স্বাস্থ্য কি? – এর সংজ্ঞা ও গুরুত্ব

স্বাস্থ্যের সংজ্ঞা দেওয়া খুবই ব্যাপক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) 1948 সালে স্বাস্থ্য হিসেবে শারীরিক, মানসিক, এবং সামাজিক ভালো অবস্থার একটি পূর্ণতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে – কেবল রোগ বা অসুস্থতা নয়। স্বাস্থ্য ধারণা 1986 সালে আরও বিস্তারিত করে WHO বলেছে যে, স্বাস্থ্য মানে শুধু অসুখ-বিসুখের অনুপস্থিতি নয়, এটি নিজের সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত উন্নতিকেও গুরুত্ব দেয়।

স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নির্দিষ্ট করা যায় এর বিভিন্ন দিক দিয়ে – শারীরিক স্বাস্থ্য যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, চয়নশীল খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, মানসিক স্বাস্থ্য যা চিন্তা, অনুভূতি এবং সামাজিক মানসিক সমস্যার সঙ্গে সামাঞ্জস্য উল্লেখযোগ্য। এটি মানসিক অবসাদ প্রতিরোধ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা এবং সম্পর্কের যত্নের মতো বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেওয়া। স্বাস্থ্য শিক্ষা সবার জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে – সমস্যা থেকে বাঁচানো, উত্তম স্বাস্থ্য অভ্যাস গড়ে তোলা এবং দীর্ঘ জীবন লাভের মাধ্যমে। এইভাবে, স্বাস্থ্য আমাদের প্রত্যেকের কাছে একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে দেখা দেয়।

Contents show

স্বাস্থ্য শব্দের মানে কি?

স্বাস্থ্য শব্দটি মূলত আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ভালো থাকার অবস্থাকে বোঝায়। একজন ব্যক্তির পূর্ণ স্বাস্থ্যবান বলা হয় এমন অবস্থায় যখন সে শুধু শারীরিক সুস্থতা নয়, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব অনুধাবন করে সেই অনুযায়ী চলে।

শারীরিক স্বাস্থ্য

শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে আমরা বুঝি দেহের বিভিন্ন অংশের সঠিক ও স্বাভাবিক কার্যকলাপ এবং রোগমুক্ত থাকার অবস্থা। এটি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং যথেষ্ট বিশ্রামের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।

মানসিক স্বাস্থ্য

মানসিক স্বাস্থ্য হচ্ছে সেই অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি তার আবেগ, চিন্তা এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ইতিবাচক মনোভাব, চাপ মোকাবিলা করার ক্ষমতা ও ভালো ব্যবহারিক যোগাযোগ এই সব মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য জরুরি।

সামাজিক স্বাস্থ্য

সামাজিক স্বাস্থ্য অন্যদের সাথে সুস্বাস্থ্যকর এবং ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করা এবং বজায় রাখা বোঝায়। পারিবারিক, বন্ধুবান্ধব এবং কর্মজীবনে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলে সামাজিক অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা যায়।

সব মিলিয়ে, শারীরিক সুস্থতা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা সম্ভব। এগুলি প্রত্যেকের জীবনে সমান প্রয়োজনীয়।

আরও পড়ুনঃ  শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ?

স্বাস্থ্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবনা আমাদের বোঝায় যে, ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সকল দৈনন্দিন কাজকর্মের ভিত গড়ে তোলে, এবং জীবনের মান হোক বা সামাজিক অবস্থান, সর্বক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়ে।

জীবনের গুণগত মান

স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি জীবনের মান বৃদ্ধি পেতে বাসস্থান, খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক চাপ কমানোর প্রয়োজনিয়তা অপরিসীম। স্বাস্থ্যকর চিন্তাভাবনা এবং নিয়মিত ব্যায়াম জীবনের মান বৃদ্ধিতে বিপুল ভূমিকা রাখে।

দৈনন্দিন কার্যক্ষমতা

মুখ্যত, কর্মজীবন হোক বা পারিবারিক জীবন, স্বাস্থ্যগত উন্নতি সময়মতো ও কার্যকর ভাবে দৈনন্দিন কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। সুস্থ শরীর ও মন হল সুখী ও উৎপাদনশীল জীবন যাপনের মূল কুঞ্জী।

সমাজের উন্নয়ন

স্বাস্থ্যবান জনসংখ্যা সমাজের উন্নতির একটি বড় অংশ হিসেবে কাজ করে। ব্যক্তি যত সুস্থ হবে, সমাজও ততো উন্নত ও সুখী হবে। সুস্থ জনগণের কর্মশক্তি সমাজকে এগিয়ে নেয়, যা বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ

স্বাস্থ্য ধারণাটি বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিত থেকে বিবেচিত হয়, যা প্রতিটি দিক থেকে স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য নতুন উপায় সুপারিশ করে।

চিকিৎসা দৃষ্টিকোণ

চিকিৎসা পদ্ধতির ভিত্তিতে, স্বাস্থ্যকে রোগমুক্তি এবং চিকিৎসাজনিত সুস্থতার মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তির প্রবর্তন অত্যন্ত জরুরী।

সামাজিক দৃষ্টিকোণ

সামাজিক স্বাস্থ্যের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য বোঝায় এমন পরিবেশের তৈরি যেখানে ব্যক্তিরা সামাজিকভাবে অংশীদারিত্ব ও সামাজিক সমর্থনের মাধ্যমে সুস্থ থাকতে পারে। সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকা, সামাজিক নিরাপত্তা, এবং যোগাযোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকে উন্নত করা যায়।

অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ

স্বাস্থ্যের অর্থনীতি প্রসঙ্গে, এটি কর্মশক্তির উৎপাদন ক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুস্থ জনগোষ্ঠী অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্যের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।

এই দৃষ্টিকোণগুলির মাধ্যমে, আমরা বুঝতে পারি যে স্বাস্থ্য কেবল চিকিৎসা পদ্ধতি বা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার বিষয় নয়, বরং এটি সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কারণগুলির সাথে গভীরভাবে জড়িত।

স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নত করার উপায়

আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে গভীর প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম মিলিয়ে একটি সুস্থ জীবনযাপন গড়ে তোলা সম্ভব।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

স্বাস্থ্যকর খাবার হলো সেই সকল খাবার যা শরীরে পুষ্টি যোগায় এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডা. মেগান রসির মতে, প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩০ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন শাকসবজি ও ফল খাওয়া উচিত।

  • দিনে একবার অন্তত কাঁচা সব্জি খাওয়া
  • হাইড্রেশনের জন্য পর্যাপ্ত জল পানি করা
  • প্রতিদিন উষ্ণ দুধ পানি, ডাবের জলের মতো পেয়েজ খেলে হজমে সাহায্য হয়

ব্যায়াম ও শারীরিক কার্যকলাপ

ব্যায়ামের গুরুত্ব শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেও ভূমিকা রাখে। ডা. রিস থ্যাচারের মতে, প্রতিদিনের প্রাত্যহিক কর্মকান্ডে হালকা ব্যায়াম যেমন পোষা প্রাণীর সঙ্গে হাঁটা অত্যন্ত উপকারী।

  1. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা
  2. সপ্তাহে তিন দিন ওজন বহনযোগ্য ব্যায়াম
  3. যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করার অভ্যাস
আরও পড়ুনঃ  সংক্রামক রোগ কাকে বলে?

মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কৌশল

মানসিক স্বাস্থ্য মেইনটেইন করা জরুরি। ডা. জেমস গিল মতে, সুখী থাকা এবং নিজের মানসিক অবস্থার প্রতি সচেতন থাকাও অপরিহার্য।

  • পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া (প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা)
  • মেডিটেশন এবং ধ্যানের অভ্যাস করা
  • নিজের আবেগ, অনুভূতি এবং ইচ্ছার প্রতি সচেতন থাকা

এই সকল কৌশল অবলম্বন করে স্বাস্থ্যবান এবং সুখী জীবনযাপন সম্ভব।

স্বাস্থ্য সেবা এবং এর প্রকারভেদ

স্বাস্থ্য সেবার মান ও প্রকারভেদ নির্ধারণ করে একটি জাতির সার্বিক স্বাস্থ্য। সঠিক সেবা প্রাপ্তি এবং তার বিস্তৃতি, প্রতিটি নাগরিকের সুস্থ জীবন যাপনে অপরিহার্য। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে জরুরি মেডিকেল সেবা পর্যন্ত, প্রাতিষ্ঠানিক সেবার ব্যবস্থাপনা নাগরিকদের দৈনন্দিন ও জরুরি চিকিৎসা চাহিদাগুলি মেটাতে সাহায্য করে।

প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা

প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যেকের প্রথম ধাপের চিকিৎসা পরিসেবা প্রদান করে। এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষার মূল ভিত্তি হিসাবে কাজ করে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা যাওয়ার আগে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় মুখ্য ভূমিকা রাখে।

বিশেষজ্ঞ সেবা

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা, প্রাথমিক চিকিৎসার পরবর্তী ধাপে নির্দিষ্ট রোগ ও অবস্থান ভেদে উন্নত মানের চিকিৎসা প্রদান করে। এই সেবাগুলি অধিকতর জটিল ও গভীরতর চিকিৎসা প্রয়োজন হলে সাহায্য করে।

জরুরি সেবা

জরুরি মেডিকেল সেবা আকস্মিক ও গুরুতর পরিস্থিতিতে দ্রুত ও কার্যকরী চিকিৎসা সরবরাহ করা নিশ্চিত করে। দুর্ঘটনা, হৃদরোগের আক্রমণ অথবা অন্যান্য জীবন-হানিকর ঘটনাবলীতে এই ধরনের চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি।

এভাবে, স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন স্তরগুলি একে অন্যের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং প্রতিটি নাগরিকের সহজে এবং সাশ্রয়ীভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পাও৯ার নিশ্চয়তা দেয়। এর ফলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা গারান্টি দেয়, যা প্রত্যেকটি জাতির জন্য অপরিহার্য।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা

স্বাস্থ্য শিক্ষার আলোচনা সচেতনতা কর্মসূচি ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে অপরিহার্য। স্বাস্থ্য বিধি ও সুস্বাস্থ্য ধারণের প্রশিক্ষণকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেবার জন্য ত্রিমুখী পদক্ষেপ আমাদের কার্যক্রমের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা সংহতভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুস্থ জীবনযাপনের পাঠ দেয়। এ ধরনের শিক্ষা তাদের জনস্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করে, যা চিরকালীন ভালো অভ্যাসগুলি গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখে।

সামাজিক মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা

সামাজিক মাধ্যম দ্রুত এবং ব্যাপক পরিসরে স্বাস্থ্য তথ্য ও সচেতনতা কর্মসূচির প্রচারে অত্যন্ত সহায়ক। এটি জনগণকে তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা সম্পর্কে অভিজ্ঞ করে তোলে।

স্বাস্থ্য ক্যাম্প ও সেমিনার

স্বাস্থ্য ক্যাম্প ও সেমিনারগুলি জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। এগুলি স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ, সঠিক পুষ্টি গ্রহণ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সাহায্যের তথ্য প্রদানে নিবেদিত হয়।

আরও পড়ুনঃ  বুকের মাঝখানে চাপ হলে করণীয়

রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিয়মিত চেকআপ প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ সনাক্তকরণে সহায়ক। এতে করে রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয় এবং সংক্রামক ব্যাধি থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। নির্ধারিত চেকআপ এমন এক ক্রিয়াকলাপ যা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের উন্নয়নে অবদান রাখে।

সংক্রামক রোগ

সংক্রামক রোগের অন্যতম প্রতিরোধের উপায় হলো ভ্যাকসিনেশন। ভ্যাকসিন ঀ দেহ ই মৌলিক হত্যাদান প্রদান করে যা বিভিন্ন ধরনের রোগানুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে হাত ধোওয়া, ব্যবহৃত বস্তু সঠিক নির্মূল এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

অ-সংক্রামক রোগ

অ-সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে সুস্থ জীবন যাপন এবং নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি। এই ধরনের রোগ প্রতিরোধের জন্য তামাকজাত পণ্য থেকে বিরত থাকা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

নিয়মিত পরীক্ষা-নীরিক্ষার গুরুত্ব

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নীরিক্ষা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ অনুধাবন ও চিকিৎসা প্রদানে সহায়ক। তাছাড়া, নির্ধারিত চেকআপ করা হলে অবহেলিত স্বাস্থ্য অবস্থার সাথে জড়িত ঝুঁকির প্রবণতা হ্রাস পায়। এই প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য খরচ কমাতে সহায়ক।

সুস্থ জীবনযাপনের আদর্শ

প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে সুস্থ থাকা মৌলিক চাহিদা। সুস্থ থাকার প্রক্রিয়াটি একটি অক্ষয় চ্যালেঞ্জ, যা শুধুমাত্র শারীরিক ভাবে নয়, মানসিকভাবেও পরিচালিত হয়। আমরা যদি দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা অর্জন করতে চাই, আমাদের অভ্যাসের তালিকা, দৈনিক ক্রিয়াকলাপ এবং পরিবারের সচেতনতা সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের তালিকা

স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের তালিকায় প্রথমেই আসে নিয়মিত ব্যায়াম। ব্যায়াম শরীর এবং মন দু’টিকেই সুস্থ রাখে, যা শারীরিক সুস্থতার প্রধান বাহন। তরুণ সমাজ যদি জিম, সাইক্লিং কিংবা মাউন্টেনিয়ারিং এর মতো ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত থাকে, তাহলে মাদক থেকে দূরে থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

দিনের চেয়ে কিভাবে সুস্থ থাকবেন

দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার আরেকটি কৌশল হলো মানসিক স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখা। প্রতিটি বছরের ১০ই অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়, এই দিনে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো ও তার মহত্ব তুলে ধরা হয়। মানসিক স্বাস্থ্য তাড়িত কাজের চাপ, যেমন উত্পীড়ন, পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি কারণে কমে যায়, তাই কর্মস্থলে সহায়ক পরিবেশ নির্মাণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি খুবই জরুরি।

পরিবারে স্বাস্থ্য সচেতনতা

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ভিত্তি হলো পরিবার। পরিবার যদি সদস্যদের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে, সমস্যা ভাগাভাগি করতে, টিমওয়ার্ক উৎসাহিত করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা ঐক্যবদ্ধভাবে সমাধানে সাহায্য করে, তাহলে সেই পরিবার একটি সুস্থ সমাজের জন্য অবদান রাখে। পরস্পরের মধ্যে মুক্ত যোগাযোগ, সহযোগিতা এবং সহানুভূতি শুধুমাত্র একজন কে নয়, গোটা পরিবারকেই সুস্থ রাখে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button