বিজ্ঞাপন কি?

সমকালীন যুগে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য, এটি একটি সর্বগ্রাসী মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি হিসেবে দিন দিন জোরদার হচ্ছে। প্রাচীন কাল থেকে দেয়াল লিখন, হ্যান্ডবিল এবং পোস্টারের মাধ্যমে প্রচার করার প্রচলন রয়েছে, যা পণ্য এবং সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলে। আজ, ব্যবসায়ীরা তাদের বিজ্ঞাপনের সংজ্ঞা উন্নত করার জন্য একতরফা যোগাযোগের এই মেকানিজমটি ব্যবহার করছেন, যা সৃজনশীল উপস্থাপনা এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে অর্থের বিনিময়ে ধারণা, পণ্য, এবং সেবা প্রদর্শন করে।

দ্বাদশ সংস্করণ “মার্কেটিং এর নীতিমালা”-তে অধ্যাপক ফিলিপ কোটলার এবং গ্যারি আর্মস্ট্রং উল্লেখ করেছেন, বিজ্ঞাপন হচ্ছে পরিচিত প্রায়োজকের পক্ষ থেকে অব্যক্তিগত প্রদর্শনী এবং ধারণা, পণ্য বা সেবার প্রচারের একটি প্রদত্ত রূপ। শতাব্দীর মোড় ঘুরে আমরা দেখছি যে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার নতুন ধরণের মাধ্যম উন্মোচন করেছে, যেমন অনলাইন বিজ্ঞাপন, যা অনলাইন মিডিয়া চ্যানেলগুলির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের কথা বলে। বিজ্ঞাপনের এই নতুন প্রক্রিয়াটি এখন ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়ানো, নতুন বা প্রতিষ্ঠিত পণ্যের জন্য ব্যবহার উৎসাহিত করা, নতুন প্রোগ্রাম ঘোষণা এবং গ্রাহক ব্যবসায়ে আকর্ষণ এবং বিদ্যমান গ্রাহকদের আনুগত্য বজায় রাখার মতো লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহারিত হচ্ছে।

Contents show

বিজ্ঞাপনের সংজ্ঞা

বিজ্ঞাপনের ধারণা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের জন্য অতীত থেকে বিজ্ঞাপনের ইতিহাসবিজ্ঞাপনের ধরণ বুঝতে হবে। এই বুঝার মাধ্যম আমাদেরকে কীভাবে মার্কেটিং পদ্ধতি এবং প্রচার মাধ্যম বিকশিত হয়েছে সে সম্পর্কে অবগত করে।

বিজ্ঞাপনের ইতিহাস

বিজ্ঞাপনের ইতিহাস বলতে মাধ্যমমার্কেটিং পদ্ধতি বোঝা যায়, যা সময়ের সাথে সাথে উন্নতি লাভ করেছে। প্রাচীন সময়ে পাথরে খোদাই করা হতো, তখন থেকে ডিজিটাল বিলবোর্ড পর্যন্ত, বিজ্ঞাপনের মাধ্যম ও তার প্রযুক্তি পরিবর্তিত হয়েছে। এই পরিবর্তন বিজ্ঞাপনের ইতিহাসে নতুন ধারা প্রচার মাধ্যম-কে বিস্তারিত ভাবে চিহ্নিত কারে তুলেছে।

বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন ধরন

বিজ্ঞাপনের ধরণ বিভিন্ন প্রকারের হয়। প্রতিটি ধরনের বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য এবং কার্যকারিতা নিয়ে কাজ করে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, মুদ্রিত মাধ্যম, টেলিভিশন, ও রেডিও বিজ্ঞাপন এই সবগুলো বিজ্ঞাপনের ধরণ আমাদেরকে প্রচার মাধ্যম ও মার্কেটিং পদ্ধতির বৃহত্তর জ্ঞান সম্পর্কে সচেতন করে। বিজ্ঞাপনের এই ধরণগুলো পণ্য বা সেবার সঠিক উপস্থাপন ও গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য

বিজ্ঞাপনের মূল উদ্দেশ্য হল পণ্য ও সেবাসমূহের বিক্রয় বৃদ্ধি, ব্র্যান্ড প্রচার করা এবং আকাঙ্খিত বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য অর্জন করা। নিম্নে এই উদ্দেশ্যগুলি আরও পরিস্কার করা হল।

পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি

সফল বিজ্ঞাপন প্রচার গ্রাহকদের মধ্যে পণ্যের প্রতি চাহিদা সৃষ্টি এবং বিক্রয় বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্যোগের রাজস্ব বাড়িয়ে দেয়। বিক্রয় প্রচার করার মাধ্যমে, বিজ্ঞাপন পণ্যের দরকারী বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা হাইলাইট করে গ্রাহকদের ক্রয় সিদ্ধান্তে প্রভাবিত করে।

আরও পড়ুনঃ  মুকেশ আম্বানি

ব্র্যান্ড সচেতনতা সৃষ্টির গুরুত্ব

ব্র্যান্ড প্রচার ব্র্যান্ডের পরিচিতি ও সুনাম অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। বিজ্ঞাপন মাধ্যম গ্রাহকদের সাথে ব্র্যান্ডের যোগাযোগ সাহায্য করে, এবং পণ্যের মান ও দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করে যা গ্রাহকদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনে সহায়তা করে।

বিজ্ঞাপনের মাধ্যম

বর্তমান বৈশ্বিক বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য ও সেবার সচেতনতা প্রসার এবং ব্র্যান্ডের প্রচার ঘটানো হয়। মিডিয়া বিজ্ঞাপন, অনলাইন বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা, এবং সচেতনতা প্রসারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল, মুদ্রিত, এবং ব্রডকাস্ট মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নীচে এই তিন ধরনের প্রধান বিজ্ঞাপন মাধ্যমের বিবরণ দেওয়া হলো:

ডিজিটাল বিজ্ঞাপন

বর্তমানে, ডিজিটাল মাধ্যম মিডিয়া বিজ্ঞাপনের মূল ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম মত প্ল্যাটফর্মগুলি তাদের আলাদা ক্লিক প্রতি খরচ (CPC) এর স্ট্রাটেজির মাধ্যমে, নির্দিষ্ট ডেমোগ্রাফিক ভিত্তিক লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে, যা উচ্চতর ROI এবং সাবস্ক্রিপশন হার নিশ্চিত করতে পারে।

মুদ্রিত বিজ্ঞাপন

সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন হচ্ছে মুদ্রিত মিডিয়া বিজ্ঞাপনের প্রধান উপাদান। এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলিতে রূপান্তরের হার কম হলেও, বড় বড় ব্র্যান্ডগুলি এখনও এটি ব্যবহার করে ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়াতে এবং একটি শ্রেণীবিশেষের দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে।

টেলিভিশন ও রেডিও বিজ্ঞাপন

টেলিভিশন এবং রেডিও এখনও বড় বাজেটের ব্র্যান্ডগুলির জন্য অত্যন্ত প্রাধান্য পাওয়া মিডিয়া বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আধিক্যের ঠিকানা। বিশেষত, উচ্চ দর্শক সংখ্যা পেতে যেসব চ্যানেল এবং সময়সূচী প্রদান করে, সেখানে বিজ্ঞাপন প্রচারণা চালানো হয়।

এই বিভিন্ন মাধ্যমগুলির মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা স্ব-স্ব ব্র্যান্ডের সচেতনতা ও পণ্যের বিক্রিকে অনলাইন বিজ্ঞাপন এবং মিডিয়া বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে প্রসারিত করতে পারে। গুণগত মানের বিজ্ঞাপন তৈরি করা এবং সঠিক মাধ্যমে তাদের প্রকাশ বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইনের সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি হতে পারে।

বিজ্ঞাপন পরিকল্পনা

সুনির্দিষ্ট এবং কার্যকরী বিজ্ঞাপন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা একটি জটিল প্রক্রিয়া যা সাবধানী মূল্যায়ন ও গবেষণার দাবি রাখে। প্রক্রিয়াটির প্রথম ধাপ হলো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা, যা পরবর্তীতে বাজেট পরিকল্পনা ও বিস্তারিত মার্কেটিং রণনীতি নির্মাণে সহায়তা করে।

লক্ষ্য শ্রোতা নির্ধারণ

প্রতিটি সফল বিজ্ঞাপন পরিকল্পনা এর ভিত্তি হল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। পণ্য বা সেবার সঠিক লক্ষ্যগ্রাহক চিহ্নিত করে সেই গ্রাহকদের পছন্দ এবং আচরণ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন সাজানো হয়। এটি পণ্যের বাজারজাতকরণের সফলতা নিশ্চিত করে থাকে।

বাজেট নির্ধারণ

বাজেট পরিকল্পনা প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বনির্ধারিত বাজেট অনুযায়ী বিজ্ঞাপন পরিকল্পনার সব ধাপ সমন্বিত করা হয়। বাজেট পরিকল্পনা পণ্যের প্রকার, বাজারের ধরন, বিজ্ঞাপন মাধ্যম এবং প্রচার পদ্ধতি অনুসারে সাজানো হয়। এতে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য সঠিক অর্থব্যয়ের পরিমাপ গ্রহণ করা হয়, যা মার্কেটিং রণনীতি কে আরও কার্যকর করে তোলে।

  1. পণ্যের ধরণ ও বাজারের আকার বিবেচনা করে বাজেট নির্ধারণ।
  2. বিজ্ঞাপন মাধ্যম এবং প্রচার পদ্ধতি যথাযথ মূল্যায়ন।
  3. ৮৫ মিলিয়ন পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ করা যাৎে!
আরও পড়ুনঃ  বাজার কি?

একটি চৌম্বকীয় এবং পারিশ্রমিক বিজ্ঞাপন পরিকল্পনা তৈরি করা গেলে, এটি ব্যবসায়ের উন্নতি ও লক্ষ্যমাত্রা হাসিলে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।

বিজ্ঞাপন কৌশল

আধুনিক যুগে বিজ্ঞাপনের কৌশলগুলি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় এবং ব্যবহারিক। প্রতিটি কৌশলের উদ্দেশ্য হলো ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়ানো এবং বিক্রি বৃদ্ধি করা। ইফেক্টিভ মার্কেটিং টেকনিক্স ব্যবহার করে পণ্যের ইউনিক সেলিং প্রোপোজিশনকে গ্রাহকসমূহের কাছে তুলে ধরা হয়।

সামগ্রী বিপণন

কন্টেন্ট মার্কেটিং হলো একটি শক্তিশালী বিজ্ঞাপন কৌশল যা মানসম্পন্ন, শিক্ষামূলক এবং বিনোদনমূলক কন্টেন্ট তৈরি ও বিতরণ করে যা পাঠকের আগ্রহ ও বিশ্বাস অর্জন করে। কন্টেন্ট মার্কেটিং দ্বারা পণ্যের কাহিনী ও তার সুবিধাগুলি গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় উপায়ে তুলে ধরা হয়।

সামাজিক মিডিয়া বিজ্ঞাপন

সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনগুলি এখন বিশ্বজুড়ে বৈশ্বিক দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করার অন্যতম কার্যকরী মাধ্যম। সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, ব্র্যান্ডগুলি তাদের টার্গেট গ্রাহকদের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারে এবং সাথে সাথে ফিডব্যাক পেতে পারে। এই ধরণের ক্যাম্পেইনগুলি গ্রাহকের চাহিদা এবং পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করা যায়, যা পণ্যের মার্কেট প্রেজেন্স বাড়াতে ও সার্বিক সেলস ইনক্রিজ করতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞাপনের মনস্তত্ত্ব

বিজ্ঞাপনের মনস্তত্ত্ব বোঝার জন্য এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে গবেষণা চলছে। প্রাথমিকভাবে, এটি বোঝা গিয়েছিল যে ক্রেতারা তাদের যুক্তির চেয়ে আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে ক্রয় সাধন করে থাকেন, এবং এই আবেগগুলির উপর বিজ্ঞাপনের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব অপরিসীম।

ক্রেতার মনোবিজ্ঞান

ক্রেতার মনোবিজ্ঞান বোঝার জন্য বিজ্ঞাপন ডিজাইনে ব্যবহার করা হয় যেমন AdCreative.ai যা AI চালিত প্রোগ্রাম ব্যবহার করে মার্কেটিং প্রভাব অর্জন করে। এই প্রযুক্তি ক্রেতার ব্রাউজিং ইতিহাস, অবস্থান, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ক্রিয়াকলাপ বিশ্লেষণ করে ক্রেতার অনুভূতি বুঝতে পারে।

বিজ্ঞাপনের আকার ও রং

বিজ্ঞাপনে আকার এবং রং এর ব্যবহার খুবই সুক্ষ্ণভাবে নির্ধারিত হয়, কারণ এগুলি ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং তাদের আবেগগুলিকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, TikTok এবং Instagram এর মতো প্লাটফর্মগুলি উল্লম্ব বিন্যাস ব্যবহার করে, যা ব্র্যান্ডের লোগো এবং কল টু অ্যাকশনগুলি স্পষ্টভাবে দেখা যায় যাতে ক্রেতার মনোযোগ সরাসরি পণ্যের দিকে নিয়ে যায়।

সঠিক রূপরেখা, রং এবং বার্তার মাধ্যমে একটি সঠিক এবং আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন গড়ে তোলার প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র ক্রেতাদের ক্রয় সিদ্ধান�

বিজ্ঞাপনের ফলাফল মূল্যায়ন

বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইনের সাফল্য পরিমাপ করতে গিয়ে মূল্যায়ন একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া। এর মধ্য দিয়ে আমরা বিক্রি বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন কার্যকারিতা নির্ণয় করতে পারি। যেকোনো বিজ্ঞাপনের দুই প্রধান লক্ষ্য হলো রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI) বৃদ্ধি ও বিক্রয় সংখ্যা বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

ROI (রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট)

ROI হল একটি অর্থনৈতিক পরিমাপ, যা বিজ্ঞাপনে বিনিয়োগ করা অর্থের উপর প্রত্যাবর্তন হার নির্ধারণ করে। এটি প্রতিফলন-এর একটি মূল উপাদান এবং সাধারণত প্রতি টাকা প্রত্যাবর্তন, বিক্রিত পণ্যের সংখ্যা, বা অনুসৃত গ্রাহকদের মাধ্যমে বিচার করা হয়।

বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধির বিশ্লেষণ

বিজ্ঞাপনের সাফল্য সংক্রান্ত আরেকটি মূল দিক হল বিক্রি বৃদ্ধি। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যদি বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাহলে সেটি বিজ্ঞাপনের সাফল্যের প্রমাণ হয়ে ওঠে। বিক্রি বৃদ্ধির এই পরিমাণ বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও গবেষণা দ্বারা বিশ্লেষণ করা হয়, যেমন বাজারের অবস্থান, গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া, এবং প্রতিযোগিতার বিশ্লেষণ।

  • প্রসারণ: নির্দিষ্ট সময়ে লক্ষ্য শ্রোতার 50% অবধি পৌঁছানো।
  • পৌনঃপুনিকতা: প্রতিদিন পাঁচবার বিজ্ঞাপন প্রেরণ।
  • প্রভাব: বিভিন্ন মাধ্যমের প্রভাবের গুণমান যাচাই।
  • ভোক্তা নিয়োজিতকরণ: বিজ্ঞাপনের প্রদর্শনের পরিমাণের চাইতে গ্রাহকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ  পরিকল্পনা কাকে বলে?

বিজ্ঞাপন বিলবোর্ড ও আউটডোর বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপনের একটি প্রধান ও চোখে পড়ার মতো মাধ্যম হলো বিলবোর্ড এবং বাইরের প্রচার। এই মাধ্যমগুলো ব্যবসা ও ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের পণ্য ও পরিষেবাকে এমন একটি পর্যায়ে তুলে ধরতে সাহায্য করে যা সাধারণত অন্য কোনো চ্যানেলে সহজে সম্ভব নয়।

বাংলাদেশে বিলবোর্ড ও অন্যান্য বাইরের বিজ্ঞাপন মাধ্যমগুলো, যেমন ডিজিটাল বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপনের প্রদর্শন, শহরগুলোর প্রধান প্রধান রাস্তা এবং মোড়গুলোতে ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। এই বিজ্ঞাপনগুলো আমাদের দৈনন্দিন চলাফেরার রুটগুলোতে একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।

অনন্য উপস্থাপনা

বাইরের বিজ্ঞাপনের অনন্যতা এর দৃশ্যাত্মক উপস্থাপনায় নিহিত। বিলবোর্ডগুলো বিভিন্ন আকার ও আয়াসে উপস্থিত হয়, প্রতিটি বিলবোর্ড তার নিজস্ব ক্রিয়েটিভ ডিজাইন এবং বার্তা প্রদান করে যা গ্রাহকের মনোযোগ দ্রুত আকৃষ্ট করে।

দর্শকদের আকর্ষণ

বিজ্ঞাপনের প্রদর্শন মাধ্যমের এই অংশটি বিশেষভাবে সক্ষম হয় শহুরে এবং উপনগরীয় পরিবেশে দর্শকদের আকর্ষণ করতে। মুহূর্তের মধ্যে তাদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম এমন দৃশ্যাত্মক এবং বার্তিক উপাদানের ব্যবহার দর্শকদের আগ্রহের চেয়ে বেশি আকর্ষণ করে, যা পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ করে তোলে।

  • বিলবোর্ড বিলবোর্ডের ভৌগোলিক অবস্থান সঠিকভাবে নির্বাচন করা।
  • ক্রিয়েটিভ এবং প্রাসঙ্গিক ডিজাইন যা সংক্ষিপ্তভাবে বার্তা প্রদান করে।
  • দিনের বিভিন্ন সময়ে বিলবোর্ডের আলোকসজ্জা এবং দৃশ্যাত্মক প্রভাব।

ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে ট্রেন্ড

ডিজিটাল মার্কেটিং হল আজকের ব্যবসায়িক জগতে এক অপরিহার্য উপাদান। এর মাধ্যমে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, যাতে ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং লক্ষ্যমাত্রা দর্শকের সাথে সরাসরি মিথস্ক্রিয়া সম্ভব হয়। বিশেষত, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, যা Facebook, Instagram, Twitter, এবং LinkedIn মত প্ল্যাটফর্মগুলির উপর ভিত্তি করে, ব্যবসায়ীদের জন্য গ্রাহকদের তাদের পণ্য ও সেবা সম্বন্ধে আরও ভালোভাবে জানানোর একটি অত্যন্ত কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

একই সঙ্গে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এবং পে-পার-ক্লিক (PPC) বিজ্ঞাপন জনপ্রিয়তা পেতে থাকা বিজ্ঞাপন পদ্ধতির মধ্যে গণ্য হয়। SEO এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্ক উন্নতি ঘটানো এবং PPC এর দ্বারা লক্ষ্যবস্তু দর্শকদের মাধ্যমে অনলাইন বিজ্ঞাপনের উপর ভিত্তি করে প্রতি ক্লিকের জন্য পরিমাণে পেমেন্ট করা হয়।

অন্যদিকে, ভিডিও কনটেন্ট এবং ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং দিন দিন বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভিডিও সামগ্রী দ্বারা ভোক্তাদের মধ্যে জোরদার অনুভূতি সৃষ্টি করা সম্ভব, এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে পণ্য প্রমোশন একটি ব্যাপক সফল কৌশলে পরিণত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ব্র্যান্ডগুলি ক্রেতাদের আগ্রহ ও চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন রকমের সামগ্রী তৈরি করছে। এর ফলে, কোম্পানিগুলির জন্য অ্যানালিটিক্স টুলস ব্যবহার করা এবং বাস্তবসময় তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের সফলতা ও উন্নতির ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button