ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে?

ডেঙ্গু জ্বরের পুষ্টি এবং এর সাথে জড়িত স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গুলি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ, এ বিষয়ে আমরা সবাই ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছি। বিশেষ করে, ভারতে ২০১৭ সালে ডেঙ্গু রোগীদের উপর চালানো একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, পেঁপে পাতার রস খেলে প্লাটিলেটের সংখ্যা বেশি বৃদ্ধি পায়। তাই, এই জ্বরের সময় ডেঙ্গু রোগীর ডায়েট বিষয়ে যত্ন সহকারে চিন্তা করা অত্যন্ত জরুরি।

পেট ব্যথা, ভাইরাসজনিত জ্বর এর মত উপসর্গগুলি সহ্য করার সময় ডেঙ্গুর সময় খাবারের তালিকায় পরিমিত পরিমাণে তরল জাতীয় পুষ্টি যোগাড় করা এবং শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখা অত্যাবশ্যক। এমনি একটি সময়ে, খাবারে ডেঙ্গু জ্বর এবং খাদ্যাভাস এর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রাখার উপর অধিক মনোনিবেশ করা উচিৎ।

Contents show

ডেঙ্গু জ্বর: একটি পরিচিতি

বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বর একটি বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে পরিচিত, যা বিশেষ করে বর্ষাকালে মশাবাহিত রোগ হিসেবে দেখা দেয়। আসুন এই রোগের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানি।

ডেঙ্গুর কারণ

ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান কারণ হলো এডিস মশা, যা ডেঙ্গু ভাইরাস (DENV) বহন করে। এই মশাগুলি স্থবির পানিতে প্রজনন করে থাকে, যেমন ফুলের টব, বালতি, কোকোনাট শেল ইত্যাদি।

উপসর্গগুলি

ডেঙ্গুর লক্ষণ সাধারণত মশার কামড় থেকে ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়। ডেঙ্গুর লক্ষণ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে হঠাৎ জ্বর, মাথাব্যথা, জয়েন্টে ব্যাথা, দুর্বলতা, বমিভাব, ত্বকে র‌্যাশ ইত্যাদি।

চিকিৎসা প্রক্রিয়া

ডেঙ্গু চিকিৎসায় তরল খাবার এবং যথেষ্ট পানি পান করা একটি মূল উপাদান। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং বিশ্রামের মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রিত করা সম্ভব। এছাড়াও, আক্রান্ত এলাকায় মশার প্রজনন রোধ করা এবং মশা নির্মূল করা একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে।

খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনেক বাড়ে, যা ডেঙ্গু ও খাদ্যাভ্যাস এবং ডেঙ্গু রোগীর পুষ্টি চাহিদা নিয়ে গবেষণায় বারবার উঠে এসেছে। পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে রোগী অতিরিক্ত দ্রুত সুস্থ হতে পারে এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারে।

সঠিক পুষ্টি

  • প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা দরকার।
  • প্রোটিন যুক্ত খাবার, যেমন ডিম, দুধ, মাংস খাওয়া জরুরি।
  • ফল, বিশেষ করে পেঁপে এবং কমলালেবু, যা ডেঙ্গু রোগীর জন্য খুবই উপকারী।
আরও পড়ুনঃ  মাসিকের রক্ত কালো হলে করনীয়

শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য

ডেঙ্গু জ্বরের সময় ডেঙ্গু ও খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাও৯ যায় যা ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রভাব কমাতে এবং দ্রুত সুস্থতা লাভ করতে সাহায্য় করে। পর্যাপ্ত পানি ও তরল গ্রহণ এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার ওপর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

উচ্চ তরল পদার্থের প্রয়োজনীয়তা

ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের তরল চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়, তাই ডেঙ্গু চিকিৎসায় তরল গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। অপর্যাপ্ত তরল গ্রহণের ফলে ডিহাইড্রেশন এবং কিডনির উপর চাপ বাড়তে পারে, যা উপসর্গগুলি আরও জটিল করে তুলতে পারে।

পানি

প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। পানি শরীরের মেটাবলিজম বজায় রাখতে এবং টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে।

স্যুপ

চিকেন সুপ বা সবজি সুপ যেমন পুষ্টির সাথে সাথে তরলের চাহিদাও পূরণ করে। এটি ডেঙ্গু জ্বর ও তরল খাবার হিসেবে উপযুক্ত।

ডাবের পানি

ডাবের পানি প্রাকৃতিক খনিজ লবণ, ভিটামিন এবং ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ। এটি ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডাবের পানি হিসেবে খুবই কার্যকর।

ফলের রস

তাজা ফলের রস, যেমন কমলা বা আনারসের রস, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধি করে। এই রসগুলি ডেঙ্গু আক্রান্ত এর আরোগ্য ত্বরান্বিত করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, ডেঙ্গু হলে উল্লিখিত পানীয়গুলির পাশাপাশি পরিমিত পুষ্টি ও বিশ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি কদমে সচেতন থাকা এবং উপযুক্ত ডায়েট মেনে চলা ডেঙ্গু মোকাবিলায় অপরিহার্য।

ফলমূল: প্রধান পুষ্টির উৎস

ডেঙ্গু জ্বরের সময় পুষ্টিকর ফলের ব্যবহার খুবই জরুরি। ডেঙ্গু ও ফলমূলের সম্পর্ক গবেষণায় প্রমাণিত, কারণ ফলমূল শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। নির্দিষ্ট কিছু ফল, যেমন পাকা পেঁপে ও কলা, বিশেষ করে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য উপকারী।

পাকা পেঁপে

পাকা পেঁপে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়ানোর সাথে সাথে দ্রুত শক্তি প্রদান করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং পাপাইন এনজাইম ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করে এবং ফলের পুষ্টি মূল্য শরীরের পুনর্বাসনে সহায়ক।

কলা

কলা পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ এবং এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক রাখার পাশাপাশি সহজে হজমযোগ্য। এটি দ্রুত এনার্জি প্রদানের জন্য আদর্শ, বিশেষত ডেঙ্গু রোগীদের জন্য যারা অন্যান্য খাবার খেতে কষ্ট অনুভব করে।

কিভাবে ফল খেতে হবে

  • ফলমূল ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
  • ভালোভাবে পাকা ফল নির্বাচন করুন; আধা-পাকা ফলে পুষ্টি মূল্য কম থাকতে পারে।
  • সম্ভব হলে ফলমূল নিজেরা কেটে খান, বাজারে কাটা ফল এড়িয়ে চলুন।

ডেঙ্গু জ্বরের সময় পুষ্টিকর ফলোদের ব্যবহার শরীরকে দ্রুত সেরে উঠতে এবং ভাইরাসের প্রভাব কমাতে সহায়ক। তাই, ডেঙ্গু এবং ফলমূলের সঠিক ব্যবহার শরীরকে আরো দৃঢ় ও সবল করে তোলে।

সবজি: ডেঙ্গুর সময় সেবনের জন্য উপকারী

ডেঙ্গু জ্বরের সময় আমাদের শরীরের সঠিক পুষ্টি এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পুষ্টির জন্য সবজি অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে, পালং শাক, গাজর, এবং টমেটো সমৃদ্ধ সবজি হিসেবে পরির্ছন্ন করা হয়ে থাকে যা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবজি হিসাবে কাজ করে।

আরও পড়ুনঃ  স্বাভাবিকভাবে টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর উপায়

পালং শাক

পালং শাক ভিটামিন সি, কে, এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেম বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের ভিতরের প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে।

গাজর

গাজর বিটা-ক্যারোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর, যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে শরীরের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা মোকাবেলা করে।

টমেটো

টমেটো লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি এর একটি চমৎকার উৎস হিসেবে পরিচিত। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য টমেটো সেবন করা উপকারী, কারণ এটি ডেঙ্গু ও সবজি হিসেবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

এই সবজিগুলির নিয়মিত সেবন ডেঙ্গু জ্বর কালীন সময়ে শরীরকে আরও দৃঢ় ও পুষ্ট রাখতে পারে। এতে করে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবজি হিসেবে এদের গুরুত্ব কখনও উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।

শরীরের ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে খাবার

ডেঙ্গু জ্বর সামলানোর জন্য এবং ইমিউন বুষ্টার খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই পর্বে আমরা কিছু বিশেষ খাবারের কথা বলবো যেগুলো ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধির পাশাপাশি ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য মশলা এবং ডেঙ্গু রোদের পর চিকিৎসায় সহায়ক।

দারুচিনি

দারুচিনি একটি শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী উপাদান যা পাচনে সহায়তা করে এবং স্বাস্থ্যবান ইমিউন সিস্টেম তৈরি করতে সক্ষম। এটি ইমিউন বুষ্টার খাবার হিসেবে খুবই কার্যকর।

লেবু

লেবু ভিটামিন সি-তে ভরপুর, যা অত্যন্ত জরুরী ইমিউন সিস্টেমের জন্য। এটি সঙ্গে শরীরকে ডেটক্স করে এবং নানাবিধ আক্রমণাত্মক ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।

আদা

আদা একটি চমত্কার ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য মশলা, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পেটের সমস্যাগুলি দূর করে। এছাড়াও, এর জী�анপ্রধান উপাদানগুলি ইমিউন সিস্টেমে সাহায্য করে।

  1. প্রতিদিন এক গ্লাস লেবু পানি পান করুন।
  2. খাবারে দারুচিনি ও আদা ব্যবহার করুন।

এই খাবারগুলো ডেঙ্গুর পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। তাই এগুলো খেয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং ডেঙ্গু রোদের পর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা

ডেঙ্গু জ্বর সংক্রমণের পর শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন ভিটামিন শরীরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে, যা ডেঙ্গু চিকিৎসায় ভিটামিনকে অপরিহার্য করে তোলে। এখানে আমরা যেসব ভিটামিন গ্রহণের উপর জোর দেব তা হলো ভিটামিন সি, বি ও ডি। প্রতিটি ভিটামিনের বিশেষ কার্যকারিতা এবং সঠিক উৎস সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।

কিভাবে ভিটামিন সি সম্পূরক খাবার নির্বাচিত করবেন

ভিটামিন সি একটি প্রধান এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি পায় এবং ডেঙ্গু জ্বর ও ভিটামিন সাপোর্টের জন্য একে অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত। উচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে:

  • কমলা
  • স্ট্রবেরি
  • আনারস
  • কিউই
  • পেঁপে
আরও পড়ুনঃ  অন্ডকোষ ব্যাথার কারন কি?

ভিটামিন বি ও স্বাস্থ্য

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় রাখতে ও খাদ্য থেকে এনার্জি উৎপাদনে সাহায্য করে। ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ খাবারের উল্লেখযোগ্য উৎসগুলি:

  • ডাল
  • সবুজ শাক-সবজি
  • মাংস
  • ডিম

ভিটামিন ডি ভূমিকা

ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য পরিচিত হলেও এর ইমিউন রেগুলেটরি ক্ষমতাও প্রমাণিত। সূর্যের আলো সবচেয়ে ভালো ভিটামিন ডি সোর্স। যাদের সূর্যালোকের সম্পর্কে সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারা নিচের খাবারগুলির মাধ্যমে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারেন:

  • মাছের তেল
  • দুধের পণ্য
  • ডিমের কুসুম

সুতরাং, ডেঙ্গু জ্বরের সময় এই ভিটামিনগুলির সঠিক ব্যবস্থাপনা আপনার শরীরকে আরো দ্রুত সেরে উঠতে এবং কঠিন সময় পার করতে সহায্য করবে।

প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা

ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রোটিন একটি অপরিহার্য উপাদান, যা শরীরের শক্তি ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডেঙ্গু সেরে উঠার জন্য প্রোটিন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এটি শরীরের ক্ষত সারানো এবং নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।

মুরগীর মাংস

মুরগীর মাংসে আপনি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাবেন যা অমিলসিদ্ধ প্রোটিন সরবরাহ করে এবং ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।

মাছ

মাছ, বিশেষ করে তেল আছে এমন মাছ (যেমন সালমন, ম্যাকেরেল) হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ, যা হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করে।

ডেইরি প্রোডাক্ট

ডেঙ্গু আক্রান্তের ক্ষেত্রে দুধ, ছানা এবং দইয়ের মতো ডেইরি প্রোডাক্টগুলিও উপকারী। এগুলি ক্যালসিয়ামের ভাল উৎস এবং বৃহত্তর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের অংশ, যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং মাংসপেশী সারানো সমর্থন করে।

এই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সম্পূর্ণ শরীরের গঠনমূলক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে, তাই ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে উঠার প্রক্রিয়ায় এগুলির ভূমিকা অপরিসীম।

খাওয়ার সময় কোন খাবার এড়িয়

ডেঙ্গু জ্বরের সময় সুস্থতার পথে তরল খাবার যেমন ডাবের পানি, খিচুড়ি এবং সহজে হজম হওয়া আহারের প্রাধান্য দিতে হয়। তবে, এই সময়ে কিছু খাদ্য বিপরীতে দেহের অন্যান্য সমস্যা আনতে পারে, যেমন তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার। এই ধরনের খাবার সেবন অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে পাকস্থলী ও হৃদযন্ত্রের উপর, যা ডেঙ্গু জ্বরের আরও অন্যান্য উপসর্গের তীব্রতা বাড়াতে পারে।

এছাড়া, মসলাযুক্ত খাবার ও ক্যাফিন যুক্ত পানীয় আমাদের এড়িয়ে চলা উচিৎ। মসলাদার খাবার পেটের যন্ত্রণাকে উসকে দেয়, এবং ক্যাফিন হার্ট রেট বাড়িয়ে দেহের অবস্থাকে দুর্বল করতে পারে। সেই কারণে, ডেঙ্গু জ্বরের সময় নিরাপদ এবং সাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস গাইডলাইন অনুসরণ করতে চিকিৎসক এবং ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ অণুগামী হওয়া উচিৎ।

সংক্ষেপে, ডেঙ্গু জ্বর অবস্থায় সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার, যেমন তরমুজ, পাকা কলা, পেঁপে, পালং শাক, ব্রুকলি, এবং ডালিম খেতে হবে, এবং জ্বর বৃদ্ধিকরণ এবং ডিহাইড্রেশন ঘটানো খাবার বর্জন করতে হবে। দেহের পক্ষে কষ্টকর খাবারগুলির থেকে দূরে থাকা এবং সঠিক নিয়মে খাদ্য গ্রহণ সুস্থ হওয়ার মার্গে অবশ্যম্ভাবী।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button