকভাবে চিনতে পারলে সমস্যাটির প্রাথমিক পর্যায়ে নিরাময় সম্ভব। ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি চিকিৎসা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি কারণ এটি দীর্ঘস্থায়ী স্নায়ুক্ষতি এড়াতে পারে।

রোগের লক্ষণ

  • অস্বাভাবিক ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব
  • মেমরি লস বা মনোযোগের সমস্যা
  • অস্পষ্ট দৃষ্টি এবং মুখের তালুতে ব্যথা

এ ধরনের এনায়াগ্রোফলার লক্ষণ গুলি হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়, কারণ এগুলি অবহেলা জনিত গুরুতর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিরোধের উপায়

  1. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন: মাংস, মাছ, ডিম, এবং দুগ্ধজাতীয় পণ্য যুক্ত করুন।
  2. নিয়মিত চিকিৎসা পরীক্ষা: ভিটামিন বি ১২ স্তর নিয়মিত পরীক্ষা করান।
  3. ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন: বিশেষ করে যদি আপনি শাকাহারী হোন।

উপরিউক্ত ব্যবস্থাপত্র মেনে চললে ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে উঠতে পারে এবং এনায়াগ্রোফলার এর অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ  দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে কি করনীয়?

অ্যানিমিয়া ও ভিটামিন বি ১২

প্রাডিউশন অফ ব্লাড সেলসভিটামিন বি ১২ ঘাটতির প্রভাব অন্যতম যে গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে তা হলো লৌহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন। এই ঘাটতির ফলে যে রোগ দেখা দেয় তাকে মেগালোব্লাসটিক অ্যানিমিয়া বলা হয়।

ব্লাড সেল উৎপাদনে ভূমিকা

সুস্থ লৌহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনের জন্য ভিটামিন বি ১২ একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন এর এই ঘাটতি হলে, ব্লাড সেলস অস্বাভাবিক আকারের ও বড় হয়ে যায়, যা সঠিক অক্সিজেন পরিবহন করতে ব্যর্থ হয়।

লক্ষণ ও চিকিৎসা

ভিটামিন বি ১২ ঘাটতির মূল লক্ষণগুলো হলো শারীরিক দুর্বলতা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া, প্রশ্বাস কষ্ট। চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ভিটামিন বি ১২ এর সাপ্লিমেন্ট বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ভিটামিনের মাত্রা বৃদ্ধি করা হতে পারে।

  • রক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শের মাধ্যমে নির্ণয়।
  • সঠিক ডায়েট যাতে ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য, মাছ অন্তর্ভুক্ত করা।

উপসর্গগুলো নিরাময়যোগ্য, তবে সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত মনিটরিং ও ভিটামিন বি ১২ সাপ্লিমেন্টেশন একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করে।

ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা ও ডোজ

বিভিন্ন বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী ভিটামিন বি ১২ এর প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে। দৈনিক আহারের মাধ্যমে সঠিক পরিমাণে ডেইলি ভিটামিন বি ১২ ডোজ গ্রহণ জরুরি।

কোন বয়সে কতটা প্রয়োজন

  • শিশুদের (০-১৪ বছর): ০.৯ থেকে ১.৮ মাইক্রোগ্রাম
  • কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কগণ (১৫-৬০ বছর): পুরুষের জন্য ২.৪ মাইক্রোগ্রাম এবং নারীদের জন্য ২.৬ মাইক্রোগ্রাম
  • বয়স্ক জনগণ (৬০ বছরের উপরে): ২.৬ মাইক্রোগ্রাম এরও বেশি

অতিরিক্ত গ্রহণের প্রভাব

যদিও ভিটামিন বি ১২ জল দ্রবণীয় ভিটামিনের আওতাভুক্ত, তথাপি অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট রিস্ক বহন করে। অযথা অতিরিক্ত গ্রহণ হতে পারে ক্ষতিকর:

  • অবাঞ্ছিত হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্রম
  • অসুখী গ্যাস্ট্রিক ফাংশন
  • ত্বকের পরিবর্তন এবং অ্যালার্জি

ভিটামিন বি ১২ অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাই ভালো।

শিশুদের মধ্যে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব

শিশু স্বাস্থ্য এবং তাদের সার্বিক বিকাশে ভিটামিন বি ১২ এর ভূমিকা অপরিসীম। যদিও শিশুদের মধ্যে পুষ্টি ঘাটতি বিশ্বব্যাপী এক গুরুতর সমস্যা, বাংলাদেশে এর প্রভাব আরো প্রকট। ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে শিশুদের মধ্যে দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতাসহ নানা রকমের শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধকতা।

বৈশিষ্ট্য

  • শিশুদের মধ্যে ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি সাধারণত তীব্র ক্লান্তি, মেজাজের অস্থিরতা, হালকা ত্বক, অ্যানেমিয়া এবং স্নায়বিক সমস্যাগুলির মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়।
  • শিশুদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি সম্পর্কিত সমস্যাগুলো প্রায়ই এই ঘাটতির কারণে সৃষ্টি হয়।

চিকিৎসা ও প্রতিকার

চিকিৎসার জন্য প্রথমে শনাক্তকরণ জরুরি। রক্ত পরীক্ষা দ্বারা ভিটামিন বি ১২ এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চিকিৎসা পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে:

  1. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, বি১২ সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, দুধজাতীয় পণ্য এবং শুকনো ফল বাড়ানো।
  2. অভাব অনুযায়ী ওরাল বা ইনজেক্টেবল ভিটামিন বি ১২ সাপ্লিমেন্টেশন।
  3. অন্যান্য অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসা করা।
আরও পড়ুনঃ  দাঁত স্কেলিং এ কত খরচ হতে পারে?

সঠিক চিকিৎসা এবং নিবিড় পরিচর্যা দ্বারা শিশুদের মধ্যে পুষ্টি ঘাটতি এবং ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি দূরীকরণ সম্ভব। অবশ্যই নিয়মিত চেকআপ এবং চিকিৎসার উপযুক্ত অনুসরণ জরুরি।

বয়স্কদের মধ্যে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব

বয়স্কদের মধ্যে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব একটি প্রচলিত সমস্যা যা প্রধানত তাদের হজম ক্ষমতার পরিবর্তনের কারণে ঘটে। এ অভাবজনিত সমস্যাগুলি বয়স্কদের পুষ্টি ঘাটতি, স্বাস্থ্য ও ডায়েটে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

হজম ক্ষমতার পরিবর্তন

বয়স্কদের মধ্যে হজম ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে তাদের দেহে ভিটামিন বি ১২ শোষণের হার কমে যায়। এটি তাদের সার্বিক পুষ্টি ঘাটতির একটি প্রধান কারণ।

প্রচলিত সমস্যা ও সমাধান

  • স্মৃতিভ্রংশ ও মেজাজ পরিবর্তন।
  • ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ খাদ্যগুলির গ্রহণ বৃদ্ধি।
  • নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করা।
  • নিয়মিত পেশাগত স্বাস্থ্য পরীক্ষা।

বয়স্কদের স্বাস্থ্য ও ডায়েট কাঠামো ঠিক রাখতে হলে ভিটামিন বি ১২ এর পর্যাপ্ততা জরুরি। এতে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং প্রচলিত সমস্যাগুলির প্রতিকার সহজ হয়।

ভিটামিন বি ১২ সাপ্লিমেন্ট ও তাদের ভূমিকা

খাদ্য ও পুষ্টির জগতে ভিটামিন বি ১২ এর গুরুত্ব অপরিসীম। সিয়ানোকোবালামিন এবং মিথাইলকোবালামিনের মতো বিভিন্ন রূপের ভিটামিন বি ১২ সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, এনার্জি ড্রিঙ্কস সহ নানাবিধ সাপ্লিমেন্টে এই ভিটামিনটি প্রচুর পরিমাণে থাকে। মানুষ যদি তার দৈনিক খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ গ্রহণ করতে অক্ষম হয়, তাদের জন্য সাপ্লিমেন্ট একটি উপকারী বিকল্প হতে পারে।

সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজনীয়তা

ভিটামিন বি ১২ অভাবজনিত রোগসমূহ, যেমন ম্যাক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়া, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, এবং কগনিটিভ অক্ষমতা, নিবারণে সাইনোকোবালামিন বা মিথাইলকোবালামিন সাপ্লিমেন্ট গুরুত্ববহ। 50 বছরের বেশি বয়সী জনগণকে নিয়মিত আহারের পরিবর্তে অবশ্যই ভিটামিন বি ১২ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়।

সঠিক সাপ্লিমেন্ট নির্বাচন

সঠিক ভিটামিন বি ১২ সাপ্লিমেন্টের বাছাই স্বাস্থ্য সচেতন একটি ধাপ। বাজারে নানান ধরনের সাপ্লিমেন্টের মধ্যে চয়ন করা হয়ে থাকে মিথাইলকোবালামিন বা সিয়ানোকোবালামিন। প্রত্যেকের দৈনিক প্রয়োজন এবং স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় সঠিক মাত্রায় ভিটামিন বি ১২ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিৎ। অতিরিক্ত গ্রহণে বমি বমি ভাব, অন্ত্রের ব্যাথা, এবং প্রদাহের মতো অনাকাঙ্খিত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট শুরু এবং দৈনন্দিন খাদ্যাভাস পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button