বাংলাদেশের আয়তন কত?
প্রায় ১৪৭,৬৬৮ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশের মানচিত্র, বাংলাদেশের জমির পরিমাণ, এবং বাংলাদেশের ভূগোল নিয়ে অনেক জিজ্ঞাসা ও কৌতূহল রয়েছে। এই ছোট্ট ভূখণ্ডটি তার মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদীমাতৃক ভূপ্রকৃতি, এবং ঘন জনসংখ্যা দ্বারা অনন্য এক অভিজ্ঞতা দান করে থাকে।
বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ার ১,৭০৯৮,২৪২ বর্গকিলোমিটারের তুলনায় অনেক ছোট হলেও, বাংলাদেশের অনন্য ভূগোলিক অবস্থান এবং প্রাচুর্য ঠাকুরগাঁও থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দেশের ভূমির পরিমাণ এবং প্রকৃতির বৈচিত্র্য গবেষক, পর্যটক এবং নিরীক্ষা নিয়ে আসেনি কোনো অন্তরায়।
বাংলাদেশ বিশ্লেষণ: একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার একটি উপমহাদেশীয় দেশ, যার ভৌগোলিক অবস্থান এবং স্থলরূপ এর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে মিশে আছে। এই বিভাগে আমরা বাংলাদেশের লোকেশন এবং বঙ্গোপসাগর-এর সাথে এর সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের স্থলরূপ-এর বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করব।
বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান
বাংলাদেশের অবস্থান ২৩°৪৮′ উত্তর এবং ৯০°১৮′ পূর্বের মধ্যে, এটি ভারত, মিয়ানমার এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সাথে সীমাবদ্ধ। এর বাংলাদেশের লোকেশন এটিকে ভৌগোলিকভাবে একটি সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে, যা এশিয়ার অন্যান্য অংশগুলির সাথে বাণিজ্য ও যোগাযোগের জন্য একটি কেন্দ্রীয় গর্ত হিসেবে কাজ করে।
ভূপ্রস্তুতি ও সামুদ্রিক সীমান্ত
বাংলাদেশ মূলত একটি ডেল্টায় অবস্থিত, যা গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, এবং মেঘনা নদীসমূহের উপজাত নদীগুলির দ্বারা পরিচালিত। এই তিনটি মহানদীর মিলনস্থল একটি ফলপ্রসূ উর্বর ভূখন্ড তৈরি করেছে যা বাংলাদেশের স্থলরূপকে অনন্য করে তোলে। দক্ষিণে, এর বিশাল সামুদ্রিক সীমান্ত বঙ্গোপসাগর এর সাথে মিলেছে, যা বাংলাদেশের জীবন এবং অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।
মোট কথা, বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্থান এবং স্থলরূপ এর জনসংখ্যা, অর্থনীতি এবং পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব রেখেছে। বঙ্গোপসাগরের সান্নিধ্যে এটি বাইরের বিশ্বের সাথে বিনিময়ের একটি প্রাকৃতিক পথ হিসাবে কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশ কত বর্গকিলোমিটার?
বাংলাদেশের মোট আয়তন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে এর ভৌগোলিক পরিসর সম্পর্কে। বাংলাদেশের জমির পরিমাণ প্রায় ১৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার যা এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় একটি ছোট দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে।
দেশের মোট আয়তন
বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিসরের এই পরিমাপ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এর আয়তন মূলত সংরক্ষণ ও ভূ-উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
আয়তনের তুলনা: দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ
দেশের আয়তন তুলনা করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে ভারত এবং মিয়ানমারের মতো বৃহৎ দেশের পাশাপাশি অবস্থিত, তবে আয়তনে অনেক ছোট। এই ছোট্ট আয়তনের মধ্যেও বাংলাদেশ তার জনসংখ্যাঘনত্ব, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং অর্থনৈতিক গতিবিধির জন্য বিখ্যাত।
বাংলাদেশের আয়তনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত
বাংলাদেশের ভৌগলিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসে এর আয়তনের পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বিভাজন পর্যন্ত এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ– প্রতিটি ধাপেই দেশের ভৌগলিক বৈচিত্র্যে পরিবর্তন আসে।
বাংলাদেশের আয়তন পরিবর্তনের ইতিহাস
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক আয়তন নির্ধারণে ব্রিটিশ উপনিবেশিক প্রভাব অন্যতম একটি মুখ্য ঘটনা। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভাজনে তৈরি হয় পূর্ব পাকিস্তান, যা বর্তমানে বাংলাদেশ। এই বিভাজন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে বাংলাদেশের আয়তন পুনর্নির্ধারণ ঘটে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের আয়তন
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশের আয়তন পুনরায় নির্ধারণ করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের আয়তন নির্ধারিত হয় প্রায় ১৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। এই সময়ে, এটি বিভিন্ন ভৌগলিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, যার মধ্যে রয়েছে বন্যা, সাইক্লোন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক আয়তনের বিবর্তন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রসার অব্যাহতভাবে এর সমৃদ্ধির পাথেয় হয়ে উঠেছে, ভৌগলিকভাবে এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক দিক থেকে।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের ভৌগলিক মানচিত্র নদী, পাহাড় এবং সমভূমির এক অনন্য সমন্বয়ে গঠিত। এই প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো বাংলাদেশের জলবায়ু, কৃষি ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
নদী, পাহাড় এবং সমভূমি
বাংলাদেশের নদী এই দেশের প্রাণ এবং অর্থনীতির জীবনরেখা হিসেবে কাজ করে। এদের মধ্যে পদ্মা, মেঘনা, এবং যমুনা নদী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাহাড়সমূহ, যেমন চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টস এবং সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চল, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং জৈব বৈচিত্র্যের অ স্থান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। প্লাবন সমভূমি, যেমন সুন্দরবন, দেশের দক্ষিণ পূর্ব অংশে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে, যা বাংলাদেশের নিদর্শনস্বরূপ পাওয়া যায়।
জলবায়ু ও এর প্রভাব
বাংলাদেশের জলবায়ু বৃহত্তর পরিসরে উষ্ণ এবং আর্দ্র, যা সমৃদ্ধ কৃষি উৎপাদনের জন্য আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করে। বর্ষার সময়ে নদী ও প্লাবন সমভূমি ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে, যা মাটির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। অপরদিকে, পাহাড়ি এলাকায় উচ্চ বৃষ্টিপাত স্থানীয় জলবায়ুকে আরও শীতল ও আর্দ্র করে তোলে। এই বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর কারণে, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ সম্ভব হয়ে উঠেছে, যা এদের জীবনযাত্রাকে ঋদ্ধ করে তুলেছে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা এবং তুলনা
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ঘনত্ব অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে অত্যন্ত উচ্চ, যা বিশ্বের জনসংখ্যা তুলনায় এক অনন্য অবস্থান তৈরি করে। বিস্তারিত তথ্য এবং তথ্যসূত্র মিলিয়ে এই বিষয়টি আরও গভীরভাবে আলোচনা করা যাক।
জনসংখ্যার ঘনত্ব
২০১৯ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ঘনত্ব ছিল প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,১১৯ জন। এই সংখ্যা প্রদর্শন করে যে বাংলাদেশ কতটা জনবহুল একটি দেশ। এর ফলে নাগরিক সুবিধাদি প্রদানের ক্ষেত্রে চাপ অনেক বেশি ও জটিল হয়ে ওঠে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায়
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ঘনত্ব বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেমন ভারত, চীন, ও জাপানের তুলনায় অনেক বেশি। যেমন, ভারতের জনসংখ্যা ঘনত্ব প্রায় ৪৫০ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে, যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। এটি বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রবন্ধন ও সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা আরও তীব্র করে তোলে।
অতএব, এই উচ্চ জনসংখ্যা ঘনত্ব বাংলাদেশের জন্য নানাবিধ চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা উদ্ঘাটন করে। যথাযথ পরিকল্পনা এবং উন্নয়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলোকে সম্ভাবনায় পরিণত করা সম্ভব।
সীমানা ও প্রতিবেশী দেশসমূহ
বাংলাদেশের জ্যামিতিক এবং রাজনৈতিক সীমানা নির্ধারণে এর উত্তর ও পূর্বে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমারের সাথে স্থলভাগের যোগাযোগ রয়েছে। এই সীমানাগুলো শুধু ভৌগলিক পরিবর্তনই নয়, সামাজিক-অর্থনৈতিক বিনিময়ের একটি বড় ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশ ও ভারত
বাংলাদেশ ভারত সীমানা বিস্তৃত হয়ে প্রায় ৪,০৯৬.৭০ কিলোমিটার জুরে বিস্তৃত। এটি বাংলাদেশের মোট সীমানার প্রধান অংশ নির্ধারণ করে। এই সীমানার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যাপক সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক লেনদেন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার
বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমানা ধরে এর দৈর্ঘ্য মাত্র ২৮০ কিলোমিটার। এই অপেক্ষাকৃত ছোট সীমানা দুই দেশের মধ্যে নানা বিষয়ে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে জাতিগত ও পরিবেশগত ইস্যুতে এটি প্রভাবিত করে।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল
বাংলাদেশের অঞ্চলগুলি প্রশাসনিক আয়তন ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দ্বারা গঠিত। এই বিশ্লেষণে আমরা দেখব যে বাংলাদেশের বিভাগ এবং বাংলাদেশের জেলা প্রতিটি কিভাবে অনন্য এবং স্বতন্ত্র।
বিভাগ এবং তাদের আয়তন
বাংলাদেশ বিভক্ত হয়েছে একাধিক বিভাগে যা পৃথক প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। প্রতিটি বাংলাদেশের বিভাগ ভিন্ন আয়তন নিয়ে গঠিত যা তাদের অনন্য করে তোলে।
জেলা ভিত্তিক আয়তন পর্যালোচনা
বাংলাদেশের জেলা সমূহ বিভিন্ন প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তাদের আয়তন নির্ধারিত হয়। প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক আয়তন তাদের কার্যকরী পরিধি ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পালন করে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি: আয়তনের প্রভাব
বাংলাদেশের অর্থনীতির বিস্তার ও বৃদ্ধিতে এদেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য এবং আয়তন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে, কৃষি বাংলাদেশ এবং শিল্পিক উন্নয়ন এর একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।
কৃষি ও শিল্পের স্থানীয় উপস্থিতি
কৃষি বাংলাদেশ এর অর্থনীতিতে একটি প্রধান খাত হিসেবে গণ্য করা হয়। বিস্তীর্ণ জমির আয়তন এবং উর্বর মাটি কৃষিকাজের অনুকূলে। ধান, পাট এবং চা হচ্ছে প্রধান কৃষি পণ্য যা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ স্থান রাখে।
এছাড়াও, শিল্পিক উন্নয়ন বিশেষ করে পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের অর্জন সারা বিশ্বে পরিচিত। 2017-18 অর্থবছরে পোশাক শিল্প থেকে প্রাপ্ত আয় ১৫,৪২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৪২.০৭% হিসাবে গণ্য হয়।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূগোলের ভূমিকা
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূগোল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। দেশের স্থানীয় ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে দেয় যে কোন কোন জেলাগুলি কৃষি বা শিল্পের জন্য উপযুক্ত হবে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি পণ্য উৎপাদনের প্রকার ও পরিমাণে প্রভাব ফেলে, যা সরাসরি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব রাখে।
অর্থনৈতিক স্থিতি এবং উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র বুঝতে বার্ষিক রিপোর্ট এবং বাজেট পর্যালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 2023-24 অর্থবছরের রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর বিভিন্ন আর্থিক পরিকল্পনা এবং নীতির প্রভাব ব্যাপক।
বাংলাদেশের পরিবেশ এবং আকাঙ্ক্ষা
বাংলাদেশের পরিবেশ বর্তমানে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে গিয়ে বাংলাদেশের পরিবেশগত সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সম্প্রসারণ পেয়েছে। একটি সুস্থ ও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের অগ্রগমনের লক্ষ্যে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলি বহুবিধ উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশে উচ্চ জনসংখ্যা ঘনত্ব ও সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। এই দেশের বায়ু ও জল দূষণের মাত্রা অত্যন্ত উঁচু, যা পরিবেশগত স্বাস্থ্যকর অবস্থা অর্জনের পথে বড় বাধা। এছাড়াও, বনাঞ্চল হ্রাস পেয়েছে, যা বিভিন্ন প্রাণীর আবাস ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছে।
সংরক্ষণ উদ্যোগ ও কার্যক্রম
বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন এনজিও বন বিস্তার, বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জনসাধারণকে পরিবেশ সচেতন করার মতো বহুবিধ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের আওতায়, নদী রক্ষা কর্মসূচি, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বনভূমির পরিচর্যা মূল ফোকাস পয়েন্ট। এছাড়াও, পলিথিন ব্যবহার কমানো এবং শিল্প বর্জ্য সঠিকভাবে পরিচালনার বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক এই লক্ষ্যগুলি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
- বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশের পরিবেশগত সংরক্ষণ উদ্যোগের ফলে অধিক সামগ্�
বাংলাদেশের ভূগোলের পর্যটন দিক
বাংলাদেশ তার অনন্য ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে এক চমকপ্রদ স্থান দখল করেছে। এর প্রধান পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে চলেছে আজ বহু বছর ধরে, যা এই অঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও বৃদ্ধি করে তুলেছে।
জনপ্রিয় পর্যটন স্থান
- বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের সৈকত।
- চিত্তগং বিভাগে পটেঙ্গা সৈকত, ফয়’স লেক, এবং কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত।
- সাগরকন্যা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, যা তার নারকেল গাছ এবং সামুদ্রিক জীবনের জন্য বিখ্যাত।
আয়তনের প্রভাব এবং পর্যটনের সম্ভাবনা
বাংলাদেশের পর্যটন স্পটগুলির বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বঙ্গোপসাগরের বিশালায়তন, যার গড় গভীরতা এবং সর্বাধিক গভীরতা সামুদ্রিক পর্যটনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, পর্যটকদের এক অনন্য সামুদ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এছাড়াও, চট্টগ্রাম, পায়রা এবং মংলা বন্দরের মতো সমুদ্রবন্দরগুলি বিশ্বের অন্যান্য সামুদ্রিক গন্তব্যগুলির সাথে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করছে।
বিখ্যাত স্থান ও তাদের আয়তন
বাংলাদেশের ঢাকা, যা দেশের রাজধানী হিসেবে পরিচিত, এর ঢাকার আয়তন প্রায় ৩০৬ বর্গ কিলোমিটার। এই বড় শহর বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের কেন্দ্রস্থল।
ঢাকা: রাজধানীর আয়তন
মহানগরীর পরিচিতি পেয়েছে এর ব্যস্ত জীবনযাত্রা, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, এবং উন্নয়নের দ্রুত গতির জন্য। মহানগরীর জমির পরিমাণ প্রায় ৩০৬ বর্গ কিলোমিটার যা বাংলাদেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। ঢাকার আয়তন এবং এর অত্যাধুনিক সুবিধাসমূহ একে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছে।
অন্যান্য প্রধান শহরের আয়তন
-
চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের আরেকটি প্রধান নগরী যার আয়তন প্রায় ১৫৫ বর্গ কিলোমিটার।
-
খুলনা: এই শহরের আয়তন প্রায় ৫৯.৫৭ বর্গ কিলোমিটার।
-
রাজশাহী: প্রায় ৯৬.৬৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের শহর।
-
বরিশাল: মোট আয়তন প্রায় ৫৮.০৯ বর্গ কিলোমিটার।
এই প্রধান শহরগুলি বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এবং দেশের অর্থনীতিক চাকা ঘোরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এসব শহরের আয়তন এবং বিস্তারিত নগরায়ণ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মেগা-সিটি গঠনে পথ প্রদর্শন করে।
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে
বাংলাদেশ যখন ভবিষ্যতের প্রতি চোখ মেলে তাকায়, তখন দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও আয়তনের উন্নতি জন্য পরিকল্পনা আরো জোরালো হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি খাতে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন আনা বাংলাদেশের এখনকার প্রধান চ্যালেঞ্জ। সমাজে যেসব নেতিবাচক দিক প্রকাশ পাচ্ছে, সেগুলির উপর আরো প্রশাসনিক নজরদারি এবং সংস্কারের দাবি জোরালো হচ্ছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা
ঢাকা মহানগরীতে জলজট নিরসনে গত পাঁচ বছরে ১,৩১৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এছাড়া, গত তিন বছরে ওয়াটার সাপ্লাই এবং সুয়ারেজ অথরিটি (WASA) অধীনে এই একই উদ্দেশ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। এসব তথ্য সামনে এনে পরিষ্কার যে, উন্নয়ন পরিকল্পনা যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন সুনিশ্চিত করতে হবে।
আয়তনের উন্নতিত
মহামারীর সময়কালে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরীক্ষাগার সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজদের উপর আরো কড়া নজর দিতে হবে। উন্নতির লক্ষ্যমাত্রায়, দেশ শুধু অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বৃদ্ধি নয়, বরং স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার মান উন্নত করতেও আগ্রহী। সবাইকে যুক্ত করে নিয়ে গণতান্ত্রিক ও ন্যায়বিচারের পথে হাটা এখন সময়ের দাবি।