এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কি?

সমসাময়িক ঢাকার উন্নতিলাভের পথে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এক প্রশংসনীয় সংযোজন। যানজট প্রত্যাহার এবং পরিবহন ব্যবস্থা-কে আরো দক্ষ করার লক্ষ্যে এই উড়ালসেতুটি নির্মিত হচ্ছে। যেখানে চার চাকার যানবাহনগুলোই চলাচলের অনুমতি পাবে, পথচারী ও লাইট যানবাহন যেমন রিকশা ও অটোরিকশা ছাড়া। সুচারুরূপে ঢাকা উড়ালপথ-এ চলাচলের জন্য বেঁচে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির যানবাহনের টোল হার, যা যাতায়াতের দ্রুতিকে আরও ফুর্তিবান করে তুলবে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১.৫ কিলোমিটারের মূল অংশের এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, র‌্যাম্পসহ মোট ২২.৫ কিলোমিটার বিস্তৃতি লাভ করেছে। এর অন্তর্গত সর্বাধিক গতি সীমা ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা ধার্য করা হয়েছে, ফলে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দরের যাত্রাপথ মাত্র ১০ মিনিটে অতিক্রম করা যাবে। মহানগরীর যানজট কমিয়ে আনায়নের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত এটি এক অনন্য প্রকল্প।

Contents show

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংজ্ঞা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হল এমন এক ধরনের উচ্চপথ, যা সাধারণত প্রধান সড়ক অথবা রেলপথের উপর দিয়ে অথবা তাদেরকে অতিক্রম করে নির্মাণ করা হয়। এই পথের মাধ্যমে যানজট এড়ানো সহজ হয় এবং যাত্রীদের যাতায়াতের সময় কমে যায়, যা এলিভেটেড পথের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মৌলিক ধারণা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হল ট্রাফিক জ্যাম হ্রাস করা এবং যানচলাচলের গতিবেগ বাড়ানো। এটি সাধারণত নীচের সড়কগুলোর উপরে নির্মিত হয়, যাতে প্রধান সড়কের যানবাহনের চাপ কমানো যায় এবং উড়ালসেতুর সুবিধা পূর্ণভাবে উদযাপন করা যায়।

এর গুরুত্ব ও সুবিধা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শহরের যানজটকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং যাতায়াতের সময় কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। এর মাধ্যমে ফ্লাইওভার ও এক্সপ্রেসওয়ের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে, কারণ এলিভেটেড পথ দীর্ঘদৈর্ঘ্য এবং উচ্চতার কারণে আরও বেশি সুবিধাজনক। এছাড়াও, এটি যানবাহনের গতি বৃদ্ধি এবং জ্বালানি খরচ হ্রাস পায়, যার ফলে এটি পরিবেশ সংরক্ষণেও সহায়তা করে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কিভাবে কাজ করে?

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কোনও প্রকল্পে উড়ালসেতু নির্মাণ এবং এক্সপ্রেসওয়ে পরিচালনা শুধুমাত্র উন্নত প্রকৌশল ডিজাইন ব্যবহার করেই সম্ভব। এই বিশেষ ধরনের পথ নির্মাণে জটিল প্রক্রিয়া বিদ্যমান, যা উচ্চ মানের ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা প্রয়োজন করে।

আরও পড়ুনঃ  কলাবাগান থানা

নির্মাণ প্রক্রিয়া

উড়ালসেতু নির্মাণের প্রক্রিয়াটি প্রথমে মজবুত মৌলিক গঠন নির্ধারণ করে, যা দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। প্রায় 46.73 কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণে ব্যবহৃত মোট ব্যয় প্রায় 122 বিলিয়ন বাংলাদেশী টাকা পর্যন্ত।

পরিচালনা পদ্ধতি

এক্সপ্রেসওয়ে পরিচালনা ভালোভাবে করা হয়েছে, যা যানজট কমানো সহ যাত্রীদের সময় সাশ্রয় করে দ্রুত ও নির্বিঘ্ন পরিবহন নিশ্চিত করে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর, 2023 সালের সেপ্টেম্বরে, এটি সার্বজনিক উপকারিতায় আসে।

কার্যকর পরিচালনা পদ্ধতি এবং উন্নত প্রকৌশল ডিজাইনের সহায়তায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশের এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে এর স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এটি দেশের পরিবহন সিস্টেমে বিশেষ এক যোগান দিয়েছে এবং আগামী দিনেও এই উন্নয়নের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পরিকল্পনা ও নকশা

ঢাকা এলিভেটেড ডিজাইন বাস্তবায়নে নকশা প্রকৌশল এবং উড়ালপথের পরিকল্পনায় জোর দেয়া হয়েছে এমন একটি সম্মিলিত পন্থা অনুসরণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্প ঢাকা শহরের যানজট কমানো এবং যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি বৃহৎ পদক্ষেপ।

ডিজাইন ধারণা

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ডিজাইনে নব্যতা এবং নিরাপত্তা উভয় দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। এটি মহাখালী থেকে শুরু হয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার পরিসরে বিস্তৃত। এতে মোট ৩১টি র‍্যাম্প সহ যানবাহনের চলাচলের জন্য সর্বাধুনিক তথ্য ও প্রৌদ্যোগিকীর ব্যবহার করা হয়েছে।

অঙ্কন ও প্রযুক্তি

নির্মাণে উন্নত অঙ্কন ও শক্তিসাশ্রয়ী প্রযুক্তির প্রয়োগ এ প্রকল্পটিকে আরও ব্যয় কার্যকর ও টেকসই করে তুলেছে। উন্নত ডিজাইন এবং আধুনিক নির্মাণ উপাদান মিলিত হয়ে একটি চলমান গতিশীল ঢাকা সিটির চাহিদা সারাতে প্রস্তুত।

বিশ্বের বিভিন্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

বিশ্বজুড়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উন্নয়ন ও তার ব্যবহার ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলি শহরের যানজট হ্রাস করে, যানবাহনের গতি বৃদ্ধি করে এবং সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করে আসছে। বিশ্বের উড়ালপথ হিসেবে পরিচিত এই এক্সপ্রেসওয়েগুলি আন্তর্জাতিক সড়ক ডিজাইন এর অনন্য উদাহরণ স্থাপন করে।

বিখ্যাত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদাহরণ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিখ্যাত এলিভেটেড প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যা ৪৬.৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার যানজটের সমস্যা অনেকাংশে নিরসনে সহায়তা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মডেলস

  • চীনের বেইজিং ও হংকং অঞ্চলের এলিভেটেড রোডগুলি তাদের নিত্য যানচলাচলের ধারা পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
  • আমেরিকার শিকাগো শহরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রা পরিকল্পনা ও শহরতলি সংযোগে অভিনব সমাধান সরবরাহ করছে।
  • জাপানের টোকিওর এলিভেটেড পথগুলি এক্সপ্রেসওয়ে ডিজাইনে উচ্চ মানের প্রযুক্তি ও নির্মাণ শৈলীর নজির স্থাপন করেছে।

এই এলিভেটেড প্রকল্পের উদাহরণগুলি প্রমাণ করে যে, সঠিক পরিকল্পনা ও নকশার মাধ্যমে উড়ালপথ শহরের মৌলিক যাতায়াতের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন

বাংলাদেশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

বাংলাদেশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ধারণা উন্নয়নের নতুন মুখ দেখাচ্ছে। ঢাকা উচ্চতর সড়কচট্টগ্রাম উড়ালসেতু এই সম্প্রসারণের অন্যতম উদাহরণ।

বর্তমান প্রকল্পসমূহ

ঢাকা উচ্চতর সড়ক প্রস্তাবিত ১৯.৭৩ কিলোমিটারের এক অনন্য সংযোজন যা শহরের যানজট হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের ৭৮% নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রারম্ভিক ভাবে কৌলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতি সীমা নির্ধারিত হয়েছে।

  • মোট ১১ টি টোল প্লাজা থাকবে।
  • প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৩৮.৫৭ বিলিয়ন টাকা।
  • বেসরকারি গাড়ি, মাইক্রোবাস এবং লাইট ট্রাক ৮০ টাকা টোল ফি প্রদান করবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বাংলাদেশের উড়ালপথ প্রকল্প আরও বিস্তৃতি লাভ করবে। উড়ালপথ চট্টগ্রাম এ নতুন প্রকল্প হিসেবে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উড়ালসেতু নির্মাণে আনুমানিক ৪,৩৬৯ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে, যার ফলে এই অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা অধিকতর সহজ ও নিরাপদ হবে।

ঢাকা–ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ের মতো ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলি এই উন্নয়ন চিত্রের অংশ হবে, যারা কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের অধীনে টোল সংগ্রহ করবে এবং আরো সুগঠিত পরিবহন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে এক অনন্য পদক্ষেপ। এটি উঁচু প্রকৌশলগত নকশা দ্বারা যানজট হ্রাস ও দ্রুত পরিবহনের লক্ষ্য অর্জন করতে সাহায্য করে।

যানজট নিয়ন্ত্রণ

পুরো প্রকল্পের যানজট হ্রাস ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য। আশপাশের সাধারণ রাস্তাগুলো থেকে ভারী যানবাহনের চাপ কমে যেতে পারে, কারণ বড় বড় ট্রাক ও লরি এখানে চলাচল করতে পারে। ফলে, ট্রাফিক ইফেক্টিভনেস বাড়ে, যা দৈনন্দিন যাত্রী পরিবহনকে আরও সহজ ও নির্বিঘ্ন করে তোলে।

পরিবহন দ্রুততা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পরিবহনের দ্রুততা অনেক বৃদ্ধি করে। ডান্স ট্রাফিক এলাকা ছেড়ে একটি উচ্চগতির পথে যাওয়া যায়, যা ঢাকা থেকে এরিয়া থেকে এগুলির দূরত্ব অনেক কমে যায়। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাত্রার সময় ৫০ মিনিট থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত হ্রাস পায়।

সারাংশে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রবর্তন আমাদের নাগরিক জীবনে ট্রাফিক ইফেক্টিভনেস বাড়ানোর পাশাপাশি দৈনন্দিন কার্যক্রমে গতি ও দক্ষতা আনয়ন করে থাকে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অসুবিধা

আধুনিক নগরায়ণের অন্যতম সমাধান হিসেবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গণনা করা হলেও, এর অসুবিধাগুলোও নগন্য নয়। বিশেষত, নির্মাণের সময়ে উত্থাপিত অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের চাপ, এবং বাড়তি নির্মাণ ব্যায় এই প্রকল্পগুলোর দীর্ঘমেয়াদী সফলতাকে প্রভাবিত করে।

বিনাথিত সমস্যা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সাথে সাথে উদ্ভূত হয় নানা বিনাথিত সমস্যা। যানবাহন চলাচলের ধ্বনি এবং ধুলাবালির পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে আশপাশের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। এছাড়াও, নির্মাণাধীন স্থানগুলিতে অস্থায়ী যানজট সৃষ্টি হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতি এবং দৈনন্দিন জীবনের উপর চাপ সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুনঃ  পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?

সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির পর এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি ব্যয়, যা অনেক সময় প্রকল্পের মূল বাজেটকে ছাড়িয়ে যায়। এক্সপ্রেসওয়ের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা নিশ্চিত করতে অন্তঃসার এবং বাহ্যিক কাঠামোর মেরামত, সংস্কার, এবং পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন পড়ে থাকে। এই সব কার্যক্রম অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণের চাপ তৈরি করে, যা কখনো কখনো নগর পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জ করে।

  • রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপক তদারকি এবং নির্মাণ ব্যায় সংক্রান্ত কঠোর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রয়োজন।
  • পরিচালনা কর্তৃপক্ষের নিয়মিত মনিটরিং এবং সমীক্ষা দ্বারা সম্পন্ন হওয়া।
  • বাড়তি নির্মাণ ব্যায়ের জন্য কার্যকরভাবে ব্যয় সমন্বয়।

পরিবেশে প্রভাব

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ এবং পরিচালনা আধুনিক শহরের চিত্র পরিবর্তন করলেও, এর পরিবেশগত প্রভাব গভীরভাবে অনুভূত হয়। শহরকেন্দ্রিক এই প্রকল্পগুলো কিভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলিভেটেড পথ স্থায়িত্ব-কে বজায় রাখতে সক্ষম হয়, এ বিষয়ে আলোচনা জরুরি।

শব্দ ও বায়ু দূষণ

  • এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সময় প্রযুক্তিগত মেশিনের ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন শব্দ অনেকাংশেই অতি Lambertিক্ত হওয়ায় শব্দ দূষণ সৃষ্টি করে।
  • এলিভেটেড পথের ব্যাপক যানবাহন চলাচলের ফলে বায়ু দূষণের মাত্রাও বেড়ে যায়, যা শহরের বায়ুর গুণগত মান হ্রাস পায়।

স্থায়িত্বের মূল্যায়ন

দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনায় এনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টেকসই নির্মাণ এবং পরিচালনা করা অপরিহার্য। প্রযুক্তির উন্নতি এবং নতুন উদ্ভাবনী পদ্ধতির সমন্বয় দূষণ হ্রাসের সাথে সাথে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে।

এসব উদ্যোগ শুধু আজ নয়, ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্যও এলিভেটেড পথ স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তাই প্রতিটি পর্যায়ে পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি।

জনগণের প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশে, প্রকল্পের প্রভাব আলোচনার মূল বিষয় হিসেবে উঠে আসে যখন নতুন উদ্যোগের যুক্তিযুক্ত বা সাজানো অবস্থা জনসাধারণের সামনে আনা হয়। এই প্রেক্ষাপটে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রতি জনমনে এক ধরনের আগ্রহ ও সন্দেহ উভয়ই লক্ষ্য করা গেছে।

স্থানীয় জনসাধারণের মতামত

অধিকাংশ জনমত সংগ্রহ প্রকাশ করেছে যে পিপিপির আওতায় এমন উন্নয়নমূলক প্রকল্প সম্ভবপর যে কিনা নিত্যদিনের যানজট কমিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। যেমন, ঢাকা শহরের জট্রাবাড়িতে প্রবেশের পর উড্ডয়ন বিমান পরিবহনের জন্য লেগে থাকা সময় এখন আরো দুই ঘন্টাই কমে যাবে।

গণমাধ্যমের দৃষ্টিভঙ্গি

অন্যদিকে, মিডিয়া মতামত ঘন ঘন উল্লেখ করে থাকে যে এরূপ উদ্যোগ যদিও সাহায্য করবে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে, কিন্তু প্রকল্প সামলানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষতা ও সংস্থানের ঘাটতি সম্পর্কেও শঙ্কা প্রকাশ করে। তেমনি, বধিশীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের দক্ষতার অভাবের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button