পিত্তথলি না থাকলে কী হয়? জেনে নিন

অস্ত্রোপচারের একটি সাধারণ নাম হল গলব্লাডার না থাকার প্রভাব। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫-২০ মিলিয়ন মানুষ প্রতি বছর পিত্তথলি অনুপস্থিতির কারণে শল্য চিকিৎসা করতে হয়। পিত্তথলি, যা মুক্তোর আকারের এই প্রত্যঙ্গটি লিভারের ডানদিকে অবস্থিত, পাচকরস সঞ্চয় ও ঘনীভূত করার এক অপরিহার্য দায়িত্ব নিয়ে থাকে এবং হজমের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

ভারতে, পিত্তথলি অপসারণের হার পশ্চিমা দেশের চেয়ে বেশি, যা জাতীয় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য সেবা বোর্ড অনুযায়ী সার্জিকাল প্রক্রিয়ার প্রায় ২৫% দখল করেছে। তবে পিত্তনালীর মাধ্যমে লিভার থেকে সরাসরি পিত্তনালীর প্রবাহ নিশ্চিত হওয়ায় অনেকেরই সাধারণ খাবার হজমে সমস্যা হয় না। যাই হোক, পিত্তথলির অনুপস্থিতিতে, নানা দিক থেকে হজম ও পাচকরস নিয়ে পরিবর্তন আসতে পারে, যা সুস্থ জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে।

Contents show

পিত্তথলির সংক্ষিপ্ত পরিচয়

পিত্তথলি একটি ছোট থলির মত অঙ্গ, যা লিভারের নিচে অবস্থিত এবং পিত্ত সঞ্চয় এবং ঘনীভূত করে। এটি মূলত পিত্তথলির বিশেষত্ব এবং এর ভূমিকার কারণে আমাদের হজম প্রক্রিয়াতে অপরিহার্য। পিত্তথলিতে যখন পিত্তকোষের পাথর তৈরি হয়, তখন এটি বেদনাদায়ক এবং জটিল হতে পারে।

পিত্তকোষের পাথর, যা প্রধানত কোলেস্টেরল জমাট বাঁধা ফলে সৃষ্টি হয়, এর আকার বিভিন্ন হতে পারে—ছোট বালির মত কণা থেকে গলফ বলের মতো বড় হতে পারে। এই পাথরগুলি যদি পিত্তনালীতে আটকে যায়, তাহলে তীব্র ব্যথা, জন্ডিস এবং গলব্লাডার প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।

  • জন্ডিস হলো যখন পিত্তনালীর স্থিতিশীলতা ব্যাহত হয় এবং পিত্তজারক পদার্থ রক্তে মিশে যায়, যা চোখ এবং ত্বকে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
  • গলব্লাডার প্রদাহ সাধারণত এই পাথরগুলির কারণেই ঘটে, যা পিত্তথলির প্রদাহ এবং অস্বস্তি তৈরি করে।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ পিত্তথলির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত হাইড্রেশন, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়াম এই ধরনের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

পিত্তথলি অপসারণের কারণসমূহ

পিত্তথলির অপসারণ নিয়ে যখন ভাবা হয়, তখন মূলত পিত্তপাথর এবং গলব্লাডারের প্রদাহ অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে উঠে আসে। এই দুইয়ের সৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন কারণে, যেমন স্থূলতা, ধীর গতির জীবনযাত্রা, এবং হরমোন থেরাপি, যা পিত্তথলির কার্যকারিতা এবং পিত্তনালির প্রবাহকে প্রভাবিত করে।

  1. পিত্তপাথর: উচ্চ কোলেস্টেরল ও বিলিরুবিন মিশ্রণে পিত্তপাথর তৈরি হয়।
  2. স্থূলতা: শরীরের অতিরিক্ত ওজন পিত্তথলির পরিপাক ক্রিয়াকে ব্যাহত করে থাকে।
  3. হরমোন থেরাপি: বিশেষ করে উচ্চ এস্ট্রোজেন থেরাপি পিত্তথলির পিত্ত নির্গমন প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যার ফলে পিত্তপাথরের সৃষ্টি হয়।
  4. গলব্লাডারের প্রদাহ: এটি প্রায় সবসময় পিত্তপাথর এর কারণে হয়ে থাকে এবং এরফলে গলব্লাডারের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ  ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে?

এই অবস্থাগুলি কোনো কোনো ক্ষেত্রে জীবনহানিকর হতে পারে, তাই পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। জটিলতার প্রেক্ষিতে পিত্তথলি অপসারণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পরে যা সাধারণত একটি সার্জিক্যাল পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।

পিত্তথলির কার্যকারিতা

পিত্তথলির মূল কার্যকারিতা হল লিভার থেকে উৎপাদিত পিত্তসংরক্ষণ এবং ঘনীভূত করা। এই প্রক্রিয়া হজম সাহায্যে অপরিহার্য হয়ে পড়ে যখন পাচনতন্ত্র চর্বি যুক্ত খাবার মোকাবিলা করে। পিত্তের ভূমিকা শরীরের বিভিন্ন জৈব প্রক্রিয়াগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ।

পিত্ত সংরক্ষণ ও ঘনীভূতকরণ

পিত্তাশয় লিভার থেকে উৎপন্ন পিত্তকে সংরক্ষণ করে, এবং যখন দরকার হয়, ঘনীভূত পিত্ত ক্ষুদ্রান্ত্রে নিষ্কাশিত হয় যা পাচন ক্রিয়াকে উন্নত করে। এই প্রক্রিয়াটি পাচনতন্ত্রের স্বাভাবিক যাত্রা সুনিশ্চিত করে।

  • লিভার থেকে পিত্ত উৎপাদন হয়।
  • পিত্তসংরক্ষণের মাধ্যমে পিত্ত ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রেরণ পূর্ব প্রস্তুত হয়।
  • ঘনীভূত পিত্ত চর্বিযুক্ত খাবারের হজমে সাহায্য করে।

হজমে সহায়তা

হজমে পিত্তের উপস্থিতি হজম প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তোলে। পিত্তনালী মাধ্যমে পিত্ত ক্ষুদ্রান্ত্রে পৌঁছে যায় এবং পাচনে সাহায্য করে, বিশেষ করে চর্বি ভাঙ্গার ক্ষেত্রে।

  • পিত্তাশয়ের গুরুত্ব হল এর পিত্ত চর্বি ভাঙ্গানোর ক্ষমতা।
  • পিত্ত ভিটামিনের শোষণেও সাহায্য করে যা শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।
  • পাচনতন্ত্রের উপকৃতি আনে, পরিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে।

পিত্তথলি না থাকলে শারীরিক পরিবর্তন

গলব্লাডার অভাবের ফলে আমাদের শরীরে কিছু প্রধান পার্থক্য দেখা দেয়, যা প্রত্যেকের জীবনযাত্রায় বিভিন্ন রকম প্রভাব ফেলতে পারে। পিত্তথলি অনুপস্থিতি মানেই লিভার থেকে পিত্ত সরাসরি ক্ষুদ্রান্ত্রে চলে যাওয়া, যা স্বাস্থ্যের নানা দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।

পিত্তের সরাসরি প্রবাহ

পিত্তথলির অনুপস্থিতিতে পিত্ত সরাসরি পিত্তপ্রবাহ ঘটে, যা খাবার পরিপাকের প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত জরুরি। এই পরিবর্তন খাদ্য হজমের গতি ও প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।

পিত্তের ঘনত্বের পরিবর্তন

ঘনত্বের পরিবর্তন প্রধানত হজম প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে। পিত্ত ঘনীভূতকরণের অভাবে পিত্ত তার আদর্শ ঘনত্ব হারায়, যা চর্বি হজমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

হজম প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন

পাচন সহায়ক এনজাইমের তারতম্যের কারণে পিত্তথলি না থাকার ফলাফল হিসেবে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। বিশেষ করে, চর্বিযুক্ত খাবারের হজমে সমস্যা দেখা দেয়, যা অবশ্যই নজরে আনা দরকার।

সব মিলিয়ে, পিত্তথলি অপসারণের পর শারীরিক পরিবর্তনগুলি আমাদের জীবনযাত্রায় সাবধানতার সাথে মোকাবেলা করা উচিত। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও চিকিৎসার মাধ্যমে এই পরিবর্তনগুলির প্রভাব কমানো সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ  ব্লাড ক্যান্সার এর লক্ষণ

সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যা

পিত্তথলির অনুপস্থিতি বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যসমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যা পাচনযন্ত্রের কার্যকারিতা ও পুষ্টি শোষণে ব্যাঘাত ঘটায়।

পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া

পিত্তথলি না থাকলে অতিরিক্ত পিত্ত পাচনযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করে, যার ফলে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হতে পারে। এটি পিত্তথলির অভাবের একটি সাধারণ দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

অজীর্ণতা ও পেট ফাঁপা

গ্যাস্ট্রিক জটিলতায় ভোগার অন্যতম কারণ হল অজীর্ণতা এবং পেট ফাঁপা। গলব্লাডার অনুপস্থিতির ফলে পেট ফাঁপা ও অন্যান্য পেটের অস্বস্তির সমস্যা দেখা দেয়।

চর্বিজাতীয় খাবার হজমে সমস্যা

গলব্লাডার অনুপস্থিতি চর্বি হজমের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে, কারণ পিত্ত সরাসরি ছোট অন্ত্রে প্রবাহিত হয়। এটি খাদ্য হজমে কঠিনতা এবং পাচনযন্ত্রের সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।

ভিটামিন অপুষ্টি

চর্বিদ্রবণীয় ভিটামিনের শোষণের জন্য পিত্ত অপরিহার্য। পিত্তথলি বাদ যাওয়ার পর ভিটামিন A, D, E, এবং K এর শোষণে সমস্যা দেখা দেয়, যা ভিটামিন অপুষ্টি ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যসমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন

পিত্তথলি অপসারণের পর, আপনার পেট এবং হজম প্রক্রিয়া যথাযথ ভাবে মানিয়ে নিতে পারে এমন খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ভালোভাবে হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যাগুলি থেকে রক্ষা করে।

ঘন ঘন অল্প পরিমাণে খাওয়া

পিত্তথলি অপসারণ পরবর্তী খাদ্যতালিকা অনুযায়ী, দিনে বেশি বার খাওয়া উচিত, তবে প্রতিটি খাবারের পরিমাণ কম রাখা উচিত। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে এবং খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণে সাহায্য করে।

চর্বিযুক্ত খাবার সীমিত করা

চর্বি নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি, বিশেষত পিত্তথলি না থাকাকালীন। চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া সীমিত করলে আপনার শরীর আরো সহজে খাবার হজম করতে সক্ষম হবে।

উপযোগী খাবারের তালিকা

পিত্তথলি অপসারণের পর যে সকল খাবার উপযোগী তা হল:

  • ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি যেমন ব্রোকোলি, শাকসবজি
  • লিন প্রোটিন, যেমন মুরগির মাংস ও মাছ
  • সম্পূর্ণ শস্য যেমন বাদাম, বীজ, মুসলি

এই খাবারগুলি চর্বি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং সুস্থ হজম প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে।

চিকিৎসা ব্যবস্থা

পিত্তথলির প্রসঙ্গে, বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা উপলব্ধ রয়েছে যা রোগীর প্রয়োজনীয়তা ও স্বাস্থ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়। গলব্লাডার চিকিৎসা বা বাইল অ্যাসিড চিকিৎসা, এবং ডাক্তারি পরামর্শ এই সব চিকিৎসা পদ্ধতির অংশ।

ওষুধ: বাইল অ্যাসিড সিকুয়েস্ট্র্যান্ট

বাইল অ্যাসিড চিকিৎসা গলব্লাডার সমস্যায় বিশেষ কার্যকরী। এই ওষুধ পিত্তপাথরগুলোকে ভেঙ্গে দেয় এবং পিত্তনালীর মাধ্যমে তাদের নির্গমন সহজ করে তোলে।

পরিপূরক: হজম এনজাইম

পিত্তথলি অপেরশনের পরে হজম প্রক্রিয়া কখনও কখনও ব্যাহত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, হজম এনজাইমের পরিপূরক খুবই সহায়ক হতে পারে, যা খাদ্য হজমে এবং খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।

ডাক্তারি পরামর্শের গুরুত্ব

পিত্তথলি বা পিত্তপাথরি সমস্যায় ডাক্তারি পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি। সার্জেরি বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য যথাযথ পরীক্ষা এবং ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। কোনও উপসর্গ দেখা দিলে, যেমন যদি জন্ডিস বা অন্যান্য জটিলতা প্রকাশ পেতে থাকে, তবে অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

আরও পড়ুনঃ  কানে হাইড্রোজেন পেরঅক্সাইড কতক্ষণ রাখবেন

জীবনযাত্রায় সামঞ্জস্

পিত্তথলি অপসারণের পর, আপনার জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে, যা আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক মানসিক প্রস্তুতিকে প্রভাবিত করবে। নিম্নে কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হলো যা এই পরিবর্তনগুলির সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

শারীরিক অভ্যাস

শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কিছু বিশেষ শারীরিক অভ্যাসের দরকার হয়। পিত্তথলি অপসারণের পর, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যায়াম জরুরী।

  • দিনে ছয়বার খাবার খান, প্রতিটি খাবারে ৩০০-৪০০ ক্যালোরি থাকবে।
  • প্রতিদিনের খাবারে চর্বির পরিমাণ ৬০-৬৫ গ্রামের মধ্যে রাখুন।
  • বেশি ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন ব্রকোলি, কলিফ্লাওয়ার কম খান।

মানসিক প্রস্তুতি

মানসিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরী কারণ এটি আপনাকে নতুন জীবনযাত্রায় খাপ খাওয়াতে এবং আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে সাহায্য করে।

  • প্রতিদিনের অভ্যাসে ধীরে ধীরে খাদ্যাভ্যাস আয়ত্ত করুন।
  • ডায়েরি রাখুন যেখানে খাদ্যাভ্যাস ও রক্তচাপের তথ্য লিপিবদ্ধ করবেন।
  • চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদ সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করুন।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

পিত্তথলি অপসারণের পর, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ। এটি সম্ভাব্য জটিলতাগুলি যেমন পিত্তনালীর ক্ষতি বা রক্তে বিলের পরিমাণ বৃদ্ধি এড়াতে সাহায্য করে।

  • সময়মত লিভার ফাংশন টেস্ট ও পেটের আল্ট্রাসাউন্ড করান।
  • চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করুন এবং তাঁর পরামর্শ মেনে চলুন।

উপরিউক্ত বিষয়গুলি মেনে চললে, পিত্তথলি অপসারণের পরেও একটি স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবন যাপন সম্ভব।

উপসংহার

পিত্তথলি অপারেশনের পর অন্যান্য জটিলতা ও শারীরিক অভ্যাসে পরিবর্তন সত্ত্বেও, দেখা যায় যে, বহু মানুষ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই নিজেদের জীবনযাপনে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। পুনর্বাসন এবং স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহাজ্য করতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের গড়ন এবং সতর্কতা। ভারতে ৩,২৯০,৩৩৯ কোলেসিস্টেকটমি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরিসংখ্যান থেকে এই সার্জারির প্রচলনের মাত্রা বোঝা যায়, যা প্রদান করে আমাদের এই চিকিৎসার উপযোগিতা।

পিত্তথলি ছাড়া স্বাভাবিক জীবনযাপনের সম্ভাবনা

পিত্তথলি না থাকলেও বহু রোগী স্বাস্থ্য উন্নতির প্রত্যক্ষ প্রমাণ। অধিকাংশ রোগী সার্জারির পরে এক সপ্তাহের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনযাপন পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হয়। শারীরিক অস্বাচ্ছন্দ্য যেমন ফুলে যাওয়া, গ্যাস, ডায়রিয়া এবং চর্বি হজমে সমস্যা ঘটতে পারে, তার পরেও স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরা সম্ভব।

সতর্কতা ও নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শের গুরুত্ব

নিয়মিত স্বাস্থ্য চেক-আপ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মানা উচিত, যাতে অপারেশনের পর ঘটতে পারে যেকোনো জটিলতাগুলিকে আগেভাগে সনাক্ত করা যায়। ধৈর্য্য ও সচেতনতা অত্যাবশ্যক হতে পারে স্বাস্থ্য ফিরে পাওয়া এবং সম্ভাব্য পুনর্বাসনের জন্য। এ মর্মে রোগীরাও আত্ম-সচেতন এবং সতর্ক হওয়া উচিত, যেন তাদের জীবনযাপনে না ঘটে অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button