কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে?
ডায়াবেটিস এক ভয়াবহ রোগ, যার ফলে শরীরে নানান সমস্যা ঘটতে পারে; সুতরাং প্রত্যেকের জন্য সতর্কতা জরুরি। শরীরে ইনসুলিন, যা অগ্ন্যাশয় থেকে নির্গত হয় এবং শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। কলকাতায় ডায়াবেটিস এবং মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডক্টর অশিস মিত্র জানান, এই রোগের তীব্রতা এবং তিনি ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের সুগার বাড়ানোর খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন যাতে সুগার লেভেল বেড়ে না যায়।
ভাজা খাবার এবং চিকিৎসাজাত পণ্যে প্রচুর ক্যালোরি থাকে এবং শরীরে চর্বি বাড়াতে পারে, যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে। আম, আঙ্গুর অথবা কলার মতো উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের ফল খেলে দ্রুত শরীরের সুগার লেভেল বাড়তে পারে। ডায়াবেটিসের কারণ হিসেবে যে খাবারগুলি পরিচিত, সেগুলির আলোচনা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসের প্রভাব
ডায়াবেটিস একটি হরমোনজনিত সমস্যা যা মূলত অগ্ন্যাশয় দ্বারা পর্যাপ্ত ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন না করলে ঘটে। এই সমস্যাটি সুগারের উপসর্গ এবং বিভিন্ন ডায়াবেটিসের উপসর্গ সৃষ্টি করে যা প্রায়ই চিহ্নিত করা যায়।
ডায়াবেটিস কি?
ডায়াবেটিস হলো এক ধরনের মেটাবলিক ডিসঅর্ডার যেখানে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এটি মূলত দুই ধরনের হতে পারে – টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, অন্যদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন ব্যবহারে অক্ষম হয়।
এর উপসর্গ
ডায়াবেটিসের সাধারণ উপসর্গ হিসাবে যা চিন্তাজাগানিয়া হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত ক্লান্তি, পানির অধিক প্রয়োজন, দ্রুত ওজন হ্রাস পাওয়া, এবং অস্বাভাবিক ভাবে ক্ষুধা বাড়া। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, ক্ষত শুকানোর ধীর গতি, এবং অন্যান্য ইনফেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
ঝুঁকির কারণ
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন বহু কারণ রয়েছে। অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা, পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস, উচ্চ রক্তচাপ, এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক অক্রিয়তা এর মূল কারণসমূহ। খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের গ্রহণ, খাবারে ফাইবারের অভাব, এবং বেশি লবণ গ্রহণ করা এই ডায়াবেটিস আশঙ্কাকে উস্কে দিতে পারে।
শর্করা যুক্ত খাবার
ডায়াবেটিসের প্রসারে শর্করা যুক্ত খাবারের ভূমিকা অপরিসীম। এই ধরণের খাবার সাধারণত দ্রুত শরীরের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। নিম্নে এমন কিছু খাবারের কথা বলা হলো যেগুলো ব্যাপকভাবে সুগার বাড়ানোর পানীয় এবং মিষ্টান্নের ক্যাটাগরিতে পড়ে।
সফট ড্রিঙ্কস
সফট ড্রিঙ্কস এবং অন্যান্য সুগার বাড়ানোর পানীয় যেমন ফলের রস, চিনিযুক্ত চা এবং স্মুদি, সরাসরি শরীরে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। চিনির মিশ্রণ থাকায় এগুলো দ্রুত ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
চিনিযুক্ত খাবার
জ্যাম, জেলি, এবং অন্যান্য চিনিযুক্ত খাবার যা প্রায় নিত্যদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত থাকে, তা অতিরিক্ত সুগার সরবরাহ করে থাকে।
পেস্ট্রি এবং মিষ্টান্ন
পেস্ট্রি, কেক এবং অন্যান্য মিষ্টান্ন যেগুলোতে মিষ্টির পরিমাণ অধিক থাকে, সেগুলো না কেবল শরীরের সুগারের মাত্রা বাড়ায় বরং ওজন বৃদ্ধির জন্যও দায়ী। দৈনিক ডায়েটে এধরনের খাবারের উপস্থিতি ক্রমাগত স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: সুস্থ ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে চিনিযুক্ত খাবারের প্রভাব হ্রাস করা সম্ভব।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: খাবারের লেবেল যত্নসহকারে পড়া এবং চিনির মিশ্রণের পরিমাণ সচেতনভাবে নির্ণয় করা।
অতএব, একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের লক্ষ্যে চিনিযুক্ত খাবার এবং মিষ্টান্ন থেকে দূরে থাকা, এবং উচ্চ মানের, পুষ্টিকর খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়া অপরিহার্য।
সাদা গম এবং রিফাইনড শস্য
সাদা গম ও রিফাইনড শস্যগুলি, যেমন রিফাইনড আটা এবং শ্বেত আটা থেকে তৈরি খাবারগুলি, অত্যধিক গ্রহণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই খাবারগুলি শরীরে দ্রুত শর্করা উৎপাদন করে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
সাদা রুটি
সাদা রুটি, যা মূলত শ্বেত আটা থেকে তৈরি, এটি প্রক্রিয়াজাত শস্য যা খাদ্যতালিকায় উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মূল্য রাখে। এর ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায় যা ডায়াবেটিস পরিচালনায় অসুবিধা সৃষ্টি করে।
সাদা পাস্তা
সাদা পাস্তা, যা রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট থেকে তৈরি, তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশি হয় যা শরীরে দ্রুত শর্করা বৃদ্ধি করে থাকে। এটি রক্তের সুগার দ্রুত উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
পুষ্টিবিদগণ প্রায়ই রিফাইনড শস্য থেকে নির্মিত খাবারগুলির বদলে পুরো শস্য জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ এগুলি স্বাস্থ্যকর এবং রক্ত চিনির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তাই, সাদা রুটি এবং সাদা পাস্তা পরিহার করে পুরো শস্য জাতীয় খাবারের দিকে ঝুঁকতে হবে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত খাবার, বিশেষ করে ফাস্ট ফুড এবং প্যাকেজড স্ন্যাকস, আধুনিক সমাজের খাদ্যাভ্যাসের একটি বড় অংশ হয়ে উঠেছে। এই ধরনের খাবারগুলি সাধারণত উচ্চ সোডিয়াম, চিনি, ফ্যাট এবং ক্যালোরি সমৃদ্ধ হয়, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
ফাস্ট ফুড
ফাস্ট ফুড, যেমন বার্গার, ফ্রাইস, এবং ফ্রাইড চিকেন, তেল জাতীয় খাবারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এসব খাবার সরাসরি শরীরে ফ্যাট জমা করে এবং ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
প্যাকেজড স্ন্যাকস
প্যাকেজড স্ন্যাকস এবং প্রক্রিয়াজাত চিপস প্রায়শই অতিরিক্ত চিনি এবং সুগার যুক্ত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবার শরীরে অতিরিক্ত শর্করা জমা করে, যা ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
পরামর্শ:
- ফাস্ট ফুডের পরিবর্তে টাটকা ফলমূল এবং শাকসবজি গ্রহণ করুন।
- প্রক্রিয়াজাত চিপস এর পরিবর্তে হোমমেড স্ন্যাকস চেষ্টা করুন, যেমন বাকেড সুইট পটেটো চিপস।
এই ধরণের পদক্ষেপ আপনার খাদ্যাভ্যাসকে সুস্থ রাখতে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
এই খাবার গুলি কিভাবে ক্ষতিকর?
খাবারের ক্ষতিকর প্রভাব ও ডায়াবেটিসের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আলোচনা যখন হয়, তখন বুঝতে হবে কী ধরনের খাবারে এর প্রভাব পড়ে। উচ্চ ক্যালোরি, অত্যধিক চিনি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটের বিপুল পরিমাণে উপস্থিতি ডায়াবেটিস বাড়ার এক বড় কারণ।
সাধারণত, এই ধরনের খাবারগুলি ফাইবারে কম এবং ফ্যাটে উচ্চ হয়ে থাকে। এমন খাবারের ফলে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ তৈরি হতে পারে, যা ডায়াবেটিসের সমস্যা আরও জটিল করে তোলে।
- চিনিযুক্ত খাবারগুলি: পেস্ট্রি, মিষ্টান্ন, সফট ড্রিঙ্কস ইত্যাদি
- রিফাইনড কার্বস: সাদা রুটি, সাদা পাস্তা, সাদা চাল
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: ফাস্ট ফূড, প্যাকেজড স্ন্যাকস, প্রক্রিয়াজাত মাংস পণ্য
এই প্রকার খাবারগুলি নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে, এবং সেগুলির এড়াতে কিভাবে চলা উচিত তা সচেতনভাবে মনে রাখা জরুরি। বিশেষ করে, ডায়াবেটিসের খাদ্যাভ্যাসের পরিচর্যায় ভালো ডায়েট পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
ফলমূলের প্রভাব
ফলমূলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাপক হিসেবে ব্যবহার হয় যা দেখায় খাদ্যাভ্যাসে কোন খাবার ব্লাড সুগারে কতটা প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, চিনিযুক্ত ফল এবং শুকনো ফল এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক সময় বেশি থাকে, যা ডায়াবেটিস প্রবণতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও, ফ্রুক্টোজের ঘনত্ব বেশি হওয়া শুকনো ফল বিশেষ মনোযোগের দাবিদার।
চিনিযুক্ত ফল
চিনিযুক্ত ফলের প্রভাব অন্যান্য ফলের তুলনায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকিকে বেড়ে তোলে। যেমন আম, লিচু কিংবা আঙুর খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে। এই চিনিযুক্ত ফল গুলোর মধ্যে ফ্রুক্টোজের মাত্রা অনেক বেশি থাকে, যা সুগার লেভেল বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ।
শুকনো ফল
শুকনো ফল অত্যন্ত সুগন্ধী ও মৌসুমী ফলের একটি বিকল্প হতে পারে, কিন্তু শুকনো ফলে ফ্রুক্টোজের ঘনত্ব অনেক বেশি হতে পারে যা শুকনো ফল খেলে তার প্রভাব সরাসরি গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে প্রতিফলিত হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বড় সমস্যা হতে পারে, কারণ এই ফ্রুক্টোজ খুব দ্রুত রক্তে মিশে গিয়ে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
- আঞ্জির: স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে পরিচিত যা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, যা চোখের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে।
- ডু�
দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য
দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে উঠেছে। বাজারে পূর্ণ দুধ এবং সম্পূর্ণ ফ্যাটের দুধ এর পাশাপাশি আলোচনা রয়েছে প্রক্রিয়াজাত দই ও অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য সম্পর্কে।
পূর্ণ দুধ
পূর্ণ দুধ বা সম্পূর্ণ ফ্যাটের দুধ প্রায়ই তার উচ্চ ফ্যাটের মাত্রা এবং চিনির মেটাবলিজমে প্রভাবের কারণে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। এই দুধ গুলির মধ্যে সামান্য চিনি (ল্যাকটোজ) থাকলেও তার গ্লাইসেমিক সূচক কম। এটি কিছু মানুষের জন্য একটি সহ্যকর খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়।
প্রক্রিয়াজাত দই
প্রক্রিয়াজাত দই তৈরি হয় দুধ থেকে, যেখানে কিছু প্রসেসিং পদ্ধতিতে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হয়। মিষ্টি মেশানো দই বা ফ্লেভারযুক্ত দই অতিরিক্ত চিনির পরিমাণ বাড়ায় এবং এটি ব্লাড সুগার স্তরে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে প্রাকৃতিক সাধারণ দই একটি সুষম ডায়েটের অংশ হিসেবে উপকারী।
- পূর্ণ দুধে প্রাকৃতিক চিনি (ল্যাকটোজ) এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে।
- প্রক্রিয়াজাত দই শিল্পজাতভাবে প্রোডাকশনে অতিরিক্ত সুগার এবং ফ্লেভার যোগ করা হয়।
সব মিলিয়ে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে দুগ্ধজাত পণ্য এর সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। প্রক্রিয়াজাত এবং চিনি সমৃদ্ধ পণ্য এড়ানো এবং স্বাস্থ্যকর, কম চিনিযুক্ত দুগ্ধজাত বিকল্প গ্রহণে মনোযোগী হওয়া উচিত।
ফ্যাট এবং তেল
স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় সঠিক ধরণের ফ্যাট এবং তেলের ভূমিকা অপরিসীম। তবে অনিরাপদ তেলের মধ্যে ট্রান্সফ্যাট অন্যতম, যা বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ট্রান্সফ্যাট মূলত উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদ্রোগের মতো বিভিন্ন সাস্থ্যজনিত সমস্যা বৃদ্ধি করে। এই সতর্কতার মধ্যে দিয়েই আমাদের দৈনিক ডায়েটে সঠিক ফ্যাটের গ্রহণ ও বর্জনের কথা ভাবা উচিত।
ট্রান্সফ্যাট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্পজাত ট্রান্সফ্যাটের ব্যবহার ২০২০ সালে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আগে, ক্র্যাকার্স, কুকিজ, ও স্ন্যাক কেকস এর মত প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলিতে পার্শ্বভাবে হাইড্রোজেনেটেড ভেজিটেবল তেল ছিল কৃত্রিম ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস। গবেষণায় প্রমাণিত যে, কৃত্রিম ট্রান্সফ্যাট হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে প্রেক্ষাপট গবেষণায় এই সম্পর্ক আরও স্পষ্ট।
অনিরাপদ তেলের ব্যবহার কেবল হৃদরোগের ঝুঁকিই বাড়ায় না, বরং প্রদাহ ও মেদভূতি বা স্থূলত্ব যুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব বেশি। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, ট্রান্সফ্যাটের বৃদ্ধি প্রাপ্ত খাওয়া এবং করোনারি অ্যার্টারি রোগীদের মধ্যে ধমনী ক্ষতিগ্রস্ততার গভীরতা সম্পর্কিত। সর্বশেষ অধ্যয়ন ট্রান্সফ্যাটের সেবন এবং স্তন, প্রোস্টেট এবং কোলন ক্যান্সারের বাড়তি ঝুঁকির মধ্যে যোগসূত্র পেয়েছে। অতিরিক্তি ট্রান্সফ্যাট সমৃদ্ধ খাবারের ব্যবহারকে কমিয়ে আনতে বেশ কিছু দেশ প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলিতে ট্রান্সফ্যাটের সামগ্রীতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এই তথ্যগুলি আমাদেরকে সতর্ক করে যে, স্বাস্থ্যকর ডায়েটে উপযুক্ত ফ্যাটের বিকল্প বেছে নেওয়া জরুরী।