বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা কোনটি?
কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগোতে ঘরে তৈরি ইউরিয়া সারের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। এই প্রেক্ষাপটে, ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পটি বাংলাদেশের কৃষিকে এক নতুন মাত্রা দিতে যাচ্ছে। নরসিংদী জেলায় প্রতিষ্ঠিত এই প্রকল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদন কারখানা হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের চাপ নিশ্চিত করে এবং যমুনা সার কারখানা তথা অন্যান্য কারখানাগুলোর সাথে তুলনা করে কম গ্যাস ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চমানের সার উৎপাদনে বিশেষ মনোনিবেশ করছে। ঘোড়াশাল-পলাশ প্রজেক্ট চালু হলে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিকটন উৎপাদন সম্ভব হবে, যা দেশের মোট ইউরিয়া উৎপাদন প্রায় ২৩ মিলিয়ন মেট্রিকটনে পৌঁছাবে। এতে করে বিদেশি আমদানিতে নির্ভরতা হ্রাস পাবে, বিদেশি মুদ্রার ব্যয় কমে আসবে এবং কৃষি উৎপাদনে স্থানীয় সার ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী হবে।
সার শিল্পের ইতিহাস বাংলাদেশে
বাংলাদেশ সার শিল্প তার শুরু থেকেই কৃষি উন্নয়নে এক অপরিহার্য ভূমিকা রাখছে। রাসায়নিক শিল্প সংস্থা এবং তাদের উৎপাদিত পণ্য সারা বছর জুড়ে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে, বিশেষত আমন মৌসুমে।
বাংলাদেশের সার উৎপাদনের সূচনা
বাংলাদেশে ইউরিয়া উৎপাদনের ইতিহাস ১৯৬১ সালে ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শুরু হয়। এটি ছিল এশিয়ার প্রথম রাসায়নিক সার কারখানা, যা খুব দ্রুত বাংলাদেশের সার শিল্পের পথিকর্তা হয়ে ওঠে।
প্রধান কোম্পানিগুলোর ভূমিকা
বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠা করে, যেটি দৈনিক ১,৭০০ টন ইউরিয়া উৎপাদনের ক্ষমতা রেখেছিল। এই উৎপাদন দেশের কৃষি ক্ষেত্রকে উল্লেখযোগ্যভাবে বিকাশ ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশের কৃষির সাথে সম্পর্ক
বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে সার শিল্প এক অনন্য অবদান রাখছে। হালে নতুন করে উন্মোচিত “হিউমিস্টার ডাব্লুজি” সারের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ৬৫% হিউমিক এসিড, ১২% ফুলভিক এসিড এবং ১৭% পটাশিয়াম ধারণ করে। এই ধরণের উন্নত সার কৃষকদে�
সারের ধরনের পরিচিতি
বাংলাদেশে সারের ব্যবহার ও উৎপাদন কৃষি উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা যোগ করছে। সারের ধরন বিভিন্নের মধ্যে রাসায়নিক সার, জৈব সার, এবং বিশেষ সার প্রধান। এই ধরনগুলির বৈজ্ঞানিক ব্যবহার ও সুষম মিশ্রণ ফসল উৎপাদনে শ্রেষ্ঠ ফল আনতে সক্ষম।
রাসায়নিক সার
রাসায়নিক সার মূলত কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদিত হয় এবং এগুলির মধ্যে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম সাধারণত প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই ধরনের সার দ্রুত ফলন বৃদ্ধি সাহায্য করে থাকে, তবে মাটির দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে প্রশ্ন রয়েছে।
জৈব সার
জৈব সার, যা প্রাকৃতিক উপাদান থেকে উৎপন্ন হয়, মাটির গুণগত মান বাড়ানোতে অনবদ্য। এগুলি মাটিতে উপকারী জীবাণুদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বিশেষ সার
বিশেষ সার হল সেই সার যা বিশেষ কিছু ফসল বা মাটির অনুপুষ্টি ঘাটতি পূরণের জন্য উদ্ভাবিত হয়েছে। এই ধরনের সারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদান যেমন জিংক, বোরন, আয়রন ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়।
এই বিবিধ সারের ধরন ও তাদের ব্যবহার একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ কৃষি ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে, যা কৃষি উদ্ভাবন কে আরও প্রসারিত করে তুলতে সাহায্য করে।
সর্ববৃহৎ �্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্যারখানার না�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্ম ও স্থি�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্তি
বাংলাদেশে উৎপাদিত সারের মধ্যে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া কারখানা, শাহ্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্যাজালাল ইউরিয়া কারখানা, এবং �্�্�্�্�্�্�্�্�্�্তাকুণ্ড ইউরিয়া কারখানা প্রধানত অবদান রাখে। এই কারখানাগুলো দেশের কৃষি ও শিল্প উন্নয়নের স্পিনে অন্যতম।
শাহ্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্যাজালাল ইউরিয়া কারখানা
একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর অবস্থান যা অত্যন্ত সুবিধাজনক এবং কৃষি এলাকাগুলির কাছাকাছি, যা লজিস্টিক সুবিধা প্রদান করে।
�্�্�্�্�্�্তাকুণ্ড ইউরিয়া কারখানা
এই কারখানাটি তার উচ্চ ক্ষমতার উৎপাদন লাইনের জন্য পরিচিত, যা বছরে বহু টন ইউরিয়া উৎপাদন করে।
�্�্�্�্�্�্যান্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্যার কারখানা
সম্প্রতি এই কারখানাগুলোর মধ্যে উচ্চতর প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি ও পরিবেশ দূষণ রোধে নতুন উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে যা এগুলির সার্বিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির কারণ হয়েছে।
�্�্�্�্�্�্যাজালাল �্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্যারের �্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্�্যারখানার সক্ষমতা
শাহ্জালাল সার কারখানার সক্ষমতা নিয়ে যেকোনো আলোচনা সবসময় সার উৎপাদনের পরিমাণকে প্রাধান্য দেয়। এই কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১০ টন, যার মধ্যে ৮০% নাইট্রোজেন-ভিত্তিক এবং ২০% ফসফেট-ভিত্তিক সার। বিশেষ ধরনের সারের উৎপাদন ক্ষমতা মোট উৎপাদনের ১০% নিয়ে নির্দিষ্ট ফসলের প্রয়োজন পূরণ করে থাকে।
উৎপাদনের পরিমাণ
ইউরিয়া উৎপাদনে এই কারখানা অন্যান্য বিকল্পগুলির তুলনায় প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে, যেখানে গ্রানুলার এবং তরল উভয় ধরনের সারই উৎপাদিত হয়। বাজারে নাইট্রোজেন-ভিত্তিক সারের চাহিদা ৬০% এবং ফসফেট-ভিত্তিক সারের চাহিদা ৪০% ধরা হয়।
প্রযুক্তির উন্নতি
সার উৎপাদনে প্রযুক্তির উন্নতি বিবেচনায় আনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কারখানা আধুনিক উপাদান ও প্রক্রিয়া প্রয়োগ করে থাকে। এতে করে উৎপাদন দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি উৎপাদন খরচও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
শ্রমিকের সংখ্যা
শ্রমিকের সংখ্যা এবং তাদের দক্ষতা সরাসরি কারখানার উৎপাদন সামর্থ্যকে প্রভাবিত করে। এই কারখানায় অভিজ্ঞ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা এবং তাদের সার্বিক পরিচর্যা উৎপাদন উন্নতির একটি সুস্পষ্ট নিদর্শন বহন করে।